ডিজিটাল বাংলাদেশের গ্রামীণ চিত্র

শতবর্ষেও কংস নদীতে সেতু হয়নি ১০ লাখ মানুষের ভরসা খেয়া

নেত্রকোনার দুর্গাপুর, কলমাকান্দা, পূর্বধলা ও নেত্রকোনা সদর উপজেলাবাসীর পারাপারে খেয়ানৌকাই একমাত্র ভরসা। দুর্ভোগে প্রায় ১০ লাখ মানুষ। শত বছর বয়সী খর¯্রােতা এই নদীর দুই উঁচু পার এখনও দৃশ্যমান। এই নদীর গুরুত্বপূর্ণ দেউটুকুন ফেরিঘাটে শত বছরেও একটি সেতু নির্মাণ না হওয়ায় মারাত্বক দুর্ভোগে রয়েছেন প্রায় ১০ লাখ মানুষ। নেত্রকোনার সদর থেকে জামধলা বাজার ও রাজুর বাজার হয়ে দুর্গাপুর সদরে আসার জন্য বাইপাস এই রাস্তায় কংস নদীর উপর দেউটুকুন ফেরিঘাটে পারাপারে নৌকাই একমাত্র ভরসা। এই বাইপাস সড়কে জেলা সদরে চার উপজেলার বিভিন্ন দপ্তরে কর্মকর্তা কর্মচারী দাপ্তরিক কাজে দৈনিক নেত্রকোনা জেলা শহরে আসতে হয়। তা ছাড়া সাধারন মানুষ জরুরী রোগী নিয়ে যাতায়াত করে থাকে এই সড়ক দিয়ে। মামলা মোকদ্দমা সংক্রান্ত কাজে অতি অল্প সময়ে জেলা শহরে আসা যায়। ফেরিঘাটের উভয় পারে দক্ষিন উত্তর ও পূর্ব পশ্চিম সীমান্ত ঘেষে রয়েছে তিতারজান, চকপাড়া, বড়বাট্টা, বায়রাউড়া, ধলা, নলুয়াপাড়া, কুনিয়া , আফাননিয়া, বাদেফর, টেঙ্গা, কেট্রা গুলনারায়ন গ্রাম,নেত্রকোনা সদর থেকে দেউটুকুন ফেরী ঘাট পর্যন্ত এবং ফেরীঘাট থেকে দুর্গাপুর উপজেলা পর্যন্ত পাকা রাস্তা নির্মাণ হলেও শত বছরেও এখানে সেতু নির্মাণে কোন সরকারই উদ্যোগ গ্রহণ করেনি। এতে এই অঞ্চলের হাজার হাজার যাত্রী জেলা সদরে যাতায়াত করার জন্য ফেরীঘাটে এসে রোদ বৃষ্টিকে উপেক্ষা করে নানা দুর্ভোগের শিকার হয়ে থাকেন। ঘন্টার পর ঘন্টা দাঁড়িয়ে থেকে একটি নৌকা ফেরি ঘাটে ভিড়লে আরম্ভ হয় নৌকায় উঠার প্রতিযোগিতা। ফেরিতে যাত্রীদের সঙ্গে সিএনজি, অটোরিক্সা, হোন্ডা, গাদাগাদি করে বহন করা হয়। ফেরিঘাঠের উভয় পার্শ্বে মাঝিগন মাটি ফেলে অটো রিক্সা, হোন্ডা, সিএনজি চলাচলে দুর্ভোগ কমানোর চেষ্টা করলেও বৃষ্টি হলে ঝুকি নিয়ে যাত্রীদের চলাচল করতে হয়। এরপরও জনপ্রতি ফেরিভাড়া পাঁচ টাকা , হোন্ডা ১০ টাকা, সিএনজি অটো রিক্সা ৬০ টাকা থেকে ৮০ টাকা আদায় করা হয়।অনেক সময় যাত্রীগন কাদামাটিতে পিছল খেয়ে হামাগুড়ি খেতে হয়। এ দৃশ্য স্বচক্ষে না দেখেলে বুঝা যাবে না। স্বশরীরে পরিদর্শন করিলে দেখা যায় এমন চিত্র। ৪টি উপজেলার নদী পার সংলগ্ন গ্রাম গুলো থেকে ধান পাঁ চাল শাকসব্জি মাছ ও অন্যন্য পন্য পারাপারে কোন সরাসরি ব্যবস্থা না থাকায় পরিবহন খরচ হয় দ্বিগুণ। সরেজমিনে গিয়ে যাত্রী সুবল সরকার, আবুল হাসিম, রাবেয়া, মর্জিনা, রবিউল আলম, পরশের মা, আলামিন, সাইফুল, দেবল প্রমুখদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায় তাদের দুর্ভোগের কথা। এ ব্যাপারে নেত্রকোনা-১ আসন দুর্গাপুর-কলমাকান্দার শ্রদ্ধাভাজন সাংসদ মানু মজুমদার এর সঙ্গে জানতে চাইলে তিনি সংবাদকে জানান কংশ নদীর উপর দেউটুকুন ফেরিঘাটে একটি সেতু নির্মাণ অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। সেতু নির্মাণের আমার পরিকল্পনা রয়েছে। তবে এর সীমানা নির্ধারণে একটু জটিলতা থাকার জন্য সমস্যা হচ্ছে। এ ব্যাপারে জনপ্রিয় মাননীয় সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এর হস্তক্ষেপ কামনা করছেন এলাকাবাসী।

বুধবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২০ , ২৬ মহররম ১৪৪২, ২৮ ভাদ্র ১৪২৭

ডিজিটাল বাংলাদেশের গ্রামীণ চিত্র

শতবর্ষেও কংস নদীতে সেতু হয়নি ১০ লাখ মানুষের ভরসা খেয়া

মো. মোহন মিয়া, দুর্গাপুর (নেত্রকোনা)

image

নেত্রকোনার দুর্গাপুর, কলমাকান্দা, পূর্বধলা ও নেত্রকোনা সদর উপজেলাবাসীর পারাপারে খেয়ানৌকাই একমাত্র ভরসা। দুর্ভোগে প্রায় ১০ লাখ মানুষ। শত বছর বয়সী খর¯্রােতা এই নদীর দুই উঁচু পার এখনও দৃশ্যমান। এই নদীর গুরুত্বপূর্ণ দেউটুকুন ফেরিঘাটে শত বছরেও একটি সেতু নির্মাণ না হওয়ায় মারাত্বক দুর্ভোগে রয়েছেন প্রায় ১০ লাখ মানুষ। নেত্রকোনার সদর থেকে জামধলা বাজার ও রাজুর বাজার হয়ে দুর্গাপুর সদরে আসার জন্য বাইপাস এই রাস্তায় কংস নদীর উপর দেউটুকুন ফেরিঘাটে পারাপারে নৌকাই একমাত্র ভরসা। এই বাইপাস সড়কে জেলা সদরে চার উপজেলার বিভিন্ন দপ্তরে কর্মকর্তা কর্মচারী দাপ্তরিক কাজে দৈনিক নেত্রকোনা জেলা শহরে আসতে হয়। তা ছাড়া সাধারন মানুষ জরুরী রোগী নিয়ে যাতায়াত করে থাকে এই সড়ক দিয়ে। মামলা মোকদ্দমা সংক্রান্ত কাজে অতি অল্প সময়ে জেলা শহরে আসা যায়। ফেরিঘাটের উভয় পারে দক্ষিন উত্তর ও পূর্ব পশ্চিম সীমান্ত ঘেষে রয়েছে তিতারজান, চকপাড়া, বড়বাট্টা, বায়রাউড়া, ধলা, নলুয়াপাড়া, কুনিয়া , আফাননিয়া, বাদেফর, টেঙ্গা, কেট্রা গুলনারায়ন গ্রাম,নেত্রকোনা সদর থেকে দেউটুকুন ফেরী ঘাট পর্যন্ত এবং ফেরীঘাট থেকে দুর্গাপুর উপজেলা পর্যন্ত পাকা রাস্তা নির্মাণ হলেও শত বছরেও এখানে সেতু নির্মাণে কোন সরকারই উদ্যোগ গ্রহণ করেনি। এতে এই অঞ্চলের হাজার হাজার যাত্রী জেলা সদরে যাতায়াত করার জন্য ফেরীঘাটে এসে রোদ বৃষ্টিকে উপেক্ষা করে নানা দুর্ভোগের শিকার হয়ে থাকেন। ঘন্টার পর ঘন্টা দাঁড়িয়ে থেকে একটি নৌকা ফেরি ঘাটে ভিড়লে আরম্ভ হয় নৌকায় উঠার প্রতিযোগিতা। ফেরিতে যাত্রীদের সঙ্গে সিএনজি, অটোরিক্সা, হোন্ডা, গাদাগাদি করে বহন করা হয়। ফেরিঘাঠের উভয় পার্শ্বে মাঝিগন মাটি ফেলে অটো রিক্সা, হোন্ডা, সিএনজি চলাচলে দুর্ভোগ কমানোর চেষ্টা করলেও বৃষ্টি হলে ঝুকি নিয়ে যাত্রীদের চলাচল করতে হয়। এরপরও জনপ্রতি ফেরিভাড়া পাঁচ টাকা , হোন্ডা ১০ টাকা, সিএনজি অটো রিক্সা ৬০ টাকা থেকে ৮০ টাকা আদায় করা হয়।অনেক সময় যাত্রীগন কাদামাটিতে পিছল খেয়ে হামাগুড়ি খেতে হয়। এ দৃশ্য স্বচক্ষে না দেখেলে বুঝা যাবে না। স্বশরীরে পরিদর্শন করিলে দেখা যায় এমন চিত্র। ৪টি উপজেলার নদী পার সংলগ্ন গ্রাম গুলো থেকে ধান পাঁ চাল শাকসব্জি মাছ ও অন্যন্য পন্য পারাপারে কোন সরাসরি ব্যবস্থা না থাকায় পরিবহন খরচ হয় দ্বিগুণ। সরেজমিনে গিয়ে যাত্রী সুবল সরকার, আবুল হাসিম, রাবেয়া, মর্জিনা, রবিউল আলম, পরশের মা, আলামিন, সাইফুল, দেবল প্রমুখদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায় তাদের দুর্ভোগের কথা। এ ব্যাপারে নেত্রকোনা-১ আসন দুর্গাপুর-কলমাকান্দার শ্রদ্ধাভাজন সাংসদ মানু মজুমদার এর সঙ্গে জানতে চাইলে তিনি সংবাদকে জানান কংশ নদীর উপর দেউটুকুন ফেরিঘাটে একটি সেতু নির্মাণ অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। সেতু নির্মাণের আমার পরিকল্পনা রয়েছে। তবে এর সীমানা নির্ধারণে একটু জটিলতা থাকার জন্য সমস্যা হচ্ছে। এ ব্যাপারে জনপ্রিয় মাননীয় সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এর হস্তক্ষেপ কামনা করছেন এলাকাবাসী।