বারবাডোস সরাবে ব্রিটেনের রানীকে

অক্টোবরে বারবাডোসে গার্ড অব অনার পাচ্ছেন ব্রিটেনের রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথ। রাষ্ট্রীয় প্রধানের পদ থেকে ব্রিটেনের রানীকে সরাবে বারবাডোস। এ পদ থেকে ব্রিটেনের রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথকে সরিয়ে প্রজাতন্ত্র হিসেবে আত্মপ্রকাশের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ক্যারিবীয় দ্বীপরাষ্ট্র বারবাডোস। একসময় ব্রিটিশ উপনিবেশ ছিল বারবাডোস। বারবাডোসের প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শে ব্রিটেনের রানী দ্বীপরাষ্ট্রটির গভর্নর জেনারেল নিয়োগ দেন। গভর্নর জেনারেল সংসদ অধিবেশনসহ রাষ্ট্রীয় বিভিন্ন আনুষ্ঠান উদ্বোধনে রানীর প্রতিনিধিত্ব করেন। দ্য টাইমস।

আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের এক প্রতিবেদনে প্রকাশিত রানী এলিজাবেথ যুক্তরাজ্যের রাষ্ট্রীয় প্রধান হওয়ার পাশাপাশি ব্রিটিশ শাসনাধীনে থাকা আরও ১৫টি দেশের রাষ্ট্রীয় প্রধানের মর্যাদায় রয়েছে। অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, কানাডা, জ্যামাইকাসহ ক্যারিবীয় দ্বীপ এবং ভারত মহাসাগরের কিছু দেশ। পূর্বেও বেশ কিছু দেশ রাষ্ট্রপ্রধানের পদ থেকে ব্রিটেনের রানীকে বাদ দেয়ার মাধ্যমে প্রজাতন্ত্রে পরিণত হয়েছে।

১৯৬৬-এর ৩০ নভেম্বর ব্রিটিশ শাসন থেকে মুক্ত হয় দেশটি। তারপরও দেশটি ব্রিটিশ রাজবংশের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক সম্পর্ক রক্ষা করে চলছিল।

তবে এবার ঔপনিবেশিক অতীত থেকে পুরোপুরি বেরিয়ে আসতে চায় বারবাডোস। ২০২১ সালের নভেম্বরে স্বাধীনতার ৫৫তম বার্ষিকীতে রাষ্ট্রীয় প্রধানের পদ থেকে ব্রিটিনের রানীকে সরিয়ে দিতে চায় দেশটির সরকার। বারবাডোসের প্রধানমন্ত্রী মিয়া মোটলির পক্ষ থেকে গভর্নর জেনারেল সান্ড্রা মেসন বলেন, ‘আমাদের ঔপনিবেশিক অতীত পুরোপুরি পেছনে ফেলে আসার সময় হয়েছে। বারবাডিয়ান কাউকেই রাষ্ট্রের প্রধান হিসেবে দেখতে চান বারবাডোসবাসী। এদিকে, বাকিংহাম প্যালেস থেকে বলা হয়েছে, বিষয়টি সম্পূর্ণরূপে বারবাডোসবাসীর। ব্রিটেনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে বলা হয়েছে, এ সিদ্ধান্ত নেয়ার অধিকার শুধু বারবাডোসের জনগণের। সিদ্ধান্ত যা-ই হোক, বারবাডোসের সঙ্গে ব্রিটেনের সম্পর্ক আগের মতোই থাকবে।

শুক্রবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২০ , ২৮ মহররম ১৪৪২, ৩০ ভাদ্র ১৪২৭

বারবাডোস সরাবে ব্রিটেনের রানীকে

image

অক্টোবরে বারবাডোসে গার্ড অব অনার পাচ্ছেন ব্রিটেনের রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথ। রাষ্ট্রীয় প্রধানের পদ থেকে ব্রিটেনের রানীকে সরাবে বারবাডোস। এ পদ থেকে ব্রিটেনের রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথকে সরিয়ে প্রজাতন্ত্র হিসেবে আত্মপ্রকাশের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ক্যারিবীয় দ্বীপরাষ্ট্র বারবাডোস। একসময় ব্রিটিশ উপনিবেশ ছিল বারবাডোস। বারবাডোসের প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শে ব্রিটেনের রানী দ্বীপরাষ্ট্রটির গভর্নর জেনারেল নিয়োগ দেন। গভর্নর জেনারেল সংসদ অধিবেশনসহ রাষ্ট্রীয় বিভিন্ন আনুষ্ঠান উদ্বোধনে রানীর প্রতিনিধিত্ব করেন। দ্য টাইমস।

আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের এক প্রতিবেদনে প্রকাশিত রানী এলিজাবেথ যুক্তরাজ্যের রাষ্ট্রীয় প্রধান হওয়ার পাশাপাশি ব্রিটিশ শাসনাধীনে থাকা আরও ১৫টি দেশের রাষ্ট্রীয় প্রধানের মর্যাদায় রয়েছে। অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, কানাডা, জ্যামাইকাসহ ক্যারিবীয় দ্বীপ এবং ভারত মহাসাগরের কিছু দেশ। পূর্বেও বেশ কিছু দেশ রাষ্ট্রপ্রধানের পদ থেকে ব্রিটেনের রানীকে বাদ দেয়ার মাধ্যমে প্রজাতন্ত্রে পরিণত হয়েছে।

১৯৬৬-এর ৩০ নভেম্বর ব্রিটিশ শাসন থেকে মুক্ত হয় দেশটি। তারপরও দেশটি ব্রিটিশ রাজবংশের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক সম্পর্ক রক্ষা করে চলছিল।

তবে এবার ঔপনিবেশিক অতীত থেকে পুরোপুরি বেরিয়ে আসতে চায় বারবাডোস। ২০২১ সালের নভেম্বরে স্বাধীনতার ৫৫তম বার্ষিকীতে রাষ্ট্রীয় প্রধানের পদ থেকে ব্রিটিনের রানীকে সরিয়ে দিতে চায় দেশটির সরকার। বারবাডোসের প্রধানমন্ত্রী মিয়া মোটলির পক্ষ থেকে গভর্নর জেনারেল সান্ড্রা মেসন বলেন, ‘আমাদের ঔপনিবেশিক অতীত পুরোপুরি পেছনে ফেলে আসার সময় হয়েছে। বারবাডিয়ান কাউকেই রাষ্ট্রের প্রধান হিসেবে দেখতে চান বারবাডোসবাসী। এদিকে, বাকিংহাম প্যালেস থেকে বলা হয়েছে, বিষয়টি সম্পূর্ণরূপে বারবাডোসবাসীর। ব্রিটেনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে বলা হয়েছে, এ সিদ্ধান্ত নেয়ার অধিকার শুধু বারবাডোসের জনগণের। সিদ্ধান্ত যা-ই হোক, বারবাডোসের সঙ্গে ব্রিটেনের সম্পর্ক আগের মতোই থাকবে।