জঙ্গি সম্পৃক্ততা রাজধানীতে দুইজন গ্রেফতার

রাজধানীতে নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগে ২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গতকাল এন্টি টেরোরিজম ইউনিট (এটিইউ) এবং র‌্যাপিড এক্যাশন ব্যাটেলিয়ন (র‌্যাবের) পৃথক অভিযানে তাদের গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতরা হলো আবু সায়েম ওরফে সিফাত (২৬) এবং মো. কিরণ হোসেন (২৭)। মোহাম্মদপুর ও ভাটারা এলাকায় পৃথক এ অভিযান চালানো হয়।

এন্টি টেরোরিজম ইউনিটের এসপি (মিডিয়া) মোহাম্মদ আসলাম খান জানান, গত বুধবার রাতে রাজধানীর ভাটারা এলাকা থেকে জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের সদস্য মো. কিরণ হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়। কিরণ লক্ষ্মীপুর জেলার রাজিবপুর গ্রামের মো. আবদুল শহিদের ছেলে। গ্রেফতার হওয়া কিরণ ফেইসবুক আইডি ব্যবহার করে আনসার আল ইসলামের কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছিল। জঙ্গি সংক্রান্ত মতবাদ প্রচার, অস্ত্র চালানোর প্রশিক্ষণ, জঙ্গি হামলার জন্য শারীরিক শিক্ষা গ্রহণ, বিভিন্ন জিহাদী পোস্টে লাইক দেয়ার জন্য উৎসাহ দেয়োর পাশাপাশি সে নিজেকে হামলার জন্য প্রশিক্ষিত সৈনিক হিসেবে তৈরি করছিল। এ ঘটনায় তার বিরুদ্ধে ভাটারা থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।

র‌্যাব ২ এর সহকারী পরিচালক এএসপি মো. আবদুল্লাহ আল মামুন জানান, গতকাল বিকেলে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের শ্যামলী রিং রোড এলাকা থেকে আবু সায়েম ওরফে সিফাতকে গ্রেফতার করা হয়। গত সপ্তাহে জঙ্গি সংগঠনের চার সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। তাদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে র‌্যাব-২-এর একটি দল মোহাম্মদপুরেরর শ্যামলী লিংক রোডে অভিযান চালায়। অভিযানে আনসার আল ইসলামের সক্রিয় সদস্যকে সিফাতকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার সিফাত দেশের বিভিন্ন স্থানে নিষিদ্ধ ঘোষিত উগ্র ইসলামী জঙ্গিবাদী জিহাদি বই ও প্রচারপত্র প্রচার করে। সেই সঙ্গে নতুন সদস্যদের দলভুক্ত করার কাজে নিয়োজিত রয়েছে। তাদের লক্ষ্য ধর্মীয় উগ্রবাদী মনোভাবসম্পন্ন তরুণদের জিহাদে উদ্বুদ্ধ করা ও নাশকতা করা। আসামি সিফাতের ল্যাপটপ ও মোবাইল তল্লাশি করে জঙ্গিবাদের সঙ্গে জড়িত থাকার সরাসরি প্রমাণ পাওয়া গেছে।

আরও খবর
মানসিক ভারসাম্যহীন ভারতীয় নাগরিকদের বাংলাদেশে পুশইনসহ বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে আলোচনা
ঢাবির প্রথম পূর্ণাঙ্গ মাস্টার প্ল্যান অনুমোদন
পিয়াজের আড়তে অভিযান : ৭২ হাজার টাকা জরিমানা
চলছে না ফেরি : ঘাটে আটকে আছে শত শত পণ্যবাহী ট্রাক
রাষ্ট্রপতিকে নিয়ে মিথ্যা বক্তব্য দেয়ায় বরখাস্ত আতর আলী
বিএনপি নেতা ও আ’লীগ নেত্রীর বিরুদ্ধে নারীর চুল কেটে নির্যাতনের অভিযোগ
পুলিশের প্রথম সাইবার ক্রাইম ইউনিট চালু
স্কুলছাত্রীকে অপহরণ ও ধর্ষণ মামলায় ধর্ষকের যাবজ্জীবন
যে কোন ব্রান্ডের মোবাইলের আইএমইআই নম্বর পরিবর্তনে দক্ষ ওরা
সাবরিনাসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে চলছে সাক্ষ্য
চট্টগ্রামে প্রতারক চক্র সক্রিয় চাকরির নামে হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা

শুক্রবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২০ , ২৮ মহররম ১৪৪২, ৩০ ভাদ্র ১৪২৭

জঙ্গি সম্পৃক্ততা রাজধানীতে দুইজন গ্রেফতার

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক |

রাজধানীতে নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগে ২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গতকাল এন্টি টেরোরিজম ইউনিট (এটিইউ) এবং র‌্যাপিড এক্যাশন ব্যাটেলিয়ন (র‌্যাবের) পৃথক অভিযানে তাদের গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতরা হলো আবু সায়েম ওরফে সিফাত (২৬) এবং মো. কিরণ হোসেন (২৭)। মোহাম্মদপুর ও ভাটারা এলাকায় পৃথক এ অভিযান চালানো হয়।

এন্টি টেরোরিজম ইউনিটের এসপি (মিডিয়া) মোহাম্মদ আসলাম খান জানান, গত বুধবার রাতে রাজধানীর ভাটারা এলাকা থেকে জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের সদস্য মো. কিরণ হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়। কিরণ লক্ষ্মীপুর জেলার রাজিবপুর গ্রামের মো. আবদুল শহিদের ছেলে। গ্রেফতার হওয়া কিরণ ফেইসবুক আইডি ব্যবহার করে আনসার আল ইসলামের কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছিল। জঙ্গি সংক্রান্ত মতবাদ প্রচার, অস্ত্র চালানোর প্রশিক্ষণ, জঙ্গি হামলার জন্য শারীরিক শিক্ষা গ্রহণ, বিভিন্ন জিহাদী পোস্টে লাইক দেয়ার জন্য উৎসাহ দেয়োর পাশাপাশি সে নিজেকে হামলার জন্য প্রশিক্ষিত সৈনিক হিসেবে তৈরি করছিল। এ ঘটনায় তার বিরুদ্ধে ভাটারা থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।

র‌্যাব ২ এর সহকারী পরিচালক এএসপি মো. আবদুল্লাহ আল মামুন জানান, গতকাল বিকেলে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের শ্যামলী রিং রোড এলাকা থেকে আবু সায়েম ওরফে সিফাতকে গ্রেফতার করা হয়। গত সপ্তাহে জঙ্গি সংগঠনের চার সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। তাদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে র‌্যাব-২-এর একটি দল মোহাম্মদপুরেরর শ্যামলী লিংক রোডে অভিযান চালায়। অভিযানে আনসার আল ইসলামের সক্রিয় সদস্যকে সিফাতকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার সিফাত দেশের বিভিন্ন স্থানে নিষিদ্ধ ঘোষিত উগ্র ইসলামী জঙ্গিবাদী জিহাদি বই ও প্রচারপত্র প্রচার করে। সেই সঙ্গে নতুন সদস্যদের দলভুক্ত করার কাজে নিয়োজিত রয়েছে। তাদের লক্ষ্য ধর্মীয় উগ্রবাদী মনোভাবসম্পন্ন তরুণদের জিহাদে উদ্বুদ্ধ করা ও নাশকতা করা। আসামি সিফাতের ল্যাপটপ ও মোবাইল তল্লাশি করে জঙ্গিবাদের সঙ্গে জড়িত থাকার সরাসরি প্রমাণ পাওয়া গেছে।