সম্প্রতি উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে কিশোর গ্যাং এর লাগামহীন দৌরাত্ম্য। রাস্তাঘাট, পাড়া মহল্লা দাপিয়ে বেড়াচ্ছে কিশোর গ্যাং নামের উঠতি বয়সী তরুণরা। ভয়ংকর কিশোর গ্যাং এখন পেশাদার সন্ত্রাসীতে পরিণত হয়েছে। চাঁদাবাজি, ভূমি দখলদারিত্ব, হুমকি, মারামারি, ভারাটিয়া খুনি ও পথে ঘাটে মেয়েদের উত্ত্যক্তসহ বিভিন্ন অসামাজিক কর্মকা- করে যাচ্ছে তারা। পকেটে নগদ টাকা, হাতে অস্ত্র ও মাদকের নেশায় বুঁদ হয়ে বুনো উল্লাসের সঙ্গে হত্যার মতো ঘটানাও ঘটাচ্ছে তারা। সম্প্রতি এমনই দুটি ঘটনা ঘটেছে- রাজধানীর কামরাঙ্গীচরে ও সাভারে।
কিশোর গ্যাং গড়ে উঠার মূল কারণ নেপথ্যে থাকা এলকার কিছু নেতা ও প্রভাবশালী বড় ভাই। ব্যক্তিগত স্বার্থে টাকার বিনিময়ে নেপথ্যে থাকা ব্যক্তিরা কিশোর গ্যাংদের দিয়ে বিভিন্ন অসামাজিক ও বেআইনি কর্মকা- করাচ্ছে। বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতারাও এদের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে থাকে। ফলে একদিকে যেমন নেতা ও প্রভাবশালী বড় ভাইদের স্বার্থ হাসিল হচ্ছে অপরদিকে কিশোর গ্যাং সদস্যদের এলাকায় আলাদা একটা প্রভাব বিস্তার লাভ করছে। এছাড়াও এলাকায় নিজ নিজ প্রভাব বিস্তার নিয়েও গড়ে উঠছে কিশোর গ্যাং। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বলছে, রাজধানী ঢাকা শহরেই রয়েছে ৫০টি কিশোর গ্যাং। এছাড়াও বিভিন্ন জেলা ও উপজেলা শহরগুলোতেও দ্রুত বাড়তে শুরু করেছে কিশোর গ্যাং।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে এ স্থবিরতা কাটিয়ে আরও কঠোর হতে হবে। প্রতিটি এলাকায় অনুসন্ধান চালিয়ে কিশোর গ্যাং সদস্যদের আইনের আওতায় আনতে হবে এবং বিচার নিশ্চিত করতে হবে। একইসঙ্গে কিশোর গ্যাংদের নেপথ্যে কাজ করা রাজনৈতিক নেতা কিংবা প্রভাবশালী বড় ভাইদের আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। আইন প্রয়াগে যেন বাধা বিপত্তি না আসে সেদিকে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ, সরকারের সজাগ দৃষ্টি দিতে হবে। কিশোর দের মধ্যে সামাজিক মূল্যবোধ গঠনে সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে শিশু পরিচর্চা কেন্দ্র গড়ে তুলতে হবে। জনপ্রতিনিধি, বিভিন্ন সংগঠন ও সচেতন তরুণ সমাজকে কিশোর গ্যাং নিষ্পত্তিকরণে এগিয়ে আসতে হবে। সর্বোপরি, আপনার সন্তান কোথায় যাচ্ছে, কাদের সঙ্গে উঠাবসা করছে, চলাফেরা করছে সেদিকে অভিভাবকবৃন্দ দের সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে।
মোহম্মদ শাহিন
রবিবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২০ , ৩০ মহররম ১৪৪২, ০২ আশ্বিন ১৪২৭
সম্প্রতি উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে কিশোর গ্যাং এর লাগামহীন দৌরাত্ম্য। রাস্তাঘাট, পাড়া মহল্লা দাপিয়ে বেড়াচ্ছে কিশোর গ্যাং নামের উঠতি বয়সী তরুণরা। ভয়ংকর কিশোর গ্যাং এখন পেশাদার সন্ত্রাসীতে পরিণত হয়েছে। চাঁদাবাজি, ভূমি দখলদারিত্ব, হুমকি, মারামারি, ভারাটিয়া খুনি ও পথে ঘাটে মেয়েদের উত্ত্যক্তসহ বিভিন্ন অসামাজিক কর্মকা- করে যাচ্ছে তারা। পকেটে নগদ টাকা, হাতে অস্ত্র ও মাদকের নেশায় বুঁদ হয়ে বুনো উল্লাসের সঙ্গে হত্যার মতো ঘটানাও ঘটাচ্ছে তারা। সম্প্রতি এমনই দুটি ঘটনা ঘটেছে- রাজধানীর কামরাঙ্গীচরে ও সাভারে।
কিশোর গ্যাং গড়ে উঠার মূল কারণ নেপথ্যে থাকা এলকার কিছু নেতা ও প্রভাবশালী বড় ভাই। ব্যক্তিগত স্বার্থে টাকার বিনিময়ে নেপথ্যে থাকা ব্যক্তিরা কিশোর গ্যাংদের দিয়ে বিভিন্ন অসামাজিক ও বেআইনি কর্মকা- করাচ্ছে। বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতারাও এদের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে থাকে। ফলে একদিকে যেমন নেতা ও প্রভাবশালী বড় ভাইদের স্বার্থ হাসিল হচ্ছে অপরদিকে কিশোর গ্যাং সদস্যদের এলাকায় আলাদা একটা প্রভাব বিস্তার লাভ করছে। এছাড়াও এলাকায় নিজ নিজ প্রভাব বিস্তার নিয়েও গড়ে উঠছে কিশোর গ্যাং। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বলছে, রাজধানী ঢাকা শহরেই রয়েছে ৫০টি কিশোর গ্যাং। এছাড়াও বিভিন্ন জেলা ও উপজেলা শহরগুলোতেও দ্রুত বাড়তে শুরু করেছে কিশোর গ্যাং।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে এ স্থবিরতা কাটিয়ে আরও কঠোর হতে হবে। প্রতিটি এলাকায় অনুসন্ধান চালিয়ে কিশোর গ্যাং সদস্যদের আইনের আওতায় আনতে হবে এবং বিচার নিশ্চিত করতে হবে। একইসঙ্গে কিশোর গ্যাংদের নেপথ্যে কাজ করা রাজনৈতিক নেতা কিংবা প্রভাবশালী বড় ভাইদের আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। আইন প্রয়াগে যেন বাধা বিপত্তি না আসে সেদিকে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ, সরকারের সজাগ দৃষ্টি দিতে হবে। কিশোর দের মধ্যে সামাজিক মূল্যবোধ গঠনে সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে শিশু পরিচর্চা কেন্দ্র গড়ে তুলতে হবে। জনপ্রতিনিধি, বিভিন্ন সংগঠন ও সচেতন তরুণ সমাজকে কিশোর গ্যাং নিষ্পত্তিকরণে এগিয়ে আসতে হবে। সর্বোপরি, আপনার সন্তান কোথায় যাচ্ছে, কাদের সঙ্গে উঠাবসা করছে, চলাফেরা করছে সেদিকে অভিভাবকবৃন্দ দের সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে।
মোহম্মদ শাহিন