দু’বোনকে হত্যা করা হয় ঘাতক রিফাত গ্রেফতার হত্যার কথা স্বীকার

রংপুর নগরীর মধ্য গনেশপুর এলাকায় বাসা থেকে স্কুলছাত্রী দু’বোনের লাশ উদ্ধারের ঘটনায় রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের কোতোয়ালি থানায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ তদন্ত করতে গিয়ে নিশ্চিত দু’বোন আত্মহত্যা করেনি তাদের পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। শনিবার বিকেলে পুলিশ দু’বোনের হত্যাকারী মাহফুজুর রহমান রিফাতকে গ্রেফতার করার পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে বেরিয়ে আসে কিভাবে দু’বোনকে হত্যা করা হয়েছে।

এদিকে মেট্রোপলিটন পুলিশের মিডিয়া বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ডিবির অতিরিক্ত উপ পুলিশ কমিশনার উত্তম প্রসাদ পাঠক সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে প্রধান আসামি রিফাতকে গ্রেফতার করার বিষয়টি জানানো হয় এবং তিনি নিজেও বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়- শুক্রবার দু’বোনের লাশ উদ্ধার করার পর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়, যার নম্বর ১০০০, তারিখ ১৮/৯/২০ইং। অন্যদিকে গত শনিবার সকালে নিহত দু’বোনের একজন জান্নাতুল মাওয়ার বাবা মমিমনুল ইসলাম বাদী হয়ে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নম্বর ৩১, তারিখ ১৯/৯/২০ইং।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয় শনিবার বিকেল ৩টা ১০ মিনিটে রংপুর নগরীর মধ্যবাবু খাঁ মহল্লা থেকে দু’বোন হত্যার মূল নায়ক মাহফুজার রহমান ওরফে রিফাতকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার বাবার নাম এমদাদুল ইসলাম। পুলিশ জানায়, আসামিকে সুকৌশলে নিবিড়ভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে হত্যাকা-ের সঙ্গে জড়িত থাকার বিষয়ে তথ্য প্রদান করে।

যেভাবে দু’বোনকে হত্যা করা হয়

পুলিশের বিভিন্ন দায়িত্বশীল সূত্রে জানা গেছে, নগরীর মধ্য গনেশপুর এলাকায় মমিনুল ইসলামের মেয়ে জান্নাতুল মাওয়া নবম শ্রেণীর ছাত্রী এবং মোকসেদুল ইসলামের মেয়ে সুমাইয়া আখতার মীম এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছে। তারা দু’জনই চাচাতো জেঠাতো বোন। তারা একই বাসায় পাশাপাশি ঘরে থাকতো। জান্নাতুল মাওয়ার বাবা-মা তাদের স্বজনদের বাড়ি কুড়িগ্রাম জেলার উলিপুরে গিয়েছিল। তবে মীমের বাবা-মা বাসাতে থাকলেও তারাও বাইরে ছিল। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে নিহত সুমাইয়া আখতার মীমের প্রেমিক মাহফুজার রহমান রিফাত মীমকে ফোন করে তাদের বাসায় আসে। তারা দুজনেই মীমদের থাকার ঘরে অবস্থান করে। এদিকে মীমের চাচাতো বোন জান্নাতুল মাওয়া হঠাৎ করে মীমদের ঘরে ঢুকে মীম ও তার প্রেমিক রিফাতকে আপত্তিকর অবস্থায় দেখতে পেয়ে সে বিষয়টি তার বাবা-মাকে বলে দেবে বলে জানায়। এ ঘটনায় ক্ষিপ্ত হয়ে মীম ও তার প্রেমিক রিফাত জান্নাতুল মাওয়ার ঘরে প্রবেশ করে তাকে শ্বাস রোধ করে হত্যা করে এবং আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেবার জন্য মুখে বিষ ঢেলে দেয় এবং গলায় ব্লেড দিয়ে কিছু অংশ কেটে ফেলে। এ ঘটনার পর রিফাতের সঙ্গে মীমের কথা কাটাকাটি হয় রিফাত যখন বুঝতে পারে মীমও হয়তো জান্নাতুল মাওয়াকে মেরে ফেলার ব্যাপারে তার নাম বলে দিতে পারে। সে কারণে রিফাত মীমকে হত্য করার পরিকল্পনা করে। সঙ্গে সঙ্গে মীমকে শ্বাস রোধ করে হত্যা করে তার লাশ ঘরের মধ্যে সিলিং ফানের মধ্যে ঝুলিয়ে দিয়ে রিফাত তাদের বাসা থেকে বের হয়ে যায়।

দুপুর দেড়টার দিকে ঘরের মধ্যে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ওড়না পেঁচানো অবস্থায় মীমের লাশ দেখে এবং

জান্নাতুল মাওয়াকে অন্যঘরে মৃত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে আশপাশের লোকজন ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে জানায়। এরপর পুলিশ এসে তাদের দু’বোনের লাশ উদ্ধার করে। পুলিশ জানায়, জান্নাতুল মাওয়ার গলায় ব্লেড দিয়ে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। তবে কেন, কিভাবে তারা আত্মহত্যা করলো বা কেউ তাদের হত্যা করেছে কিনা নিহত হবার কোন কারণ তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশ নিশ্চিত করতে পারেনি। খবর পেয়ে মেট্রোপলিটন পুলিশের ডেপুটি পুলিশ কমিশনার (অপরাধ) মারুফ আহাম্মেদ উপ কমিশনার শহিদুল্লা কাওছার কোতোয়ালি থানার ওসি আবদুর রশিদসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনা স্থলে এসে নিহত হবার কারণ উদ্ঘাটন করার চেষ্টা করেন। পরে দু’বোনের লাশ উদ্ধার করে অ্যাম্বুলেন্সে করে রংপুর মেডিকেল কলেজে ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। এ ঘটনায় শুক্রবার নিহত মীম ও জান্নাতুল মাওয়ার বেশ কয়েকজন স্বজনসহ ১০/১২ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ থানায় নিয়ে আসে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদে দু’বোনের সঙ্গে কারও প্রেমের সম্পর্ক ছিল কিনা বিভিন্ন বিষয় তাদের সঙ্গে কথা বলেন। তবে মীমের মোবাইল ফোনে পাওয়া রিফাতের নম্বরে বিভিন্ন সময়ে কথা বলা এবং হত্যাকা-ের আগে তাদের বাসায় আসার আগেও কথা হবার বিষয়টি তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে নিশ্চিত হয়ে পুলিশ নগরীর মধ্য বাবু খাঁ মহল্লা থেকে রিফাতকে গ্রেফতার করে। তবে রিফাতের সঙ্গে আরও কেউ ছিল কিনা আরও কোন ঘটনার নেপথ্য আছে কিনা পুলিশ তা খতিয়ে দেখছে।

এ ব্যাপারে মেট্রোপলিটন পুলিশের মিডিয়া শাখার উপপুলিশ কমিশনার উত্তম প্রসাদ পাঠকের সঙ্গে তার মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, আমরা রিফাতকে গ্রেফতার করেছি তার কাছ থেকে বিভিন্ন তথ্য পাচ্ছি পুরো বিষয় রোববার সংবাদ সম্মেলন করে জানানো হতে পারে বলে জানান তিনি। তবে মেট্রোপলিটন পুলিশের উপপুলিশ কমিশনার শহিদুল্লা কাওছার ও কোতোয়ালি থানার ওসি আবদুর রশিদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি।

আরও খবর
সীমান্ত হত্যা বন্ধে বিএসএফের ফের প্রতিশ্রুতি
আ’লীগের সব পর্যায়ে কমিটিতে পরীক্ষিত নেতাকর্মীদের মূল্যায়ন করতে হবে : কাদের
বাংলাদেশের খাদ্য ব্যবস্থাপনা হবে বিশ্বে রোল মডেল খাদ্যমন্ত্রী
বিআরটিএতে গাড়ি রেজিস্ট্রেশনের মহোৎসব
বিআরটিএতে গাড়ি রেজিস্ট্রেশনের মহোৎসব
আ’লীগের প্রস্তাবিত কমিটির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ
ঘর জমি কাজ হারিয়ে দিশেহারা মানুষ
যশোরে ৬টি অ্যাসেম্বল সেন্টার হচ্ছে
পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে হামলা ও ছিনতাই অভিযোগ
বৈষম্যহীন সমাজ প্রতিষ্ঠায় লড়াই করেন জিয়াউদ্দিন তারিক আলী
দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী কুদ্দুস মোল্লার জীবন সংগ্রাম
নগরে অগ্নিদুর্ঘটনা সমাধানে সদিচ্ছার অভাব : বিআইপি
প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে ৯ বছরে ৯ বিয়ে
হিলিতে ট্রেন লাইনচ্যুত

রবিবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২০ , ৩০ মহররম ১৪৪২, ০২ আশ্বিন ১৪২৭

ফলোআপ : রংপুরে দুই লাশ উদ্ধার

দু’বোনকে হত্যা করা হয় ঘাতক রিফাত গ্রেফতার হত্যার কথা স্বীকার

লিয়াকত আলী বাদল, রংপুর

রংপুর নগরীর মধ্য গনেশপুর এলাকায় বাসা থেকে স্কুলছাত্রী দু’বোনের লাশ উদ্ধারের ঘটনায় রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের কোতোয়ালি থানায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ তদন্ত করতে গিয়ে নিশ্চিত দু’বোন আত্মহত্যা করেনি তাদের পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। শনিবার বিকেলে পুলিশ দু’বোনের হত্যাকারী মাহফুজুর রহমান রিফাতকে গ্রেফতার করার পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে বেরিয়ে আসে কিভাবে দু’বোনকে হত্যা করা হয়েছে।

এদিকে মেট্রোপলিটন পুলিশের মিডিয়া বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ডিবির অতিরিক্ত উপ পুলিশ কমিশনার উত্তম প্রসাদ পাঠক সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে প্রধান আসামি রিফাতকে গ্রেফতার করার বিষয়টি জানানো হয় এবং তিনি নিজেও বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়- শুক্রবার দু’বোনের লাশ উদ্ধার করার পর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়, যার নম্বর ১০০০, তারিখ ১৮/৯/২০ইং। অন্যদিকে গত শনিবার সকালে নিহত দু’বোনের একজন জান্নাতুল মাওয়ার বাবা মমিমনুল ইসলাম বাদী হয়ে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নম্বর ৩১, তারিখ ১৯/৯/২০ইং।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয় শনিবার বিকেল ৩টা ১০ মিনিটে রংপুর নগরীর মধ্যবাবু খাঁ মহল্লা থেকে দু’বোন হত্যার মূল নায়ক মাহফুজার রহমান ওরফে রিফাতকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার বাবার নাম এমদাদুল ইসলাম। পুলিশ জানায়, আসামিকে সুকৌশলে নিবিড়ভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে হত্যাকা-ের সঙ্গে জড়িত থাকার বিষয়ে তথ্য প্রদান করে।

যেভাবে দু’বোনকে হত্যা করা হয়

পুলিশের বিভিন্ন দায়িত্বশীল সূত্রে জানা গেছে, নগরীর মধ্য গনেশপুর এলাকায় মমিনুল ইসলামের মেয়ে জান্নাতুল মাওয়া নবম শ্রেণীর ছাত্রী এবং মোকসেদুল ইসলামের মেয়ে সুমাইয়া আখতার মীম এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছে। তারা দু’জনই চাচাতো জেঠাতো বোন। তারা একই বাসায় পাশাপাশি ঘরে থাকতো। জান্নাতুল মাওয়ার বাবা-মা তাদের স্বজনদের বাড়ি কুড়িগ্রাম জেলার উলিপুরে গিয়েছিল। তবে মীমের বাবা-মা বাসাতে থাকলেও তারাও বাইরে ছিল। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে নিহত সুমাইয়া আখতার মীমের প্রেমিক মাহফুজার রহমান রিফাত মীমকে ফোন করে তাদের বাসায় আসে। তারা দুজনেই মীমদের থাকার ঘরে অবস্থান করে। এদিকে মীমের চাচাতো বোন জান্নাতুল মাওয়া হঠাৎ করে মীমদের ঘরে ঢুকে মীম ও তার প্রেমিক রিফাতকে আপত্তিকর অবস্থায় দেখতে পেয়ে সে বিষয়টি তার বাবা-মাকে বলে দেবে বলে জানায়। এ ঘটনায় ক্ষিপ্ত হয়ে মীম ও তার প্রেমিক রিফাত জান্নাতুল মাওয়ার ঘরে প্রবেশ করে তাকে শ্বাস রোধ করে হত্যা করে এবং আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেবার জন্য মুখে বিষ ঢেলে দেয় এবং গলায় ব্লেড দিয়ে কিছু অংশ কেটে ফেলে। এ ঘটনার পর রিফাতের সঙ্গে মীমের কথা কাটাকাটি হয় রিফাত যখন বুঝতে পারে মীমও হয়তো জান্নাতুল মাওয়াকে মেরে ফেলার ব্যাপারে তার নাম বলে দিতে পারে। সে কারণে রিফাত মীমকে হত্য করার পরিকল্পনা করে। সঙ্গে সঙ্গে মীমকে শ্বাস রোধ করে হত্যা করে তার লাশ ঘরের মধ্যে সিলিং ফানের মধ্যে ঝুলিয়ে দিয়ে রিফাত তাদের বাসা থেকে বের হয়ে যায়।

দুপুর দেড়টার দিকে ঘরের মধ্যে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ওড়না পেঁচানো অবস্থায় মীমের লাশ দেখে এবং

জান্নাতুল মাওয়াকে অন্যঘরে মৃত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে আশপাশের লোকজন ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে জানায়। এরপর পুলিশ এসে তাদের দু’বোনের লাশ উদ্ধার করে। পুলিশ জানায়, জান্নাতুল মাওয়ার গলায় ব্লেড দিয়ে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। তবে কেন, কিভাবে তারা আত্মহত্যা করলো বা কেউ তাদের হত্যা করেছে কিনা নিহত হবার কোন কারণ তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশ নিশ্চিত করতে পারেনি। খবর পেয়ে মেট্রোপলিটন পুলিশের ডেপুটি পুলিশ কমিশনার (অপরাধ) মারুফ আহাম্মেদ উপ কমিশনার শহিদুল্লা কাওছার কোতোয়ালি থানার ওসি আবদুর রশিদসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনা স্থলে এসে নিহত হবার কারণ উদ্ঘাটন করার চেষ্টা করেন। পরে দু’বোনের লাশ উদ্ধার করে অ্যাম্বুলেন্সে করে রংপুর মেডিকেল কলেজে ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। এ ঘটনায় শুক্রবার নিহত মীম ও জান্নাতুল মাওয়ার বেশ কয়েকজন স্বজনসহ ১০/১২ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ থানায় নিয়ে আসে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদে দু’বোনের সঙ্গে কারও প্রেমের সম্পর্ক ছিল কিনা বিভিন্ন বিষয় তাদের সঙ্গে কথা বলেন। তবে মীমের মোবাইল ফোনে পাওয়া রিফাতের নম্বরে বিভিন্ন সময়ে কথা বলা এবং হত্যাকা-ের আগে তাদের বাসায় আসার আগেও কথা হবার বিষয়টি তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে নিশ্চিত হয়ে পুলিশ নগরীর মধ্য বাবু খাঁ মহল্লা থেকে রিফাতকে গ্রেফতার করে। তবে রিফাতের সঙ্গে আরও কেউ ছিল কিনা আরও কোন ঘটনার নেপথ্য আছে কিনা পুলিশ তা খতিয়ে দেখছে।

এ ব্যাপারে মেট্রোপলিটন পুলিশের মিডিয়া শাখার উপপুলিশ কমিশনার উত্তম প্রসাদ পাঠকের সঙ্গে তার মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, আমরা রিফাতকে গ্রেফতার করেছি তার কাছ থেকে বিভিন্ন তথ্য পাচ্ছি পুরো বিষয় রোববার সংবাদ সম্মেলন করে জানানো হতে পারে বলে জানান তিনি। তবে মেট্রোপলিটন পুলিশের উপপুলিশ কমিশনার শহিদুল্লা কাওছার ও কোতোয়ালি থানার ওসি আবদুর রশিদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি।