আসামিদের স্বীকারোক্তির জবানবন্দি রেকর্ড

বিগত জাতীয় সংসদ নির্বাচনের রাতে আওয়ামী লীগ নেতার নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী সুবর্ণচরের মধ্যচর বাগ্গায় ধানের শীষে ভোট দেয়াকে কেন্দ্র করে চার সন্তানের জননী গৃহবধূক গণধর্ষণ মামলায় গত বুধবার সাক্ষী দেন নোয়াখালীর সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সোয়েব উদ্দিন খান।

সকাল ১১টায় নোয়াখালী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক (জেলা জজ) সামছুউদ্দিন খালেদের ট্রাইবুনালে স্বাক্ষ্য দিতে উঠেন তিনি। তার জবানবন্দী নেন বাদী পক্ষের সিনিয়র আইনজীবী ও জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি মোল্লা হাবিবুর রসুল মামুন। তাকে সহায়তা করেন নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনালের -পিপি মর্তুজা আহমেদ, সহকারী পিপি অ্যাডভোকেট সোহেল খাঁন। স্বাক্ষীর জবানবন্দী শেষে তাকে জেরা করেন আসামি পক্ষের আইনজীবী জসিম উদ্দিন ও হাওলাদার হারুনুর রশিদ। জেরার জবাবে স্বাক্ষী সিনিয়র ম্যাজিস্ট্রেট আাদালতকে জানান, বিচার বিভাগের সরবরাহকৃত ফরমেটে আসামি হেন্জুমাঝি ও জামাল উদ্দিনের সিকোরোক্তিমূলক জবানবন্দী রেকর্ড করেছেন। এর বাহিরে যাওয়ার কোন সুযোগ নাই। এ সময় আসামি পক্ষের আইনজীবী হাওলাদার হারুনুর রশিদ বলেন, ক্রসফায়ারের ভয় দেখিয়ে আসামিকে স্বীকোরক্তিমূলক জবানবন্দী দিতে বাধ্য করা হয়েছে। এর প্রতিবাদে বাদী পক্ষের আইনজীবীরা হট্টগোল শুরু করলে বাদী পক্ষের প্রধান আইনজীবী মোল্লা হাবিবুর রসুল মামুন আদালতকে বলেন এ শব্দ আদালতে প্রয়োগ করা সমীচীন নয়।

তখন স্বাক্ষী সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সোয়েব উদ্দিন খান আদালতকে জানান, আসামিকে আনার পর যথেষ্ট সময় দেয়া হয়েছে এবং আপ্যায়ন করানোর পর তার জবানবন্দী রেকর্ড করা হয়েছে। এ সময় আসামির কাঠগড়ায় দাঁড়ানো জবানবন্দী দেয়া হেন্জু মাঝি স্বাক্ষীর কথায় সম্মতিসূচক সায় দেন। স্বাক্ষীর স্বাক্ষ্য চলাকালীন সময়ে এ মামলার ভিকটিম ও তার স্বামী এবং মামলার বাদী আদালত কক্ষে উপস্থিত ছিলেন।

শুক্রবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২০ , ২৮ মহররম ১৪৪২, ৩০ ভাদ্র ১৪২৭

সুবর্ণচরে ভোটের রাতে গণধর্ষণ

আসামিদের স্বীকারোক্তির জবানবন্দি রেকর্ড

প্রতিনিধি, নোয়াখালী

বিগত জাতীয় সংসদ নির্বাচনের রাতে আওয়ামী লীগ নেতার নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী সুবর্ণচরের মধ্যচর বাগ্গায় ধানের শীষে ভোট দেয়াকে কেন্দ্র করে চার সন্তানের জননী গৃহবধূক গণধর্ষণ মামলায় গত বুধবার সাক্ষী দেন নোয়াখালীর সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সোয়েব উদ্দিন খান।

সকাল ১১টায় নোয়াখালী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক (জেলা জজ) সামছুউদ্দিন খালেদের ট্রাইবুনালে স্বাক্ষ্য দিতে উঠেন তিনি। তার জবানবন্দী নেন বাদী পক্ষের সিনিয়র আইনজীবী ও জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি মোল্লা হাবিবুর রসুল মামুন। তাকে সহায়তা করেন নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনালের -পিপি মর্তুজা আহমেদ, সহকারী পিপি অ্যাডভোকেট সোহেল খাঁন। স্বাক্ষীর জবানবন্দী শেষে তাকে জেরা করেন আসামি পক্ষের আইনজীবী জসিম উদ্দিন ও হাওলাদার হারুনুর রশিদ। জেরার জবাবে স্বাক্ষী সিনিয়র ম্যাজিস্ট্রেট আাদালতকে জানান, বিচার বিভাগের সরবরাহকৃত ফরমেটে আসামি হেন্জুমাঝি ও জামাল উদ্দিনের সিকোরোক্তিমূলক জবানবন্দী রেকর্ড করেছেন। এর বাহিরে যাওয়ার কোন সুযোগ নাই। এ সময় আসামি পক্ষের আইনজীবী হাওলাদার হারুনুর রশিদ বলেন, ক্রসফায়ারের ভয় দেখিয়ে আসামিকে স্বীকোরক্তিমূলক জবানবন্দী দিতে বাধ্য করা হয়েছে। এর প্রতিবাদে বাদী পক্ষের আইনজীবীরা হট্টগোল শুরু করলে বাদী পক্ষের প্রধান আইনজীবী মোল্লা হাবিবুর রসুল মামুন আদালতকে বলেন এ শব্দ আদালতে প্রয়োগ করা সমীচীন নয়।

তখন স্বাক্ষী সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সোয়েব উদ্দিন খান আদালতকে জানান, আসামিকে আনার পর যথেষ্ট সময় দেয়া হয়েছে এবং আপ্যায়ন করানোর পর তার জবানবন্দী রেকর্ড করা হয়েছে। এ সময় আসামির কাঠগড়ায় দাঁড়ানো জবানবন্দী দেয়া হেন্জু মাঝি স্বাক্ষীর কথায় সম্মতিসূচক সায় দেন। স্বাক্ষীর স্বাক্ষ্য চলাকালীন সময়ে এ মামলার ভিকটিম ও তার স্বামী এবং মামলার বাদী আদালত কক্ষে উপস্থিত ছিলেন।