লালমনিরহাটের ১৪ কারারক্ষী স্ট্যান্ড রিলিজ

তদন্ত কমিটি গঠন

মাদক সেবন ও কারাগারে আটক বন্দীদের মাঝে মাদক বিক্রিসহ মাদক ব্যবসায় সরাসরি জড়িত থাকার অভিযোগে লালমনিরহাট কারাগারের ১৪ জন কারারক্ষীকে স্টান্ড রিলিজ করে দেশের দক্ষিাণাঞ্চলের বিভিন্ন কারাগারে বদলি করা হয়েছে। এ ঘটনায় একটি উচ্চপর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। লালমনিরহাট কারাগারের সুপার কিশোর কুমার নাগ বদলির বিষয়টি স্বীকার করেছেন।

লালমনিরহাট কারাগার ও গোয়েন্দা সূত্রে জানা গেছে লালমনিরহাট কারাগারে বিশেষ করে ইয়াবা, গাঁজা, ফেনসিডিল প্রকাশ্যই কারাগারের অভ্যন্তরে বিক্রি হয়। টাকা দিলেই কারাগারে আটকবন্দীরা সহজেই এসব মাদক পায় এবং প্রকাশ্যই সেবন করে। এ ধরনের ঘটনা সরকারের একটি গোয়েন্দা বিভাগ জানতে পেরে প্রথমে ছায়াতদন্ত শুরু করে পরে দীর্ঘ তদন্ত শেষে মাদক ব্যবসার সঙ্গে লালমনিরহাট কারাগারের ১৪ জন কারারক্ষী সরাসরি জড়িত বলে নিশ্চিত হয়। বিষয়টি সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে জানানোর পর ১৪ কারারক্ষীকে লালমনিরহাট কারাগার থেকে স্টান্ড রিলিজ করার আদেশ আসে কারা অধিদফতর থেকে। যে ১৪ জন কারারক্ষী সরাসরি মাদক সেবন ও কারাগারে মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত তারা হলেন কারারক্ষী নম্বর ৩১৭৬৩ শরিফুল ইসলাম, কারারক্ষী নম্বর ৩১৭৭৩ ওয়াজেদ আলী, কারারক্ষী নম্বর ০০০৭৭ আহাদ হোসেন, কারারক্ষী ৩১৭৫৩ শাহাদত আবু সায়েদ মো. সায়েম, কারারক্ষী নম্বর ৩২১১৮ সোহেল রানা, কারারক্ষী নম্বর ০৭২৮৬ মাহমুদুল হাসান, কারারক্ষী নম্বর ০৭১২১ মেহেদী হাসান প্রান্ত, কারারক্ষী নম্বর ৩২১৩৪ মোসলেম উদ্দিন কারারক্ষী নম্বর ৩১৮৭১ সোলায়মান আলী, কারারক্ষী নম্বর ০৭১০৩ রায়হান কবীর হিরু, কারারক্ষী নম্বর ৩১৬২৩ শফিকুল ইসলাম, কারারক্ষী নম্বর ০৭১২৩ নাজমুল হোসেন, কারারক্ষী নম্বর ৩১৭৬০ আমজাদ হোসেন এবং কারারক্ষী নম্বর ৩২০১৮ লাব্বির হোসেন। এদের একজনের বাড়ি পঞ্চগড় জেলায় বাকিদের রংপুর কুড়িগ্রাম ও গাইবান্ধা জেলায়।

গোয়েন্দা সূত্রে জানা গেছে, এই ১৪ কারারক্ষী লালমনিরহাট কারাগারকে মাদক সেবনের নিরাপদ ঘাটি বানিয়েছিল। কারাগারে আটকবন্দীরা তাদের বিভিন্ন ধরনের মাদক পেত। তবে বিনিময়ে বাজারের চেয়ে একটু বেশি দাম দিতে হতো বন্দীদের। সূত্র আরও জানিয়েছে এই কারারক্ষীরা বিভিন্ন মাদক ব্যবসায়ীদের মাধ্যমে মাদক সংগ্রহ করত এরপর তারা বন্দীদের চাহিদা অনুযায়ী মাদক সরবরাহ করত। কারারক্ষীদের মধ্যে কয়েকজন আবার কারাগারের বাইরেও মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত ছিল।

লালমনিরহাট কারাগার সূত্র জানায়, ১৪ কারারক্ষীকে বান্দরবান, রাঙ্গামাটি খাগড়াছড়ি, ভোলা, পিরোজপুরসহ দুর্গম এলাকায় বদলি করা হয়েছে। এছাড়া কারাগার অধিদফতর থেকে একটি উচ্চপর্যায়ে কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে জানা গেছে। সূত্র আরও জানিয়েছে যাতে বদলি হওয়া ১৪ জন কারারক্ষী নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ রক্ষা করতে না পারে সেজন্য সবাইকে বিভিন্ন কারাগারে এককভাবে বদলি করা হয়েছে।

সার্বিক বিষয়ে জানতে লালমনিরহাট কারাগারের সুপার কিশোর কুমার নাগের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বদলির কথা স্বীকার করলেও আর কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি।

আরও খবর
ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর অভিযোজন তহবিল বৃদ্ধিতে জোরালো বৈশ্বিক সমর্থন কামনা প্রধানমন্ত্রীর
ওজোন ক্ষয়কারী দ্রব্য উৎপাদন ও ব্যবহার রোধে জীববৈচিত্র্যকে ঝুঁকি থেকে রক্ষা করা সম্ভব প্রধানমন্ত্রী
মাছ এবং শামুক সংরক্ষণ ও উন্নয়নসহ ৪ প্রকল্প অনুমোদন
চিকিৎসকদের আবাসন ও আইসোলেশন ব্যবস্থা করবে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়
জয় বাংলা টেলিমেডিসিন অ্যাপ উদ্বোধন কাদেরের
ভরাট হয়ে গেছে লৌহজং চ্যানেল ‘বিকল্প চ্যানেল খনন করা হচ্ছে’
চিলাহাটি-হলদিবাড়ি রেলপথ ফের চালু করতে ভারতকে অনুরোধ
আরও অবৈধ সম্পদের তথ্য পেয়েছে দুদক আবজাল দম্পতির
ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে প্রতিবন্ধী-বিধবা ও ভিজিডির চাল আত্মসাতের অভিযোগ
অবৈধ বিল বোর্ড ও সাইনবোর্ড উচ্ছেদ চলছে
সাহেদ করিমের অস্ত্র মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ
বিটিসিএলকে সেবামুখী করতে ঢেলে সাজানো হচ্ছে
এসপির বিরুদ্ধে ৫ কোটি টাকার ক্ষতিপূরণ মামলা

বুধবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২০ , ২৬ মহররম ১৪৪২, ২৮ ভাদ্র ১৪২৭

কারাবন্দীদের মাঝে মাদক বিক্রি

লালমনিরহাটের ১৪ কারারক্ষী স্ট্যান্ড রিলিজ

তদন্ত কমিটি গঠন

জেলা বার্তা পরিবেশক, লালমনিরহাট

মাদক সেবন ও কারাগারে আটক বন্দীদের মাঝে মাদক বিক্রিসহ মাদক ব্যবসায় সরাসরি জড়িত থাকার অভিযোগে লালমনিরহাট কারাগারের ১৪ জন কারারক্ষীকে স্টান্ড রিলিজ করে দেশের দক্ষিাণাঞ্চলের বিভিন্ন কারাগারে বদলি করা হয়েছে। এ ঘটনায় একটি উচ্চপর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। লালমনিরহাট কারাগারের সুপার কিশোর কুমার নাগ বদলির বিষয়টি স্বীকার করেছেন।

লালমনিরহাট কারাগার ও গোয়েন্দা সূত্রে জানা গেছে লালমনিরহাট কারাগারে বিশেষ করে ইয়াবা, গাঁজা, ফেনসিডিল প্রকাশ্যই কারাগারের অভ্যন্তরে বিক্রি হয়। টাকা দিলেই কারাগারে আটকবন্দীরা সহজেই এসব মাদক পায় এবং প্রকাশ্যই সেবন করে। এ ধরনের ঘটনা সরকারের একটি গোয়েন্দা বিভাগ জানতে পেরে প্রথমে ছায়াতদন্ত শুরু করে পরে দীর্ঘ তদন্ত শেষে মাদক ব্যবসার সঙ্গে লালমনিরহাট কারাগারের ১৪ জন কারারক্ষী সরাসরি জড়িত বলে নিশ্চিত হয়। বিষয়টি সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে জানানোর পর ১৪ কারারক্ষীকে লালমনিরহাট কারাগার থেকে স্টান্ড রিলিজ করার আদেশ আসে কারা অধিদফতর থেকে। যে ১৪ জন কারারক্ষী সরাসরি মাদক সেবন ও কারাগারে মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত তারা হলেন কারারক্ষী নম্বর ৩১৭৬৩ শরিফুল ইসলাম, কারারক্ষী নম্বর ৩১৭৭৩ ওয়াজেদ আলী, কারারক্ষী নম্বর ০০০৭৭ আহাদ হোসেন, কারারক্ষী ৩১৭৫৩ শাহাদত আবু সায়েদ মো. সায়েম, কারারক্ষী নম্বর ৩২১১৮ সোহেল রানা, কারারক্ষী নম্বর ০৭২৮৬ মাহমুদুল হাসান, কারারক্ষী নম্বর ০৭১২১ মেহেদী হাসান প্রান্ত, কারারক্ষী নম্বর ৩২১৩৪ মোসলেম উদ্দিন কারারক্ষী নম্বর ৩১৮৭১ সোলায়মান আলী, কারারক্ষী নম্বর ০৭১০৩ রায়হান কবীর হিরু, কারারক্ষী নম্বর ৩১৬২৩ শফিকুল ইসলাম, কারারক্ষী নম্বর ০৭১২৩ নাজমুল হোসেন, কারারক্ষী নম্বর ৩১৭৬০ আমজাদ হোসেন এবং কারারক্ষী নম্বর ৩২০১৮ লাব্বির হোসেন। এদের একজনের বাড়ি পঞ্চগড় জেলায় বাকিদের রংপুর কুড়িগ্রাম ও গাইবান্ধা জেলায়।

গোয়েন্দা সূত্রে জানা গেছে, এই ১৪ কারারক্ষী লালমনিরহাট কারাগারকে মাদক সেবনের নিরাপদ ঘাটি বানিয়েছিল। কারাগারে আটকবন্দীরা তাদের বিভিন্ন ধরনের মাদক পেত। তবে বিনিময়ে বাজারের চেয়ে একটু বেশি দাম দিতে হতো বন্দীদের। সূত্র আরও জানিয়েছে এই কারারক্ষীরা বিভিন্ন মাদক ব্যবসায়ীদের মাধ্যমে মাদক সংগ্রহ করত এরপর তারা বন্দীদের চাহিদা অনুযায়ী মাদক সরবরাহ করত। কারারক্ষীদের মধ্যে কয়েকজন আবার কারাগারের বাইরেও মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত ছিল।

লালমনিরহাট কারাগার সূত্র জানায়, ১৪ কারারক্ষীকে বান্দরবান, রাঙ্গামাটি খাগড়াছড়ি, ভোলা, পিরোজপুরসহ দুর্গম এলাকায় বদলি করা হয়েছে। এছাড়া কারাগার অধিদফতর থেকে একটি উচ্চপর্যায়ে কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে জানা গেছে। সূত্র আরও জানিয়েছে যাতে বদলি হওয়া ১৪ জন কারারক্ষী নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ রক্ষা করতে না পারে সেজন্য সবাইকে বিভিন্ন কারাগারে এককভাবে বদলি করা হয়েছে।

সার্বিক বিষয়ে জানতে লালমনিরহাট কারাগারের সুপার কিশোর কুমার নাগের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বদলির কথা স্বীকার করলেও আর কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি।