দু’লাখ টন গম আমদানির সিদ্ধান্ত

রাশিয়া থেকে জি-টু-জি (সরকার থেকে সরকার) পদ্ধতিতে দুই লাখ মেট্রিক টন গম আমদানির সিন্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এ খাতে মোট ব্যয় হচ্ছে ৪৩৭ কোটি ৫৬ লাখ ৮০ হাজার টাকা। গম ক্রয় সংক্রান্ত প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি।

গতকাল অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ভার্চুয়াল সভায় এ অনুমোদন দেয়া হয়। সভায় কমিটির সদস্য, মন্ত্রিসভা পরিষদের সিনিয়র সচিব, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিব ও সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অংশগ্রহণ করেন।

সভা শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব নাসিমা বেগম প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেন, ‘সভায় রাশিয়ান ফেডারেশন থেকে সরকার থেকে সরকার পর্যায়ে দুই লাখ মেট্রিক টন গম আমদানির একটি প্রস্তাব অনুমোদন দেয়া হয়েছে। চট্টগ্রাম ও মোংলা বন্দরের মাধ্যমে ৬০ দশমিক ৪০ অনুপাতে এ গম আমদানি করা হবে। প্রতি মেট্রিক টন গম ২৫৮ মার্কিন ডলার হিসেবে কেনা হচ্ছে। এই হিসাবে দুই লাখ মেট্রিক টন গমের জন্য ব্যয় হবে পাঁচ কোটি ১৬ লাখ মার্কিন ডলার; যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ৪৩৭ কোটি ৫৬ লাখ ৮০ হাজার টাকা।’

খাদ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, বিদেশ থেকে গম কেনার ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যিক দরপত্র-কোটেশনের পাশাপাশি জি-টু-জি পদ্ধতি অনুসরণ করা হবে। এই পদ্ধতিতে গম আমদানির লক্ষ্যে রাশিয়ার সঙ্গে চুক্তিও রয়েছে। এই চুক্তির আওতায় দেশটির সরকারি সংস্থা ‘ফরেন ইকোনমিক কো-অপারেশন প্রদিনতোর্গ’ থেকে দুই লাখ মেট্রিক টন গম আমদানি করা হবে।

জানা গেছে, গত ১৮ মে রাশিয়ান সরকারি সংস্থা চলতি (২০২০-২০২১) অর্থবছরেও গম বিক্রির বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করে সরকারকে চিঠি দেয়। এই চিঠি পাওয়ার পর জি-টু-জি পদ্ধতিতে গম কেনার জন্য ‘ফরেন ইকোনমিক কো-অপারেশন প্রদিনতোর্গ’র প্রতিনিধি দলকে ভার্চুয়াল সভায় অংশ নিতে আমন্ত্রণ জানানো হয়। গত ৮ জুলাই রাশিয়ান প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বাংলাদেশের জি-টু-জি পদ্ধতিতে ক্রয় বিষয়ক কমিটির ভার্চুয়াল সভা অনুষ্ঠিত হয়। ওই সভায় গম আমদানির জন্য চুক্তির শর্ত ও দাম নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।

পরবর্তীতে গত ৪ আগস্ট পুনরায় ভার্চুয়াল সভা হয়। সর্বশেষ সভায় রাশিয়ান ফেডারেশন থেকে প্রতি মেট্রিক টন ২৫৮ মার্কিন ডলার ধরে দুই লাখ মেট্রিক টন গম বাংলাদেশকে দেয়ার বিষয়ে সমঝোতায় পৌঁছায় দুই পক্ষ।

বৃহস্পতিবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২০ , ২৭ মহররম ১৪৪২, ২৯ ভাদ্র ১৪২৭

দু’লাখ টন গম আমদানির সিদ্ধান্ত

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক |

রাশিয়া থেকে জি-টু-জি (সরকার থেকে সরকার) পদ্ধতিতে দুই লাখ মেট্রিক টন গম আমদানির সিন্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এ খাতে মোট ব্যয় হচ্ছে ৪৩৭ কোটি ৫৬ লাখ ৮০ হাজার টাকা। গম ক্রয় সংক্রান্ত প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি।

গতকাল অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ভার্চুয়াল সভায় এ অনুমোদন দেয়া হয়। সভায় কমিটির সদস্য, মন্ত্রিসভা পরিষদের সিনিয়র সচিব, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিব ও সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অংশগ্রহণ করেন।

সভা শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব নাসিমা বেগম প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেন, ‘সভায় রাশিয়ান ফেডারেশন থেকে সরকার থেকে সরকার পর্যায়ে দুই লাখ মেট্রিক টন গম আমদানির একটি প্রস্তাব অনুমোদন দেয়া হয়েছে। চট্টগ্রাম ও মোংলা বন্দরের মাধ্যমে ৬০ দশমিক ৪০ অনুপাতে এ গম আমদানি করা হবে। প্রতি মেট্রিক টন গম ২৫৮ মার্কিন ডলার হিসেবে কেনা হচ্ছে। এই হিসাবে দুই লাখ মেট্রিক টন গমের জন্য ব্যয় হবে পাঁচ কোটি ১৬ লাখ মার্কিন ডলার; যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ৪৩৭ কোটি ৫৬ লাখ ৮০ হাজার টাকা।’

খাদ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, বিদেশ থেকে গম কেনার ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যিক দরপত্র-কোটেশনের পাশাপাশি জি-টু-জি পদ্ধতি অনুসরণ করা হবে। এই পদ্ধতিতে গম আমদানির লক্ষ্যে রাশিয়ার সঙ্গে চুক্তিও রয়েছে। এই চুক্তির আওতায় দেশটির সরকারি সংস্থা ‘ফরেন ইকোনমিক কো-অপারেশন প্রদিনতোর্গ’ থেকে দুই লাখ মেট্রিক টন গম আমদানি করা হবে।

জানা গেছে, গত ১৮ মে রাশিয়ান সরকারি সংস্থা চলতি (২০২০-২০২১) অর্থবছরেও গম বিক্রির বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করে সরকারকে চিঠি দেয়। এই চিঠি পাওয়ার পর জি-টু-জি পদ্ধতিতে গম কেনার জন্য ‘ফরেন ইকোনমিক কো-অপারেশন প্রদিনতোর্গ’র প্রতিনিধি দলকে ভার্চুয়াল সভায় অংশ নিতে আমন্ত্রণ জানানো হয়। গত ৮ জুলাই রাশিয়ান প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বাংলাদেশের জি-টু-জি পদ্ধতিতে ক্রয় বিষয়ক কমিটির ভার্চুয়াল সভা অনুষ্ঠিত হয়। ওই সভায় গম আমদানির জন্য চুক্তির শর্ত ও দাম নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।

পরবর্তীতে গত ৪ আগস্ট পুনরায় ভার্চুয়াল সভা হয়। সর্বশেষ সভায় রাশিয়ান ফেডারেশন থেকে প্রতি মেট্রিক টন ২৫৮ মার্কিন ডলার ধরে দুই লাখ মেট্রিক টন গম বাংলাদেশকে দেয়ার বিষয়ে সমঝোতায় পৌঁছায় দুই পক্ষ।