দিনাজপুর ঘোড়াঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ওয়াহিদা খানম ও তার বাবার ওপর হামলার ঘটনার সর্বশেষ আসামী ঘোড়াঘাট ইউএনও অফিসের সাময়িক বরখাস্ত মালি রবিউল ইসলাম আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি না দেয়ায় পুনরায় তাকে ৩ দিনের রিমান্ডে নেয়া হয়েছে।
গতকাল ছয় দিনের রিমান্ড শেষে কড়া পুলিশ প্রহরায় রবিউলকে আদালতে নেয়া হয়। দিনাজপুর ডিবি পুলিশ সূত্র জানায়, বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রবিউল ইসলামকে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালত-৭ এর বিচারক আঞ্জুমান আরা বেগমের খাস কামরায় নেয়া হয় ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি নেয়ার জন্য। কিন্তু দীর্ঘ ৭ ঘণ্টা ম্যাজিস্ট্রেট-এর খাস কামরায় রেখেও রবিউল ইসলামের কাছ হতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি আদায় করতে পারেনি। জবানবন্দি আদায়ে ব্যর্থ হয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা একই ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সন্ধ্যে সাড়ে ৬টায় ৭ দিনের রিমান্ড চেয়ে পুনরায় আবেদন করলে বিজ্ঞ আদালত ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
রবিউল ইসলামকে গত ৯ সেপ্টেম্বর বিলল উপজেলার বিজোড়া ইউনিয়নের ভীমপুর তার নিজ বাড়ি থেকে আটক করে পুলিশ। আটকের পর পুলিশ জানিয়েছিল প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে রবিউল তার নিজের দোষ ডিবি পুলিশের কাছে স্বীকার করেছে। ১২ সেপ্টেম্বর ইউএনও’র ওপর হামলার বিষয়টি নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন রংপুর রেঞ্জের ডিআইজি দেবদাস ভট্টাচার্য্য। সেদিন তিনি জানিয়েছিলেন, রবিউল ইউএনও’র ওপর হামলার দায় স্বীকার করেছে এবং জানিয়েছে এ ঘটনার পরিকল্পনাকারী ও একমাত্র হামলাকারী সে নিজেই। পরে তাকে ওই দিন বিকেলে দিনাজপুর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. ইসমাইল হোসেনের আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড চাওয়া হলে বিজ্ঞ বিচারক ৬ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। গতকাল ছিল ৬ দিনের রিমান্ডের শেষ দিন।
শুক্রবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২০ , ২৮ মহররম ১৪৪২, ৩০ ভাদ্র ১৪২৭
চিত্ত ঘোষ, দিনাজপুর
দিনাজপুর ঘোড়াঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ওয়াহিদা খানম ও তার বাবার ওপর হামলার ঘটনার সর্বশেষ আসামী ঘোড়াঘাট ইউএনও অফিসের সাময়িক বরখাস্ত মালি রবিউল ইসলাম আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি না দেয়ায় পুনরায় তাকে ৩ দিনের রিমান্ডে নেয়া হয়েছে।
গতকাল ছয় দিনের রিমান্ড শেষে কড়া পুলিশ প্রহরায় রবিউলকে আদালতে নেয়া হয়। দিনাজপুর ডিবি পুলিশ সূত্র জানায়, বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রবিউল ইসলামকে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালত-৭ এর বিচারক আঞ্জুমান আরা বেগমের খাস কামরায় নেয়া হয় ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি নেয়ার জন্য। কিন্তু দীর্ঘ ৭ ঘণ্টা ম্যাজিস্ট্রেট-এর খাস কামরায় রেখেও রবিউল ইসলামের কাছ হতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি আদায় করতে পারেনি। জবানবন্দি আদায়ে ব্যর্থ হয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা একই ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সন্ধ্যে সাড়ে ৬টায় ৭ দিনের রিমান্ড চেয়ে পুনরায় আবেদন করলে বিজ্ঞ আদালত ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
রবিউল ইসলামকে গত ৯ সেপ্টেম্বর বিলল উপজেলার বিজোড়া ইউনিয়নের ভীমপুর তার নিজ বাড়ি থেকে আটক করে পুলিশ। আটকের পর পুলিশ জানিয়েছিল প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে রবিউল তার নিজের দোষ ডিবি পুলিশের কাছে স্বীকার করেছে। ১২ সেপ্টেম্বর ইউএনও’র ওপর হামলার বিষয়টি নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন রংপুর রেঞ্জের ডিআইজি দেবদাস ভট্টাচার্য্য। সেদিন তিনি জানিয়েছিলেন, রবিউল ইউএনও’র ওপর হামলার দায় স্বীকার করেছে এবং জানিয়েছে এ ঘটনার পরিকল্পনাকারী ও একমাত্র হামলাকারী সে নিজেই। পরে তাকে ওই দিন বিকেলে দিনাজপুর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. ইসমাইল হোসেনের আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড চাওয়া হলে বিজ্ঞ বিচারক ৬ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। গতকাল ছিল ৬ দিনের রিমান্ডের শেষ দিন।