বরিশাল নগরীতে মারধর করে টাকা ও মটর সাইকেল ছিনিয়ে নেয়ার অভিযোগ করা হয়েছে এক পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে। বরিশাল সিটি করপোরেশনের প্লান ছাড়াই ভবন নির্মাণ করার পায়তারা চালায় ওই পুলিশ সদস্য এমন অভিযোগ এনে গতকাল দুপুর ১২টায় বরিশাল রিপোর্টার্স ইউনিটির কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে ভুক্তভোগীরা। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন, হামলার শিকার নগরীর সিএন্ডবি রোডস্থ ২২নং ওয়ার্ডের মাতৃছায়া সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দা সুলতান আহমেদের ছেলে মো. শামীম আহম্মেদ।
শামীম আহম্মেদ অভিযোগ করেন, খুলনা বিভাগে কর্মরত পুলিশ কর্মকর্তা একই এলাকার বাসিন্দা কামাল হোসেন ২০১৪ সালে বরিশাল সিটি করপোরেশনের প্ল্যান ছাড়াই ভবন নির্মাণ কাজ শুরু করে। এতে কামাল বিসিসির কোন নিয়ম নীতি অনুসরণ করেনি। শামীম আহম্মেদের মা জাহানারা বেগমের ভবন ঘেঁষে ভবন নির্মাণ সামগ্রী রেখে কাজ শুরু করে। এতে প্রথমে মৌখিকভাবে বাঁধা প্রদান করলে পুলিশ কর্মকর্তা কামাল হোসেন তাদেরকে দেখে নেবার হুমকি দিতে শুরু করেন। উপায়ান্তর না পেয়ে শামীম আহম্মেদের মা জাহানারা বেগম বরিশাল সিটি করপোরেশনে একটি অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের পেক্ষিতে বরিশাল সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে অনুমোদিত প্লান দেখাতে না পারায় সিটি করর্পোরেশন তার নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেয়। কিন্তু পরবর্তীতে পুলিশ কর্মকর্তা পুনরায় কাজ শুরু করেন। তিনি বিসিসির প্লান না নিয়েই পুনরায় ভবন নির্মাণ কাজ শুরু করেন। বিষয়টি নিয়ে চলতি বছরে জাহানারা বেগম পুনরায় বরিশাল সিটি করপোরেশনে একটি অভিযোগ দায়ের করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে পুলিশ কর্মকর্তা কামাল হোসেন ও তার ছেলে সামিউল সন্ত্রাসী মতিউর রহমানকে নিয়ে গত ১৪ সেপ্টেম্বর নগরীর চৌমাথা এলাকায় বসে শামীম আহম্মেদের পথরোধ করে হামলা চালায়। এ সময় শামীম আহমেদকে মারধর করে তার সঙ্গে থাকা ১ লক্ষ ১০ হাজার টাকা, একটি পালসার মটর সাইকেল নিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা শামীমকে উদ্ধার করে বরিশাল মেডিকেল করেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। ঘটনার দিনই শামীম বরিশাল কোতয়ালী মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। কিন্তু ওই অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত কর্মকর্তা কোতয়ালী মডেল থানার এসআই রেজাউল শামীমকে বিষয়টি মিমাংসার কথা বলে। কিন্তু শামীম মিমাংশা না করে আইনের মাধ্যমে তদের শাস্তির দাবি জানান। সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ কর্মকর্তার বিষয় হওয়ায় থানা থেকে তাদের কোন প্রকার সহযোগিতা করা হচ্ছে না বলে দাবি করেন শামীম আহমেদ।
রবিবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২০ , ৩০ মহররম ১৪৪২, ০২ আশ্বিন ১৪২৭
নিজস্ব বার্তা পরিবেশক, বরিশাল
বরিশাল নগরীতে মারধর করে টাকা ও মটর সাইকেল ছিনিয়ে নেয়ার অভিযোগ করা হয়েছে এক পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে। বরিশাল সিটি করপোরেশনের প্লান ছাড়াই ভবন নির্মাণ করার পায়তারা চালায় ওই পুলিশ সদস্য এমন অভিযোগ এনে গতকাল দুপুর ১২টায় বরিশাল রিপোর্টার্স ইউনিটির কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে ভুক্তভোগীরা। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন, হামলার শিকার নগরীর সিএন্ডবি রোডস্থ ২২নং ওয়ার্ডের মাতৃছায়া সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দা সুলতান আহমেদের ছেলে মো. শামীম আহম্মেদ।
শামীম আহম্মেদ অভিযোগ করেন, খুলনা বিভাগে কর্মরত পুলিশ কর্মকর্তা একই এলাকার বাসিন্দা কামাল হোসেন ২০১৪ সালে বরিশাল সিটি করপোরেশনের প্ল্যান ছাড়াই ভবন নির্মাণ কাজ শুরু করে। এতে কামাল বিসিসির কোন নিয়ম নীতি অনুসরণ করেনি। শামীম আহম্মেদের মা জাহানারা বেগমের ভবন ঘেঁষে ভবন নির্মাণ সামগ্রী রেখে কাজ শুরু করে। এতে প্রথমে মৌখিকভাবে বাঁধা প্রদান করলে পুলিশ কর্মকর্তা কামাল হোসেন তাদেরকে দেখে নেবার হুমকি দিতে শুরু করেন। উপায়ান্তর না পেয়ে শামীম আহম্মেদের মা জাহানারা বেগম বরিশাল সিটি করপোরেশনে একটি অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের পেক্ষিতে বরিশাল সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে অনুমোদিত প্লান দেখাতে না পারায় সিটি করর্পোরেশন তার নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেয়। কিন্তু পরবর্তীতে পুলিশ কর্মকর্তা পুনরায় কাজ শুরু করেন। তিনি বিসিসির প্লান না নিয়েই পুনরায় ভবন নির্মাণ কাজ শুরু করেন। বিষয়টি নিয়ে চলতি বছরে জাহানারা বেগম পুনরায় বরিশাল সিটি করপোরেশনে একটি অভিযোগ দায়ের করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে পুলিশ কর্মকর্তা কামাল হোসেন ও তার ছেলে সামিউল সন্ত্রাসী মতিউর রহমানকে নিয়ে গত ১৪ সেপ্টেম্বর নগরীর চৌমাথা এলাকায় বসে শামীম আহম্মেদের পথরোধ করে হামলা চালায়। এ সময় শামীম আহমেদকে মারধর করে তার সঙ্গে থাকা ১ লক্ষ ১০ হাজার টাকা, একটি পালসার মটর সাইকেল নিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা শামীমকে উদ্ধার করে বরিশাল মেডিকেল করেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। ঘটনার দিনই শামীম বরিশাল কোতয়ালী মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। কিন্তু ওই অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত কর্মকর্তা কোতয়ালী মডেল থানার এসআই রেজাউল শামীমকে বিষয়টি মিমাংসার কথা বলে। কিন্তু শামীম মিমাংশা না করে আইনের মাধ্যমে তদের শাস্তির দাবি জানান। সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ কর্মকর্তার বিষয় হওয়ায় থানা থেকে তাদের কোন প্রকার সহযোগিতা করা হচ্ছে না বলে দাবি করেন শামীম আহমেদ।