রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম থানায় করা অস্ত্র মামলায় রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান সাহেদ করিমের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড চায় রাষ্ট্রপক্ষ। গতকাল ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর আবদুল্লাহ আবু শুনানিতে যুক্তি তুলে ধরে আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দাবি করেন। তবে আসমিপক্ষের যুক্তি উপস্থাপনের জন্য ঢাকা মহানগরের এক নম্বর বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক কেএম ইমরুল কায়েশ ২০ সেপ্টেম্বর নতুন দিন ধার্য করেন। এর আগে সাহেদ করিমকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। এ মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের ১৪ জন সাক্ষীর মধ্যে ১১ জনের সাক্ষ্য নেয় আদালত। একই আদালত ২৭ আগস্ট তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। এর আগে গত ৩০ জুলাই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সাহেদ করিমকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দাখিল করে।
চার্জশিটে বলা হয়, অস্ত্রটি আসামি সাহেদের কেনা। তবে সেটি অবৈধ। অস্ত্রটি কেনার পর কোথাও ব্যবহার করা হয়নি। এজন্য ব্যালাস্টিক পরীক্ষায় কোন হাতের ছাপ আসেনি। মামলার তদন্তকালে প্রমাণিত হয়েছে, আসামি সাহেদ অবৈধভাবে অস্ত্র ও গুলি তার নিজ দখলে রেখেছে। এর আগে গোয়েন্দা পুলিশের রিমান্ড চলাকালীন অবস্থায় সাহেবকে নিয়ে উত্তরার একটি বাসায় অভিযান চালানো হয়। পরে সেখান থেকে অস্ত্র, গুলি মাদক উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় ডিবি আলাদা দুটি মামলা করে।
এর আগে গত ১৫ জুলাই ভোরে সাতক্ষীরার দেবহাটা সীমান্ত থেকে গ্রেফতার করা হয় সাহেদকে। পরদিন করোনা পরীক্ষার নামে ভুয়া রিপোর্টসহ বিভিন্ন প্রতারণার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় সাহেদের ১০ দিনের রিমান্ডে পাঠায় আদালত। রিমান্ড চলাকালীন সাহেদ করিমকে নিয়ে ১৮ জুলাই রাতে উত্তরায় অভিযান চালিয়ে অস্ত্র ও মাদক উদ্ধার করে গোয়েন্দা পুলিশ। পরে উত্তরা পশ্চিম থানায় তার বিরুদ্ধে অস্ত্র ও মাদক আইনে মামলা হয়।
এর আগে গত ৬ জুলাই সাহেদের মালিকানাধীন রিজেন্ট হাসপাতালের উত্তরা ও মিরপুরের দুই শাখায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন র্যাব। অভিযানে ভুয়া করোনা টেস্টের রিপোর্ট, করোনা চিকিৎসার নামে রোগীদের কাছ থেকে অর্থ আদায়সহ নানা অনিয়ম উঠে আসে। ওইদিনই রিজেন্ট হাসপাতালের দুটি শাখাকেই সিলগালা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এরপর সন্ধ্যায় হাসপাতালের কার্যক্রম বন্ধের নির্দেশ দেয় স্বাস্থ্য অধিদফতর।
শুক্রবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২০ , ২৮ মহররম ১৪৪২, ৩০ ভাদ্র ১৪২৭
আদালত বার্তা পরিবেশক
রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম থানায় করা অস্ত্র মামলায় রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান সাহেদ করিমের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড চায় রাষ্ট্রপক্ষ। গতকাল ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর আবদুল্লাহ আবু শুনানিতে যুক্তি তুলে ধরে আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দাবি করেন। তবে আসমিপক্ষের যুক্তি উপস্থাপনের জন্য ঢাকা মহানগরের এক নম্বর বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক কেএম ইমরুল কায়েশ ২০ সেপ্টেম্বর নতুন দিন ধার্য করেন। এর আগে সাহেদ করিমকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। এ মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের ১৪ জন সাক্ষীর মধ্যে ১১ জনের সাক্ষ্য নেয় আদালত। একই আদালত ২৭ আগস্ট তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। এর আগে গত ৩০ জুলাই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সাহেদ করিমকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দাখিল করে।
চার্জশিটে বলা হয়, অস্ত্রটি আসামি সাহেদের কেনা। তবে সেটি অবৈধ। অস্ত্রটি কেনার পর কোথাও ব্যবহার করা হয়নি। এজন্য ব্যালাস্টিক পরীক্ষায় কোন হাতের ছাপ আসেনি। মামলার তদন্তকালে প্রমাণিত হয়েছে, আসামি সাহেদ অবৈধভাবে অস্ত্র ও গুলি তার নিজ দখলে রেখেছে। এর আগে গোয়েন্দা পুলিশের রিমান্ড চলাকালীন অবস্থায় সাহেবকে নিয়ে উত্তরার একটি বাসায় অভিযান চালানো হয়। পরে সেখান থেকে অস্ত্র, গুলি মাদক উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় ডিবি আলাদা দুটি মামলা করে।
এর আগে গত ১৫ জুলাই ভোরে সাতক্ষীরার দেবহাটা সীমান্ত থেকে গ্রেফতার করা হয় সাহেদকে। পরদিন করোনা পরীক্ষার নামে ভুয়া রিপোর্টসহ বিভিন্ন প্রতারণার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় সাহেদের ১০ দিনের রিমান্ডে পাঠায় আদালত। রিমান্ড চলাকালীন সাহেদ করিমকে নিয়ে ১৮ জুলাই রাতে উত্তরায় অভিযান চালিয়ে অস্ত্র ও মাদক উদ্ধার করে গোয়েন্দা পুলিশ। পরে উত্তরা পশ্চিম থানায় তার বিরুদ্ধে অস্ত্র ও মাদক আইনে মামলা হয়।
এর আগে গত ৬ জুলাই সাহেদের মালিকানাধীন রিজেন্ট হাসপাতালের উত্তরা ও মিরপুরের দুই শাখায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন র্যাব। অভিযানে ভুয়া করোনা টেস্টের রিপোর্ট, করোনা চিকিৎসার নামে রোগীদের কাছ থেকে অর্থ আদায়সহ নানা অনিয়ম উঠে আসে। ওইদিনই রিজেন্ট হাসপাতালের দুটি শাখাকেই সিলগালা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এরপর সন্ধ্যায় হাসপাতালের কার্যক্রম বন্ধের নির্দেশ দেয় স্বাস্থ্য অধিদফতর।