বিআরটিএতে গাড়ি রেজিস্ট্রেশনের মহোৎসব

ছয় মাসে এক লাখ ৭০ হাজার গাড়ি রেজিস্ট্রেশন ড্রাইভিং লাইসেন্স ছাড়াই চালানো হচ্ছে অনেক যান

করোনা মহামারীর মধ্যেও বাংলাদেশ রোড ট্র্যান্সপোর্ট অথোরিটি (বিআরটিএ) গত ৬ মাসে এক লাখ ৭০ হাজার নতুন যানবাহনের রেজিস্ট্রেশন দিয়েছে। তবে নানা অজুহাতে ড্রাইভিং লাইসেন্স দেয়ার তৎপরতা প্রায় বন্ধ রয়েছে। দেশে এখন লাইসেন্সবিহীন অনভিজ্ঞ ড্রাইভারদের ছড়াছড়ি। ফলে বাড়ছে দুর্ঘটনা মরছে মানুষ। চলতি বছরের গত ৬ মাসে ১৯শ’ সড়ক দুর্ঘটনায় ১৮শ’র বেশি মানুষ মারা গেছেন। আর পঙ্গুত্ব বা আহত হয়েছে ১৮০৪ জন। দুর্ঘটনার পর ৮৮০ জন ড্রাইভার এখনও পলাতক। গ্রেফতার হয়েছেন মাত্র ৩৩০ জন।

পুলিশ ও বিআরটিএর এক তথ্যে জানা গেছে, চলতি বছরের পহেলা জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত প্রায় ২০ ধরনের যানবাহনের ১ লাখ ৭০ হাজার ১৫টি রেজিস্ট্রেশন দেয়া হয়েছে। এরমধ্যে অ্যাম্বুলেন্স ৩১১টি। অটোরিকশা ১০ হাজার ২১৭টি। অটো টেম্পো ৪২টি, বাস ১৫০১টি। কার্গো ভ্যান ১টি। কাভার্ডভ্যান ৭৯২টি। ডেলিভারি ভ্যান ৫১৫টি। হিউম্যান হলার ৯১টি। জিপ গাড়ি ১৯৪৩টি। মাইক্রোবাস ১১৪৯টি। মিনিবাস ২৮৫টি। মোটরসাইকেল ১ লাখ ৩৮ হাজার ১৯৩টি। পিকআপ (ডাবল ও সিঙ্গেল কেবিন) ৪ হাজার ৩৭২টি। প্রাইভেট যাত্রী কার ৫০০৯টি। স্পেশাল বাইসাইকেল ৩৩০টি। ট্যাংকার ১৬৬টি। ট্যাক্সিক্যাব ৬টি। ট্যাক্টর ৮৫৬টি। ট্রাক ২২২৯টি। অন্যান্য যানবাহন ২০০৭টি। ২০১০ সাল থেকে চলতি বছরের জুন পর্যন্ত এক তথ্য থেকে জানা গেছে মোট ৪৪ লাখ ৭১ হাজার ৬২৫টি যানবাহনের রেজিস্ট্রেশন দেয়া হয়েছে। এরমধ্যে শুধু মোটরসাইকেলের রেজিস্ট্রেশন দেয়া হয়েছে ২৯ লাখ ৯১ হাজার ৬১২টি।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মতে, যানবাহনের রেজিস্ট্রেশন লাগাহীনভাবে দিলেও ড্রাইভিং লাইসেন্স দেয়া হচ্ছে না। প্রায় ৯ লাখ মোটরসাইকেলের লাইসেন্স নেই। প্রায় ১০ লাখ মোটরসাইকেলের ডুপ্লিকেট লাইসেন্স আছে। অনভিজ্ঞ ড্রাইভার দিয়ে বছরের পর বছর যানবাহন চলছে। এসব কারণে সড়ক দুর্ঘটনা বাড়ছে। প্রতিদিন রেজিস্ট্রশনের কার্যক্রম চলছে। সেইসঙ্গে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ড্রাইভার তৈরি হচ্ছে না।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একাধিক সূত্র জানায়, বেশ কিছুদিন ধরে ড্রাইভিং লাইসেন্স দেয়া বন্ধ রয়েছে। টেন্ডারসহ নানা জটিলতার কারণে এ অবস্থা দেখা দিয়েছে। নতুন লাইসেন্স নেয়া গাড়িগুলো কারা চালান। তাদের কী লাইসেন্স আছে? অনভিজ্ঞ ড্রাইভার দিয়ে গাড়ি চালালে দুর্ঘটনা ঘটতেই থাকবে। লাইসেন্স ও রেজিস্ট্রেশনসহ সব প্রক্রিয়ায়ই সড়ক পরিবহন আইন মেনে চলা দরকার। না হয় দুর্ঘটনা ঠেকানো যাবে না। শুধু নতুন নতুন যানবাহনের রেজিস্ট্রেশন দিলেই চলবে না। ড্রাইভিং লাইসেন্সের বিষয়ের উপর গুরুত্ব দেয়া দরকার। না হয় দুর্ঘটনা বাড়তেই থাকবে।

২০২০ সালের জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত মতে, গত জুন পর্যন্ত ১৯শ’ সড়ক দুর্ঘটনায় ১৩৬৪টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এরমধ্যে হাইওয়ে মহাসড়কে ৩৪২টি মামলা, ঢাকা রেঞ্জে ২৫২টি, রংপুর রেঞ্জে ৫৫টি, চট্টগ্রাম রেঞ্জে ৮৬টি, ময়মনসিংহ রেঞ্জে ১০২টি, বরিশাল রেঞ্জে ৩৩টি, খুলনা রেঞ্জে ৯১টি, রাজশাহী রেঞ্জে ১১২টি, সিলেট রেঞ্জে ৪৬টি।

একজন মোটরসাইকেল চালক বলেন, দিনে দরকার দুই হাজার লাইসেন্স ইস্যু করা। তার স্থলে সারাদেশে দেয় দুইশ’ জনকে। দিনের পর দিন নতুন করে তারিখ দেয়া হচ্ছে। লাইসেন্সের জন্য চরম ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে। করোনার কারণে এ অবস্থা চলছে বলে লাইসেন্স প্রার্থীদের জানানো হচ্ছে।

এ সম্পর্কে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিআরটিএ প্রকৌশল শাখার একজন কর্মকর্তা বলেন, ড্রাইভিং লাইসেন্স দেয়া বন্ধ নেই। তবে স্মাটকার্ড সংকটের কারণে সাময়িক কিছুটা সমস্যা হচ্ছে। এরপরও হাতে লিখে কিছু লাইসেন্স ইস্যু করা হচ্ছে বলে তিনি জানান।

এ সম্পর্কে অপরাধবিষয়ক বিশিষ্ট আইনজীবী সৈয়দ আহমেদ গাজী বলেন, যেসব যানবাহনের নতুন রেজিস্ট্রেশন দেয়া হচ্ছে। নিশ্চিত এসব যানবাহন লাইসেন্সবিহীন ড্রাইভার চালাচ্ছেন। এ কারণে সড়ক দুর্ঘটনা বাড়ছে।

এ সম্পর্কে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের জয়েন্ট কমিশনার (ট্রাফিক) মো. আবদুর রাজ্জাক মুঠোফোনে বলেন, ড্রাইর্ভিং লাইসেন্স না থাকলে মামলা করা হচ্ছে। করোনার কারণে লাইসেন্স নবায়নের মেয়াদ আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। আর ট্রাফিক বিভাগ থেকে চেকপোস্টে লাইসেন্স তল্লাশি করা হচ্ছে।

পুলিশের একজন অপরাধ গবেষক জানান, হয়তো কেউ গাড়ির রেজিস্ট্রেশন নিয়েছে তাদের হয়ত আগেরই ড্রাইভিং লাইসেন্স আছে তা দিয়ে চলছে। ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে পরিশ্রম করতে হয়। আর নতুন গাড়ির রেজিস্ট্রেশন করতে টাকা দিলেই যথেষ্ট। ড্রাইভিং লাইসেন্স দিতে যতই আগ্রহ। তার চেয়ে বেশি অনাগ্রহ আছে। আবার অনেকেই টাকা দিলে কাগজ ছাড়াই ভুয়া লাইসেন্সও পাওয়া যায়। সড়ক পরিবহনের নেতা বা মালিক বা রাজনৈতিক বা উপরের সমর্থন থাকলে সবকিছুই সম্ভব। ট্রাফিক পুলিশ আটক করলে উপরের ফোনে অনেক সময় ছাড়তে হয়। ন্যায্যতা প্রতিষ্ঠা করতে হলে সিস্টেমে চলতে হবে। তা কার্যকর না হলে রাস্তায় তল্লাশি ও জরিমানা করলে পরিবর্তন আসবে না।

আরও খবর
সীমান্ত হত্যা বন্ধে বিএসএফের ফের প্রতিশ্রুতি
আ’লীগের সব পর্যায়ে কমিটিতে পরীক্ষিত নেতাকর্মীদের মূল্যায়ন করতে হবে : কাদের
বাংলাদেশের খাদ্য ব্যবস্থাপনা হবে বিশ্বে রোল মডেল খাদ্যমন্ত্রী
বিআরটিএতে গাড়ি রেজিস্ট্রেশনের মহোৎসব
আ’লীগের প্রস্তাবিত কমিটির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ
ঘর জমি কাজ হারিয়ে দিশেহারা মানুষ
যশোরে ৬টি অ্যাসেম্বল সেন্টার হচ্ছে
পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে হামলা ও ছিনতাই অভিযোগ
বৈষম্যহীন সমাজ প্রতিষ্ঠায় লড়াই করেন জিয়াউদ্দিন তারিক আলী
দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী কুদ্দুস মোল্লার জীবন সংগ্রাম
নগরে অগ্নিদুর্ঘটনা সমাধানে সদিচ্ছার অভাব : বিআইপি
প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে ৯ বছরে ৯ বিয়ে
দু’বোনকে হত্যা করা হয় ঘাতক রিফাত গ্রেফতার হত্যার কথা স্বীকার
হিলিতে ট্রেন লাইনচ্যুত

রবিবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২০ , ৩০ মহররম ১৪৪২, ০২ আশ্বিন ১৪২৭

বিআরটিএতে গাড়ি রেজিস্ট্রেশনের মহোৎসব

ছয় মাসে এক লাখ ৭০ হাজার গাড়ি রেজিস্ট্রেশন ড্রাইভিং লাইসেন্স ছাড়াই চালানো হচ্ছে অনেক যান

বাকী বিল্লাহ

করোনা মহামারীর মধ্যেও বাংলাদেশ রোড ট্র্যান্সপোর্ট অথোরিটি (বিআরটিএ) গত ৬ মাসে এক লাখ ৭০ হাজার নতুন যানবাহনের রেজিস্ট্রেশন দিয়েছে। তবে নানা অজুহাতে ড্রাইভিং লাইসেন্স দেয়ার তৎপরতা প্রায় বন্ধ রয়েছে। দেশে এখন লাইসেন্সবিহীন অনভিজ্ঞ ড্রাইভারদের ছড়াছড়ি। ফলে বাড়ছে দুর্ঘটনা মরছে মানুষ। চলতি বছরের গত ৬ মাসে ১৯শ’ সড়ক দুর্ঘটনায় ১৮শ’র বেশি মানুষ মারা গেছেন। আর পঙ্গুত্ব বা আহত হয়েছে ১৮০৪ জন। দুর্ঘটনার পর ৮৮০ জন ড্রাইভার এখনও পলাতক। গ্রেফতার হয়েছেন মাত্র ৩৩০ জন।

পুলিশ ও বিআরটিএর এক তথ্যে জানা গেছে, চলতি বছরের পহেলা জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত প্রায় ২০ ধরনের যানবাহনের ১ লাখ ৭০ হাজার ১৫টি রেজিস্ট্রেশন দেয়া হয়েছে। এরমধ্যে অ্যাম্বুলেন্স ৩১১টি। অটোরিকশা ১০ হাজার ২১৭টি। অটো টেম্পো ৪২টি, বাস ১৫০১টি। কার্গো ভ্যান ১টি। কাভার্ডভ্যান ৭৯২টি। ডেলিভারি ভ্যান ৫১৫টি। হিউম্যান হলার ৯১টি। জিপ গাড়ি ১৯৪৩টি। মাইক্রোবাস ১১৪৯টি। মিনিবাস ২৮৫টি। মোটরসাইকেল ১ লাখ ৩৮ হাজার ১৯৩টি। পিকআপ (ডাবল ও সিঙ্গেল কেবিন) ৪ হাজার ৩৭২টি। প্রাইভেট যাত্রী কার ৫০০৯টি। স্পেশাল বাইসাইকেল ৩৩০টি। ট্যাংকার ১৬৬টি। ট্যাক্সিক্যাব ৬টি। ট্যাক্টর ৮৫৬টি। ট্রাক ২২২৯টি। অন্যান্য যানবাহন ২০০৭টি। ২০১০ সাল থেকে চলতি বছরের জুন পর্যন্ত এক তথ্য থেকে জানা গেছে মোট ৪৪ লাখ ৭১ হাজার ৬২৫টি যানবাহনের রেজিস্ট্রেশন দেয়া হয়েছে। এরমধ্যে শুধু মোটরসাইকেলের রেজিস্ট্রেশন দেয়া হয়েছে ২৯ লাখ ৯১ হাজার ৬১২টি।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মতে, যানবাহনের রেজিস্ট্রেশন লাগাহীনভাবে দিলেও ড্রাইভিং লাইসেন্স দেয়া হচ্ছে না। প্রায় ৯ লাখ মোটরসাইকেলের লাইসেন্স নেই। প্রায় ১০ লাখ মোটরসাইকেলের ডুপ্লিকেট লাইসেন্স আছে। অনভিজ্ঞ ড্রাইভার দিয়ে বছরের পর বছর যানবাহন চলছে। এসব কারণে সড়ক দুর্ঘটনা বাড়ছে। প্রতিদিন রেজিস্ট্রশনের কার্যক্রম চলছে। সেইসঙ্গে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ড্রাইভার তৈরি হচ্ছে না।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একাধিক সূত্র জানায়, বেশ কিছুদিন ধরে ড্রাইভিং লাইসেন্স দেয়া বন্ধ রয়েছে। টেন্ডারসহ নানা জটিলতার কারণে এ অবস্থা দেখা দিয়েছে। নতুন লাইসেন্স নেয়া গাড়িগুলো কারা চালান। তাদের কী লাইসেন্স আছে? অনভিজ্ঞ ড্রাইভার দিয়ে গাড়ি চালালে দুর্ঘটনা ঘটতেই থাকবে। লাইসেন্স ও রেজিস্ট্রেশনসহ সব প্রক্রিয়ায়ই সড়ক পরিবহন আইন মেনে চলা দরকার। না হয় দুর্ঘটনা ঠেকানো যাবে না। শুধু নতুন নতুন যানবাহনের রেজিস্ট্রেশন দিলেই চলবে না। ড্রাইভিং লাইসেন্সের বিষয়ের উপর গুরুত্ব দেয়া দরকার। না হয় দুর্ঘটনা বাড়তেই থাকবে।

২০২০ সালের জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত মতে, গত জুন পর্যন্ত ১৯শ’ সড়ক দুর্ঘটনায় ১৩৬৪টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এরমধ্যে হাইওয়ে মহাসড়কে ৩৪২টি মামলা, ঢাকা রেঞ্জে ২৫২টি, রংপুর রেঞ্জে ৫৫টি, চট্টগ্রাম রেঞ্জে ৮৬টি, ময়মনসিংহ রেঞ্জে ১০২টি, বরিশাল রেঞ্জে ৩৩টি, খুলনা রেঞ্জে ৯১টি, রাজশাহী রেঞ্জে ১১২টি, সিলেট রেঞ্জে ৪৬টি।

একজন মোটরসাইকেল চালক বলেন, দিনে দরকার দুই হাজার লাইসেন্স ইস্যু করা। তার স্থলে সারাদেশে দেয় দুইশ’ জনকে। দিনের পর দিন নতুন করে তারিখ দেয়া হচ্ছে। লাইসেন্সের জন্য চরম ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে। করোনার কারণে এ অবস্থা চলছে বলে লাইসেন্স প্রার্থীদের জানানো হচ্ছে।

এ সম্পর্কে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিআরটিএ প্রকৌশল শাখার একজন কর্মকর্তা বলেন, ড্রাইভিং লাইসেন্স দেয়া বন্ধ নেই। তবে স্মাটকার্ড সংকটের কারণে সাময়িক কিছুটা সমস্যা হচ্ছে। এরপরও হাতে লিখে কিছু লাইসেন্স ইস্যু করা হচ্ছে বলে তিনি জানান।

এ সম্পর্কে অপরাধবিষয়ক বিশিষ্ট আইনজীবী সৈয়দ আহমেদ গাজী বলেন, যেসব যানবাহনের নতুন রেজিস্ট্রেশন দেয়া হচ্ছে। নিশ্চিত এসব যানবাহন লাইসেন্সবিহীন ড্রাইভার চালাচ্ছেন। এ কারণে সড়ক দুর্ঘটনা বাড়ছে।

এ সম্পর্কে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের জয়েন্ট কমিশনার (ট্রাফিক) মো. আবদুর রাজ্জাক মুঠোফোনে বলেন, ড্রাইর্ভিং লাইসেন্স না থাকলে মামলা করা হচ্ছে। করোনার কারণে লাইসেন্স নবায়নের মেয়াদ আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। আর ট্রাফিক বিভাগ থেকে চেকপোস্টে লাইসেন্স তল্লাশি করা হচ্ছে।

পুলিশের একজন অপরাধ গবেষক জানান, হয়তো কেউ গাড়ির রেজিস্ট্রেশন নিয়েছে তাদের হয়ত আগেরই ড্রাইভিং লাইসেন্স আছে তা দিয়ে চলছে। ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে পরিশ্রম করতে হয়। আর নতুন গাড়ির রেজিস্ট্রেশন করতে টাকা দিলেই যথেষ্ট। ড্রাইভিং লাইসেন্স দিতে যতই আগ্রহ। তার চেয়ে বেশি অনাগ্রহ আছে। আবার অনেকেই টাকা দিলে কাগজ ছাড়াই ভুয়া লাইসেন্সও পাওয়া যায়। সড়ক পরিবহনের নেতা বা মালিক বা রাজনৈতিক বা উপরের সমর্থন থাকলে সবকিছুই সম্ভব। ট্রাফিক পুলিশ আটক করলে উপরের ফোনে অনেক সময় ছাড়তে হয়। ন্যায্যতা প্রতিষ্ঠা করতে হলে সিস্টেমে চলতে হবে। তা কার্যকর না হলে রাস্তায় তল্লাশি ও জরিমানা করলে পরিবর্তন আসবে না।