পুলিশের প্রথম সাইবার ক্রাইম ইউনিট চালু

উত্তরাঞ্চলে পুলিশের প্রথম পূর্ণাঙ্গ সাইবার ক্রাইম ইউনিট চালু হলো রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশে। গতকাল আরএমপি সদর দফতরে কম্পিউটারের সুইচ টিপে এ ইউনিটের উদ্বোধন করেন পুলিশ কমিশনার (ডিআইজি) আবু কালাম সিদ্দিক।

আরএমপির উপকমিশনার সদর ও বিশেষ শাখার দায়িত্বপ্রাপ্ত উপকমিশনার রাশিদুল হাসান এবং কাশিয়াডাঙ্গা জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার উৎপল কুমার চৌধুরীর নেতৃত্বে পুলিশের প্রশিক্ষিত ও চৌকস একটি টিম এ ইউনিটের সার্বিক তত্ত্বাবধান করবেন।

উদ্বোধন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি পুলিশ কমিশনার বলেন, সাইবার ক্রাইম অপরাধ দমন ও নিয়ন্ত্রণে দেশের মধ্যে রাজশাহীতে এটি পুলিশের তৃতীয় ইউনিট। সাইবার ক্রাইম ইউনিট জঙ্গি দমন ও প্রতিরোধ ছাড়াও অপরাধীদের গতিবিধি শনাক্তে অত্যন্ত কার্যকর ভূমিকা পালন করবে।

ইতোমধ্যেই ইউনিটের আওতায় তথ্যপ্রযুক্তি সংক্রান্ত উন্নতমানের সব সরঞ্জাম ও যন্ত্রপাতি আরএমপির সাইবার ইউনিটে সংযোজন করা হয়েছে।

উপস্থিত সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে পুলিশ কমিশনার আরও বলেন, দেশে ক্রমবর্ধমান হারে তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ছে। সেই সঙ্গে বাড়ছে তথ্যপ্রযুক্তি তথা সাইবার ক্রাইম সংক্রান্ত বিভিন্ন অপরাধের ঘটনাও। সন্ত্রাসীরাও তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে বিভিন্ন অপরাধ সংঘটিত করছে।

আরএমপির সাইবার ইউনিট এ ধরনের অপরাধ দমনে কার্যকর ভূমিকা পালন করতে পারবে। এক সময় সাইবার ক্রাইম অপরাধের তদন্ত ও অপরাধী শনাক্তে ঢাকায় পুলিশের সাইবার ক্রাইম শাখার সহায়তা নেয়া হতো। তবে এখন থেকে রাজশাহীতে এ ধরনের অপরাধের ঘটনাগুলোর তদন্ত ও অপরাধী শনাক্ত নিজেরাই করতে পারবে পুলিশ।

কমিশনার বলেন, রাজশাহী অঞ্চলে মাদকের চোরাচালান ও চলাচল বেশি রয়েছে। এ ইউনিটের মাধ্যমে মাদক কারবারিদের পরস্পরের মধ্যে যোগাযোগ, গতিবিধি ও চলাচল নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা সম্ভব হবে। তাদের ফোন রেকর্ডসহ ফোনের রুট সহজেই শনাক্ত করা যাবে।

এর বাইরে রাজশাহী অঞ্চলে জঙ্গিদের যোগাযোগ অ্যাপসগুলোকেও নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ ও অনুসরণ করবে এ ইউনিট। ফলে জঙ্গি কার্যকলাপের পূর্বাভাষ আগাম জানতে পারবে পুলিশ। সে অনুযায়ী দ্রুত পদক্ষেপ নিতে পারবে।

আরএমপি কমিশনার আরও বলেন, এখন থেকে সাইবার ক্রাইম সংক্রান্ত সব অভিযোগ ও মামলা রাজশাহী মহানগর পুলিশের বিভিন্ন থানায় নথিভুক্ত হবে। সেসব মামলা তদন্ত করবেন সাইবার ক্রাইম ইউনিটের কর্মকর্তারা। অপরাধীকে শনাক্ত করে তারাই অপরাধীকে গ্রেফতার ও তাদের বিরুদ্ধে আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারবেন।

এতে অভিযোগকারীকে কষ্ট করে ঢাকায় গিয়ে আর তথ্যপ্রযুক্তি সংক্রান্ত অপরাধের অভিযোগ করতে হবে না। প্রতিবেদনের জন্যও আর ঢাকার ওপর আর দীর্ঘসময় অপেক্ষা করার প্রয়োজন হবে না।

এদিকে পুলিশ কমিশনার আরও জানান, ফেসবুক ও টুইটারের মতো জনপ্রিয় সামাজিক মাধ্যম ব্যবহারের ক্ষেত্রে কেউ অপরাধে জড়াচ্ছে কিনা অথবা সন্দেহভাজনরা এই দুটি মাধ্যম ব্যবহার করে কোন সাইবারসহ অন্যান্য অপরাধ করছে কিনা তাও নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করবে আরএমপির সাইবার ক্রাইম ইউনিট।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরএমপির অতিরিক্ত কমিশনার সুজায়েত ইসলাম, সালমা বেগমসহ আরএমপির বিভিন্ন জোনের উপকমিশনার, অতিরিক্ত উপকমিশনার, সহকারী কমিশনার ও বিভিন্ন থানার ওসিরা উপস্থিত ছিলেন।

আরও খবর
মানসিক ভারসাম্যহীন ভারতীয় নাগরিকদের বাংলাদেশে পুশইনসহ বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে আলোচনা
ঢাবির প্রথম পূর্ণাঙ্গ মাস্টার প্ল্যান অনুমোদন
পিয়াজের আড়তে অভিযান : ৭২ হাজার টাকা জরিমানা
চলছে না ফেরি : ঘাটে আটকে আছে শত শত পণ্যবাহী ট্রাক
রাষ্ট্রপতিকে নিয়ে মিথ্যা বক্তব্য দেয়ায় বরখাস্ত আতর আলী
বিএনপি নেতা ও আ’লীগ নেত্রীর বিরুদ্ধে নারীর চুল কেটে নির্যাতনের অভিযোগ
স্কুলছাত্রীকে অপহরণ ও ধর্ষণ মামলায় ধর্ষকের যাবজ্জীবন
যে কোন ব্রান্ডের মোবাইলের আইএমইআই নম্বর পরিবর্তনে দক্ষ ওরা
সাবরিনাসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে চলছে সাক্ষ্য
চট্টগ্রামে প্রতারক চক্র সক্রিয় চাকরির নামে হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা
জঙ্গি সম্পৃক্ততা রাজধানীতে দুইজন গ্রেফতার

শুক্রবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২০ , ২৮ মহররম ১৪৪২, ৩০ ভাদ্র ১৪২৭

রাজশাহীতে

পুলিশের প্রথম সাইবার ক্রাইম ইউনিট চালু

জেলা বার্তা পরিবেশক, রাজশাহী

উত্তরাঞ্চলে পুলিশের প্রথম পূর্ণাঙ্গ সাইবার ক্রাইম ইউনিট চালু হলো রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশে। গতকাল আরএমপি সদর দফতরে কম্পিউটারের সুইচ টিপে এ ইউনিটের উদ্বোধন করেন পুলিশ কমিশনার (ডিআইজি) আবু কালাম সিদ্দিক।

আরএমপির উপকমিশনার সদর ও বিশেষ শাখার দায়িত্বপ্রাপ্ত উপকমিশনার রাশিদুল হাসান এবং কাশিয়াডাঙ্গা জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার উৎপল কুমার চৌধুরীর নেতৃত্বে পুলিশের প্রশিক্ষিত ও চৌকস একটি টিম এ ইউনিটের সার্বিক তত্ত্বাবধান করবেন।

উদ্বোধন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি পুলিশ কমিশনার বলেন, সাইবার ক্রাইম অপরাধ দমন ও নিয়ন্ত্রণে দেশের মধ্যে রাজশাহীতে এটি পুলিশের তৃতীয় ইউনিট। সাইবার ক্রাইম ইউনিট জঙ্গি দমন ও প্রতিরোধ ছাড়াও অপরাধীদের গতিবিধি শনাক্তে অত্যন্ত কার্যকর ভূমিকা পালন করবে।

ইতোমধ্যেই ইউনিটের আওতায় তথ্যপ্রযুক্তি সংক্রান্ত উন্নতমানের সব সরঞ্জাম ও যন্ত্রপাতি আরএমপির সাইবার ইউনিটে সংযোজন করা হয়েছে।

উপস্থিত সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে পুলিশ কমিশনার আরও বলেন, দেশে ক্রমবর্ধমান হারে তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ছে। সেই সঙ্গে বাড়ছে তথ্যপ্রযুক্তি তথা সাইবার ক্রাইম সংক্রান্ত বিভিন্ন অপরাধের ঘটনাও। সন্ত্রাসীরাও তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে বিভিন্ন অপরাধ সংঘটিত করছে।

আরএমপির সাইবার ইউনিট এ ধরনের অপরাধ দমনে কার্যকর ভূমিকা পালন করতে পারবে। এক সময় সাইবার ক্রাইম অপরাধের তদন্ত ও অপরাধী শনাক্তে ঢাকায় পুলিশের সাইবার ক্রাইম শাখার সহায়তা নেয়া হতো। তবে এখন থেকে রাজশাহীতে এ ধরনের অপরাধের ঘটনাগুলোর তদন্ত ও অপরাধী শনাক্ত নিজেরাই করতে পারবে পুলিশ।

কমিশনার বলেন, রাজশাহী অঞ্চলে মাদকের চোরাচালান ও চলাচল বেশি রয়েছে। এ ইউনিটের মাধ্যমে মাদক কারবারিদের পরস্পরের মধ্যে যোগাযোগ, গতিবিধি ও চলাচল নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা সম্ভব হবে। তাদের ফোন রেকর্ডসহ ফোনের রুট সহজেই শনাক্ত করা যাবে।

এর বাইরে রাজশাহী অঞ্চলে জঙ্গিদের যোগাযোগ অ্যাপসগুলোকেও নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ ও অনুসরণ করবে এ ইউনিট। ফলে জঙ্গি কার্যকলাপের পূর্বাভাষ আগাম জানতে পারবে পুলিশ। সে অনুযায়ী দ্রুত পদক্ষেপ নিতে পারবে।

আরএমপি কমিশনার আরও বলেন, এখন থেকে সাইবার ক্রাইম সংক্রান্ত সব অভিযোগ ও মামলা রাজশাহী মহানগর পুলিশের বিভিন্ন থানায় নথিভুক্ত হবে। সেসব মামলা তদন্ত করবেন সাইবার ক্রাইম ইউনিটের কর্মকর্তারা। অপরাধীকে শনাক্ত করে তারাই অপরাধীকে গ্রেফতার ও তাদের বিরুদ্ধে আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারবেন।

এতে অভিযোগকারীকে কষ্ট করে ঢাকায় গিয়ে আর তথ্যপ্রযুক্তি সংক্রান্ত অপরাধের অভিযোগ করতে হবে না। প্রতিবেদনের জন্যও আর ঢাকার ওপর আর দীর্ঘসময় অপেক্ষা করার প্রয়োজন হবে না।

এদিকে পুলিশ কমিশনার আরও জানান, ফেসবুক ও টুইটারের মতো জনপ্রিয় সামাজিক মাধ্যম ব্যবহারের ক্ষেত্রে কেউ অপরাধে জড়াচ্ছে কিনা অথবা সন্দেহভাজনরা এই দুটি মাধ্যম ব্যবহার করে কোন সাইবারসহ অন্যান্য অপরাধ করছে কিনা তাও নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করবে আরএমপির সাইবার ক্রাইম ইউনিট।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরএমপির অতিরিক্ত কমিশনার সুজায়েত ইসলাম, সালমা বেগমসহ আরএমপির বিভিন্ন জোনের উপকমিশনার, অতিরিক্ত উপকমিশনার, সহকারী কমিশনার ও বিভিন্ন থানার ওসিরা উপস্থিত ছিলেন।