নির্বাচনী প্রচারণায় ট্রাম্পের ব্যর্থতাগুলো

‘পৃথিবীর পরিবেশ ধীর গতিতে ঠান্ডা হয়ে যাবে,আমি মনে করি না বিজ্ঞান সব জানে’- এ সমস্ত ছেলে ভোলানো বক্তব্য প্রদানে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের জুরী নেই। পশ্চিমা রাজ্যে বনভূমিতে আগুন এবং আমেরিকার দক্ষিণ উপকূলে একটি নতুন হারিকেনের আঘাতে , প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের দায়সাড়া বিবৃতি দেশজুড়ে সমালোচনার সৃষ্টি করলেও তিনি অনঢ় তার অবস্থানে। এখনও ট্রাম্প জলবায়ু পরিবর্তনের হুমকি উপেক্ষা করে বিজ্ঞানকে প্রশ্নবিদ্ধ করে বিতর্ক সৃষ্টি করছেন জনমনে। একই সাথে তিনি নিজেকে “মহান পরিবেশবাদী” দাবি করছেন। বনজ সম্পদে সুরক্ষা, বন্যপ্রাণী সুরক্ষা এবং কিছুটা অফ শোর ড্রিলিং নিষিদ্ধকরণের সাফল্যের কথা উল্লেখ করে পরিবেশগত ইস্যুতে তিনি কী বলেছেন এবং কী করেছেন তা আমরা পূর্বে বেশ কবার দেখেছি। ইউএসএ টুডে, আল-জাজিরা।

গত মঙ্গলবার আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের এক প্রতিবেদনে প্রকাশিত ট্রাম্প ১৬ সেপ্টেম্বর বিবৃতি দিয়েছেন- ‘পৃথিবীর হাওয়া বাতাস শীতল হতে শুরু করবে। আমি মনে করি না বিজ্ঞানে সব প্রশ্নের উত্তর রয়েছে। ‘ ভাববাদী এ মন্তব্যগুলো ট্রাম্প ক্যালিফোর্নিয়ার সেক্রেটারি অফ ন্যাচারাল রিসোর্স ওয়েড ক্রোফুটের উদ্দেশ্যে বলেন। তিনি আরো বলেছেন-”আমরা পরিবর্তিত জলবায়ুকে স্বীকৃতি দিতে আপনার সাথে কাজ করতে চাই।” মার্কিন মহাকাশ সংস্থা নাসা জানায় পিয়ার-পর্যালোচিত বৈজ্ঞানিক জার্নালে প্রকাশিত একাধিক গবেষণায় দেখা গিয়েছে , গত শতাব্দীতে জলবায়ু-উষ্ণতার প্রবণতা মানবীয় ক্রিয়াকলাপের কারণে চূড়ান্তভাবে এ বছরে জলবায়ু-উষ্ণায়নের প্রবণতা অনেকাংশে সক্রিয়ভাবে বেড়েছে। সেক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের মোকাবিলায় মহামারী এবং জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলার প্রতিশ্রুতিতে সামান্যই বাস্তবতা দেখিয়েছেন। গত বছর বিশ্বকে উষ্ণায়নের মোকাবেলায় বহুপাক্ষিক প্যারিস চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে প্রত্যাহার করেছেন সদস্য রাষ্ট্রগুলো। যদিও কার্বন নি:স্বরনের দিক থেকে সর্বোচ্চ রাষ্ট্রগুলোর অবস্থানে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

অপরদিকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের দিনক্ষণ এগিয়ে আসলে রাজনৈতিক উত্তেজনার পারদ ক্রমেই উত্তপ্ত হচ্ছে দেশটিতে।প্রধান দুই দলের বিতর্কের প্রস্তুতিও শুরু হয়ে গিয়েছে। এরই মধ্যে আবার জো বাইডেনের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ তুললেন বর্তমান প্রেসিডেন্ট । তার অভিযোগ বিতর্কে ভালো ফল করার জন্য ড্রাগ নিচ্ছে ডেমোক্র্যাট প্রার্থী বাইডেন। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প চীন, ভারত ও রাশিয়ার প্রসঙ্গে গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসরণে আমেরিকার অবদানকে কমিয়ে দেয়ার বিষয়ে বলেছিলেন - ‘আমরা কেবল একটি ছোট্ট ছাঁটাই। তারা দূষণের এক বিরাট অগ্রগতি তৈরি করে, কেউ কখনও তাদের নিয়ে কথা বলেন না।

বৃহস্পতিবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২০ , ২৭ মহররম ১৪৪২, ২৯ ভাদ্র ১৪২৭

নির্বাচনী প্রচারণায় ট্রাম্পের ব্যর্থতাগুলো

image

পশ্চিম যুক্তরাষ্ট্রের দাবানল ইস্যুতে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প -নিউইয়র্ক টাইমস

‘পৃথিবীর পরিবেশ ধীর গতিতে ঠান্ডা হয়ে যাবে,আমি মনে করি না বিজ্ঞান সব জানে’- এ সমস্ত ছেলে ভোলানো বক্তব্য প্রদানে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের জুরী নেই। পশ্চিমা রাজ্যে বনভূমিতে আগুন এবং আমেরিকার দক্ষিণ উপকূলে একটি নতুন হারিকেনের আঘাতে , প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের দায়সাড়া বিবৃতি দেশজুড়ে সমালোচনার সৃষ্টি করলেও তিনি অনঢ় তার অবস্থানে। এখনও ট্রাম্প জলবায়ু পরিবর্তনের হুমকি উপেক্ষা করে বিজ্ঞানকে প্রশ্নবিদ্ধ করে বিতর্ক সৃষ্টি করছেন জনমনে। একই সাথে তিনি নিজেকে “মহান পরিবেশবাদী” দাবি করছেন। বনজ সম্পদে সুরক্ষা, বন্যপ্রাণী সুরক্ষা এবং কিছুটা অফ শোর ড্রিলিং নিষিদ্ধকরণের সাফল্যের কথা উল্লেখ করে পরিবেশগত ইস্যুতে তিনি কী বলেছেন এবং কী করেছেন তা আমরা পূর্বে বেশ কবার দেখেছি। ইউএসএ টুডে, আল-জাজিরা।

গত মঙ্গলবার আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের এক প্রতিবেদনে প্রকাশিত ট্রাম্প ১৬ সেপ্টেম্বর বিবৃতি দিয়েছেন- ‘পৃথিবীর হাওয়া বাতাস শীতল হতে শুরু করবে। আমি মনে করি না বিজ্ঞানে সব প্রশ্নের উত্তর রয়েছে। ‘ ভাববাদী এ মন্তব্যগুলো ট্রাম্প ক্যালিফোর্নিয়ার সেক্রেটারি অফ ন্যাচারাল রিসোর্স ওয়েড ক্রোফুটের উদ্দেশ্যে বলেন। তিনি আরো বলেছেন-”আমরা পরিবর্তিত জলবায়ুকে স্বীকৃতি দিতে আপনার সাথে কাজ করতে চাই।” মার্কিন মহাকাশ সংস্থা নাসা জানায় পিয়ার-পর্যালোচিত বৈজ্ঞানিক জার্নালে প্রকাশিত একাধিক গবেষণায় দেখা গিয়েছে , গত শতাব্দীতে জলবায়ু-উষ্ণতার প্রবণতা মানবীয় ক্রিয়াকলাপের কারণে চূড়ান্তভাবে এ বছরে জলবায়ু-উষ্ণায়নের প্রবণতা অনেকাংশে সক্রিয়ভাবে বেড়েছে। সেক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের মোকাবিলায় মহামারী এবং জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলার প্রতিশ্রুতিতে সামান্যই বাস্তবতা দেখিয়েছেন। গত বছর বিশ্বকে উষ্ণায়নের মোকাবেলায় বহুপাক্ষিক প্যারিস চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে প্রত্যাহার করেছেন সদস্য রাষ্ট্রগুলো। যদিও কার্বন নি:স্বরনের দিক থেকে সর্বোচ্চ রাষ্ট্রগুলোর অবস্থানে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

অপরদিকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের দিনক্ষণ এগিয়ে আসলে রাজনৈতিক উত্তেজনার পারদ ক্রমেই উত্তপ্ত হচ্ছে দেশটিতে।প্রধান দুই দলের বিতর্কের প্রস্তুতিও শুরু হয়ে গিয়েছে। এরই মধ্যে আবার জো বাইডেনের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ তুললেন বর্তমান প্রেসিডেন্ট । তার অভিযোগ বিতর্কে ভালো ফল করার জন্য ড্রাগ নিচ্ছে ডেমোক্র্যাট প্রার্থী বাইডেন। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প চীন, ভারত ও রাশিয়ার প্রসঙ্গে গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসরণে আমেরিকার অবদানকে কমিয়ে দেয়ার বিষয়ে বলেছিলেন - ‘আমরা কেবল একটি ছোট্ট ছাঁটাই। তারা দূষণের এক বিরাট অগ্রগতি তৈরি করে, কেউ কখনও তাদের নিয়ে কথা বলেন না।