নাটকে এ সময়ের দর্শকপ্রিয় বাবা-মা

মাসুম বাশার ও মিলি বাশার টিভি নাটকে এই সময়ে বাবা মায়ের ভূমিকায় অভিনয় করে দর্শকপ্রিয় হয়ে উঠেছেন। নাটকে যেমন তারা দুজন বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই স্বামী-স্ত্রী হিসেবে পর্দায় উপস্থিত হন বাস্তব জীবনেও তারা স্বামী-স্ত্রী। ১৯৭৭ সালে একইসঙ্গে নাট্যদল ‘ঢাকা থিয়েটার’ এ তাদের পথচলা শুরু। এই দলের হয়ে দুজন একসঙ্গে মঞ্চ নাটকে অভিনয় করেছেন সেলিম আল দীনের রচনায় ও নাসির উদ্দিন ইউসুফ বাচ্চুর নির্দেশনায় ‘শকুন্তলা’, ‘মুনতাসির ফ্যান্টিাসি’ ও অনুবাদ করা নাটক (প্রফেসর আব্দুস সেলিমের অনুবাদ করা) হুমায়ূন কবির হিমুর নির্দেশনায় ‘আউয়ার কান্ট্রি’স গুড’ নাটকে। ১৯৮২ সালের ৩০ জুলাই মাসুম বাশার ও মিলি বাশার বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। পরবর্তীতে একে সময় দেশের বাইরে চলে গেলেও ২০১২ সালে আবারও তারা একেবারেই দেশে ফিরে আসেন। সেই সময় বরেণ্য অভিনেতা, নির্মাতা আফজাল হোসেনের পরামর্শে এবং সহযোগিতায় মাসুম ও মিলি দুজনে আবারও অভিনয়ের দুনিয়ায় নিজেদের একটু একটু করে ব্যস্ত করে তুলতে শুরু করেন। মাসুম বাশার ও মিলি বাশার প্রথম একসঙ্গে সিনেমাতে অভিনয় করেন মুহাম্মদ মোস্তফা কামাল রাজ পরিচালিত ‘যদি একদিন’ সিনেমায়। পরবর্তীতে তারা দুজন প্রয়াত সাইদুল আনাম টুটুলের নির্দেশনায় ‘কালবেলা’ এবং তানভীর মোকাম্মেল পরিচালিত ‘রূপসা নদীর বাঁকে’ সিনেমাতে অভিনয় করেন। দুটো সিনেমাই রয়েছে মুক্তির অপেক্ষায়। একসঙ্গে তারা দুজন অভিনয় করছেন এনটিভিতে এজাজ মুন্নার নির্দেশনায় প্রচার চলতি ধারাবাহিক ‘শহরালী’ নাটকে। নতুন কাজ শুরু করেছেন তারা দুজন একসঙ্গে রাশেদা আক্তার লাজুকের ‘পরিবার’ ও ইমদাদুল হক খানের ‘নাটাই ঘুড়ি’ ধারাবাহিক নাটকে। মাসুম বাশার জানান তারা দু’জন দেশে ফিরে প্রথম একসঙ্গে মাতিয়া বানু শুকুর নির্দেশনায় ‘আগুন আল্পনা’ ধারাবাহিকে প্রথম কাজ করেন।

মাসুম বাশার বলেন, ‘প্রথমেই নির্মাতাদের প্রতি আমাদের আন্তরিক কৃতজ্ঞতা যে তারা আমাদের যথাযথ চরিত্রে কাজ করার সুযোগ করে দিচ্ছেন, সেই সঙ্গে দর্শকের প্রতি রইলেঅ আন্তরিক ভালোবাসা। মিলি তার অভিনীত প্রত্যেকটি নাটকের বর্ণিত চরিত্রের গভীরে প্রবেশ করে চরিত্রটি ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করে। সেই থিয়েটার থেকেই তারমধ্যে নিময়মানুবর্তিতা, অধ্যবসায়ের এক অনন্য’রূপ দেখেছি। তার কলটাইম ৮টায় থাকলে সাধারণ তার আগেই পৌঁছে যায়। একজন সহশিল্পী হিসেবে তারসঙ্গে কাজ করতে সবসময়ই আমি ভীষণ স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি।’ মিলি বাশার বলেন, ‘একজন অভিনেতা হিসেবে মাসুম চমৎকার, তার চেয়েও অনেক বেশি চমৎকার একজন মানুষ হিসেবে। এমন একজন মানুষকে জীবনসঙ্গী হিসেবে পেয়ে আমি ধন্য, জীবন আমার পরিপূর্ণ।’ মাসুম বাশার গতকাল আকাশ রঞ্জনের নতুন ধারাবাহিক আহাম্মকের শুটিং-এ অংশ নিয়েছেন। অন্যদিকে মিলি বাশার আজ সানী সানোয়ারের নির্দেশনায় একটি ওয়েব নাটকের কাজ করবেন।

বৃহস্পতিবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২০ , ২৭ মহররম ১৪৪২, ২৯ ভাদ্র ১৪২৭

নাটকে এ সময়ের দর্শকপ্রিয় বাবা-মা

বিনোদন প্রতিবেদক |

image

মাসুম বাশার ও মিলি বাশার টিভি নাটকে এই সময়ে বাবা মায়ের ভূমিকায় অভিনয় করে দর্শকপ্রিয় হয়ে উঠেছেন। নাটকে যেমন তারা দুজন বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই স্বামী-স্ত্রী হিসেবে পর্দায় উপস্থিত হন বাস্তব জীবনেও তারা স্বামী-স্ত্রী। ১৯৭৭ সালে একইসঙ্গে নাট্যদল ‘ঢাকা থিয়েটার’ এ তাদের পথচলা শুরু। এই দলের হয়ে দুজন একসঙ্গে মঞ্চ নাটকে অভিনয় করেছেন সেলিম আল দীনের রচনায় ও নাসির উদ্দিন ইউসুফ বাচ্চুর নির্দেশনায় ‘শকুন্তলা’, ‘মুনতাসির ফ্যান্টিাসি’ ও অনুবাদ করা নাটক (প্রফেসর আব্দুস সেলিমের অনুবাদ করা) হুমায়ূন কবির হিমুর নির্দেশনায় ‘আউয়ার কান্ট্রি’স গুড’ নাটকে। ১৯৮২ সালের ৩০ জুলাই মাসুম বাশার ও মিলি বাশার বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। পরবর্তীতে একে সময় দেশের বাইরে চলে গেলেও ২০১২ সালে আবারও তারা একেবারেই দেশে ফিরে আসেন। সেই সময় বরেণ্য অভিনেতা, নির্মাতা আফজাল হোসেনের পরামর্শে এবং সহযোগিতায় মাসুম ও মিলি দুজনে আবারও অভিনয়ের দুনিয়ায় নিজেদের একটু একটু করে ব্যস্ত করে তুলতে শুরু করেন। মাসুম বাশার ও মিলি বাশার প্রথম একসঙ্গে সিনেমাতে অভিনয় করেন মুহাম্মদ মোস্তফা কামাল রাজ পরিচালিত ‘যদি একদিন’ সিনেমায়। পরবর্তীতে তারা দুজন প্রয়াত সাইদুল আনাম টুটুলের নির্দেশনায় ‘কালবেলা’ এবং তানভীর মোকাম্মেল পরিচালিত ‘রূপসা নদীর বাঁকে’ সিনেমাতে অভিনয় করেন। দুটো সিনেমাই রয়েছে মুক্তির অপেক্ষায়। একসঙ্গে তারা দুজন অভিনয় করছেন এনটিভিতে এজাজ মুন্নার নির্দেশনায় প্রচার চলতি ধারাবাহিক ‘শহরালী’ নাটকে। নতুন কাজ শুরু করেছেন তারা দুজন একসঙ্গে রাশেদা আক্তার লাজুকের ‘পরিবার’ ও ইমদাদুল হক খানের ‘নাটাই ঘুড়ি’ ধারাবাহিক নাটকে। মাসুম বাশার জানান তারা দু’জন দেশে ফিরে প্রথম একসঙ্গে মাতিয়া বানু শুকুর নির্দেশনায় ‘আগুন আল্পনা’ ধারাবাহিকে প্রথম কাজ করেন।

মাসুম বাশার বলেন, ‘প্রথমেই নির্মাতাদের প্রতি আমাদের আন্তরিক কৃতজ্ঞতা যে তারা আমাদের যথাযথ চরিত্রে কাজ করার সুযোগ করে দিচ্ছেন, সেই সঙ্গে দর্শকের প্রতি রইলেঅ আন্তরিক ভালোবাসা। মিলি তার অভিনীত প্রত্যেকটি নাটকের বর্ণিত চরিত্রের গভীরে প্রবেশ করে চরিত্রটি ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করে। সেই থিয়েটার থেকেই তারমধ্যে নিময়মানুবর্তিতা, অধ্যবসায়ের এক অনন্য’রূপ দেখেছি। তার কলটাইম ৮টায় থাকলে সাধারণ তার আগেই পৌঁছে যায়। একজন সহশিল্পী হিসেবে তারসঙ্গে কাজ করতে সবসময়ই আমি ভীষণ স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি।’ মিলি বাশার বলেন, ‘একজন অভিনেতা হিসেবে মাসুম চমৎকার, তার চেয়েও অনেক বেশি চমৎকার একজন মানুষ হিসেবে। এমন একজন মানুষকে জীবনসঙ্গী হিসেবে পেয়ে আমি ধন্য, জীবন আমার পরিপূর্ণ।’ মাসুম বাশার গতকাল আকাশ রঞ্জনের নতুন ধারাবাহিক আহাম্মকের শুটিং-এ অংশ নিয়েছেন। অন্যদিকে মিলি বাশার আজ সানী সানোয়ারের নির্দেশনায় একটি ওয়েব নাটকের কাজ করবেন।