রাজধানীর অবৈধ বিলবোর্ড ও সাইনবোর্ড উচ্ছেদে অভিযান পরিচালনা করেছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। এছাড়া সড়ক ও ফুটপাতে রাখা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে অভিযান চালিয়েছে সংস্থাটি। গতকাল রাজধানীর গুলশান, বনানী ও প্রগতি সরণিসহ রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চায় ডিএনসিসি।
গতকাল গুলশান এলাকায় উচ্ছেদ অভিযান পরিদর্শনকালে ডিএনসিসি’র মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, বিলবোর্ড-সাইনবোর্ড স্থাপন করার জন্য নীতিমালা আছে। এগুলো লাগানোর সময় নীতিমালা মানতে হবে। আমরা এ বিষয়ে গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছি, মিডিয়ায় প্রেস রিলিজের মাধ্যমে জানিয়েছি, প্রত্যেকটি গণমাধ্যমে এ বিষয়ে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে, এমনকি মাইকিংও করা হয়েছে। অনেকেই গত দুই দিনে নির্ধারিত ফি জমা দিয়ে অনুমোদন নিয়েছেন। একটি শহরের ভেতরে এ ধরনের অবৈধ কার্যক্রম চলতে পারে না। এই অভিযান অব্যাহত থাকবে। পাশাপাশি ফুটপাত ও সড়কে রাখা অবৈধ মালামাল উচ্ছেদ অব্যাহত থাকবে। ফুটপাত সড়কে অবৈধভাবে থাকা বিভিন্ন সামগ্রী নিলাম করে দিচ্ছি। সাইনবোর্ড, বিলবোর্ড ইত্যাদি অপসারণ করছি। আমি জনগণকে অনুরোধ করব আপনারা আমাদের জানান। এরকম কোন কোন ফুটপাত ও রাস্তায় নির্মাণসামগ্রী রয়েছে।
মেয়র বলেন, ট্যাক্স দিবেন মিষ্টি খাবেন, আর যারা ট্যাক্স দিবেন না তারা ফাইন (জরিমানা) খাবেন। গুলশান ২ নম্বর গোলচত্বরে অবৈধ বিলবোর্ড, সাইনবোর্ড ইত্যাদি উচ্ছেদের সময় জনৈক ব্যবসায়ী ডিএনসিসি থেকে পূর্বেই অনুমোদন নিয়ে নির্ধারিত মাপে সাইনবোর্ড স্থাপন করায় মেয়র তাকে মিষ্টি খাওয়ান। জনতা ব্যাংকের গুলশান শাখা তাদের সাইনবোর্ডের জন্য নির্ধারিত ফি জমা দেয়ায় ব্যাংকের এক কর্মকর্তাকেও তিনি ধন্যবাদ জানিয়ে মিষ্টি খাওয়ান।
ডিএনসিসি’র সূত্র জানায়, গতকাল গুলশান ২ নম্বরে প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আবদুল হামিদ মিয়ার নেতৃত্বে প্রায় ১৫০টি অবৈধ সাইনবোর্ড ও বিলবোর্ড উচ্ছেদ করা হয়। বনানী ১১ নম্বর সড়কে অঞ্চল-৭ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোতাকাব্বীর আহমেদের নেতৃত্বে শতাধিক সাইনবোর্ড ও বিলবোর্ড উচ্ছেদ করা হয়। এছাড়া সড়ক ও ফুটপাত অবৈধভাবে দখল করে জনগণের চলাচলে বিঘœ সৃষ্টির কারণে কয়েকটি প্রতিষ্ঠান থেকে মোট ৭০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। প্রগতি সরণিতে অঞ্চল ৬-এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাজিয়া আফরিনের পরিচালনায় অভিযানে মোট ৫২টি সাইনবোর্ড, বিলবোর্ড ইত্যাদি উচ্ছেদ করা হয়। ফুটপাত ও সড়কে অবৈধ মালামাল নিলামে ৬৬ হাজার ৭০০ টাকা বিক্রয় করা হয় এবং ৯টি মামলায় ৪৪ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
বুধবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২০ , ২৬ মহররম ১৪৪২, ২৮ ভাদ্র ১৪২৭
নিজস্ব বার্তা পরিবেশক |
রাজধানীর অবৈধ বিলবোর্ড ও সাইনবোর্ড উচ্ছেদে অভিযান পরিচালনা করেছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। এছাড়া সড়ক ও ফুটপাতে রাখা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে অভিযান চালিয়েছে সংস্থাটি। গতকাল রাজধানীর গুলশান, বনানী ও প্রগতি সরণিসহ রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চায় ডিএনসিসি।
গতকাল গুলশান এলাকায় উচ্ছেদ অভিযান পরিদর্শনকালে ডিএনসিসি’র মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, বিলবোর্ড-সাইনবোর্ড স্থাপন করার জন্য নীতিমালা আছে। এগুলো লাগানোর সময় নীতিমালা মানতে হবে। আমরা এ বিষয়ে গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছি, মিডিয়ায় প্রেস রিলিজের মাধ্যমে জানিয়েছি, প্রত্যেকটি গণমাধ্যমে এ বিষয়ে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে, এমনকি মাইকিংও করা হয়েছে। অনেকেই গত দুই দিনে নির্ধারিত ফি জমা দিয়ে অনুমোদন নিয়েছেন। একটি শহরের ভেতরে এ ধরনের অবৈধ কার্যক্রম চলতে পারে না। এই অভিযান অব্যাহত থাকবে। পাশাপাশি ফুটপাত ও সড়কে রাখা অবৈধ মালামাল উচ্ছেদ অব্যাহত থাকবে। ফুটপাত সড়কে অবৈধভাবে থাকা বিভিন্ন সামগ্রী নিলাম করে দিচ্ছি। সাইনবোর্ড, বিলবোর্ড ইত্যাদি অপসারণ করছি। আমি জনগণকে অনুরোধ করব আপনারা আমাদের জানান। এরকম কোন কোন ফুটপাত ও রাস্তায় নির্মাণসামগ্রী রয়েছে।
মেয়র বলেন, ট্যাক্স দিবেন মিষ্টি খাবেন, আর যারা ট্যাক্স দিবেন না তারা ফাইন (জরিমানা) খাবেন। গুলশান ২ নম্বর গোলচত্বরে অবৈধ বিলবোর্ড, সাইনবোর্ড ইত্যাদি উচ্ছেদের সময় জনৈক ব্যবসায়ী ডিএনসিসি থেকে পূর্বেই অনুমোদন নিয়ে নির্ধারিত মাপে সাইনবোর্ড স্থাপন করায় মেয়র তাকে মিষ্টি খাওয়ান। জনতা ব্যাংকের গুলশান শাখা তাদের সাইনবোর্ডের জন্য নির্ধারিত ফি জমা দেয়ায় ব্যাংকের এক কর্মকর্তাকেও তিনি ধন্যবাদ জানিয়ে মিষ্টি খাওয়ান।
ডিএনসিসি’র সূত্র জানায়, গতকাল গুলশান ২ নম্বরে প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আবদুল হামিদ মিয়ার নেতৃত্বে প্রায় ১৫০টি অবৈধ সাইনবোর্ড ও বিলবোর্ড উচ্ছেদ করা হয়। বনানী ১১ নম্বর সড়কে অঞ্চল-৭ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোতাকাব্বীর আহমেদের নেতৃত্বে শতাধিক সাইনবোর্ড ও বিলবোর্ড উচ্ছেদ করা হয়। এছাড়া সড়ক ও ফুটপাত অবৈধভাবে দখল করে জনগণের চলাচলে বিঘœ সৃষ্টির কারণে কয়েকটি প্রতিষ্ঠান থেকে মোট ৭০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। প্রগতি সরণিতে অঞ্চল ৬-এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাজিয়া আফরিনের পরিচালনায় অভিযানে মোট ৫২টি সাইনবোর্ড, বিলবোর্ড ইত্যাদি উচ্ছেদ করা হয়। ফুটপাত ও সড়কে অবৈধ মালামাল নিলামে ৬৬ হাজার ৭০০ টাকা বিক্রয় করা হয় এবং ৯টি মামলায় ৪৪ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।