ব্যাঙের ছাতার মতো যত্রতত্র সিলিন্ডার গ্যাস ব্যবসা!

বাগেরহাটের শরণখোলায় লাইসেন্স ও অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা ছাড়াই ঝুঁকিপূর্ণভাবে চলছে (এল পিজিসি) গ্যাস সিলিন্ডারের ব্যাবসা। উপজেলা সদর ছাড়াও সুন্দরবন সংলগ্ন হাটবাজারগুলোতেও অনিরাপদভাবে প্রশাসনের চোখের সামনে অবাধে বিক্রি হচ্ছে এ জ্বালানি। নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে এক শ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ীরা কেবলমাত্র একটি ট্রেড-লাইসেন্স নিয়েই চালাচ্ছে এ অবৈধ গ্যাস ব্যবসা। ব্যাঙের ছাতার মতো উপজেলার সর্বত্র অবৈধ গ্যাস ব্যবসা ছড়িয়ে পড়ায় উদ্বিগ্ন হয়ে উঠেছেন সচেতন মহল। তাছাড়া অত্যন্ত খোলামেলাভাবে গ্যাস বিক্রির ফলে চরম ঝুঁকি নিয়ে প্রতিনিয়ত চলাচল করতে হচ্ছে ক্রেতা,পথচারী ও শিক্ষার্থীসহ স্থানীয় বাসিন্দাদের। নিয়ম বহির্ভূত গ্যাস ব্যবসার ফলে যে কোন মুহূর্তে বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন তারা। এছাড়া অসাধু ব্যবসায়ী চক্র সরকার নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে অতিরিক্ত দামে গ্যাস বিক্রি করছেন বলে অভিযোগ ক্রেতাদের। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, লাইসেন্স ছাড়া উপজেলা সদরের রায়েন্দা, রাজৈর ও পাঁচরাস্তা এলাকায় অনেক ব্যবসায়ী অবৈধ গ্যাস ব্যবসা চালাচ্ছেন। অপরদিকে আমড়াগাছিয়া রাজাপুর, ছুটুখার বাজার, পল্লীমঙ্গল, পহলান বাড়ি, খোন্তাকাটা, বানিয়াখালী, তাফালবাড়ী, চালিতাবুনিয়া, শরণখোলা, সোনাতলা, রসুলপুর ও বাংলাবাজারসহ সুন্দরবন সংলগ্ন মফস্বলের বিভিন্ন হাট বাজারেও কোন প্রকার লাইসেন্স ছাড়া দেদারছে গ্যাস বিক্রি করছেন ব্যবসায়ীরা। চায়ের দোকান থেকে শুরু করে মুদি, মনোহারী, কসমেটিক্স, পেট্রোল, মবিল, ওষুধসহ ইলেট্রনিক্স দোকানেও বিক্রি হচ্ছে গ্যাস সিলিন্ডার। বছরের পর বছর এ অবৈধ গ্যাস ব্যবসা চালালেও নির্বিকার রয়েছে প্রশাসন। উপজেলা সদর রায়েন্দা বাজারের কয়েকজন ক্রেতা অভিযোগ করে বলেন, গ্যাস ব্যবসায়ীদের একটি চক্র সিন্ডিকেট করে সাধারণের কাছ থেকে অতিরিক্ত মূল্য হাতিয়ে নিচ্ছে। ১৮৮৪ সালের বিস্ফোরক আইন অনুযায়ী এলপিজিসি গ্যাস (রুলস) ২০০৪ এর ৬৯ ধারার(২) এর বিধি অনুযায়ী লাইসেন্স ছাড়া কোনভাবে গ্যাস মজুদ করা বা বিক্রি নিষিদ্ধ। এছাড়া একই বিধির (৭১) ধারা অনুসারে গ্যাস বিক্রির দোকানগুলোতে যথেষ্ট পরিমাণ অগ্নিনির্বাপক সরঞ্জাম থাকতে হবে। তবে, সচেতনমহল মনে করেন, স্থানীয় প্রশাসনসহ বিস্ফোরক অধিদফতরের কর্মকর্তাদের মাঠ পর্যায়ে কোন অভিযান না থাকায় খোলামেলাভাবে অবৈধভাবে গ্যাসের রমরমা ব্যবসা চালাচ্ছেন অসাধু ব্যবসায়ীরা। তবে, অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য প্রশাসনসহ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন সচেতন মহল। এ ব্যাপারে রায়েন্দা বাজারের ব্যবসায়ী গ্যাস বিক্রেতা মাও. এনামুল হক বলেন, আমার লাইসেন্স আছে । তবে, বিস্ফোরক লাইসেন্স ছাড়া গ্যাস বিক্রির কোন নিয়ম নাই। অবৈধ গ্যাস ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে কয়েকমাস পূর্বে আমি বাদী হয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে একটি অভিযোগ দিয়েছিলাম। কিন্তু তাতে কিছুই হয়নি। এ ব্যাপারে জানতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সরদার মোস্তফা শাহীনের মুঠোফোন একাধিকবার কল করেও তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

বৃহস্পতিবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২০ , ২৭ মহররম ১৪৪২, ২৯ ভাদ্র ১৪২৭

ব্যাঙের ছাতার মতো যত্রতত্র সিলিন্ডার গ্যাস ব্যবসা!

প্রতিনিধি, শরণখোলা (বাগেরহাট)

image

বাগেরহাটের শরণখোলায় লাইসেন্স ও অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা ছাড়াই ঝুঁকিপূর্ণভাবে চলছে (এল পিজিসি) গ্যাস সিলিন্ডারের ব্যাবসা। উপজেলা সদর ছাড়াও সুন্দরবন সংলগ্ন হাটবাজারগুলোতেও অনিরাপদভাবে প্রশাসনের চোখের সামনে অবাধে বিক্রি হচ্ছে এ জ্বালানি। নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে এক শ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ীরা কেবলমাত্র একটি ট্রেড-লাইসেন্স নিয়েই চালাচ্ছে এ অবৈধ গ্যাস ব্যবসা। ব্যাঙের ছাতার মতো উপজেলার সর্বত্র অবৈধ গ্যাস ব্যবসা ছড়িয়ে পড়ায় উদ্বিগ্ন হয়ে উঠেছেন সচেতন মহল। তাছাড়া অত্যন্ত খোলামেলাভাবে গ্যাস বিক্রির ফলে চরম ঝুঁকি নিয়ে প্রতিনিয়ত চলাচল করতে হচ্ছে ক্রেতা,পথচারী ও শিক্ষার্থীসহ স্থানীয় বাসিন্দাদের। নিয়ম বহির্ভূত গ্যাস ব্যবসার ফলে যে কোন মুহূর্তে বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন তারা। এছাড়া অসাধু ব্যবসায়ী চক্র সরকার নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে অতিরিক্ত দামে গ্যাস বিক্রি করছেন বলে অভিযোগ ক্রেতাদের। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, লাইসেন্স ছাড়া উপজেলা সদরের রায়েন্দা, রাজৈর ও পাঁচরাস্তা এলাকায় অনেক ব্যবসায়ী অবৈধ গ্যাস ব্যবসা চালাচ্ছেন। অপরদিকে আমড়াগাছিয়া রাজাপুর, ছুটুখার বাজার, পল্লীমঙ্গল, পহলান বাড়ি, খোন্তাকাটা, বানিয়াখালী, তাফালবাড়ী, চালিতাবুনিয়া, শরণখোলা, সোনাতলা, রসুলপুর ও বাংলাবাজারসহ সুন্দরবন সংলগ্ন মফস্বলের বিভিন্ন হাট বাজারেও কোন প্রকার লাইসেন্স ছাড়া দেদারছে গ্যাস বিক্রি করছেন ব্যবসায়ীরা। চায়ের দোকান থেকে শুরু করে মুদি, মনোহারী, কসমেটিক্স, পেট্রোল, মবিল, ওষুধসহ ইলেট্রনিক্স দোকানেও বিক্রি হচ্ছে গ্যাস সিলিন্ডার। বছরের পর বছর এ অবৈধ গ্যাস ব্যবসা চালালেও নির্বিকার রয়েছে প্রশাসন। উপজেলা সদর রায়েন্দা বাজারের কয়েকজন ক্রেতা অভিযোগ করে বলেন, গ্যাস ব্যবসায়ীদের একটি চক্র সিন্ডিকেট করে সাধারণের কাছ থেকে অতিরিক্ত মূল্য হাতিয়ে নিচ্ছে। ১৮৮৪ সালের বিস্ফোরক আইন অনুযায়ী এলপিজিসি গ্যাস (রুলস) ২০০৪ এর ৬৯ ধারার(২) এর বিধি অনুযায়ী লাইসেন্স ছাড়া কোনভাবে গ্যাস মজুদ করা বা বিক্রি নিষিদ্ধ। এছাড়া একই বিধির (৭১) ধারা অনুসারে গ্যাস বিক্রির দোকানগুলোতে যথেষ্ট পরিমাণ অগ্নিনির্বাপক সরঞ্জাম থাকতে হবে। তবে, সচেতনমহল মনে করেন, স্থানীয় প্রশাসনসহ বিস্ফোরক অধিদফতরের কর্মকর্তাদের মাঠ পর্যায়ে কোন অভিযান না থাকায় খোলামেলাভাবে অবৈধভাবে গ্যাসের রমরমা ব্যবসা চালাচ্ছেন অসাধু ব্যবসায়ীরা। তবে, অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য প্রশাসনসহ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন সচেতন মহল। এ ব্যাপারে রায়েন্দা বাজারের ব্যবসায়ী গ্যাস বিক্রেতা মাও. এনামুল হক বলেন, আমার লাইসেন্স আছে । তবে, বিস্ফোরক লাইসেন্স ছাড়া গ্যাস বিক্রির কোন নিয়ম নাই। অবৈধ গ্যাস ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে কয়েকমাস পূর্বে আমি বাদী হয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে একটি অভিযোগ দিয়েছিলাম। কিন্তু তাতে কিছুই হয়নি। এ ব্যাপারে জানতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সরদার মোস্তফা শাহীনের মুঠোফোন একাধিকবার কল করেও তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।