সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়স শিথিল করা হয়েছে

করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতির কারণে ক্ষতিগ্রস্ত প্রার্থীদের সরকারি চাকরিতে প্রবেশের ক্ষেত্রে বয়স শিথিল করা হয়েছে। বয়সের ক্ষেত্রে পাঁচ মাসের ছাড় পাবে সরকারি চাকরিপ্রার্থীরা। গত ২৫ মার্চ যাদের বয়স ৩০ বছর পূর্ণ হয়েছে তারা পরবর্তী পাঁচ মাস সরকারি চাকরির আবেদন করতে পারবে বলে জানিয়েছেন, জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে চাকরিপ্রার্থীদের এই সুযোগ দেয়া হয়েছে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী গতকাল আরও বলেন, ‘করোনার কারণে বন্ধের মধ্যে মন্ত্রণালয়, বিভাগ কিংবা সংস্থা চাকরির জন্য বিজ্ঞপ্তি দিতে পারেনি। অনেকের চাকরির বয়স এই সময়ের মধ্যে চলে গেছে। সেক্ষেত্রে তারা পাঁচ মাসের বয়সের একটা ছাড় পাবেন। আগস্ট পর্যন্ত বিজ্ঞপ্তিগুলোতে আবেদন করতে পারবেন তারা।’

বর্তমানে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩০ বছর, মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের ক্ষেত্রে ৩২ বছর। প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণীর চাকরিতে নিয়োগ দেয়া হয় সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) মাধ্যমে। আর তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণীর পদগুলোতে সংশ্লিষ্ট সরকারি দফতর ও সংস্থাগুলোই নিয়োগ দেয়।

সরকার করোনা পরিস্থিতিতে গত ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে। এরপর কয়েক দফায় ছুটি বাড়ানো হয়। সর্বশেষ ঘোষণা অনুযায়ী, গত ৩০ মে পর্যন্ত সাধারণ ছুটি ছিল। গত ৩১ মে থেকে ১৫ জুন পর্যন্ত স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত পরিসরে অফিস খুলে দেয়া হয়, চালু করা হয় গণপরিবহন। এ ব্যবস্থা গত ৩১ আগস্ট পর্যন্ত বর্ধিত করা হয়। এখন সেই বিধিনিষেধ নেই।

এর আগে প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন জানিয়েছিলেন, ‘যদি করোনার ছুটির সময় কোন পরীক্ষা হওয়ার কথা থাকে, কোন বিজ্ঞপ্তি জারির কথা থাকে, এ জন্য যদি কেউ ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং তাদের বিষয়টি বিবেচনার জন্য যদি আইনগত কোন বাধ্যবাধকতা থাকে- তবে সেই বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বিবেচনা করতে পারেন।’

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত চাকরিপ্রার্থীদের বয়স শিথিলের বিষয়টি বিবেচনায় বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর মতামত চায় জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর অনুমতি পাওয়া গেছে, এরপরই বয়সের ছাড় দেয়ার সিন্ধান্ত নেয়া হলো।

বুধবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২০ , ২৬ মহররম ১৪৪২, ২৮ ভাদ্র ১৪২৭

করোনাকালে প্রার্থীদের

সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়স শিথিল করা হয়েছে

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক |

করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতির কারণে ক্ষতিগ্রস্ত প্রার্থীদের সরকারি চাকরিতে প্রবেশের ক্ষেত্রে বয়স শিথিল করা হয়েছে। বয়সের ক্ষেত্রে পাঁচ মাসের ছাড় পাবে সরকারি চাকরিপ্রার্থীরা। গত ২৫ মার্চ যাদের বয়স ৩০ বছর পূর্ণ হয়েছে তারা পরবর্তী পাঁচ মাস সরকারি চাকরির আবেদন করতে পারবে বলে জানিয়েছেন, জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে চাকরিপ্রার্থীদের এই সুযোগ দেয়া হয়েছে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী গতকাল আরও বলেন, ‘করোনার কারণে বন্ধের মধ্যে মন্ত্রণালয়, বিভাগ কিংবা সংস্থা চাকরির জন্য বিজ্ঞপ্তি দিতে পারেনি। অনেকের চাকরির বয়স এই সময়ের মধ্যে চলে গেছে। সেক্ষেত্রে তারা পাঁচ মাসের বয়সের একটা ছাড় পাবেন। আগস্ট পর্যন্ত বিজ্ঞপ্তিগুলোতে আবেদন করতে পারবেন তারা।’

বর্তমানে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩০ বছর, মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের ক্ষেত্রে ৩২ বছর। প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণীর চাকরিতে নিয়োগ দেয়া হয় সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) মাধ্যমে। আর তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণীর পদগুলোতে সংশ্লিষ্ট সরকারি দফতর ও সংস্থাগুলোই নিয়োগ দেয়।

সরকার করোনা পরিস্থিতিতে গত ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে। এরপর কয়েক দফায় ছুটি বাড়ানো হয়। সর্বশেষ ঘোষণা অনুযায়ী, গত ৩০ মে পর্যন্ত সাধারণ ছুটি ছিল। গত ৩১ মে থেকে ১৫ জুন পর্যন্ত স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত পরিসরে অফিস খুলে দেয়া হয়, চালু করা হয় গণপরিবহন। এ ব্যবস্থা গত ৩১ আগস্ট পর্যন্ত বর্ধিত করা হয়। এখন সেই বিধিনিষেধ নেই।

এর আগে প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন জানিয়েছিলেন, ‘যদি করোনার ছুটির সময় কোন পরীক্ষা হওয়ার কথা থাকে, কোন বিজ্ঞপ্তি জারির কথা থাকে, এ জন্য যদি কেউ ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং তাদের বিষয়টি বিবেচনার জন্য যদি আইনগত কোন বাধ্যবাধকতা থাকে- তবে সেই বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বিবেচনা করতে পারেন।’

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত চাকরিপ্রার্থীদের বয়স শিথিলের বিষয়টি বিবেচনায় বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর মতামত চায় জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর অনুমতি পাওয়া গেছে, এরপরই বয়সের ছাড় দেয়ার সিন্ধান্ত নেয়া হলো।