ওয়াসার এমডি পদে বিতর্কিতদের পুনর্নিয়োগ না দেয়ার আহ্বান ক্যাবের

ঢাকা ও চট্টগ্রাম ওয়াসায় বিতর্কিত ও দুর্নীতি অনিয়মের সঙ্গে জড়িত বর্তমান ব্যবস্থাপনা পরিচালক তাকসিন এ খান ও ফজুল্লাকে পুনর্নিয়োগ না দেবার আহ্বান জানিয়েছেন দেশের ক্রেতা-ভোক্তাদের জাতীয় প্রতিনিধিত্বকারী প্রতিষ্ঠান কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব)। কোন প্রকার সার্চ কমিটি না করে ও নিয়োগ বিজ্ঞাপন প্রকাশ না করে এক ব্যক্তিকে বারবার নিয়োগ দিয়ে সরকারি ক্রয়নীতিকে উপেক্ষা করা হয়েছে। আর ওয়াসা পরিচালনা পর্ষদ কোন যুক্তিতে এক ব্যক্তিকে বারবার নিয়োগ দেবার সুপারিশ করেছে তার সুনির্দিষ্ট ব্যাখ্যা ছিল না। ফলে দুই ওয়াসা বোর্ডের কাজ অনেকটাই ব্যবস্থাপনা পরিচালকের রাবার স্ট্যাম্প হিসাবে কাজ করছেন বলে মন্তব্য করা হয়। তাই দুই ব্যবস্থাপনা পরিচালকের প্রশ্নবিদ্ধ পুনর্নিয়োগ না দিয়ে নতুন যোগ্য ব্যক্তিকে খুঁজে বের করার জন্য সার্চ কমিটি ও বিজ্ঞাপন প্রদান করে সরকারি ক্রয় ও নিয়োগ-নীতিমালা যথাযথভাবে অনুসরণের দাবি জানিয়েছেন।

গতকাল গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে ক্যাব কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট এসএম নাজের হোসাইন, ক্যাব চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাধারণ সম্পাদক কাজী ইকবাল বাহার ছাবেরী, ক্যাব মহানগরের সভাপতি জেসমিন সুলতানা পারু, সাধারণ সম্পাদক অজয় মিত্র শংকু, যুগ্ম সম্পাদক তৌহিদুল ইসলাম, ক্যাব চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা সভাপতি আলহাজ আবদুল মান্নান, ক্যাব যুব গ্রুপের সভাপতি চৌধুরী কে এনএম রিয়াদ ও সম্পাদক নিপা দাস প্রমুখ উপরোক্ত দাবি জানান।

রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন সেবাদানকারী ঢাকা ও চট্টগ্রাম ওয়াসার এ উদ্যোগের প্রতিবাদ জানিয়ে ক্যাব নেতরা বলেন, বর্তমান দুই এমডিকে অনৈতিক ও বিধিবহির্ভূতভাবে পুনর্নিয়োগ দেয়ার সুপারিশ করেছে ওয়াসার বোর্ড। যা ওয়াসার কার্যক্রম ও নীতিমালাকে সহায়তা করার জন্য বোর্ড সদস্যদের অর্পিত দায়িত্বের বরখেলাপ। কারণ বোর্ড সদস্যরা ওয়াসার স্বার্থ সুরক্ষার জন্য সরকার তাদের নিয়োগ প্রদান করেছেন। কিন্তু তারা ব্যবস্থাপনা পরিচালকের স্বার্থ রক্ষা ছাড়া কিছুই করতে পারেননি। এক ব্যক্তির পুনর্নিয়োগের জন্য বোর্ড সভা আহ্বান করা কতটা যুক্তিসঙ্গত ও নীতি নৈতিকতার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ? 

নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করেই ঢাকা ও চট্টগ্রাম ওয়াসার ব্যবস্থাপনায় এক ব্যক্তির অনৈতিক ও অবৈধ বহাল অব্যাহত রেখে দীর্ঘকালের লালিত এককেন্দ্রিক আধিপত্যবাদ অপরিবর্তিত রাখার সুযোগ তৈরি করেছেন। রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন সেবা প্রতিষ্ঠানের ধারাবাহিক ব্যর্থতা ও গ্রাহকদের কাছে কাক্সিক্ষত সেবা প্রদানে অনিয়মের গুরুতর সব অভিযোগ থাকার পরও এই পদে প্রশ্নবিদ্ধ নিয়োগ ও পুনর্নিয়োগ দুর্নীতি ও অনিয়মের বিরুদ্ধে প্রধান মন্ত্রীর ‘শূন্য সহনশীলতাকে’ বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শনের সামিল বলে মন্তব্য করছেন ক্যাব। 

বিবৃতিতে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলা হয়, সরকারি যে কোন চাকরিতে নিয়োগে বিধিমালা অনুযায়ী হবার কথা। আর একজন কতবার চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পেতে পারেন? তার সুনির্র্দিষ্ট ব্যাখ্যা থাকার পরও দুই ওয়াসায় বোর্ড সভার আলোচ্য সূচিতে শুধুমাত্র বর্তমান ব্যবস্থাপনা পরিচালকের নাম উল্লেখ করে তাকে আবারও তিন বছর মেয়াদে পুনর্নিয়োগের সুপারিশ চূড়ান্ত করার কথা বলা হয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী এই পদে দরখাস্ত আহ্বান করা হয়েছিল কিনা, কারা আবেদন করেছিলেন, কেন তারা যোগ্য বিবেচিত হলেন না বা কেন বর্তমান ব্যবস্থাপনা পরিচালকই একমাত্র উপযুক্ত প্রাার্থী, কেন সংশ্লিষ্টবিধি অবমাননা করে মেয়াদের পর মেয়াদ একই ব্যক্তিকে বারবার পুনর্নিয়োগ অপরিহার্য তার প্রক্রিয়াগত প্রশ্নের উত্তর যাচাই করা হয়েছে কিনা, তার উল্লে­খ দরকার ছিল।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, বর্তমান ব্যবস্থাপনা পরিচালকের প্রায় এক যুগ দায়িত্বকালে জনদুর্ভোগের বিষয়টি কারও অজানা নয়। বিভিন্ন গবেষণা ও গণমাধ্যমের সূত্রে ওয়াসার ছোট-বড় অনেক প্রকল্প বাস্তবায়ন ও সেবা প্রদানে বিভিন্ন ধরনের অনিয়ম ও দুর্নীতির ব্যাপক বিস্তারের অভিযোগ উত্থাপিত হয়েছে। সরকারের দুর্নীতি দমন কমিশনে অনেকগুলো তদন্তাধীন। 

বিবৃতিতে ক্যাব নেতারা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ঢাকা ও চট্টগ্রাম ওয়াসার দুই বর্তমান ব্যবস্থাপনা পরিচালক ২০০৯ সালে প্রশ্নবিদ্ধ বিতর্কিত নিয়োগের পর টানা পাঁচ মেয়াদে ১১-১২ বছর ধরে দায়িত্ব পালন করছেন। প্রতিবারই নিয়োগ নবায়নের ক্ষেত্রে কোন না কোনোভাবে আইন ও নীতিমালাকে ব্যত্যয় ঘটিয়েছেন। কিন্তু সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় থেকে পরবর্তী নিয়োগে সতর্কতা অবলম্বনের জন্য পরামর্শ দেয়া হলেও কখনও বয়সসীমা বাড়িয়ে, আবার কখনও বোর্ডের সাম্প্রতিক সভার সুপারিশ পাস কাটিয়ে পুরনো সভার তামাদি সুপারিশ ব্যবহার করে, এমনকি বোর্ডের মতামত গ্রহণেরই তোয়াক্কা না করে প্রভাবশালী মহলের যোগসাজশে পুনর্নিয়োগ দেয়া হয়। 

তাই আবারও একই ঘটনার পুনরাবৃত্তির না ঘটিয়ে বর্তমান দুই ব্যবস্থাপনা পরিচালকের নিয়োগে স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় সংশ্লি­ষ্ট খাতে যোগ্য, অভিজ্ঞ ও কর্মঠ নতুন ব্যবস্থাপনা পরিচালক নিয়োগ দেবার দাবি জানান। একইসঙ্গে এই রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন সেবা সংস্থার গ্রাহকদের কল্যাণে বর্তমান এমডিসহ ওয়াসার যাবতীয় নিয়োগ প্রক্রিয়ার বিষয়ে সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ তদন্ত ও নিরীক্ষার দাবি জানান।

সোমবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২০ , ০১ মহররম ১৪৪২, ০৩ আশ্বিন ১৪২৭

ওয়াসার এমডি পদে বিতর্কিতদের পুনর্নিয়োগ না দেয়ার আহ্বান ক্যাবের

চট্টগ্রাম ব্যুরো

ঢাকা ও চট্টগ্রাম ওয়াসায় বিতর্কিত ও দুর্নীতি অনিয়মের সঙ্গে জড়িত বর্তমান ব্যবস্থাপনা পরিচালক তাকসিন এ খান ও ফজুল্লাকে পুনর্নিয়োগ না দেবার আহ্বান জানিয়েছেন দেশের ক্রেতা-ভোক্তাদের জাতীয় প্রতিনিধিত্বকারী প্রতিষ্ঠান কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব)। কোন প্রকার সার্চ কমিটি না করে ও নিয়োগ বিজ্ঞাপন প্রকাশ না করে এক ব্যক্তিকে বারবার নিয়োগ দিয়ে সরকারি ক্রয়নীতিকে উপেক্ষা করা হয়েছে। আর ওয়াসা পরিচালনা পর্ষদ কোন যুক্তিতে এক ব্যক্তিকে বারবার নিয়োগ দেবার সুপারিশ করেছে তার সুনির্দিষ্ট ব্যাখ্যা ছিল না। ফলে দুই ওয়াসা বোর্ডের কাজ অনেকটাই ব্যবস্থাপনা পরিচালকের রাবার স্ট্যাম্প হিসাবে কাজ করছেন বলে মন্তব্য করা হয়। তাই দুই ব্যবস্থাপনা পরিচালকের প্রশ্নবিদ্ধ পুনর্নিয়োগ না দিয়ে নতুন যোগ্য ব্যক্তিকে খুঁজে বের করার জন্য সার্চ কমিটি ও বিজ্ঞাপন প্রদান করে সরকারি ক্রয় ও নিয়োগ-নীতিমালা যথাযথভাবে অনুসরণের দাবি জানিয়েছেন।

গতকাল গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে ক্যাব কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট এসএম নাজের হোসাইন, ক্যাব চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাধারণ সম্পাদক কাজী ইকবাল বাহার ছাবেরী, ক্যাব মহানগরের সভাপতি জেসমিন সুলতানা পারু, সাধারণ সম্পাদক অজয় মিত্র শংকু, যুগ্ম সম্পাদক তৌহিদুল ইসলাম, ক্যাব চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা সভাপতি আলহাজ আবদুল মান্নান, ক্যাব যুব গ্রুপের সভাপতি চৌধুরী কে এনএম রিয়াদ ও সম্পাদক নিপা দাস প্রমুখ উপরোক্ত দাবি জানান।

রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন সেবাদানকারী ঢাকা ও চট্টগ্রাম ওয়াসার এ উদ্যোগের প্রতিবাদ জানিয়ে ক্যাব নেতরা বলেন, বর্তমান দুই এমডিকে অনৈতিক ও বিধিবহির্ভূতভাবে পুনর্নিয়োগ দেয়ার সুপারিশ করেছে ওয়াসার বোর্ড। যা ওয়াসার কার্যক্রম ও নীতিমালাকে সহায়তা করার জন্য বোর্ড সদস্যদের অর্পিত দায়িত্বের বরখেলাপ। কারণ বোর্ড সদস্যরা ওয়াসার স্বার্থ সুরক্ষার জন্য সরকার তাদের নিয়োগ প্রদান করেছেন। কিন্তু তারা ব্যবস্থাপনা পরিচালকের স্বার্থ রক্ষা ছাড়া কিছুই করতে পারেননি। এক ব্যক্তির পুনর্নিয়োগের জন্য বোর্ড সভা আহ্বান করা কতটা যুক্তিসঙ্গত ও নীতি নৈতিকতার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ? 

নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করেই ঢাকা ও চট্টগ্রাম ওয়াসার ব্যবস্থাপনায় এক ব্যক্তির অনৈতিক ও অবৈধ বহাল অব্যাহত রেখে দীর্ঘকালের লালিত এককেন্দ্রিক আধিপত্যবাদ অপরিবর্তিত রাখার সুযোগ তৈরি করেছেন। রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন সেবা প্রতিষ্ঠানের ধারাবাহিক ব্যর্থতা ও গ্রাহকদের কাছে কাক্সিক্ষত সেবা প্রদানে অনিয়মের গুরুতর সব অভিযোগ থাকার পরও এই পদে প্রশ্নবিদ্ধ নিয়োগ ও পুনর্নিয়োগ দুর্নীতি ও অনিয়মের বিরুদ্ধে প্রধান মন্ত্রীর ‘শূন্য সহনশীলতাকে’ বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শনের সামিল বলে মন্তব্য করছেন ক্যাব। 

বিবৃতিতে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলা হয়, সরকারি যে কোন চাকরিতে নিয়োগে বিধিমালা অনুযায়ী হবার কথা। আর একজন কতবার চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পেতে পারেন? তার সুনির্র্দিষ্ট ব্যাখ্যা থাকার পরও দুই ওয়াসায় বোর্ড সভার আলোচ্য সূচিতে শুধুমাত্র বর্তমান ব্যবস্থাপনা পরিচালকের নাম উল্লেখ করে তাকে আবারও তিন বছর মেয়াদে পুনর্নিয়োগের সুপারিশ চূড়ান্ত করার কথা বলা হয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী এই পদে দরখাস্ত আহ্বান করা হয়েছিল কিনা, কারা আবেদন করেছিলেন, কেন তারা যোগ্য বিবেচিত হলেন না বা কেন বর্তমান ব্যবস্থাপনা পরিচালকই একমাত্র উপযুক্ত প্রাার্থী, কেন সংশ্লিষ্টবিধি অবমাননা করে মেয়াদের পর মেয়াদ একই ব্যক্তিকে বারবার পুনর্নিয়োগ অপরিহার্য তার প্রক্রিয়াগত প্রশ্নের উত্তর যাচাই করা হয়েছে কিনা, তার উল্লে­খ দরকার ছিল।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, বর্তমান ব্যবস্থাপনা পরিচালকের প্রায় এক যুগ দায়িত্বকালে জনদুর্ভোগের বিষয়টি কারও অজানা নয়। বিভিন্ন গবেষণা ও গণমাধ্যমের সূত্রে ওয়াসার ছোট-বড় অনেক প্রকল্প বাস্তবায়ন ও সেবা প্রদানে বিভিন্ন ধরনের অনিয়ম ও দুর্নীতির ব্যাপক বিস্তারের অভিযোগ উত্থাপিত হয়েছে। সরকারের দুর্নীতি দমন কমিশনে অনেকগুলো তদন্তাধীন। 

বিবৃতিতে ক্যাব নেতারা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ঢাকা ও চট্টগ্রাম ওয়াসার দুই বর্তমান ব্যবস্থাপনা পরিচালক ২০০৯ সালে প্রশ্নবিদ্ধ বিতর্কিত নিয়োগের পর টানা পাঁচ মেয়াদে ১১-১২ বছর ধরে দায়িত্ব পালন করছেন। প্রতিবারই নিয়োগ নবায়নের ক্ষেত্রে কোন না কোনোভাবে আইন ও নীতিমালাকে ব্যত্যয় ঘটিয়েছেন। কিন্তু সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় থেকে পরবর্তী নিয়োগে সতর্কতা অবলম্বনের জন্য পরামর্শ দেয়া হলেও কখনও বয়সসীমা বাড়িয়ে, আবার কখনও বোর্ডের সাম্প্রতিক সভার সুপারিশ পাস কাটিয়ে পুরনো সভার তামাদি সুপারিশ ব্যবহার করে, এমনকি বোর্ডের মতামত গ্রহণেরই তোয়াক্কা না করে প্রভাবশালী মহলের যোগসাজশে পুনর্নিয়োগ দেয়া হয়। 

তাই আবারও একই ঘটনার পুনরাবৃত্তির না ঘটিয়ে বর্তমান দুই ব্যবস্থাপনা পরিচালকের নিয়োগে স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় সংশ্লি­ষ্ট খাতে যোগ্য, অভিজ্ঞ ও কর্মঠ নতুন ব্যবস্থাপনা পরিচালক নিয়োগ দেবার দাবি জানান। একইসঙ্গে এই রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন সেবা সংস্থার গ্রাহকদের কল্যাণে বর্তমান এমডিসহ ওয়াসার যাবতীয় নিয়োগ প্রক্রিয়ার বিষয়ে সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ তদন্ত ও নিরীক্ষার দাবি জানান।