মিঠাপুকুরে গৃহবধূর মৃতদেহ উদ্ধার

ঘাতক স্বামী গ্রেপ্তার

পরকীয়ায় বাধা দেয়ায় স্ত্রী হুসনা বেগমকে হত্যা করে লাশ মাটিতে পুঁতে রাখে আনারুল। ৫০ দিন পর গতকাল ভোরে নিহত গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার সন্তোষপুর আকন্দপাড়া গ্রামে। পুলিশ ঘাতক আনারুলকে দিনাজপুর থেকে গ্রেফতার করে। পরে তার দেখিয়ে দেয়া স্থান থেকে নিহত গৃহবধূর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। মিঠাপুকুর থানার ওসি আমিরুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। পুলিশ ও নিহতের স্বজনরা জানান, আড়াইবছর আগে পার্শ্ববর্তী বদরগজ্ঞ উপজেলার বুড়িপখর দক্ষিণ পাড়া গ্রামের হাসমত আলীর মেয়ে হুসনা গেমের সঙ্গে মিঠাপুকুর উপজেলার সন্তোষপুর আকন্দ পাড়া গ্রামের আকমল হোসেনের ছেলে আনারুলের বিয়ে হয়। বিয়ের পরও থেকে আনারুল প্রায়শই মোবাইল ফোনে বিভিন্ন মেয়ের সঙ্গে কথা। এক পর্যায়ে সে এক মেয়ের সঙ্গে লিপ্ত হয়। এসব ঘটনার প্রতিবাদ করলে আনারুল হুসনাকে মারধর করতো। ঈদের তিন দিন আগে মোবাইল ফোনে প্রেমিকার সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা বলার সময় বাধা দেয় স্ত্রী হুসনা বেগম। সে প্রতিবাদ করলে হুসনা বেগমকে মারধর করে শ্বাস রোধে হত্যা করে। পরে লাশ বাড়ির অদুরে একটি জঙ্গলে মাটি খুঁড়ে পুতে রাখে। এ ঘটনায় নিহত হুসনার স্বজনরা আনারুলের বাসায় এসে তার কোন সন্ধান না পেলে বিষয়টি মিঠাপুকুর থানায় জানায়। ঘটনার পর থেকে ঘাতক স্বামী আনারুল পলাতক থাকায় পুলিশ তাকে খুঁজতে থাকে। অবশেষে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় ঘাতক স্বামী আনোয়ারুলকে দিনাজপুর থেকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসে। জিজ্ঞাসাবাদে সে স্বীকার করে স্ত্রী হুসনাকে হত্যা করে লাশ মাটিতে পুতে রেখেছে।

নিহত হুসনা বেগমের বাবা হাসমত আলী পরান জানান, তার মেয়েকে নিষ্ঠুরভাবে নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছে লাশ মাটিতে পুতে রেখেছিল আনারুল তিনি বলেন, শুধু আনারুল নয় এ ঘটনায় আরও অনেকেই জড়িত ছিল তাদের সবাইকে গ্রেফতার করে ফাঁসি দাবি করেন তিনি।

এ ব্যাপারে মিঠাপুকুর থানার ওসি আমিরুজ্জামান জানান, ঘাতক স্বামীকে গ্রেফতার গ্রেফতার করার পর তার দেখানো স্থান থেকে হুসনা বেগমের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২০ , ২৭ মহররম ১৪৪২, ২৯ ভাদ্র ১৪২৭

নিখোঁজের ৫০ দিন পর

মিঠাপুকুরে গৃহবধূর মৃতদেহ উদ্ধার

ঘাতক স্বামী গ্রেপ্তার

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক, রংপুর

পরকীয়ায় বাধা দেয়ায় স্ত্রী হুসনা বেগমকে হত্যা করে লাশ মাটিতে পুঁতে রাখে আনারুল। ৫০ দিন পর গতকাল ভোরে নিহত গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার সন্তোষপুর আকন্দপাড়া গ্রামে। পুলিশ ঘাতক আনারুলকে দিনাজপুর থেকে গ্রেফতার করে। পরে তার দেখিয়ে দেয়া স্থান থেকে নিহত গৃহবধূর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। মিঠাপুকুর থানার ওসি আমিরুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। পুলিশ ও নিহতের স্বজনরা জানান, আড়াইবছর আগে পার্শ্ববর্তী বদরগজ্ঞ উপজেলার বুড়িপখর দক্ষিণ পাড়া গ্রামের হাসমত আলীর মেয়ে হুসনা গেমের সঙ্গে মিঠাপুকুর উপজেলার সন্তোষপুর আকন্দ পাড়া গ্রামের আকমল হোসেনের ছেলে আনারুলের বিয়ে হয়। বিয়ের পরও থেকে আনারুল প্রায়শই মোবাইল ফোনে বিভিন্ন মেয়ের সঙ্গে কথা। এক পর্যায়ে সে এক মেয়ের সঙ্গে লিপ্ত হয়। এসব ঘটনার প্রতিবাদ করলে আনারুল হুসনাকে মারধর করতো। ঈদের তিন দিন আগে মোবাইল ফোনে প্রেমিকার সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা বলার সময় বাধা দেয় স্ত্রী হুসনা বেগম। সে প্রতিবাদ করলে হুসনা বেগমকে মারধর করে শ্বাস রোধে হত্যা করে। পরে লাশ বাড়ির অদুরে একটি জঙ্গলে মাটি খুঁড়ে পুতে রাখে। এ ঘটনায় নিহত হুসনার স্বজনরা আনারুলের বাসায় এসে তার কোন সন্ধান না পেলে বিষয়টি মিঠাপুকুর থানায় জানায়। ঘটনার পর থেকে ঘাতক স্বামী আনারুল পলাতক থাকায় পুলিশ তাকে খুঁজতে থাকে। অবশেষে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় ঘাতক স্বামী আনোয়ারুলকে দিনাজপুর থেকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসে। জিজ্ঞাসাবাদে সে স্বীকার করে স্ত্রী হুসনাকে হত্যা করে লাশ মাটিতে পুতে রেখেছে।

নিহত হুসনা বেগমের বাবা হাসমত আলী পরান জানান, তার মেয়েকে নিষ্ঠুরভাবে নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছে লাশ মাটিতে পুতে রেখেছিল আনারুল তিনি বলেন, শুধু আনারুল নয় এ ঘটনায় আরও অনেকেই জড়িত ছিল তাদের সবাইকে গ্রেফতার করে ফাঁসি দাবি করেন তিনি।

এ ব্যাপারে মিঠাপুকুর থানার ওসি আমিরুজ্জামান জানান, ঘাতক স্বামীকে গ্রেফতার গ্রেফতার করার পর তার দেখানো স্থান থেকে হুসনা বেগমের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।