শিক্ষা জাতির মেরুদণ্ড। আজকে যারা শিক্ষার্থী, তারাই আগামীতে দেশকে নেতৃত্ব দেবে। ঘুষ ও দুর্নীতিমুক্ত দেশ গঠনে মুখ্য ভূমিকা রাখবে। আর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কাজ হলো শিক্ষার্থীর প্রতিভা বিকশিত করে, দেশের তরে কাজ করার মন-মানসিকতা তৈরি করে দেয়া। শিক্ষার্থীর মধ্যকার ঘুমন্ত প্রতিভা জাগ্রত করা বা সম্ভবনার পথ নির্দেশক বের করা। কিন্তু যদি সেই মানুষ গড়ার কারখানা, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেই চলে দুর্নীতি আর অব্যবস্থাপনা, তাহলে আমরা দুর্নীতি মুক্ত আগামীর বাংলাদেশ কীভাবে কল্পনা করি?
বর্তমানে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তির নামে চলছে অবাধ বাণিজ্য। এই ভর্তি বাণিজ্য কি দুর্নীতি নয়! যেখান থেকে শিক্ষার্থীরা দুর্নীতি মুক্ত দেশ গঠনের শপথ নিবে, সেখানে শিক্ষাপীঠে ভর্তি হতেই অব্যবস্থাপনা ও দুর্নীতি দেখতে হচ্ছে তাদের। এ থেকে কি শিক্ষা নিবে তারা! স্কুলে ভর্তির মৌসুমে রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সরকার নির্ধারিত ভর্তি ফির বাইরে ‘গলাকাটা’ অর্থ অভিভাবকদের কাছ থেকে আদায় করে বিভিন্ন নামিদামি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। বিভিন্ন ধরনের উন্নয়নের নাম করে ঢাকার নামিদামি স্কুলগুলোতে অভিভাবকদের কাছ থেকে গড়ে মাথাপিছু অতিরিক্ত ৫,০০০ থেকে ৩৫,০০০ টাকা আদায় করা হয়। অভিভাবকরাও ভালো প্রতিষ্ঠানে ভর্তি করানোর জন্য বেশি পরিমাণে টাকা দিতে বাধ্য হোন।
দেখা যায় ভর্তির ব্যাপারে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো মানে না কোন সরকারি নির্দেশনা। সরকারি নির্দেশনাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে প্রতি বছর আড়ালে-আবডালে ভর্তি বাণিজ্য চালিয়ে যায় তারা। ভর্তির সময় বেশি টাকা নেয়ার ব্যাপারে স্কুলগুলোর বক্তব্য হচ্ছে, ব্যয় বেড়েছে। তাই বাধ্য হয়েই অতিরিক্ত অর্থ নিতে হচ্ছে, যা কোনভাবেই কাম্য হতে পারে না। ব্যয় বেড়েছে বলে, সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে। শিক্ষকদের বেতন স্কেল বৃদ্ধি করেছে। ভর্তি বাণিজ্যে সরকারি কলেজের চেয়ে বেসরকারি কলেজগুলো দৌড়ে অনেক এগিয়ে। উপরমহলের যথাযথ পদক্ষেপের অভাবে বেসরকারি কলেজগুলো লাগামহীন হয়ে গেছে। প্রতি বছর ভর্তির মৌসুমে শিক্ষার্থীদের অভিভাবকের কাছ থেকে ভর্তির নাম করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসমূহের কর্তাব্যক্তিদের সদিচ্ছাই পারে এ ভর্তি বাণিজ্য রোধ করে, অবাধ ও সুষ্ঠু ভর্তি কার্যক্রম পরিচালনা করতে। আমরা আশাবাদী, সরকারি এ নির্দেশনা প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পুরোপুরিভাবে অনুসরণ করবে এবং ভর্তি বাণিজ্য রোধে সোচ্চার ভূমিকা পালন করবে।
জয়নুল হক
শুক্রবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২০ , ২৮ মহররম ১৪৪২, ৩০ ভাদ্র ১৪২৭
শিক্ষা জাতির মেরুদণ্ড। আজকে যারা শিক্ষার্থী, তারাই আগামীতে দেশকে নেতৃত্ব দেবে। ঘুষ ও দুর্নীতিমুক্ত দেশ গঠনে মুখ্য ভূমিকা রাখবে। আর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কাজ হলো শিক্ষার্থীর প্রতিভা বিকশিত করে, দেশের তরে কাজ করার মন-মানসিকতা তৈরি করে দেয়া। শিক্ষার্থীর মধ্যকার ঘুমন্ত প্রতিভা জাগ্রত করা বা সম্ভবনার পথ নির্দেশক বের করা। কিন্তু যদি সেই মানুষ গড়ার কারখানা, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেই চলে দুর্নীতি আর অব্যবস্থাপনা, তাহলে আমরা দুর্নীতি মুক্ত আগামীর বাংলাদেশ কীভাবে কল্পনা করি?
বর্তমানে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তির নামে চলছে অবাধ বাণিজ্য। এই ভর্তি বাণিজ্য কি দুর্নীতি নয়! যেখান থেকে শিক্ষার্থীরা দুর্নীতি মুক্ত দেশ গঠনের শপথ নিবে, সেখানে শিক্ষাপীঠে ভর্তি হতেই অব্যবস্থাপনা ও দুর্নীতি দেখতে হচ্ছে তাদের। এ থেকে কি শিক্ষা নিবে তারা! স্কুলে ভর্তির মৌসুমে রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সরকার নির্ধারিত ভর্তি ফির বাইরে ‘গলাকাটা’ অর্থ অভিভাবকদের কাছ থেকে আদায় করে বিভিন্ন নামিদামি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। বিভিন্ন ধরনের উন্নয়নের নাম করে ঢাকার নামিদামি স্কুলগুলোতে অভিভাবকদের কাছ থেকে গড়ে মাথাপিছু অতিরিক্ত ৫,০০০ থেকে ৩৫,০০০ টাকা আদায় করা হয়। অভিভাবকরাও ভালো প্রতিষ্ঠানে ভর্তি করানোর জন্য বেশি পরিমাণে টাকা দিতে বাধ্য হোন।
দেখা যায় ভর্তির ব্যাপারে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো মানে না কোন সরকারি নির্দেশনা। সরকারি নির্দেশনাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে প্রতি বছর আড়ালে-আবডালে ভর্তি বাণিজ্য চালিয়ে যায় তারা। ভর্তির সময় বেশি টাকা নেয়ার ব্যাপারে স্কুলগুলোর বক্তব্য হচ্ছে, ব্যয় বেড়েছে। তাই বাধ্য হয়েই অতিরিক্ত অর্থ নিতে হচ্ছে, যা কোনভাবেই কাম্য হতে পারে না। ব্যয় বেড়েছে বলে, সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে। শিক্ষকদের বেতন স্কেল বৃদ্ধি করেছে। ভর্তি বাণিজ্যে সরকারি কলেজের চেয়ে বেসরকারি কলেজগুলো দৌড়ে অনেক এগিয়ে। উপরমহলের যথাযথ পদক্ষেপের অভাবে বেসরকারি কলেজগুলো লাগামহীন হয়ে গেছে। প্রতি বছর ভর্তির মৌসুমে শিক্ষার্থীদের অভিভাবকের কাছ থেকে ভর্তির নাম করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসমূহের কর্তাব্যক্তিদের সদিচ্ছাই পারে এ ভর্তি বাণিজ্য রোধ করে, অবাধ ও সুষ্ঠু ভর্তি কার্যক্রম পরিচালনা করতে। আমরা আশাবাদী, সরকারি এ নির্দেশনা প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পুরোপুরিভাবে অনুসরণ করবে এবং ভর্তি বাণিজ্য রোধে সোচ্চার ভূমিকা পালন করবে।
জয়নুল হক