রাজিবপুরে শিশু শ্রমিককে বেঁধে রেখে নির্যাতন! গ্রেফতার এক

পাওনা টাকা চাইতে আসার কারণে কুড়িগ্রামের রাজিবপুর বাজারের এক হোটেল মালিক তার শিশু কর্মচারী সাগরকে(১২) ঘণ্টা বেঁধে রেখে নির্যাতনের অভিযোগে রাজিবপুর থানা পুলিশ ১ জনকে আটক করে জেলহাজতে প্রেরণ করেছে। জানা গেছে, বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টার দিকে রাজিবপুর নামা বাজারের সায়েম হোটেল এর মালিক সায়েম মিয়ার নির্দেশে তার ছোট ভাই শফি আলম ওরফে দুখু তাকে জিআই তার দিয়ে হাত ও পা বেঁধে রান্না ঘরের খুঁটির সঙ্গে বেঁধে, সন্ধ্যা ৭ পর্যন্ত নির্যাতন চালায়। অপরাধ হিসেবে জানা গেছে, জ্বরের কারণে শিশুটি ২-৩ দিন কাজে আসতে পারেনি। বৃহস্পতিবার বিকেলে এসে তার অবস্থার কথা জানিয়ে তার পাওনা টাকা চায়। মালিক এতে রেগে টাকা দিতে অস্বীকার জানায়। এতে শিশুটি মালিকের সঙ্গে একটু চড়া কথা বলে, তখনি মালিক সায়েম ইশারা দিলে তার ছোট ভাই শফিআলম শিশু শ্রমিক সাগরকে হাত-পা জিআই তার দিয়ে বেধে রাখে। এদিকে শিশুটির মা মমতা বেগম খবর পেয়ে হোটেলে ছুটে আসে। তার সন্তানকে ছেড়ে দিতে বলে। তবুও তাকে ছেড়ে দেয়া হয়নি। এমন সময় স্থানীয় সাংবাদিক শহিজল হোসেন সজল বিষয়টি জানতে পান। ঘটনাস্থলে এসে শিশুটির হাত-পা বাঁধা অবস্থায় নির্যাতিত শিশুটিকে ক্যামেরা বন্দী করেন। পরে রাজিবপুর থানা পুলিশকে মোবাইল করেন। সঙ্গে সঙ্গে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে হাজির হন। নির্যাতিত শিশু ও তা মাকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যান। নির্যাতিত শিশুর মা মমতা বেগম রাজিবপুর থানায় লিখিত অভিযোগ করলে সায়েম হোটেল এর ছোট ভাই শফিআলম ওরফে দুখুকে গ্রেফতার করেন। এ ব্যাপারে চর রাজিবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ নবীউল ইসলাম জানান, শিশু আইন ২০১৩ এর ৭০ ধারায় শিশুর সঙ্গে নির্দয়-নিষ্ঠুর আচরণ করায় তার নামে মামলা হয়েছে। আসামি শফিআলমকে শুক্রবার কুড়িগ্রাম জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।

শনিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২০ , ২৯ মহররম ১৪৪২, ০১ আশ্বিন ১৪২৭

রাজিবপুরে শিশু শ্রমিককে বেঁধে রেখে নির্যাতন! গ্রেফতার এক

প্রতিনিধি, রাজিবপুর(কুড়িগ্রাম)

পাওনা টাকা চাইতে আসার কারণে কুড়িগ্রামের রাজিবপুর বাজারের এক হোটেল মালিক তার শিশু কর্মচারী সাগরকে(১২) ঘণ্টা বেঁধে রেখে নির্যাতনের অভিযোগে রাজিবপুর থানা পুলিশ ১ জনকে আটক করে জেলহাজতে প্রেরণ করেছে। জানা গেছে, বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টার দিকে রাজিবপুর নামা বাজারের সায়েম হোটেল এর মালিক সায়েম মিয়ার নির্দেশে তার ছোট ভাই শফি আলম ওরফে দুখু তাকে জিআই তার দিয়ে হাত ও পা বেঁধে রান্না ঘরের খুঁটির সঙ্গে বেঁধে, সন্ধ্যা ৭ পর্যন্ত নির্যাতন চালায়। অপরাধ হিসেবে জানা গেছে, জ্বরের কারণে শিশুটি ২-৩ দিন কাজে আসতে পারেনি। বৃহস্পতিবার বিকেলে এসে তার অবস্থার কথা জানিয়ে তার পাওনা টাকা চায়। মালিক এতে রেগে টাকা দিতে অস্বীকার জানায়। এতে শিশুটি মালিকের সঙ্গে একটু চড়া কথা বলে, তখনি মালিক সায়েম ইশারা দিলে তার ছোট ভাই শফিআলম শিশু শ্রমিক সাগরকে হাত-পা জিআই তার দিয়ে বেধে রাখে। এদিকে শিশুটির মা মমতা বেগম খবর পেয়ে হোটেলে ছুটে আসে। তার সন্তানকে ছেড়ে দিতে বলে। তবুও তাকে ছেড়ে দেয়া হয়নি। এমন সময় স্থানীয় সাংবাদিক শহিজল হোসেন সজল বিষয়টি জানতে পান। ঘটনাস্থলে এসে শিশুটির হাত-পা বাঁধা অবস্থায় নির্যাতিত শিশুটিকে ক্যামেরা বন্দী করেন। পরে রাজিবপুর থানা পুলিশকে মোবাইল করেন। সঙ্গে সঙ্গে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে হাজির হন। নির্যাতিত শিশু ও তা মাকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যান। নির্যাতিত শিশুর মা মমতা বেগম রাজিবপুর থানায় লিখিত অভিযোগ করলে সায়েম হোটেল এর ছোট ভাই শফিআলম ওরফে দুখুকে গ্রেফতার করেন। এ ব্যাপারে চর রাজিবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ নবীউল ইসলাম জানান, শিশু আইন ২০১৩ এর ৭০ ধারায় শিশুর সঙ্গে নির্দয়-নিষ্ঠুর আচরণ করায় তার নামে মামলা হয়েছে। আসামি শফিআলমকে শুক্রবার কুড়িগ্রাম জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।