প্রতিটি স্তরে নিরাপত্তা নিশ্চিত করুন

লিকুইড পেট্টোলিয়াম গ্যাসের (এলপিজি) সিলিন্ডার সংরক্ষণ, বিপণন, পরিবহন এবং ব্যবহারের ক্ষেত্রে নিয়মনীতি মানা হচ্ছে না বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত মঙ্গলবার সংবাদ এ নিয়ে বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, অগ্নিনির্বাপণী যন্ত্রপাতি ও প্রয়োজনীয় সুরাক্ষাসামগ্রী ছাড়াই যততত্র সিলিন্ডার সংরক্ষণ করা হচ্ছে। নিয়ম উপেক্ষা করে বাইসাইকেলেও সিলিন্ডার পরিবহন করা হচ্ছে। বিনা লাইন্সে খুচরা পর্যায়ে অনেকেই সিলিন্ডার বিক্রি বা সরবরাহ করছে। বহুতল আবাসিক ভবনে কেন্দ্রীয়ভাবে বুলেট সিলিন্ডার স্থাপন করা হচ্ছে। অথচ এক্ষেত্রে সরকারের কোন নীতি বা অনুমোদন নেই।

দেশে প্রাকৃতিক গ্যাসের মজুত অফুরন্ত নয়। দেশে অনেকে স্থানেই গ্যাস সংযোগ নেই। রাজধানীসহ যেসব স্থানে গ্যাস লাইন রয়েছে সেসব স্থানে আবাসিক সংযোগ দেয়া দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ রেখেছে সরকার। এসব কারণে এলপি গ্যাসের চাহিদা বাড়ছে। শহরের পাশাপাশি গ্রামেও দিন দিন এর ব্যবহার বাড়ছে। এর সঙ্গে বাড়ছে সিলিন্ডার বিস্ফোরণের ঘটনা। সিলিন্ডার বিস্ফোরণের ঘটনা সাধারণ ব্যবহারকারীরাই হতাহত হচ্ছে বেশি। এক্ষেত্রে সাধারণ ব্যবহারকারীদের অসাবধানতা অসতর্কতার যেমন দায় রয়েছে তেমন সংরক্ষণ বিপণন বা পরিবহনে অনিয়মের দায়ও রয়েছে। এলপি সিলিন্ডার কে বা কারা বিক্রি করতে পারে সেটা কেবল কাগজে-কলমেই নির্ধারণ করা আছে। বাস্তবে পান দোকানে সিলিন্ডার বিক্রি হয়। কোথায় কীভাবে সিলিন্ডারে রাখতে হবে, কীভাবে সিলিন্ডার পরিবহন করতে হবে। সে সংক্রান্ত বিধিবিধান আছে ঠিকই কিন্তু এর প্রয়োগ নেই। ফ্রিস্টাইলে যে যেভাবে পারছে সিলিন্ডার আনা-নেয়া করছে। কেউ নিয়ম মানে না বা নিয়ম মানতে কাউকে বাধ্যও করা হয় না। এ কারণে প্রায়ই ঘটনা ঘটছে, মানুষ মারা যাচ্ছে। তারপরও সংশ্লিষ্টদের টনক নড়ছে না। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ মাঝে মাঝে এ নিয়ে সিটিং-মিটিং-ইটিং করে। এক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আরেক কর্তৃপক্ষের চিঠি চালাচালি হয় কিন্তু আকারে পরিবর্তন হয় না।

আমরা বলতে চাই এলপিজি সিলিন্ডারের নিরাপদ সংরক্ষণ বিপণন ও ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। এজন্য আইনের কঠোর প্রয়োগ করা জরুরি। লাইসেন্স ছাড়া যেন কেউ সিলিন্ডার বিক্রি না করে সেটা নিশ্চিত করতে হবে। বিধি মেনে সিলিন্ডার মজুত ও পরিবহন হচ্ছে কিনা-সেটা নিয়মিত মনিটর করতে হবে। সিলিন্ডারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ব্যবহারকারী পর্যায়ে ব্যাপক সচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে। আবাসিক ভবনে কেন্দ্রীয় বা বুলেট সিলিন্ডার প্রশ্নে নিয়মনীতি ঠিক করা দরকার। এ বিষয়ে আমরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। কারও অবহেলা বা অসাবধানতায় সিলিন্ডার বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটুক সেটা আমরা চাই না।

বৃহস্পতিবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২০ , ২৭ মহররম ১৪৪২, ২৯ ভাদ্র ১৪২৭

এলপিজি সিলিন্ডার

প্রতিটি স্তরে নিরাপত্তা নিশ্চিত করুন

লিকুইড পেট্টোলিয়াম গ্যাসের (এলপিজি) সিলিন্ডার সংরক্ষণ, বিপণন, পরিবহন এবং ব্যবহারের ক্ষেত্রে নিয়মনীতি মানা হচ্ছে না বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত মঙ্গলবার সংবাদ এ নিয়ে বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, অগ্নিনির্বাপণী যন্ত্রপাতি ও প্রয়োজনীয় সুরাক্ষাসামগ্রী ছাড়াই যততত্র সিলিন্ডার সংরক্ষণ করা হচ্ছে। নিয়ম উপেক্ষা করে বাইসাইকেলেও সিলিন্ডার পরিবহন করা হচ্ছে। বিনা লাইন্সে খুচরা পর্যায়ে অনেকেই সিলিন্ডার বিক্রি বা সরবরাহ করছে। বহুতল আবাসিক ভবনে কেন্দ্রীয়ভাবে বুলেট সিলিন্ডার স্থাপন করা হচ্ছে। অথচ এক্ষেত্রে সরকারের কোন নীতি বা অনুমোদন নেই।

দেশে প্রাকৃতিক গ্যাসের মজুত অফুরন্ত নয়। দেশে অনেকে স্থানেই গ্যাস সংযোগ নেই। রাজধানীসহ যেসব স্থানে গ্যাস লাইন রয়েছে সেসব স্থানে আবাসিক সংযোগ দেয়া দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ রেখেছে সরকার। এসব কারণে এলপি গ্যাসের চাহিদা বাড়ছে। শহরের পাশাপাশি গ্রামেও দিন দিন এর ব্যবহার বাড়ছে। এর সঙ্গে বাড়ছে সিলিন্ডার বিস্ফোরণের ঘটনা। সিলিন্ডার বিস্ফোরণের ঘটনা সাধারণ ব্যবহারকারীরাই হতাহত হচ্ছে বেশি। এক্ষেত্রে সাধারণ ব্যবহারকারীদের অসাবধানতা অসতর্কতার যেমন দায় রয়েছে তেমন সংরক্ষণ বিপণন বা পরিবহনে অনিয়মের দায়ও রয়েছে। এলপি সিলিন্ডার কে বা কারা বিক্রি করতে পারে সেটা কেবল কাগজে-কলমেই নির্ধারণ করা আছে। বাস্তবে পান দোকানে সিলিন্ডার বিক্রি হয়। কোথায় কীভাবে সিলিন্ডারে রাখতে হবে, কীভাবে সিলিন্ডার পরিবহন করতে হবে। সে সংক্রান্ত বিধিবিধান আছে ঠিকই কিন্তু এর প্রয়োগ নেই। ফ্রিস্টাইলে যে যেভাবে পারছে সিলিন্ডার আনা-নেয়া করছে। কেউ নিয়ম মানে না বা নিয়ম মানতে কাউকে বাধ্যও করা হয় না। এ কারণে প্রায়ই ঘটনা ঘটছে, মানুষ মারা যাচ্ছে। তারপরও সংশ্লিষ্টদের টনক নড়ছে না। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ মাঝে মাঝে এ নিয়ে সিটিং-মিটিং-ইটিং করে। এক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আরেক কর্তৃপক্ষের চিঠি চালাচালি হয় কিন্তু আকারে পরিবর্তন হয় না।

আমরা বলতে চাই এলপিজি সিলিন্ডারের নিরাপদ সংরক্ষণ বিপণন ও ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। এজন্য আইনের কঠোর প্রয়োগ করা জরুরি। লাইসেন্স ছাড়া যেন কেউ সিলিন্ডার বিক্রি না করে সেটা নিশ্চিত করতে হবে। বিধি মেনে সিলিন্ডার মজুত ও পরিবহন হচ্ছে কিনা-সেটা নিয়মিত মনিটর করতে হবে। সিলিন্ডারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ব্যবহারকারী পর্যায়ে ব্যাপক সচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে। আবাসিক ভবনে কেন্দ্রীয় বা বুলেট সিলিন্ডার প্রশ্নে নিয়মনীতি ঠিক করা দরকার। এ বিষয়ে আমরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। কারও অবহেলা বা অসাবধানতায় সিলিন্ডার বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটুক সেটা আমরা চাই না।