শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অধীন বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন তহবিল হতে এ পর্যন্ত প্রায় সাড়ে ৯ হাজার শ্রমিককে প্রায় ৪০ কোটি টাকা সহায়তা প্রদান করা হয়েছে বলে জানিয়েছে শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান। তিনি বলেন, শ্রমিকদের কাছ থেকে প্রাপ্ত আবেদন কমিটির মাধ্যমে যাচাই-বাচাইয়ের ভিত্তিতে গতকাল ২২তম বোর্ড সভায় দুর্ঘটনাজনিত মৃত্যু, আহত, দূরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত শ্রমিকের চিকিৎসা এবং তাদের সন্তানদের উচ্চ শিক্ষা বাবদ ১ হাজার ২৮৫ জন শ্রমিকের নামে ৩ কোটি ৫৬ লাখ ৬৫ হাজার টাকার সহায়তার অনুমোদন দেয়া হয়। গতকাল সচিবালয়ে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ে শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনের ২২তম বোর্ড সভা শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি। সভায় মন্ত্রণালয়ের সচিব কেএম আবদুস সালাম, অতিরিক্ত সচিব এবং শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক ড. মোল্লা জালাল উদ্দিন ও শ্রম অধিদফতরের মহাপরিচালক একেএম মিজানুর রহমানসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, শ্রমজীবী মেহনতি মানুষের কল্যাণের জন্য সরকার বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন গঠন করে। এ তহবিল থেকে প্রতিষ্ঠানিক-অপ্রতিষ্ঠানিক খাতের শ্রমিকদের কর্মস্থলে দুর্ঘটনাজনিত মৃত্যু, আহত, দূরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত শ্রমিকের চিকিৎসা এবং তাদের মেধাবী সন্তানের উচ্চ শিক্ষায় সহায়তা দেয়া হয়। প্রতিষ্ঠানটি প্রতিষ্ঠার পর থেকে শ্রমিকদের এ ধরনের সহয়তা দিয়ে আসছে। করোনার এই মহাদুর্যোগের সময় শ্রমিকদের চিকিৎসা এবং তাদের সন্তানদের উচ্চ শিক্ষায় সহয়তার এ অর্থ অনেক উপকারে আসবে। করোনাকালে এর আগে ১৯৬০ জন শ্রমিককে চিকিৎসা সহায়তা হিসেবে প্রায় ৬ কোটি ২৬ লাখ টাকা সহায়তা প্রদান করা হয়। তিনি সরকারের এ মহতি উদ্যোগে জনগণকে সম্পৃক্ত করার লক্ষ্যে মাঠ পর্যায়ের জনপ্রতিনিধি ও সরকারি কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে অনুদানের চেক প্রদানে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন।
বোর্ড সভায় জানানো হয়, এ পর্যন্ত দেশি-বহুজাতিক মিলে ১৭৩টি কোম্পানি নিয়মিত এ তহবিলে তাদের লভ্যাংশের নির্দিষ্ট অংশ জমা দিয়ে আসছে। এ তহবিলে এ পর্যন্ত বিভিন্ন কোম্পানি জমা দিয়েছে ৪৭৭ কোটি টাকা।
সোমবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২০ , ০১ মহররম ১৪৪২, ০৩ আশ্বিন ১৪২৭
নিজস্ব বার্তা পরিবেশক |
শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অধীন বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন তহবিল হতে এ পর্যন্ত প্রায় সাড়ে ৯ হাজার শ্রমিককে প্রায় ৪০ কোটি টাকা সহায়তা প্রদান করা হয়েছে বলে জানিয়েছে শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান। তিনি বলেন, শ্রমিকদের কাছ থেকে প্রাপ্ত আবেদন কমিটির মাধ্যমে যাচাই-বাচাইয়ের ভিত্তিতে গতকাল ২২তম বোর্ড সভায় দুর্ঘটনাজনিত মৃত্যু, আহত, দূরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত শ্রমিকের চিকিৎসা এবং তাদের সন্তানদের উচ্চ শিক্ষা বাবদ ১ হাজার ২৮৫ জন শ্রমিকের নামে ৩ কোটি ৫৬ লাখ ৬৫ হাজার টাকার সহায়তার অনুমোদন দেয়া হয়। গতকাল সচিবালয়ে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ে শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনের ২২তম বোর্ড সভা শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি। সভায় মন্ত্রণালয়ের সচিব কেএম আবদুস সালাম, অতিরিক্ত সচিব এবং শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক ড. মোল্লা জালাল উদ্দিন ও শ্রম অধিদফতরের মহাপরিচালক একেএম মিজানুর রহমানসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, শ্রমজীবী মেহনতি মানুষের কল্যাণের জন্য সরকার বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন গঠন করে। এ তহবিল থেকে প্রতিষ্ঠানিক-অপ্রতিষ্ঠানিক খাতের শ্রমিকদের কর্মস্থলে দুর্ঘটনাজনিত মৃত্যু, আহত, দূরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত শ্রমিকের চিকিৎসা এবং তাদের মেধাবী সন্তানের উচ্চ শিক্ষায় সহায়তা দেয়া হয়। প্রতিষ্ঠানটি প্রতিষ্ঠার পর থেকে শ্রমিকদের এ ধরনের সহয়তা দিয়ে আসছে। করোনার এই মহাদুর্যোগের সময় শ্রমিকদের চিকিৎসা এবং তাদের সন্তানদের উচ্চ শিক্ষায় সহয়তার এ অর্থ অনেক উপকারে আসবে। করোনাকালে এর আগে ১৯৬০ জন শ্রমিককে চিকিৎসা সহায়তা হিসেবে প্রায় ৬ কোটি ২৬ লাখ টাকা সহায়তা প্রদান করা হয়। তিনি সরকারের এ মহতি উদ্যোগে জনগণকে সম্পৃক্ত করার লক্ষ্যে মাঠ পর্যায়ের জনপ্রতিনিধি ও সরকারি কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে অনুদানের চেক প্রদানে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন।
বোর্ড সভায় জানানো হয়, এ পর্যন্ত দেশি-বহুজাতিক মিলে ১৭৩টি কোম্পানি নিয়মিত এ তহবিলে তাদের লভ্যাংশের নির্দিষ্ট অংশ জমা দিয়ে আসছে। এ তহবিলে এ পর্যন্ত বিভিন্ন কোম্পানি জমা দিয়েছে ৪৭৭ কোটি টাকা।