করোনায় ২৪ ঘণ্টায়

মৃত্যু আরও ৩২ শনাক্ত ১৫৬৭

দেশে করোনা আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা কয়েক মাস ধরে প্রতিদিন প্রায় ৩০ জনের মৃত্যু হচ্ছে। গতকাল দেশে করোনাভাইরাস আক্রান্ত (কোভিড-১৯) হয়ে আরও ৩২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে পুরুষ ২৫ ও নারী ৭ জন। সবার মৃত্যু চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাসপাতালে হয়েছে। এ নিয়ে ভাইরাসটিতে মোট মৃত্যু হয়েছে চার হাজার ৯১৩ জনে। নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছেন ১ হাজার ৫৬৭ জন। এনিয়ে করোনাভাইরাসে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৩ লাখ ৪৭ হাজার ৩৭২। গতকাল স্বাস্থ্য অধিদফতরের পক্ষ থেকে দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতির সর্বশেষ তথ্য বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে সংবাদমাধ্যমে জানায়।

গত চব্বিশ ঘণ্টায় স্বাস্থ্য অধিদফতরের হিসাবে বাসা ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরও ২ হাজার ৫১ জন রোগী সুস্থ হয়ে উঠেছেন। তাতে সুস্থ রোগীর মোট সংখ্যা বেড়ে ২ লাখ ৫৪ হাজার ৩৩৬ জন হয়েছে। স্বাস্থ্য অধিদফতর জানিয়েছে, গত চব্বিশ ঘণ্টায় সারাদেশে ৯৫টি ল্যাবে ১৩ হাজার ১৭০টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এ পর্যন্ত পরীক্ষা হয়েছে ১৮ লাখ ৯ হাজার ৬৭৯টি নমুনা। ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার বিবেচনায় শনাক্তের হার ১১ দশমিক ৯০ শতাংশ, এ পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ১৯ দশমিক ২০ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৭৩ দশমিক ২৩ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪১ শতাংশ।

করোনায় গত চব্বিশ ঘণ্টায় ৩২ জনের মৃত্যুর বয়স বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, ১৭ জনের বয়স ছিল ৬০ বছরের বেশি। ৮ জনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে, ৪ জনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে, ১ জনের বয়স ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে, ১ জনের বয়স ২১ থেকে ৩০ বছরেরর মধ্যে, ১ জনের বয়স ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে ছিল।

মৃতদের ২২ জন ঢাকা বিভাগের, ১ জন চট্টগ্রাম বিভাগের, ১ জন করে মোট ৩ জন বরিশাল, সিলেট ও রংপুর বিভাগের, ২ জন খুলনা বিভাগের ও ৪ জন ময়মনসিংহ বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন। দেশে এ পর্যন্ত মারা যাওয়া ৪ হাজার ৯১৩ জনের মধ্যে ৩ হাজার ৮২৯ জনই পুরুষ এবং ১ হাজার ৮৪ জন নারী। তাদের মধ্যে ২ হাজার ৪৪৭ জনের বয়স ছিল ৬০ বছরের বেশি। এছাড়াও, ১ হাজার ৩৩৬ জনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে, ৬৩৬ জনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে, ২৮৮ জনের বয়স ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে, ১১৩ জনের বয়স ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে, ৪২ জনের বয়স ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে এবং ২১ জনের বয়স ছিল ১০ বছরের কম। এরমধ্যে ২ হাজার ৪০৪ জন ঢাকা বিভাগের, ১০২২ জন চট্টগ্রাম বিভাগের, ৩২৯ জন রাজশাহী বিভাগের, ৪১৫ জন খুলনা বিভাগের, ১৮৪ জন বরিশাল বিভাগের, ২২১ জন সিলেট বিভাগের, ২৩১ জন রংপুর বিভাগের এবং ১০৭ জন ময়মনসিংহ বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন।

জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, গতকাল বিশ্বে মোট মৃতের সংখ্যা ৯ লাখ ৫২ হাজার পেরিয়ে গেছে। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে শুধু ভারত ও পাকিস্তানে মৃত্যুর সংখ্যা বাংলাদেশের চেয়ে বেশি। বৈশ্বিক তালিকায় তৃতীয় স্থানে থাকা ভারতে মোট মৃত্যু ৮৫ হাজার ছাড়িয়ে গেছে, পাকিস্তানে মৃত্যু হয়েছে ৬ হাজার ৪শ’ বেশি মানুষের।

বিশ্বে এ পর্যন্ত করোনা শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৩ কোটি ছাড়িয়েছে। জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় বিশ্বে শনাক্ত রোগীর সংখ্যায় দিক থেকে ১৫তম স্থানে আছে বাংলাদেশ, আর মৃতের সংখ্যায় রয়েছে ২৮তম অবস্থানে।

রবিবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২০ , ৩০ মহররম ১৪৪২, ০২ আশ্বিন ১৪২৭

করোনায় ২৪ ঘণ্টায়

মৃত্যু আরও ৩২ শনাক্ত ১৫৬৭

image

দেশে করোনা আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা কয়েক মাস ধরে প্রতিদিন প্রায় ৩০ জনের মৃত্যু হচ্ছে। গতকাল দেশে করোনাভাইরাস আক্রান্ত (কোভিড-১৯) হয়ে আরও ৩২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে পুরুষ ২৫ ও নারী ৭ জন। সবার মৃত্যু চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাসপাতালে হয়েছে। এ নিয়ে ভাইরাসটিতে মোট মৃত্যু হয়েছে চার হাজার ৯১৩ জনে। নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছেন ১ হাজার ৫৬৭ জন। এনিয়ে করোনাভাইরাসে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৩ লাখ ৪৭ হাজার ৩৭২। গতকাল স্বাস্থ্য অধিদফতরের পক্ষ থেকে দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতির সর্বশেষ তথ্য বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে সংবাদমাধ্যমে জানায়।

গত চব্বিশ ঘণ্টায় স্বাস্থ্য অধিদফতরের হিসাবে বাসা ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরও ২ হাজার ৫১ জন রোগী সুস্থ হয়ে উঠেছেন। তাতে সুস্থ রোগীর মোট সংখ্যা বেড়ে ২ লাখ ৫৪ হাজার ৩৩৬ জন হয়েছে। স্বাস্থ্য অধিদফতর জানিয়েছে, গত চব্বিশ ঘণ্টায় সারাদেশে ৯৫টি ল্যাবে ১৩ হাজার ১৭০টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এ পর্যন্ত পরীক্ষা হয়েছে ১৮ লাখ ৯ হাজার ৬৭৯টি নমুনা। ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার বিবেচনায় শনাক্তের হার ১১ দশমিক ৯০ শতাংশ, এ পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ১৯ দশমিক ২০ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৭৩ দশমিক ২৩ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪১ শতাংশ।

করোনায় গত চব্বিশ ঘণ্টায় ৩২ জনের মৃত্যুর বয়স বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, ১৭ জনের বয়স ছিল ৬০ বছরের বেশি। ৮ জনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে, ৪ জনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে, ১ জনের বয়স ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে, ১ জনের বয়স ২১ থেকে ৩০ বছরেরর মধ্যে, ১ জনের বয়স ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে ছিল।

মৃতদের ২২ জন ঢাকা বিভাগের, ১ জন চট্টগ্রাম বিভাগের, ১ জন করে মোট ৩ জন বরিশাল, সিলেট ও রংপুর বিভাগের, ২ জন খুলনা বিভাগের ও ৪ জন ময়মনসিংহ বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন। দেশে এ পর্যন্ত মারা যাওয়া ৪ হাজার ৯১৩ জনের মধ্যে ৩ হাজার ৮২৯ জনই পুরুষ এবং ১ হাজার ৮৪ জন নারী। তাদের মধ্যে ২ হাজার ৪৪৭ জনের বয়স ছিল ৬০ বছরের বেশি। এছাড়াও, ১ হাজার ৩৩৬ জনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে, ৬৩৬ জনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে, ২৮৮ জনের বয়স ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে, ১১৩ জনের বয়স ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে, ৪২ জনের বয়স ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে এবং ২১ জনের বয়স ছিল ১০ বছরের কম। এরমধ্যে ২ হাজার ৪০৪ জন ঢাকা বিভাগের, ১০২২ জন চট্টগ্রাম বিভাগের, ৩২৯ জন রাজশাহী বিভাগের, ৪১৫ জন খুলনা বিভাগের, ১৮৪ জন বরিশাল বিভাগের, ২২১ জন সিলেট বিভাগের, ২৩১ জন রংপুর বিভাগের এবং ১০৭ জন ময়মনসিংহ বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন।

জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, গতকাল বিশ্বে মোট মৃতের সংখ্যা ৯ লাখ ৫২ হাজার পেরিয়ে গেছে। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে শুধু ভারত ও পাকিস্তানে মৃত্যুর সংখ্যা বাংলাদেশের চেয়ে বেশি। বৈশ্বিক তালিকায় তৃতীয় স্থানে থাকা ভারতে মোট মৃত্যু ৮৫ হাজার ছাড়িয়ে গেছে, পাকিস্তানে মৃত্যু হয়েছে ৬ হাজার ৪শ’ বেশি মানুষের।

বিশ্বে এ পর্যন্ত করোনা শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৩ কোটি ছাড়িয়েছে। জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় বিশ্বে শনাক্ত রোগীর সংখ্যায় দিক থেকে ১৫তম স্থানে আছে বাংলাদেশ, আর মৃতের সংখ্যায় রয়েছে ২৮তম অবস্থানে।