করোনা তাতে কী, দেশে কোটিপতি বাড়লো ৩৪১২ জন

মহামারী করোনাভাইরাসের কারণে বৈশ্বিক অর্থনীতি নিম্নমুখী। বাংলাদেশেও পড়েছে এর প্রভাব। তবে করোনা মহামারীর মধ্যেও দেশে নতুন করে কোটিপতির সংখ্যা বেড়েছে। গত মার্চ থেকে জুন এ তিন মাসে ব্যাংকে কোটিপতি আমানতকারীর সংখ্যা বেড়েছে ৩ হাজার ৪১২ জন। বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত জুন শেষে ব্যাংকখাতে কোটিপতি আমানতকারীর সংখ্যা ৮৬ হাজার ৩৭ জনে দাঁড়িয়েছে। মার্চ শেষে এ সংখ্যা ছিল ৮২ হাজার ৬২৫ জন। ২০১৯ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান শুরুর পর ব্যাংকে কোটিপতির সংখ্যা কমে যায়। গত বছরের ৩০ সেপ্টেম্বরে কোটিপতি আমানতকারীর সংখ্যা কমে ৭৯ হাজার ৮৭৭ জন হয়েছিল। কিন্তু চলতি বছরের মার্চ থেকে জুন (করোনা) হঠাৎ বেড়ে যায় এ সংখ্যা। গত এক বছরে কোটিপতি আমানতকারী বেড়েছে ৫ হাজার ৬৪১ জন। এরমধ্যে করোনাকালেই বেড়েছে ৩ হাজার ৪১২ জন। যদিও করোনার কারণে দেশের অনেক পরিবারের আয় কমেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদ গণমাধ্যমকে জানান, করোনা পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষের আয় কমেছে। কিন্তু বড় লোক বা ধনীদের আয় বেড়েছে। ব্যাংকে কোটিপতি আমানতকারী বেড়ে যাওয়া তারই প্রমাণ। দেশের কোটি কোটি লোক নিঃস্ব হয়েছে বলেই করোনার সময়ও কোটিপতির সংখ্যা বেড়েছে। ব্যাংক থেকে লুট করা একটি শ্রেণী কোটি কোটি টাকার মালিক হচ্ছেন। আবার তারাই হয়তো ব্যাংকে টাকা রাখছেন।

শুক্রবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২০ , ২৮ মহররম ১৪৪২, ৩০ ভাদ্র ১৪২৭

করোনা তাতে কী, দেশে কোটিপতি বাড়লো ৩৪১২ জন

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক |

image

মহামারী করোনাভাইরাসের কারণে বৈশ্বিক অর্থনীতি নিম্নমুখী। বাংলাদেশেও পড়েছে এর প্রভাব। তবে করোনা মহামারীর মধ্যেও দেশে নতুন করে কোটিপতির সংখ্যা বেড়েছে। গত মার্চ থেকে জুন এ তিন মাসে ব্যাংকে কোটিপতি আমানতকারীর সংখ্যা বেড়েছে ৩ হাজার ৪১২ জন। বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত জুন শেষে ব্যাংকখাতে কোটিপতি আমানতকারীর সংখ্যা ৮৬ হাজার ৩৭ জনে দাঁড়িয়েছে। মার্চ শেষে এ সংখ্যা ছিল ৮২ হাজার ৬২৫ জন। ২০১৯ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান শুরুর পর ব্যাংকে কোটিপতির সংখ্যা কমে যায়। গত বছরের ৩০ সেপ্টেম্বরে কোটিপতি আমানতকারীর সংখ্যা কমে ৭৯ হাজার ৮৭৭ জন হয়েছিল। কিন্তু চলতি বছরের মার্চ থেকে জুন (করোনা) হঠাৎ বেড়ে যায় এ সংখ্যা। গত এক বছরে কোটিপতি আমানতকারী বেড়েছে ৫ হাজার ৬৪১ জন। এরমধ্যে করোনাকালেই বেড়েছে ৩ হাজার ৪১২ জন। যদিও করোনার কারণে দেশের অনেক পরিবারের আয় কমেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদ গণমাধ্যমকে জানান, করোনা পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষের আয় কমেছে। কিন্তু বড় লোক বা ধনীদের আয় বেড়েছে। ব্যাংকে কোটিপতি আমানতকারী বেড়ে যাওয়া তারই প্রমাণ। দেশের কোটি কোটি লোক নিঃস্ব হয়েছে বলেই করোনার সময়ও কোটিপতির সংখ্যা বেড়েছে। ব্যাংক থেকে লুট করা একটি শ্রেণী কোটি কোটি টাকার মালিক হচ্ছেন। আবার তারাই হয়তো ব্যাংকে টাকা রাখছেন।