শতভাগ যাত্রী নিয়ে চলাচল শুরু করেছে রেলওয়ে

স্বাস্থ্যবিধি মানতে উদাসীন যাত্রীরা

শতভাগ যাত্রী নিয়ে চলাচল শুরু করেছে রেলওয়ে। গতকাল কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে প্রতিটি আসনে যাত্রী পূর্ণ করে ছাড়ে ট্রেন। করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে ২ মাস ৬ দিন বন্ধ থাকার পর গত ৩১ মে থেকে ৫০ শতাংশ আসন ফাঁকা রেখে চলাচল শুরু করে রেলওয়ে। তিন মাস ১৬ দিন পর সব আসন পূর্ণ করে গতকাল থেকে ট্রেন চলাচল করছে। এর সময় পাশাপাশি আসনে যাত্রী বসানো হলেও অনেকের মুখে মাস্ক দেখা যায়নি। তাই স্বাস্থ্যবিধি বাস্তবায়ন অনেকটা উদাসীন দেখা গেছে রেল কর্তৃপক্ষকে।

সরেজমিনে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন ঘুরে দেখা গেছে, গতকাল সকাল থেকে স্টেশনে ছিল যাত্রী ভিড়। বেশিরভাগ যাত্রী নির্দিষ্ট গন্তব্যে টিকিট সংগ্রহ করতে দেখা গেছে। তবে কাউন্টারে টিকিট সংগ্রহের ক্ষেত্রে যাত্রীদের মধ্যে ছিল না কোন শারীরিক দূরত্ব। শতভাগ আসনের মধ্যে ৫০ শতাংশ টিকিট বিক্রয় হয় অনলাইনে আর ৫০ শতাংশ টিকিট কাউন্টারে বিক্রয় করা হয়। এর মধ্য দিয়ে পাশাপাশি সিটে বসিয়ে যাত্রী পরিবহন শুরু করল রেলওয়ে। তবে আন্তঃনগর সব ট্রেনে স্ট্যান্ডিং টিকিট বিক্রি বন্ধ আছে বলে জানিয়েছে রেল কর্তৃপক্ষ।

এ বিষয়ে কমলাপুর রেলস্টেশনের ম্যানেজার মোহাম্মদ মাসুদ সারওয়ার সাংবাদিকদের বলেন, করোনাভাইরাসের কারণে আগে ট্রেনে মোট আসন সংখ্যার অর্ধেক যাত্রী বহন করা হতো। গতকাল থেকে সব ট্রেনে শতভাগ যাত্রী নিয়ে চলছে। আমরা কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য যাত্রীদের মধ্যে সচেতনতা বাড়ানোর চেষ্টা করে যাচ্ছি। স্বাস্থ্যবিধি মেনে মোবাইল অ্যাপ ও অনলাইনে ৫০ শতাংশ টিকিট এবং স্টেশনের কাউন্টার থেকে ৫০ শতাংশ টিকিট বিক্রি করা হচ্ছে। প্রতিদিন সকাল ৬টা থেকে অনলাইনে এবং সকাল ৮টা থেকে কাউন্টারে টিকিট কাটতে পারবেন যাত্রীরা।

গতকাল থেকে আরও ৩৬টি কমিউটার, লোকাল ও মেইল ট্রেন চালু হয়েছে। এর আগে গত ১০ ও ১৩ সেপ্টেম্বর ৪৮টি ট্রেন চালু হয়েছে। আজসহ তিন দফায় মোট ৮৪টি ট্রেন চালু হলে ট্রেনের সংখ্যা দাঁড়াবে ২১৮টিতে। বাকি আরও ১৪৪টি মেইল ও লোকাল ট্রেন পর্যায়ক্রমে চালু হবে বলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান। গত ৩১ মে প্রথম দফায় ৮ জোড়া আন্তঃনগর ট্রেন চালু করা হয়। পরবর্তীতে ৩ জুন দ্বিতীয় দফায় আরও ১১ জোড়া আন্তঃনগর ট্রেন বাড়ানো হয়। গত ১৬ আগস্ট নতুন করে আরও ১২ জোড়া আন্তঃনগর ও এক জোড়া কমিউটার ট্রেনসহ মোট ১৩ জোড়া ট্রেন চালু করা হয়। এরপর গত ২৭ আগস্ট থেকে ১৮ জোড়া ও ৫ সেপ্টেম্বর থেকে ১৯ জোড়া ট্রেন চলাচল শুরু করেছে। গত ১২ সেপ্টেম্বর থেকে কাউন্টারে ২৫ শতাংশ টিকিট বিক্রয় শুরু হয়। কিন্তু যাত্রীদের চাহিদা বেশি থাকায় টিকিট বিক্রয় শুরু হওয়ার ১-২ ঘণ্টার মধ্যেই সব টিকিট বিক্রয় শেষ হয়ে যায়। তাই ট্রেনে যাত্রীদের চাহিদা বৃদ্ধির কারণে স্বাস্থ্যবিধি মেনে গতকাল থেকেই শতভাগ যাত্রী নিয়ে চলাচলের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে রেলওয়ে সূত্র জানায়।

বৃহস্পতিবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২০ , ২৭ মহররম ১৪৪২, ২৯ ভাদ্র ১৪২৭

শতভাগ যাত্রী নিয়ে চলাচল শুরু করেছে রেলওয়ে

স্বাস্থ্যবিধি মানতে উদাসীন যাত্রীরা

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক |

image

ট্রেনে শতভাগ যাত্রী নিয়ে চলাচল শুরুর প্রথম দিনে ভিড় -সংবাদ

শতভাগ যাত্রী নিয়ে চলাচল শুরু করেছে রেলওয়ে। গতকাল কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে প্রতিটি আসনে যাত্রী পূর্ণ করে ছাড়ে ট্রেন। করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে ২ মাস ৬ দিন বন্ধ থাকার পর গত ৩১ মে থেকে ৫০ শতাংশ আসন ফাঁকা রেখে চলাচল শুরু করে রেলওয়ে। তিন মাস ১৬ দিন পর সব আসন পূর্ণ করে গতকাল থেকে ট্রেন চলাচল করছে। এর সময় পাশাপাশি আসনে যাত্রী বসানো হলেও অনেকের মুখে মাস্ক দেখা যায়নি। তাই স্বাস্থ্যবিধি বাস্তবায়ন অনেকটা উদাসীন দেখা গেছে রেল কর্তৃপক্ষকে।

সরেজমিনে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন ঘুরে দেখা গেছে, গতকাল সকাল থেকে স্টেশনে ছিল যাত্রী ভিড়। বেশিরভাগ যাত্রী নির্দিষ্ট গন্তব্যে টিকিট সংগ্রহ করতে দেখা গেছে। তবে কাউন্টারে টিকিট সংগ্রহের ক্ষেত্রে যাত্রীদের মধ্যে ছিল না কোন শারীরিক দূরত্ব। শতভাগ আসনের মধ্যে ৫০ শতাংশ টিকিট বিক্রয় হয় অনলাইনে আর ৫০ শতাংশ টিকিট কাউন্টারে বিক্রয় করা হয়। এর মধ্য দিয়ে পাশাপাশি সিটে বসিয়ে যাত্রী পরিবহন শুরু করল রেলওয়ে। তবে আন্তঃনগর সব ট্রেনে স্ট্যান্ডিং টিকিট বিক্রি বন্ধ আছে বলে জানিয়েছে রেল কর্তৃপক্ষ।

এ বিষয়ে কমলাপুর রেলস্টেশনের ম্যানেজার মোহাম্মদ মাসুদ সারওয়ার সাংবাদিকদের বলেন, করোনাভাইরাসের কারণে আগে ট্রেনে মোট আসন সংখ্যার অর্ধেক যাত্রী বহন করা হতো। গতকাল থেকে সব ট্রেনে শতভাগ যাত্রী নিয়ে চলছে। আমরা কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য যাত্রীদের মধ্যে সচেতনতা বাড়ানোর চেষ্টা করে যাচ্ছি। স্বাস্থ্যবিধি মেনে মোবাইল অ্যাপ ও অনলাইনে ৫০ শতাংশ টিকিট এবং স্টেশনের কাউন্টার থেকে ৫০ শতাংশ টিকিট বিক্রি করা হচ্ছে। প্রতিদিন সকাল ৬টা থেকে অনলাইনে এবং সকাল ৮টা থেকে কাউন্টারে টিকিট কাটতে পারবেন যাত্রীরা।

গতকাল থেকে আরও ৩৬টি কমিউটার, লোকাল ও মেইল ট্রেন চালু হয়েছে। এর আগে গত ১০ ও ১৩ সেপ্টেম্বর ৪৮টি ট্রেন চালু হয়েছে। আজসহ তিন দফায় মোট ৮৪টি ট্রেন চালু হলে ট্রেনের সংখ্যা দাঁড়াবে ২১৮টিতে। বাকি আরও ১৪৪টি মেইল ও লোকাল ট্রেন পর্যায়ক্রমে চালু হবে বলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান। গত ৩১ মে প্রথম দফায় ৮ জোড়া আন্তঃনগর ট্রেন চালু করা হয়। পরবর্তীতে ৩ জুন দ্বিতীয় দফায় আরও ১১ জোড়া আন্তঃনগর ট্রেন বাড়ানো হয়। গত ১৬ আগস্ট নতুন করে আরও ১২ জোড়া আন্তঃনগর ও এক জোড়া কমিউটার ট্রেনসহ মোট ১৩ জোড়া ট্রেন চালু করা হয়। এরপর গত ২৭ আগস্ট থেকে ১৮ জোড়া ও ৫ সেপ্টেম্বর থেকে ১৯ জোড়া ট্রেন চলাচল শুরু করেছে। গত ১২ সেপ্টেম্বর থেকে কাউন্টারে ২৫ শতাংশ টিকিট বিক্রয় শুরু হয়। কিন্তু যাত্রীদের চাহিদা বেশি থাকায় টিকিট বিক্রয় শুরু হওয়ার ১-২ ঘণ্টার মধ্যেই সব টিকিট বিক্রয় শেষ হয়ে যায়। তাই ট্রেনে যাত্রীদের চাহিদা বৃদ্ধির কারণে স্বাস্থ্যবিধি মেনে গতকাল থেকেই শতভাগ যাত্রী নিয়ে চলাচলের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে রেলওয়ে সূত্র জানায়।