মুক্তিযোদ্ধাকে মারধর করে টাকা ছিনতাই

আমতলীর গাজীপুর বাজারে রবিবার সকালে এক মুক্তিযোদ্ধাকে মারধর করে টাকা ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। আহত মুক্তিযোদ্ধাকে স্বজনরা উদ্ধার করে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তী করা হয়। জানা গেছে, উপজেলার গাজীপুর গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা আ. মালেক গাজী ২০০৬ সালে এক একর সরকারি খাসজমি বন্দোবস্ত পান। ওই জমি গত ১৪ বছর ধরে সে ভোগদখল করে আসছে। মুক্তিযোদ্ধা আ.মালেক গাজী অসুস্থ্য হয়ে পরলে এবছর ওই জমি তার ভাতিজা মাসুদ গাজী, বাহাদুর গাজী, বাবুল গাজী, নুরুল ইসলাম, আলতাফ দুয়ারী, মোতালেব মুসুল্লী ও রিয়াজ হাওলাদার তার জমি দখল করে নেয়। এ নিয়ে রবিবার সকালে মালেক গাজীর সঙ্গে মাসুদ গাজী ও বাহাদুরের কথা কাটাকাটি হয়। কথাকাটাকাটির পর মালেক গাজী সকাল ১০ টার দিকে গাজীপুর বন্দরের অগ্রনী ব্যাংকে শাখায় টাকা জমা রাখতে ব্যাংকে যা”িছল। পথিমধ্যে মাসুদ গাজী, বাহাদুর গাজীসহ ৬-৭ জনে তার পথরোধ করে এবং তাকে কিল-ঘুসি মেরে তার সঙ্গে থাকা ৮১ হাজার ৩’শ টাকা ছিনিয়ে নিয়েছে বলে দাবি করেন মুক্তিযোদ্ধা আ. মালেক । তার ডাক চিৎকারে স্বজনরা ছুটে এসে তাকে উদ্ধার করে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে চিকিৎসা দেন। আহত মুক্তিযোদ্ধা আবদুল মালেক গাজী কান্নাজরিত কন্ঠে বলেন, মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে সরকারিভাবে বন্দোবস্ত পাওয়া জমির ৫৫ শতাংশ স্থানীয় মাসুদ গাজী, বাহাদুর গাজী, বাবুল গাজী, নুরুল ইসলাম, আলতাফ দুয়ারী, মোতালেব মুসুল্লী ও রিয়াজ হাওলাদার জোড় করে দখল করে নিয়েছে। আমি এর প্রতিবাদ করলে আমাকে মারধর করে ব্যাংকে যাওয়ার পথে আমার সঙ্গে থাকা ৮১ হাজার ৩শ’ টাকা ছিনিয়ে নিয়েছে। আমি এ ঘটনার বিচার চাই। অভিযুক্ত মাসুদ গাজী তার বিষয়ে আনা সকল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমার সঙ্গে তার কোন বিরোধ নেই। আমতলী থানার ওসি মো. শাহ আলম হাওলাদার বলেন, এ বিষয়টি আমার জানা নেই। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

বুধবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২০ , ২৬ মহররম ১৪৪২, ২৮ ভাদ্র ১৪২৭

মুক্তিযোদ্ধাকে মারধর করে টাকা ছিনতাই

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক, বরগুনা

আমতলীর গাজীপুর বাজারে রবিবার সকালে এক মুক্তিযোদ্ধাকে মারধর করে টাকা ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। আহত মুক্তিযোদ্ধাকে স্বজনরা উদ্ধার করে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তী করা হয়। জানা গেছে, উপজেলার গাজীপুর গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা আ. মালেক গাজী ২০০৬ সালে এক একর সরকারি খাসজমি বন্দোবস্ত পান। ওই জমি গত ১৪ বছর ধরে সে ভোগদখল করে আসছে। মুক্তিযোদ্ধা আ.মালেক গাজী অসুস্থ্য হয়ে পরলে এবছর ওই জমি তার ভাতিজা মাসুদ গাজী, বাহাদুর গাজী, বাবুল গাজী, নুরুল ইসলাম, আলতাফ দুয়ারী, মোতালেব মুসুল্লী ও রিয়াজ হাওলাদার তার জমি দখল করে নেয়। এ নিয়ে রবিবার সকালে মালেক গাজীর সঙ্গে মাসুদ গাজী ও বাহাদুরের কথা কাটাকাটি হয়। কথাকাটাকাটির পর মালেক গাজী সকাল ১০ টার দিকে গাজীপুর বন্দরের অগ্রনী ব্যাংকে শাখায় টাকা জমা রাখতে ব্যাংকে যা”িছল। পথিমধ্যে মাসুদ গাজী, বাহাদুর গাজীসহ ৬-৭ জনে তার পথরোধ করে এবং তাকে কিল-ঘুসি মেরে তার সঙ্গে থাকা ৮১ হাজার ৩’শ টাকা ছিনিয়ে নিয়েছে বলে দাবি করেন মুক্তিযোদ্ধা আ. মালেক । তার ডাক চিৎকারে স্বজনরা ছুটে এসে তাকে উদ্ধার করে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে চিকিৎসা দেন। আহত মুক্তিযোদ্ধা আবদুল মালেক গাজী কান্নাজরিত কন্ঠে বলেন, মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে সরকারিভাবে বন্দোবস্ত পাওয়া জমির ৫৫ শতাংশ স্থানীয় মাসুদ গাজী, বাহাদুর গাজী, বাবুল গাজী, নুরুল ইসলাম, আলতাফ দুয়ারী, মোতালেব মুসুল্লী ও রিয়াজ হাওলাদার জোড় করে দখল করে নিয়েছে। আমি এর প্রতিবাদ করলে আমাকে মারধর করে ব্যাংকে যাওয়ার পথে আমার সঙ্গে থাকা ৮১ হাজার ৩শ’ টাকা ছিনিয়ে নিয়েছে। আমি এ ঘটনার বিচার চাই। অভিযুক্ত মাসুদ গাজী তার বিষয়ে আনা সকল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমার সঙ্গে তার কোন বিরোধ নেই। আমতলী থানার ওসি মো. শাহ আলম হাওলাদার বলেন, এ বিষয়টি আমার জানা নেই। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।