৬ মাস জলাবদ্ধ সড়কে বড় বড় গর্ত! দুর্ভোগের শেষ কবে

দিনাজপুরের ফুলবাড়ী পৌরসভার পশ্চিমাঞ্চলবাসীর পৌর শহরে প্রবেশের অন্যতম পথ। সেটি ফুলবাড়ী সরকারি কলেজ সংলগ্ন চৌধুরী মোড় থেকে ছোট যমুনা নদীর ফুটব্রিজ সংযোগ সড়ক। এই সড়কই এখন ভোগান্তির কারণ পৌরসভার চারটি গ্রামসহ পশ্চিমাঞ্চলের বিশালসংখ্যক মানুষের। সড়কটি এতটাই ভাঙাচোরা যে বছরের ৬ মাসই এখানে জমে থাকে পানি। আর বাকি সময় বেরিয়ে থাকে বড় বড় গর্ত। একটু বৃষ্টি হলেই পানি আর কাদা মাড়িয়ে মূল শহরে প্রবেশ করতে হয় পশ্চিমাঞ্চলবাসীকে। এই ভোগান্তি চলছে বছরের পর বছর। এরপরও কর্তৃপক্ষের পদক্ষেপ দেখা যাচ্ছে না। ফলে কখনো কখনো সড়কটি একেবারেই চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়লেও কর্তৃপক্ষ সংস্কার না করায় শহরে প্রবেশ করতে দেড় কিলোমিটার ঘুরে আসতে হয় সাধারণ মানুষকে। পৌর এলাকার চৌধুরী মোড় এলাকার প্রসাধন সামগ্রী বিক্রেতা আল মামুন চৌধুরী ও সুইপার কলোনির তারা মনি বাঁশফোঁড় বলেন, পৌরসভা এলাকার পশ্চিমাঞ্চলবাসীকে মূল শহরে প্রবেশ করতে চৌধুরী মোড় হয়ে ফুটব্রিজ এলাকার ৫০০ মিটারের সংযোগ সড়কটি ব্যবহার করতে হয়। পূর্বাঞ্চলের মানুষের ও পশ্চিমাঞ্চলের সঙ্গে চলাচলের অন্যতম সড়ক এটি। বিশাল সংখ্যক মানুষ এই সড়কটি ব্যবহার করে থাকে। দীর্ঘদিন থেকে সড়কটি চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়লেও পৌরসভা কর্তৃপক্ষের কোন নজর নেই এই সড়কটি উন্নয়নের দিকে। পৌরসভার প্রকৌশল বিভাগের সহকারী প্রকৌশলী মো. লুৎফুল হুদা চৌধুরী লেমন বলেন, সড়কটি উন্নয়নের জন্য ইতোমধ্যেই জাইকা প্রকল্পের মধ্যে দেওয়া আছে। প্রকল্পটি অনুমোদন পাওয়া গেলেই সড়কটির নির্মাণ কাজ শুরু করা সম্ভব হবে। তবে মাঝেমধ্যে ভাঙাচোরা গর্তগুলো সংস্কার করে দেওয়া হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. ময়েজ উদ্দিন বলেন, সড়কটি গুরুত্বপূর্ণ হলেও শুধুমাত্র অর্থের অভাবে নতুন করে নির্মাণ করা যাচ্ছে না। এজন্য এলাকাবাসীসহ এই পথে চলাচলকারীদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। পৌরসভার মেয়র মো. মুরতুজা সরকার মানিক বলেন, ইতোমধ্যেই পৌরসভার প্রায় প্রত্যেকটি এলাকায় মাস্টার প্লানের ড্রেন ও সড়ক নির্মাণ কাজ শুরু করা হয়েছে। এই সড়কটি জাইকায় দেওয়া আছে, আশা করি অনুমোদন পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই নির্মাণ কাজ শুরুর মাধ্যমে জনগণের দুর্ভোগ লাঘব করা হবে।

বুধবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২০ , ২৬ মহররম ১৪৪২, ২৮ ভাদ্র ১৪২৭

৬ মাস জলাবদ্ধ সড়কে বড় বড় গর্ত! দুর্ভোগের শেষ কবে

আশরাফ পারভেজ, ফুলবাড়ী (দিনাজপুর)

image

দিনাজপুরের ফুলবাড়ী পৌরসভার পশ্চিমাঞ্চলবাসীর পৌর শহরে প্রবেশের অন্যতম পথ। সেটি ফুলবাড়ী সরকারি কলেজ সংলগ্ন চৌধুরী মোড় থেকে ছোট যমুনা নদীর ফুটব্রিজ সংযোগ সড়ক। এই সড়কই এখন ভোগান্তির কারণ পৌরসভার চারটি গ্রামসহ পশ্চিমাঞ্চলের বিশালসংখ্যক মানুষের। সড়কটি এতটাই ভাঙাচোরা যে বছরের ৬ মাসই এখানে জমে থাকে পানি। আর বাকি সময় বেরিয়ে থাকে বড় বড় গর্ত। একটু বৃষ্টি হলেই পানি আর কাদা মাড়িয়ে মূল শহরে প্রবেশ করতে হয় পশ্চিমাঞ্চলবাসীকে। এই ভোগান্তি চলছে বছরের পর বছর। এরপরও কর্তৃপক্ষের পদক্ষেপ দেখা যাচ্ছে না। ফলে কখনো কখনো সড়কটি একেবারেই চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়লেও কর্তৃপক্ষ সংস্কার না করায় শহরে প্রবেশ করতে দেড় কিলোমিটার ঘুরে আসতে হয় সাধারণ মানুষকে। পৌর এলাকার চৌধুরী মোড় এলাকার প্রসাধন সামগ্রী বিক্রেতা আল মামুন চৌধুরী ও সুইপার কলোনির তারা মনি বাঁশফোঁড় বলেন, পৌরসভা এলাকার পশ্চিমাঞ্চলবাসীকে মূল শহরে প্রবেশ করতে চৌধুরী মোড় হয়ে ফুটব্রিজ এলাকার ৫০০ মিটারের সংযোগ সড়কটি ব্যবহার করতে হয়। পূর্বাঞ্চলের মানুষের ও পশ্চিমাঞ্চলের সঙ্গে চলাচলের অন্যতম সড়ক এটি। বিশাল সংখ্যক মানুষ এই সড়কটি ব্যবহার করে থাকে। দীর্ঘদিন থেকে সড়কটি চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়লেও পৌরসভা কর্তৃপক্ষের কোন নজর নেই এই সড়কটি উন্নয়নের দিকে। পৌরসভার প্রকৌশল বিভাগের সহকারী প্রকৌশলী মো. লুৎফুল হুদা চৌধুরী লেমন বলেন, সড়কটি উন্নয়নের জন্য ইতোমধ্যেই জাইকা প্রকল্পের মধ্যে দেওয়া আছে। প্রকল্পটি অনুমোদন পাওয়া গেলেই সড়কটির নির্মাণ কাজ শুরু করা সম্ভব হবে। তবে মাঝেমধ্যে ভাঙাচোরা গর্তগুলো সংস্কার করে দেওয়া হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. ময়েজ উদ্দিন বলেন, সড়কটি গুরুত্বপূর্ণ হলেও শুধুমাত্র অর্থের অভাবে নতুন করে নির্মাণ করা যাচ্ছে না। এজন্য এলাকাবাসীসহ এই পথে চলাচলকারীদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। পৌরসভার মেয়র মো. মুরতুজা সরকার মানিক বলেন, ইতোমধ্যেই পৌরসভার প্রায় প্রত্যেকটি এলাকায় মাস্টার প্লানের ড্রেন ও সড়ক নির্মাণ কাজ শুরু করা হয়েছে। এই সড়কটি জাইকায় দেওয়া আছে, আশা করি অনুমোদন পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই নির্মাণ কাজ শুরুর মাধ্যমে জনগণের দুর্ভোগ লাঘব করা হবে।