তিতাসে নিখোঁজের ৩ দিন পর বৃদ্ধার দেহ উদ্ধার

কুমিল্লার তিতাসে নিখোঁজের ৩ দিন পর মো. ছাপ্পর আলী (৮৫) নামে এক বৃদ্ধার অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করেছে তিতাস থানা পুলিশ। গত ১৪ সেপ্টেম্বর উপজেলার ডাবুর ভাঙ্গা গ্রামের দক্ষিণপাশের আবুল হোসেন মেম্বারের কাঠ বাগান থেকে এ লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহত ছাপ্পর আলী ডাবুর ভাঙ্গা গ্রামের প্রয়াত ওয়ায়েজ উদ্দিনের ছেলে।

সরেজমিন জানতে চাইলে নিহতের ছোট ছেলে সুমনের স্ত্রী আয়েশা বেগম বড় ছেলে খোকনের ঘরকে ইঙ্গিত করে জানান, গত ১১ সেপ্টেম্বর শুক্রবার সন্ধ্যায় মাগরিব নামাজের পর তাগো (বড় ছেলের) ঘর থেকে আসি বলে বের হয়ে গিয়ে আর ফিরে আসেনি। এরপর এলাকার বিভিন্ন ডুবা-নালা ও আত্মীয়স্বজনের বাড়িতে খোঁজ নিয়েও কোন সন্ধান মেলেনি। তবে বড় ছেলে খোকনের ঘরে কাউকে যেতেও দেয়নি। এ বিষয়ে বড় ছেলে আবদুল কাদির খোকনের পরিবারের সঙ্গে কথা বলতে গেলে তার স্ত্রী মোসা. মাজেদা বেগম সাংবাদিকদের সঙ্গে কোন বক্তব্য না দিয়ে কৌশলে এড়িয়ে যায়। তবে উপস্থিত লোকজনের কাছ থেকে জানা যায় পিতার লাশ দেখে বড় ছেলে খোকন অসুস্থ হয়ে তিতাস হাসপাতালে যান, সেখান থেকে ঢাকা হাসপাতালে চলে যান। তিতাস থানা পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. শহিদুল ইসলাম হাওলাদার জানান, খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থল থেকে নিহতের লাশ উদ্ধার করে (মঙ্গলবার) সকালে ময়না তদন্তের জন্য কুমিল্লা মর্গে প্রেরণ করেছি। নিহতের শরীরের বিভিন্ন অংশ শিয়াল-কুকুরে খেয়ে ফেলেছে। তবে মৃত্যুও বিষয়ে তিনিও সন্দেহ পোষণ করে বলেন, যেখান থেকে লাশ উদ্ধার করা হয়েছে, সেই জায়গাটি নির্জন। তাই সন্ধ্যা রাতে সেখানে যাবার মতো কোন কারণ দেখা যাচ্ছে না। ময়নাতদন্তের রিপোর্টেই বোঝা যাবে হত্যা নাকি ভিন্ন কিছু।

বুধবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২০ , ২৬ মহররম ১৪৪২, ২৮ ভাদ্র ১৪২৭

তিতাসে নিখোঁজের ৩ দিন পর বৃদ্ধার দেহ উদ্ধার

প্রতিনিধি, হোমনা (কুমিল্লা)

কুমিল্লার তিতাসে নিখোঁজের ৩ দিন পর মো. ছাপ্পর আলী (৮৫) নামে এক বৃদ্ধার অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করেছে তিতাস থানা পুলিশ। গত ১৪ সেপ্টেম্বর উপজেলার ডাবুর ভাঙ্গা গ্রামের দক্ষিণপাশের আবুল হোসেন মেম্বারের কাঠ বাগান থেকে এ লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহত ছাপ্পর আলী ডাবুর ভাঙ্গা গ্রামের প্রয়াত ওয়ায়েজ উদ্দিনের ছেলে।

সরেজমিন জানতে চাইলে নিহতের ছোট ছেলে সুমনের স্ত্রী আয়েশা বেগম বড় ছেলে খোকনের ঘরকে ইঙ্গিত করে জানান, গত ১১ সেপ্টেম্বর শুক্রবার সন্ধ্যায় মাগরিব নামাজের পর তাগো (বড় ছেলের) ঘর থেকে আসি বলে বের হয়ে গিয়ে আর ফিরে আসেনি। এরপর এলাকার বিভিন্ন ডুবা-নালা ও আত্মীয়স্বজনের বাড়িতে খোঁজ নিয়েও কোন সন্ধান মেলেনি। তবে বড় ছেলে খোকনের ঘরে কাউকে যেতেও দেয়নি। এ বিষয়ে বড় ছেলে আবদুল কাদির খোকনের পরিবারের সঙ্গে কথা বলতে গেলে তার স্ত্রী মোসা. মাজেদা বেগম সাংবাদিকদের সঙ্গে কোন বক্তব্য না দিয়ে কৌশলে এড়িয়ে যায়। তবে উপস্থিত লোকজনের কাছ থেকে জানা যায় পিতার লাশ দেখে বড় ছেলে খোকন অসুস্থ হয়ে তিতাস হাসপাতালে যান, সেখান থেকে ঢাকা হাসপাতালে চলে যান। তিতাস থানা পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. শহিদুল ইসলাম হাওলাদার জানান, খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থল থেকে নিহতের লাশ উদ্ধার করে (মঙ্গলবার) সকালে ময়না তদন্তের জন্য কুমিল্লা মর্গে প্রেরণ করেছি। নিহতের শরীরের বিভিন্ন অংশ শিয়াল-কুকুরে খেয়ে ফেলেছে। তবে মৃত্যুও বিষয়ে তিনিও সন্দেহ পোষণ করে বলেন, যেখান থেকে লাশ উদ্ধার করা হয়েছে, সেই জায়গাটি নির্জন। তাই সন্ধ্যা রাতে সেখানে যাবার মতো কোন কারণ দেখা যাচ্ছে না। ময়নাতদন্তের রিপোর্টেই বোঝা যাবে হত্যা নাকি ভিন্ন কিছু।