পিয়াজের দাম কমছে খুচরা বাজারে

কয়েকদিন ধরে খুচরা বাজারে বেশি দামে পিয়াজ বিক্রি হওয়ার পর গতকাল কিছুটা কমে বিক্রি করতে দেখা গেছে। পাইকারি বাজারে তিন দফায় পিয়াজের দাম কমায় খুচরা বাজারেও কমতে শুরু করেছে। একদিনের ব্যবধানে খুচরা বাজারে দেশি পিয়াজের দাম কেজিতে ২০ টাকা পর্যন্ত কমেছে। আর ভারতীয় পিয়াজের দাম কমেছে কেজিতে ১০ টাকা। টানা চার দিন বন্ধ থাকার পর দেশের দুই স্থলবন্দর দিয়ে ফের ভারত থেকে আটকে থাকা পিয়াজ দেশে আসছে। এতে একদিনে পাইকারি বাজারে দেশি পিয়াজের দাম কেজিতে ৫ টাকা এবং ভারতীয় পিয়াজের দাম ১০ টাকা কমেছে। এর মাধ্যমে টানা তিন দিন পাইকারি বাজারে কমেছে দেশি পিয়াজের দাম। গতকাল রাজধানীর বিভিন্ন খুচরা বাজারে দেখা গেছে, ব্যবসায়ীরা আগের তুলনায় ১০ থেকে ২০ টাকা কমিয়ে দেশি পিয়াজ বিক্রি করছেন ৮০ থেকে ৯০ টাকা কেজিতে। এর আগে ৯০ থেকে ১১০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে। আর ভারতের আমদানি করা পিয়াজ ১০ টাকা কমে ৬০ থেকে ৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এর আগে তা ছিল ৭০ থেকে ৮০ টাকা। রাজধানীতে পিয়াজের বড় পাইকারি বাজারগুলোতে দেখা যায়, ভালো মানের দেশি পিয়াজ কেজিতে ৫ টাকা কমিয়ে বিক্রি হচ্ছে ৭২ টাকায়। যা এর আগে ৭৭ থেকে ৮৫ টাকা পর্যন্ত বিক্রি করতে দেখা গেছে। অপরদিকে আমদানি করা ভারতের পিয়াজ মান ভেদে ৫০ থেকে ৫৫ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। যা আগে ছিল ৬০ থেকে ৬৫ টাকা।

পিয়াজের দাম কমার বিষয়ে শ্যামবাজারের ব্যবসায়ী বিল্লাল বলেন, ভারত নিষেধাজ্ঞার আগে অনুমতি পাওয়া পিয়াজ বাংলাদেশে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তাই পিয়াজের দাম কমেছে। এই পিয়াজ বাজারে আসা শুরু হলে দাম আরও কমবে। এতে কয়েক দিনের মধ্যেই পিয়াজের দাম আগের অবস্থানে ফিরে আসার সম্ভাবনা রয়েছে। আমরাও চাই পিয়াজের দাম কমে যাক। দাম বাড়ার কারণে আগের মতো ক্রেতাও পাচ্ছি না।

এই ব্যবসায়ী বলেন, গতকাল দেশি পিয়াজের দাম কেজিতে ৫ টাকা কমেছে। আর আমদানি করা ভারতের পিয়াজের দাম কমেছে ১০ টাকা। এর আগে দু’বার পাইকারিতে দাম কমানো হয়েছে। এখন পাইকারিতে ৭২ টাকায় দেশি ভালো মানের পিয়াজ বিক্রি হচ্ছে। আর দেশি পিয়াজের মধ্যে আকারে ছোট বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকা কেজিতে। এছাড়া আগের দিনে ১০ টাকা কমানো ভারতীয় পিয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৫৫ টাকায়। যা গতকাল ছিল ৬০ থেকে ৬৫ টাকা কেজি।

এদিকে রাজধানীর বিভিন্ন খুচরা বাজারে ২০ টাকা পর্যন্ত কমেছে পিয়াজের দাম। এ ব্যাপারে খিলগাঁও কাঁচা বাজারের ব্যবসায়ী সিদ্দিক বলেন, আজকে পাইকারি বাজারে আমরা কিছুটা কম দামে পিয়াজ পেয়েছি। তাই আমরাও কম দামেই পিয়াজ বিক্রি করছি। গতকাল আমরা দেশি পিয়াজ ৯০ টাকা করে বিক্রি করেছি। আজ ৮০ টাকায় বিক্রি করছি। আর ভারতের পিয়াজ ৬৫ টাকায় বিক্রি করছি। আগের দিন তা ৮০ টাকায় বিক্রি করেছি।

রাজধানীর বাসাবোর একটি কাঁচা বাজারের ছোট দোকানে এক খুচরা বিক্রেতাকে কম দামে পিয়াজ বিক্রি করতে দেখা গেছে। তিনি দেশি পিয়াজ ৮০ টাকা করে বিক্রি করছেন। আর ভারতীয় পিয়াজ বিক্রি করছেন ৬০ টাকায়। তিনি বলেন, আগের দিন পিয়াজ বেশি দামে কেনা ছিল তাই ১০০ টাকা করে বিক্রি করতে হয়েছে। আজ কমে পেয়েছি তাই কমে বিক্রি করছি।

রবিবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২০ , ৩০ মহররম ১৪৪২, ০২ আশ্বিন ১৪২৭

পিয়াজের দাম কমছে খুচরা বাজারে

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক |

কয়েকদিন ধরে খুচরা বাজারে বেশি দামে পিয়াজ বিক্রি হওয়ার পর গতকাল কিছুটা কমে বিক্রি করতে দেখা গেছে। পাইকারি বাজারে তিন দফায় পিয়াজের দাম কমায় খুচরা বাজারেও কমতে শুরু করেছে। একদিনের ব্যবধানে খুচরা বাজারে দেশি পিয়াজের দাম কেজিতে ২০ টাকা পর্যন্ত কমেছে। আর ভারতীয় পিয়াজের দাম কমেছে কেজিতে ১০ টাকা। টানা চার দিন বন্ধ থাকার পর দেশের দুই স্থলবন্দর দিয়ে ফের ভারত থেকে আটকে থাকা পিয়াজ দেশে আসছে। এতে একদিনে পাইকারি বাজারে দেশি পিয়াজের দাম কেজিতে ৫ টাকা এবং ভারতীয় পিয়াজের দাম ১০ টাকা কমেছে। এর মাধ্যমে টানা তিন দিন পাইকারি বাজারে কমেছে দেশি পিয়াজের দাম। গতকাল রাজধানীর বিভিন্ন খুচরা বাজারে দেখা গেছে, ব্যবসায়ীরা আগের তুলনায় ১০ থেকে ২০ টাকা কমিয়ে দেশি পিয়াজ বিক্রি করছেন ৮০ থেকে ৯০ টাকা কেজিতে। এর আগে ৯০ থেকে ১১০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে। আর ভারতের আমদানি করা পিয়াজ ১০ টাকা কমে ৬০ থেকে ৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এর আগে তা ছিল ৭০ থেকে ৮০ টাকা। রাজধানীতে পিয়াজের বড় পাইকারি বাজারগুলোতে দেখা যায়, ভালো মানের দেশি পিয়াজ কেজিতে ৫ টাকা কমিয়ে বিক্রি হচ্ছে ৭২ টাকায়। যা এর আগে ৭৭ থেকে ৮৫ টাকা পর্যন্ত বিক্রি করতে দেখা গেছে। অপরদিকে আমদানি করা ভারতের পিয়াজ মান ভেদে ৫০ থেকে ৫৫ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। যা আগে ছিল ৬০ থেকে ৬৫ টাকা।

পিয়াজের দাম কমার বিষয়ে শ্যামবাজারের ব্যবসায়ী বিল্লাল বলেন, ভারত নিষেধাজ্ঞার আগে অনুমতি পাওয়া পিয়াজ বাংলাদেশে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তাই পিয়াজের দাম কমেছে। এই পিয়াজ বাজারে আসা শুরু হলে দাম আরও কমবে। এতে কয়েক দিনের মধ্যেই পিয়াজের দাম আগের অবস্থানে ফিরে আসার সম্ভাবনা রয়েছে। আমরাও চাই পিয়াজের দাম কমে যাক। দাম বাড়ার কারণে আগের মতো ক্রেতাও পাচ্ছি না।

এই ব্যবসায়ী বলেন, গতকাল দেশি পিয়াজের দাম কেজিতে ৫ টাকা কমেছে। আর আমদানি করা ভারতের পিয়াজের দাম কমেছে ১০ টাকা। এর আগে দু’বার পাইকারিতে দাম কমানো হয়েছে। এখন পাইকারিতে ৭২ টাকায় দেশি ভালো মানের পিয়াজ বিক্রি হচ্ছে। আর দেশি পিয়াজের মধ্যে আকারে ছোট বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকা কেজিতে। এছাড়া আগের দিনে ১০ টাকা কমানো ভারতীয় পিয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৫৫ টাকায়। যা গতকাল ছিল ৬০ থেকে ৬৫ টাকা কেজি।

এদিকে রাজধানীর বিভিন্ন খুচরা বাজারে ২০ টাকা পর্যন্ত কমেছে পিয়াজের দাম। এ ব্যাপারে খিলগাঁও কাঁচা বাজারের ব্যবসায়ী সিদ্দিক বলেন, আজকে পাইকারি বাজারে আমরা কিছুটা কম দামে পিয়াজ পেয়েছি। তাই আমরাও কম দামেই পিয়াজ বিক্রি করছি। গতকাল আমরা দেশি পিয়াজ ৯০ টাকা করে বিক্রি করেছি। আজ ৮০ টাকায় বিক্রি করছি। আর ভারতের পিয়াজ ৬৫ টাকায় বিক্রি করছি। আগের দিন তা ৮০ টাকায় বিক্রি করেছি।

রাজধানীর বাসাবোর একটি কাঁচা বাজারের ছোট দোকানে এক খুচরা বিক্রেতাকে কম দামে পিয়াজ বিক্রি করতে দেখা গেছে। তিনি দেশি পিয়াজ ৮০ টাকা করে বিক্রি করছেন। আর ভারতীয় পিয়াজ বিক্রি করছেন ৬০ টাকায়। তিনি বলেন, আগের দিন পিয়াজ বেশি দামে কেনা ছিল তাই ১০০ টাকা করে বিক্রি করতে হয়েছে। আজ কমে পেয়েছি তাই কমে বিক্রি করছি।