বন্ড হাউসের পণ্য বিক্রি, ৫২ কোটি টাকার রাজস্ব ফাঁকি

বন্ড সুবিধায় আমদানি করা কাঁচামাল রপ্তানিতে ব্যবহার না করে তা অবৈধভাবে বাজারে বিক্রি করে ৫২ কোটি টাকা শুল্ক ফাঁকি দিয়েছে বাগেরহাটের চারটি রপ্তানিমুখী প্রতিষ্ঠান। শুল্ক ফাঁকির ঘটনায় মোংলা কাস্টম হাউস কর্তৃপক্ষ এই চারটি প্রতিষ্ঠানের বন্ড লাইসেন্স স্থগিত করে এই টাকা আদায়ের জন্য দাবিনামা সম্বলিত কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে। আর কর্তব্যে অবহেলার কারণে চার শুল্ক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা দায়ের করেছে।

রপ্তানি উৎসাহিত করতে বন্ড সুবিধার আওতায় শর্ত সাপেক্ষে বিদেশ থেকে শুল্কমুক্ত সুবিধায় কাঁচামাল আমদানির সুযোগ দেয় সরকার। এ সুবিধায় আনা কাঁচামাল থেকে উৎপাদিত পণ্য শতভাগ রপ্তানি করতে হয়। খোলা বাজারে বিক্রির কোন সুযোগ নেই। তবে দেশের কিছু কিছু আমদানিকারক এ সুবিধায় পণ্য এনে তা খোলাবাজারে বিক্রি করে দেন।

মোংলা কাস্টম হাউসের কমিশনার হোসেন আহমেদ জানান, সম্প্রতি বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলার কাটাখালীতে রপ্তানিমুখী প্রতিষ্ঠান আলফা অ্যাক্সেসরিজ অ্যান্ড অ্যাগ্রো এক্সপোর্ট লিমিটেডে পরিদর্শন করে বন্ড গুদামে ডুপ্লেক্স বোর্ড, পলিথিন দানা, বিওপিপি ফ্লিম, ক্রাফট লাইনার পেপার, আর্ট কার্ড ও পেস্টিং গাম কম বেশি পাওয়া যায়। যার ফলে প্রতিষ্ঠানটির ২৪ কোটি ১২ লাখ ৩৬ হাজার টাকার শুল্ক ফাঁকি প্রমাণিত হয়। একইভাবে ওই কারখানার পাশে অবস্থিত বাংলাদেশ পলি প্রিন্টিং ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড ১৪ কোটি ৫৩ লাখ ৭২ হাজার টাকার শুল্ক ফাঁকি দিয়েছে। মোংলা ইপিজেডের মুনস্টার পলিমার এক্সপোর্ট লিমিটেডের পাঁচ কোটি ৫২ লাখ ৪৩ হাজার টাকা ও ইস্টার্ন পলিমার লিমিটেডের আট কোটি ৪০ লাখ ২২ হাজার টাকার শুল্ক ফাঁকির বিষয়টি প্রমাণিত হয়।

হোসেন আহমেদ আরও জানান, ওই চারটি প্রতিষ্ঠানের বন্ড লাইসেন্স স্থগিত করে অনিয়মের অভিযোগে মামলা করা হয়েছে এবং উল্লেখিত শুল্ক ফাঁকির জন্য দাবিনামা ১০ দিনের সময় দিয়ে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়েছে। একইসঙ্গে এই চারটি বন্ড হাউসের দায়িত্বে থাকা চার শুল্ক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা হিসেবে কারণ দর্শানোর নোটিশ জারি করেছেন।

কাস্টম কমিশনার জানান, মোংলা বন্দরকে গতিশীল করতে মোংলাতে ইপিজেড প্রতিষ্ঠা করা হয়। কিন্তু এসব অসাধু প্রতিষ্ঠান বন্ড পণ্য অবৈধভাবে বিক্রির জন্য চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবহার করে এবং সড়ক পথে খুলনা বা মোংলায় না এনে ঢাকায় বিক্রি করে দেয়। এমনকি পণ্য রপ্তানির জন্য বছরে যে পরিমাণ কাঁচামাল প্রয়োজন তার চেয়ে শতগুণ বেশি এসব পণ্য বন্ড সুবিধায় আমদানি করা হয়। যা অবৈধভাবে বাজারে বিক্রি করে দিয়ে সরকারি রাজস্ব ফাঁকি দেয়া হয়।

কাস্টম কমিশনার হোসেন আহমেদ মোংলা ইপিজেড এলাকায় রপ্তানিমুখী দুটি প্রতিষ্ঠান পরিদর্শনে গেলে তারা শ্রমিক করোনায় আক্রান্ত দেখিয়ে প্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখেছে। প্রতিষ্ঠান দুটির পরিচালক আজগার আলী লিখিতভাবে প্রতিষ্ঠানের কর্মী করোনায় আক্রান্তের কথা জানিয়ে চিঠি দিয়েছেন। কাস্টম কমিশনার ধারণা করছেন, বিষয়টি ধামাচাপা দিতেই তারা এই কারখানা বন্ধ ঘোষণা করেছে। তিনি বলেন, প্রতিষ্ঠান দুটি খোলার পর তদন্ত করলে এই শুল্ক ফাঁকির পরিমাণ আরও বাড়তে পারে।

মোংলা কাস্টম হাউসের দায়িত্বশীল সূত্রে জানা গেছে, বৃহত্তর খুলনা অঞ্চলের চিংড়ি শিল্প রপ্তানিতে ব্যবহৃত প্যাকেজিং বিভিন্ন সামগ্রী আমদানিকৃত পণ্য এই বন্ডেড ওয়্যার হাউসে ব্যবহারের সুযোগ রয়েছে। বিধান মতে, বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানিকৃত এসব পণ্য শুল্ক পরিশোধ না করেই আমদানিকারকরা গুদামজাত করতে পারে। তবে শর্ত থাকে যে এসব আমদানিকৃত পণ্য দেশের খোলাবাজারে কোন অবস্থাতেই বিক্রি করা যাবে না। তা চিংড়ি মাছ রপ্তানির কাজে ব্যবহৃত হয়ে পুনরায় রপ্তানি করতে হবে। কিন্তু কিছু অসাধু রপ্তানিকারক এই সুবিধাকে কাজে লাগিয়ে বেপরোয়াভাবে শুল্ক ফাঁকিতে লিপ্ত রয়েছে। একইভাবে মোংলা বন্দরকে গতিশীল করতে সরকারি কিছু সুযোগ-সুবিধাকে অবৈধভাবে ব্যবহার করছে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী। এর আগেও বন্ড হাউসের ছয়-সাতশ কোটি টাকার শুল্ক ফাঁকির ঘটনা ধরা পড়েছিল, কিন্তু তখন এই চক্র প্রভাব বিস্তার করে শুল্ক কমিশনারকে বদলির ব্যবস্থা করে।

কাস্টম কমিশনার হোসেন আহমেদ স্বীকার করেন, মাত্র কয়েক মাসে তিনি ১৮৪টি ঘটনায় শুল্ক ফাঁকির চেষ্টার ঘটনায় ২০ কোটি টাকা জরিমানা ও ৩৮ কোটি টাকার রাজস্ব আদায় করেছেন।

এ ব্যাপারে আলফা এক্সেসরিজ অ্যান্ড এগ্রো লিমিটেডের এমডি মো. আরজানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি শুল্ক ফাঁকির দাবিনামার কারণ দর্শানোর নোটিশ পাওয়ার কথা স্বীকার করলেও এ ব্যাপারে বিস্তারিত কিছু বলতে চাননি।

শুল্ক ফাঁকির ব্যাপারে মোংলা ইপিজেডে থাকা মুনস্টার পলিমার এক্সপোর্ট ও ইস্টার্ন পলিমার লিমিটেডের পরিচালক আজগার আলী জানান, তার কারখানার শ্রমিকরা করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এ কারণে কারখানা দুটি বন্ধ রয়েছে। কারখানা খুললে তিনি কাগজপত্র দেখে বক্তব্য দিতে পারবেন।

আরও খবর
রোহিঙ্গাদের স্বদেশে প্রত্যাবর্তনে জাতিসংঘ ব্যর্থ হলে তৃতীয় দেশে স্থানান্তরের দাবি
বর্জ্য পানিতে করোনা জীবাণুর জীন
খালেদাকে ফের কারাগারে পাঠানোর দাবি উঠতে পারে তথ্যমন্ত্রী
সর্ষের মধ্যে ভূত তাড়াতে বিআরটিএ’র চেয়ারম্যানকে নির্দেশ সড়কমন্ত্রীর
সাড়ে ৯ হাজার শ্রমিককে ৪০ কোটি টাকা সহায়তা প্রদান
নদী থেকে অবৈধ বালু উত্তোলন : হুমকির মুখে শত শত গ্রাম
অস্বাভাবিক বিদ্যুৎ বিলের প্রতিবাদ
অস্ত্র দিয়ে ফাঁসাতে গিয়ে নিজেরাই ধরা
আদালতে ঘাতক রিফাতের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি
থানায় আটকে টাকা আদায় : ওসিসহ ৫ পুলিশ ক্লোজড
রিমান্ড শেষে কারাগারে স্বাস্থ্যের আবজাল
ঢাবি ছাত্রী ধর্ষণ মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু
অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান ডিএসসিসির
ডেমরায় স্টিল মিলে চুল্লি বিস্ফোরণ : ৫ শ্রমিক দগ্ধ

সোমবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২০ , ০১ মহররম ১৪৪২, ০৩ আশ্বিন ১৪২৭

বন্ড হাউসের পণ্য বিক্রি, ৫২ কোটি টাকার রাজস্ব ফাঁকি

শুভ্র শচীন, খুলনা

বন্ড সুবিধায় আমদানি করা কাঁচামাল রপ্তানিতে ব্যবহার না করে তা অবৈধভাবে বাজারে বিক্রি করে ৫২ কোটি টাকা শুল্ক ফাঁকি দিয়েছে বাগেরহাটের চারটি রপ্তানিমুখী প্রতিষ্ঠান। শুল্ক ফাঁকির ঘটনায় মোংলা কাস্টম হাউস কর্তৃপক্ষ এই চারটি প্রতিষ্ঠানের বন্ড লাইসেন্স স্থগিত করে এই টাকা আদায়ের জন্য দাবিনামা সম্বলিত কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে। আর কর্তব্যে অবহেলার কারণে চার শুল্ক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা দায়ের করেছে।

রপ্তানি উৎসাহিত করতে বন্ড সুবিধার আওতায় শর্ত সাপেক্ষে বিদেশ থেকে শুল্কমুক্ত সুবিধায় কাঁচামাল আমদানির সুযোগ দেয় সরকার। এ সুবিধায় আনা কাঁচামাল থেকে উৎপাদিত পণ্য শতভাগ রপ্তানি করতে হয়। খোলা বাজারে বিক্রির কোন সুযোগ নেই। তবে দেশের কিছু কিছু আমদানিকারক এ সুবিধায় পণ্য এনে তা খোলাবাজারে বিক্রি করে দেন।

মোংলা কাস্টম হাউসের কমিশনার হোসেন আহমেদ জানান, সম্প্রতি বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলার কাটাখালীতে রপ্তানিমুখী প্রতিষ্ঠান আলফা অ্যাক্সেসরিজ অ্যান্ড অ্যাগ্রো এক্সপোর্ট লিমিটেডে পরিদর্শন করে বন্ড গুদামে ডুপ্লেক্স বোর্ড, পলিথিন দানা, বিওপিপি ফ্লিম, ক্রাফট লাইনার পেপার, আর্ট কার্ড ও পেস্টিং গাম কম বেশি পাওয়া যায়। যার ফলে প্রতিষ্ঠানটির ২৪ কোটি ১২ লাখ ৩৬ হাজার টাকার শুল্ক ফাঁকি প্রমাণিত হয়। একইভাবে ওই কারখানার পাশে অবস্থিত বাংলাদেশ পলি প্রিন্টিং ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড ১৪ কোটি ৫৩ লাখ ৭২ হাজার টাকার শুল্ক ফাঁকি দিয়েছে। মোংলা ইপিজেডের মুনস্টার পলিমার এক্সপোর্ট লিমিটেডের পাঁচ কোটি ৫২ লাখ ৪৩ হাজার টাকা ও ইস্টার্ন পলিমার লিমিটেডের আট কোটি ৪০ লাখ ২২ হাজার টাকার শুল্ক ফাঁকির বিষয়টি প্রমাণিত হয়।

হোসেন আহমেদ আরও জানান, ওই চারটি প্রতিষ্ঠানের বন্ড লাইসেন্স স্থগিত করে অনিয়মের অভিযোগে মামলা করা হয়েছে এবং উল্লেখিত শুল্ক ফাঁকির জন্য দাবিনামা ১০ দিনের সময় দিয়ে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়েছে। একইসঙ্গে এই চারটি বন্ড হাউসের দায়িত্বে থাকা চার শুল্ক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা হিসেবে কারণ দর্শানোর নোটিশ জারি করেছেন।

কাস্টম কমিশনার জানান, মোংলা বন্দরকে গতিশীল করতে মোংলাতে ইপিজেড প্রতিষ্ঠা করা হয়। কিন্তু এসব অসাধু প্রতিষ্ঠান বন্ড পণ্য অবৈধভাবে বিক্রির জন্য চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবহার করে এবং সড়ক পথে খুলনা বা মোংলায় না এনে ঢাকায় বিক্রি করে দেয়। এমনকি পণ্য রপ্তানির জন্য বছরে যে পরিমাণ কাঁচামাল প্রয়োজন তার চেয়ে শতগুণ বেশি এসব পণ্য বন্ড সুবিধায় আমদানি করা হয়। যা অবৈধভাবে বাজারে বিক্রি করে দিয়ে সরকারি রাজস্ব ফাঁকি দেয়া হয়।

কাস্টম কমিশনার হোসেন আহমেদ মোংলা ইপিজেড এলাকায় রপ্তানিমুখী দুটি প্রতিষ্ঠান পরিদর্শনে গেলে তারা শ্রমিক করোনায় আক্রান্ত দেখিয়ে প্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখেছে। প্রতিষ্ঠান দুটির পরিচালক আজগার আলী লিখিতভাবে প্রতিষ্ঠানের কর্মী করোনায় আক্রান্তের কথা জানিয়ে চিঠি দিয়েছেন। কাস্টম কমিশনার ধারণা করছেন, বিষয়টি ধামাচাপা দিতেই তারা এই কারখানা বন্ধ ঘোষণা করেছে। তিনি বলেন, প্রতিষ্ঠান দুটি খোলার পর তদন্ত করলে এই শুল্ক ফাঁকির পরিমাণ আরও বাড়তে পারে।

মোংলা কাস্টম হাউসের দায়িত্বশীল সূত্রে জানা গেছে, বৃহত্তর খুলনা অঞ্চলের চিংড়ি শিল্প রপ্তানিতে ব্যবহৃত প্যাকেজিং বিভিন্ন সামগ্রী আমদানিকৃত পণ্য এই বন্ডেড ওয়্যার হাউসে ব্যবহারের সুযোগ রয়েছে। বিধান মতে, বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানিকৃত এসব পণ্য শুল্ক পরিশোধ না করেই আমদানিকারকরা গুদামজাত করতে পারে। তবে শর্ত থাকে যে এসব আমদানিকৃত পণ্য দেশের খোলাবাজারে কোন অবস্থাতেই বিক্রি করা যাবে না। তা চিংড়ি মাছ রপ্তানির কাজে ব্যবহৃত হয়ে পুনরায় রপ্তানি করতে হবে। কিন্তু কিছু অসাধু রপ্তানিকারক এই সুবিধাকে কাজে লাগিয়ে বেপরোয়াভাবে শুল্ক ফাঁকিতে লিপ্ত রয়েছে। একইভাবে মোংলা বন্দরকে গতিশীল করতে সরকারি কিছু সুযোগ-সুবিধাকে অবৈধভাবে ব্যবহার করছে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী। এর আগেও বন্ড হাউসের ছয়-সাতশ কোটি টাকার শুল্ক ফাঁকির ঘটনা ধরা পড়েছিল, কিন্তু তখন এই চক্র প্রভাব বিস্তার করে শুল্ক কমিশনারকে বদলির ব্যবস্থা করে।

কাস্টম কমিশনার হোসেন আহমেদ স্বীকার করেন, মাত্র কয়েক মাসে তিনি ১৮৪টি ঘটনায় শুল্ক ফাঁকির চেষ্টার ঘটনায় ২০ কোটি টাকা জরিমানা ও ৩৮ কোটি টাকার রাজস্ব আদায় করেছেন।

এ ব্যাপারে আলফা এক্সেসরিজ অ্যান্ড এগ্রো লিমিটেডের এমডি মো. আরজানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি শুল্ক ফাঁকির দাবিনামার কারণ দর্শানোর নোটিশ পাওয়ার কথা স্বীকার করলেও এ ব্যাপারে বিস্তারিত কিছু বলতে চাননি।

শুল্ক ফাঁকির ব্যাপারে মোংলা ইপিজেডে থাকা মুনস্টার পলিমার এক্সপোর্ট ও ইস্টার্ন পলিমার লিমিটেডের পরিচালক আজগার আলী জানান, তার কারখানার শ্রমিকরা করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এ কারণে কারখানা দুটি বন্ধ রয়েছে। কারখানা খুললে তিনি কাগজপত্র দেখে বক্তব্য দিতে পারবেন।