দুয়ারে শীত : মাস্ক পরেন না ৫ ভাগও

কিশোরগঞ্জের প্রায় সর্বত্রই মাস্কবিহীন মানুষের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। এক সময় ১০ ভাগ মানুষ মাস্কবিহীন থাকলেই হৈচৈ পড়ে যেত। আর এখন প্রায় ৯৫ ভাগ মানুষই মাস্ক পরেন না। বাজিতপুরে এই চিত্র আরো নাজুক। অথচ রোববার জেলায় নতুন করে যে ৯ জনের করোনা ধরা পড়েছে, তাদের ৫ জনই বাজিতপুরের। রোববার বাজিতপুরের একজন করোনায় মারাও গেছেন।

রোববার ছিল বাজিতপুরের সাপ্তাহিক হাটের দিন। সেখানে গিয়ে দেখা গেছে, ৫ ভাগ মানুষই মাস্ক পরেন না। কেবল যুবক আর তরুণরাই নয়, বহু বয়স্ক নারী-পুরুষকেও মাস্ক ছাড়া বাজারে নির্বিকার কেনাকাটা করতে দেখা গেছে। ক্রেতা-বিক্রেতা সবারই একই অবস্থা।

রোববার বিকেলে বাজিতপুর সদরের বাঁশ মহাল থেকে সিনেমা হল মোড় পর্যন্ত পরিদর্শন করে দেখা গেছে, সাপ্তাহিক হাটের দিন বলে বাজারে প্রচুর লোক সমাগম হয়েছে। কিন্তু মাস্ক পরা মানুষ খুঁজে পাওয়াটাই দুষ্কর হয়েছে। যতদূর দৃষ্টি গেছে, মাস্ক পরা মানুষের খোঁজ পাওয়া বেশ কঠিন হয়েছে। ক্বদাচিৎ কাউকে কাউকে মাস্ক পরা দেখা গেছে। তাও আবার অনেকেই ঠিকমতো পরেনি। অথচ জনগণকে মাস্ক পরায় উদ্বুদ্ধ করার জন্য সরকার ঘোষণা দিয়েছে, ‘নো মাস্ক, নো সার্ভিস’। অর্থাৎ, কেউ মাস্ক ছাড়া কোন অফিসে গেলে সেবা পাবে না। আবার প্রশাসনও ‘মাস্ক ইজ মাস্ট’ ঘোষণা দিয়ে মাঝে মাঝে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করছে। তারপরও মানুষের মধ্যে সচেতনতার চরম ঘাটতি পরিলক্ষিত হচ্ছে।

মঙ্গলবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২০ , ০২ মহররম ১৪৪২, ০৪ আশ্বিন ১৪২৭

দুয়ারে শীত : মাস্ক পরেন না ৫ ভাগও

জেলা বার্তা পরিবেশক, কিশোরগঞ্জ

কিশোরগঞ্জের প্রায় সর্বত্রই মাস্কবিহীন মানুষের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। এক সময় ১০ ভাগ মানুষ মাস্কবিহীন থাকলেই হৈচৈ পড়ে যেত। আর এখন প্রায় ৯৫ ভাগ মানুষই মাস্ক পরেন না। বাজিতপুরে এই চিত্র আরো নাজুক। অথচ রোববার জেলায় নতুন করে যে ৯ জনের করোনা ধরা পড়েছে, তাদের ৫ জনই বাজিতপুরের। রোববার বাজিতপুরের একজন করোনায় মারাও গেছেন।

রোববার ছিল বাজিতপুরের সাপ্তাহিক হাটের দিন। সেখানে গিয়ে দেখা গেছে, ৫ ভাগ মানুষই মাস্ক পরেন না। কেবল যুবক আর তরুণরাই নয়, বহু বয়স্ক নারী-পুরুষকেও মাস্ক ছাড়া বাজারে নির্বিকার কেনাকাটা করতে দেখা গেছে। ক্রেতা-বিক্রেতা সবারই একই অবস্থা।

রোববার বিকেলে বাজিতপুর সদরের বাঁশ মহাল থেকে সিনেমা হল মোড় পর্যন্ত পরিদর্শন করে দেখা গেছে, সাপ্তাহিক হাটের দিন বলে বাজারে প্রচুর লোক সমাগম হয়েছে। কিন্তু মাস্ক পরা মানুষ খুঁজে পাওয়াটাই দুষ্কর হয়েছে। যতদূর দৃষ্টি গেছে, মাস্ক পরা মানুষের খোঁজ পাওয়া বেশ কঠিন হয়েছে। ক্বদাচিৎ কাউকে কাউকে মাস্ক পরা দেখা গেছে। তাও আবার অনেকেই ঠিকমতো পরেনি। অথচ জনগণকে মাস্ক পরায় উদ্বুদ্ধ করার জন্য সরকার ঘোষণা দিয়েছে, ‘নো মাস্ক, নো সার্ভিস’। অর্থাৎ, কেউ মাস্ক ছাড়া কোন অফিসে গেলে সেবা পাবে না। আবার প্রশাসনও ‘মাস্ক ইজ মাস্ট’ ঘোষণা দিয়ে মাঝে মাঝে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করছে। তারপরও মানুষের মধ্যে সচেতনতার চরম ঘাটতি পরিলক্ষিত হচ্ছে।