সান্তাহার ভূমি অফিসে নামজারিতে অতিরিক্ত টাকা নেয়ার অভিযোগ

বগুড়ার আদমদীঘির সান্তাহার ভূমি অফিসের ‘ক’ ইউনিয়নের তহসিলদার মশিউর রহমানের বিরুদ্ধে অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক নামজারি করতে আসা কয়েকজন জমির মালিক বৃহস্পতিবার সকালে এ অভিযোগ করেন।

জানা যায়, চলতি বছরের শুরুর দিকে বগুড়ার নন্দীগ্রাম থেকে সান্তাহার ভূমি অফিসে তহসিলদার পদে যোগদান করেন মশিউর রহমান। যোগদানের পর থেকে নামজারি করতে আসা জমির মালিকদের কাছ থেকে অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের কাজে ব্যবহার করেন ওই অফিসের অফিস সহায়কদের। সেবা নিতে আসা এসব মানুষের কাগজপত্র তিনি সরাসরি না দেখে ‘খ’ ইউনিয়নের অফিস সহায়ক জামাল উদ্দীনকে দিয়ে দেখান। আবার এসব অফিস সহায়করাই (পিয়ন) নামজারি করতে খরচের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তবে জমির মালিকদের কাগজপত্র ঠিক থাকুক বা না থাকুক নির্ধারিত ফি এর চেয়ে গুণতে হয় অতিরিক্ত অর্থ। মঙ্গলবার সকালে তথ্য অনুসন্ধানে গিয়ে দেখা যায়, তহসিলদার মশিউর রহমানের কাছে ‘ক’ ইউনিয়নের তারাপুর মৌজার একটি জমির (২ শতাংশ) নামজারি করতে আসেন আসলাম হোসেন নামের এক ব্যক্তি। তিনি নিজে কাগজপত্র না দেখে অফিস সহায়ককে দেখাতে বলেন। কাগজপত্রে কোন ত্রুটি নেই বলে অফিস সহায়ক জমির মালিককে নিশ্চিত করেন। এরপর খরচের বিষয় জানতে চাইলে তিনি সরাসরি বলেন, ৮ হাজার টাকা লাগবে এর নিচে হবে না। জমির মালিক ফের তহসিলদার মশিউর রহমানের কাছে গেলে তিনি আবারও অফিস সহায়কের সঙ্গে কথা বলতে বলেন। এতে তিনি নিরুপায় হয়ে অবশেষে পরের দিন বুধবার দুপুরে নামজারি করতে কাগজপত্র জমা দেন।

খরচের বিষয়ে জানতে চাইলে তহসিলদার মশিউর রহামান বলেন, কিছু মনে করবেন না খরচের বিষয়ে আমি কোন কথা বলি না। আমার সাথে তাদের সম্পর্ক শুধু খাজনা নিয়ে। আমার টেবিলে নথি জমা হলে সহি করে ছেড়ে দিই। নথিটা কার কি সমস্যা সে ব্যাপরে একটি কথাও বলব না। সুতরাং যা কিছু কাজ করে নেয়ার তাদের মাধ্যমে করাতে হবে।

উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মাহবুবা হক বলেন, এদের বিরুদ্ধে ইতোপূর্বে অনেকবার অভিযোগ এসেছে। তাদের ডেকে এসব কাজ থেকে দূরে থাকতে সতর্ক করা হয়েছে। তবে এবার বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

রবিবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২০ , ৩০ মহররম ১৪৪২, ০২ আশ্বিন ১৪২৭

সান্তাহার ভূমি অফিসে নামজারিতে অতিরিক্ত টাকা নেয়ার অভিযোগ

প্রতিনিধি, বগুড়া

বগুড়ার আদমদীঘির সান্তাহার ভূমি অফিসের ‘ক’ ইউনিয়নের তহসিলদার মশিউর রহমানের বিরুদ্ধে অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক নামজারি করতে আসা কয়েকজন জমির মালিক বৃহস্পতিবার সকালে এ অভিযোগ করেন।

জানা যায়, চলতি বছরের শুরুর দিকে বগুড়ার নন্দীগ্রাম থেকে সান্তাহার ভূমি অফিসে তহসিলদার পদে যোগদান করেন মশিউর রহমান। যোগদানের পর থেকে নামজারি করতে আসা জমির মালিকদের কাছ থেকে অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের কাজে ব্যবহার করেন ওই অফিসের অফিস সহায়কদের। সেবা নিতে আসা এসব মানুষের কাগজপত্র তিনি সরাসরি না দেখে ‘খ’ ইউনিয়নের অফিস সহায়ক জামাল উদ্দীনকে দিয়ে দেখান। আবার এসব অফিস সহায়করাই (পিয়ন) নামজারি করতে খরচের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তবে জমির মালিকদের কাগজপত্র ঠিক থাকুক বা না থাকুক নির্ধারিত ফি এর চেয়ে গুণতে হয় অতিরিক্ত অর্থ। মঙ্গলবার সকালে তথ্য অনুসন্ধানে গিয়ে দেখা যায়, তহসিলদার মশিউর রহমানের কাছে ‘ক’ ইউনিয়নের তারাপুর মৌজার একটি জমির (২ শতাংশ) নামজারি করতে আসেন আসলাম হোসেন নামের এক ব্যক্তি। তিনি নিজে কাগজপত্র না দেখে অফিস সহায়ককে দেখাতে বলেন। কাগজপত্রে কোন ত্রুটি নেই বলে অফিস সহায়ক জমির মালিককে নিশ্চিত করেন। এরপর খরচের বিষয় জানতে চাইলে তিনি সরাসরি বলেন, ৮ হাজার টাকা লাগবে এর নিচে হবে না। জমির মালিক ফের তহসিলদার মশিউর রহমানের কাছে গেলে তিনি আবারও অফিস সহায়কের সঙ্গে কথা বলতে বলেন। এতে তিনি নিরুপায় হয়ে অবশেষে পরের দিন বুধবার দুপুরে নামজারি করতে কাগজপত্র জমা দেন।

খরচের বিষয়ে জানতে চাইলে তহসিলদার মশিউর রহামান বলেন, কিছু মনে করবেন না খরচের বিষয়ে আমি কোন কথা বলি না। আমার সাথে তাদের সম্পর্ক শুধু খাজনা নিয়ে। আমার টেবিলে নথি জমা হলে সহি করে ছেড়ে দিই। নথিটা কার কি সমস্যা সে ব্যাপরে একটি কথাও বলব না। সুতরাং যা কিছু কাজ করে নেয়ার তাদের মাধ্যমে করাতে হবে।

উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মাহবুবা হক বলেন, এদের বিরুদ্ধে ইতোপূর্বে অনেকবার অভিযোগ এসেছে। তাদের ডেকে এসব কাজ থেকে দূরে থাকতে সতর্ক করা হয়েছে। তবে এবার বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেয়া হবে।