পিয়াজের খুচরা বাজার স্থিতিশীল

পাইকারি বাজারে কয়েক দফায় কমার পর ফের পিয়াজের দাম বেড়েছে। গতকাল দেশের বড় পাইকারি বাজারগুলোতে পিয়াজের দাম পাঁচ টাকা পর্যন্ত বাড়তে দেখা গেছে। সম্প্রতি ভারত থেকে ট্রাক বোঝাই করে আসা ২৫ হাজার টন পিয়াজের বেশিরভাগই নষ্ট এমন খবরে পণ্যটির দাম বেড়েছে বলে জানিয়েছেন, পাইকারি বাজারের ব্যবসায়ীরা। তবে আমদানি করা ভারতীয় পিয়াজের দাম স্থিতিশীল রয়েছে। এদিকে খুচরা বাজারে দেশি ও আমদানি করা উভয় ধরনের পিয়াজ আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে। গত শুক্রবার ভারত থেকে সংবাদ আসে নিষেধাজ্ঞার আগে রপ্তানির অনুমতি পাওয়া ২৫ হাজার টন পিয়াজ বাংলাদেশকে দেয়ার অনুমতি দিয়েছে দেশটি। এতে শনিবার ও রোববার দেশি ও আমদানি করা উভয় ধরনের পিয়াজের দাম আরও কমে যায়। আর গত রোববারের মধ্যে এসব পিয়াজ পাইকারি বাজারের আড়তে পৌঁছালে দাম আরও কমার আশা করেছিলেন ব্যবসায়ীরা। কিন্তু দীর্ঘদিন আটকে থাকায় এসব পিয়াজের অধিকাংশই নষ্ট হয়ায় দাম কমার বদলে দেশি পিয়াজের দাম আবারও পাঁচ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। এর আগে তিন দিনে পাইকারি বাজারে দেশি পিয়াজের দাম কেজিতে ২৫ টাকা পর্যন্ত কমেছিল। আর আমদানি করা ভারতীয় পিয়াজের দাম কমেছিল ১০ টাকা। তবে খুচরা বাজারে দেশি ও আমদানি করা উভয় ধরনের পিয়াজ আগের দামে বিক্রি হচ্ছে।

রাজধানীর শ্যামবাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আগের দিন ৬৫-৭০ টাকায় বিক্রি হওয়া দেশি পিয়াজ গতকাল ৭০ থেকে ৭২ টাকায় বিক্রি হয়েছে। তবে আমদানি করা ভারতের পিয়াজের দাম নতুন করে বাড়েনি। আগের দিনের মতোই গতকাল মানভেদে ৫০ থেকে ৫৫ টাকা কেজিতে ভারতের পিয়াজ বিক্রি হয়েছে। তবে ভারতের আমদানি করা নষ্ট পিয়াজ কোন কোন ব্যবসায়ী ৪০ টাকা কেজিতেও বিক্রি করছেন। এদিকে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে ব্যবসায়ীরা দেশি পিয়াজ ৭২ থেকে ৭৫ টাকা কেজি বিক্রি করছেন। আর আমদানি করা ভারতীয় পিয়াজের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫৫ থেকে ৬০ টাকা। কারওয়ান বাজারের পাইকারি পিয়াজ ব্যবসায়ী সেলিম বলেন, ভারতে থেকে যেসব পিয়াজ আমাদের কাছে এসেছে তার অধিকাংশ নষ্ট হয়ে গেছে। এজন্য দেশি পিয়াজের দাম কিছুটা বেড়েছে।

রাজধানীর বিভিন্ন খুচরা বাজারে দেখা গেছে, গত দু’দিনের মতো গতকালও দেশি পিয়াজের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ৯০ টাকা। আর আমদানি করা ভারতের পিয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকা। রাজধানীর বাসাবোয় খুচরা বাজারের পিয়াজ ব্যবসায়ী ফারুক বলেন, গত তিন দিন ধরে ৯০ টাকায় দেশি পিয়াজ বিক্রি করছি। আর আমদানি করা ভারতের পিয়াজ ৭০ টাকায় বিক্রি করছি। তবে শুনেছি ভারত থেকে যে পিয়াজ এসেছে সেগুলো বেশিভাগই নষ্ট হয়ে গেছে। এতে পাইকারিতে কিছুটা দাম বেড়েছে। তবে আমি দু’দিন আগের কেনা পিয়াজ এখনও বিক্রি করছি। তাই আগের দামই রয়েছে।

ভোমরা স্থলবন্দর দিয়ে পিয়াজ আসছে

সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দর দিয়ে গতকাল চার ট্রাক পিয়াজ এসেছে। এছাড়া সীমান্তের ওপারে ভারতের ঘোজাডাঙ্গায় অবস্থান করছে আরও দুই শতাধিক পিয়াজ ভর্তি ট্রাক। দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে গত রোববার ও গতকাল দু’দিনে কোন পিয়াজ আসেনি। তবে জানা গেছে, হিলি সীমান্তের ওপারে ভারতের বালুপাড়া পার্কিংয়ে পিয়াজ বোঝাই শতাধিক ট্রাক থেকে পচা পিয়াজ নদীতে ফেলে দিচ্ছেন ভারতীয় ব্যবসায়ীরা। এছাড়া যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়েও এখন পর্যন্ত কোন পিয়াজ বাংলাদেশে প্রবেশ করেনি। হিলি, ভোমরা ও বেনাপোল স্থলবন্দর সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

ভোমরা সিএন্ডএফ এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান নাসিম বলেন, গত সোমবার যেসব পিয়াজের কাগজপত্র ছাড় করা ছিল সেই পিয়াজ গত শনিবার ছাড় দেয় ভারতীয় কর্তৃপক্ষ। এরমধ্যে গত শনিবার ৩১টি ট্রাক, রোববার ৫টি ট্রাক ও সোমবার সন্ধ্যায় ৪টি ট্রাকসহ মোট ৪০ ট্রাকে মোট এক হাজার টন মেট্রিকটন পিয়াজ ভোমরা স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। বাকি পিয়াজ রপ্তানির জন্য প্রস্তুতি থাকলেও পিয়াজ আসেনি।

এদিকে পাঁচদিন আটকে থাকার পর ভারত থেকে ভোমরা স্থলবন্দর দিয়ে প্রবেশ করা ট্রাকের পিয়াজের একটি বড় অংশ পচে নষ্ট হয়ে গেছে। ফলে আমদানিকারকেরা আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছেন। ভোমরা স্থলবন্দরের রাজস্ব কর্মকর্তা মহসিন হোসেন জানান, গতকাল ৪টি ট্রাক পিয়াজবাহী ট্রাক ভোমরা স্থলবন্দরে ভারতের ঘোজাডাঙ্গা থেকে প্রবেশ করেছে। তবে অন্যান্য পণ্যবাহী ট্রাক ভারত থেকে ভোমরা বন্দরে প্রবেশ করছে। ভারতের ঘোজাডাঙ্গা কাস্টমস অফিস থেকে এখনও পর্যন্ত তাদের লিখিতভাবে কোন কিছু জানানো হয়নি বলেও তিনি জানান।

এদিকে ?ভারত সীমান্তে পিয়াজ বোঝাই ট্রাকগুলো গত ১ সপ্তাহ ধরে বাংলাদেশের অভিমুখে দাঁড়িয়ে থাকলেও রপ্তানির কোন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি। ফলে গত রোববার ও সোমবার দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে পিয়াজ আমদানি বন্ধ রয়েছে। এতে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হিলি স্থলবন্দর দিয়ে আসা বিভিন্ন পণ্যবাহী ভারতীয় ট্রাকের চালক বলেন, সীমান্তের ওপারে ভারতের বালুপাড়া পার্কিংয়ে পিয়াজ বোঝাই শতাধিক ট্রাক দাঁড়িয়ে থাকতে দেখেছি। গত ১ সপ্তাহ ধরে লোড অবস্থায় দাঁড়িয়ে থাকার কারণে প্রতি ট্রাকে ৩-৪ টন করে পিয়াজ পচে গেছে। সেসব পিয়াজ সেখানকার ছোট যমুনা নদীতে ফেলে দিচ্ছেন ব্যবসায়ীরা।

হিলি স্থলবন্দর আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রুপের সভাপতি হারুন উর রশিদ জানান, ভারতীয় কর্তৃপক্ষ গত ১৪ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশে পিয়াজ রপ্তানি বন্ধ দেয়। এরপর ১৮ সেপ্টেম্বর এক সিদ্ধান্তে তারা জানায় শুধু মাত্র ১৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এলসি করা পিয়াজ হিলি স্থলবন্দর দিয়ে রপ্তানি করা হবে। এই পরিপ্রেক্ষিতে গত শনিবার এই বন্দর দিয়ে ২৪৬ মেট্রিকটন পিয়াজ আমদানি করা হয় যার মধ্যে অধিকাংশই পচে নষ্ট হয়েছে। তবে ১৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এলসি করা ১০ হাজার মেট্রিকটন পিয়াজ রপ্তানির অনুমতি না দেয়ায় এসব পিয়াজের চালান সীমান্তে আটকে আছে।

image
আরও খবর
দ্বিতীয় ঢেউ রোধে কঠোর অবস্থানে যাচ্ছে সরকার
জাতিসংঘের ভার্চুয়াল অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রী বক্তব্য রাখবেন আজ
ঢাকা-সৌদি ফ্লাইট বাতিল প্রবাসীরা ক্ষুব্ধ
স্বাস্থ্যের আরও ৪৫ কোটিপতির অবৈধ সম্পদের অনুসন্ধানে নামছে দুদক
ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা
অস্ত্র ও জাল টাকার মামলায় স্বাস্থ্যের ড্রাইভার মালেক রিমান্ডে
আট বছরের শিশু মামলার আসামি আসকের নিন্দা
করোনা : দেশে এন্টিজেন টেস্টের অনুমোদন
করোনায় মৃত্যু ৫ হাজার ছুঁই ছুঁই শনাক্ত সাড়ে ৩ লাখ ছাড়ালো
চিকিৎসক সংকটে বন্ধ গুরুত্বপূর্ণ ওয়ার্ড
কোভিড-১৯ পরামর্শক কমিটি ও স্বাস্থ্যের ডিজির বৈঠক
৪৮ বছর পর গঠিত হচ্ছে পানিসম্পদ অধিদফতর
হতাহত পরিবারের ছয় দাবি : তিতাসের ৮ জনের জামিন

মঙ্গলবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২০ , ০২ মহররম ১৪৪২, ০৪ আশ্বিন ১৪২৭

পিয়াজের খুচরা বাজার স্থিতিশীল

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক |

image

পাইকারি বাজারে কয়েক দফায় কমার পর ফের পিয়াজের দাম বেড়েছে। গতকাল দেশের বড় পাইকারি বাজারগুলোতে পিয়াজের দাম পাঁচ টাকা পর্যন্ত বাড়তে দেখা গেছে। সম্প্রতি ভারত থেকে ট্রাক বোঝাই করে আসা ২৫ হাজার টন পিয়াজের বেশিরভাগই নষ্ট এমন খবরে পণ্যটির দাম বেড়েছে বলে জানিয়েছেন, পাইকারি বাজারের ব্যবসায়ীরা। তবে আমদানি করা ভারতীয় পিয়াজের দাম স্থিতিশীল রয়েছে। এদিকে খুচরা বাজারে দেশি ও আমদানি করা উভয় ধরনের পিয়াজ আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে। গত শুক্রবার ভারত থেকে সংবাদ আসে নিষেধাজ্ঞার আগে রপ্তানির অনুমতি পাওয়া ২৫ হাজার টন পিয়াজ বাংলাদেশকে দেয়ার অনুমতি দিয়েছে দেশটি। এতে শনিবার ও রোববার দেশি ও আমদানি করা উভয় ধরনের পিয়াজের দাম আরও কমে যায়। আর গত রোববারের মধ্যে এসব পিয়াজ পাইকারি বাজারের আড়তে পৌঁছালে দাম আরও কমার আশা করেছিলেন ব্যবসায়ীরা। কিন্তু দীর্ঘদিন আটকে থাকায় এসব পিয়াজের অধিকাংশই নষ্ট হয়ায় দাম কমার বদলে দেশি পিয়াজের দাম আবারও পাঁচ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। এর আগে তিন দিনে পাইকারি বাজারে দেশি পিয়াজের দাম কেজিতে ২৫ টাকা পর্যন্ত কমেছিল। আর আমদানি করা ভারতীয় পিয়াজের দাম কমেছিল ১০ টাকা। তবে খুচরা বাজারে দেশি ও আমদানি করা উভয় ধরনের পিয়াজ আগের দামে বিক্রি হচ্ছে।

রাজধানীর শ্যামবাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আগের দিন ৬৫-৭০ টাকায় বিক্রি হওয়া দেশি পিয়াজ গতকাল ৭০ থেকে ৭২ টাকায় বিক্রি হয়েছে। তবে আমদানি করা ভারতের পিয়াজের দাম নতুন করে বাড়েনি। আগের দিনের মতোই গতকাল মানভেদে ৫০ থেকে ৫৫ টাকা কেজিতে ভারতের পিয়াজ বিক্রি হয়েছে। তবে ভারতের আমদানি করা নষ্ট পিয়াজ কোন কোন ব্যবসায়ী ৪০ টাকা কেজিতেও বিক্রি করছেন। এদিকে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে ব্যবসায়ীরা দেশি পিয়াজ ৭২ থেকে ৭৫ টাকা কেজি বিক্রি করছেন। আর আমদানি করা ভারতীয় পিয়াজের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫৫ থেকে ৬০ টাকা। কারওয়ান বাজারের পাইকারি পিয়াজ ব্যবসায়ী সেলিম বলেন, ভারতে থেকে যেসব পিয়াজ আমাদের কাছে এসেছে তার অধিকাংশ নষ্ট হয়ে গেছে। এজন্য দেশি পিয়াজের দাম কিছুটা বেড়েছে।

রাজধানীর বিভিন্ন খুচরা বাজারে দেখা গেছে, গত দু’দিনের মতো গতকালও দেশি পিয়াজের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ৯০ টাকা। আর আমদানি করা ভারতের পিয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকা। রাজধানীর বাসাবোয় খুচরা বাজারের পিয়াজ ব্যবসায়ী ফারুক বলেন, গত তিন দিন ধরে ৯০ টাকায় দেশি পিয়াজ বিক্রি করছি। আর আমদানি করা ভারতের পিয়াজ ৭০ টাকায় বিক্রি করছি। তবে শুনেছি ভারত থেকে যে পিয়াজ এসেছে সেগুলো বেশিভাগই নষ্ট হয়ে গেছে। এতে পাইকারিতে কিছুটা দাম বেড়েছে। তবে আমি দু’দিন আগের কেনা পিয়াজ এখনও বিক্রি করছি। তাই আগের দামই রয়েছে।

ভোমরা স্থলবন্দর দিয়ে পিয়াজ আসছে

সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দর দিয়ে গতকাল চার ট্রাক পিয়াজ এসেছে। এছাড়া সীমান্তের ওপারে ভারতের ঘোজাডাঙ্গায় অবস্থান করছে আরও দুই শতাধিক পিয়াজ ভর্তি ট্রাক। দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে গত রোববার ও গতকাল দু’দিনে কোন পিয়াজ আসেনি। তবে জানা গেছে, হিলি সীমান্তের ওপারে ভারতের বালুপাড়া পার্কিংয়ে পিয়াজ বোঝাই শতাধিক ট্রাক থেকে পচা পিয়াজ নদীতে ফেলে দিচ্ছেন ভারতীয় ব্যবসায়ীরা। এছাড়া যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়েও এখন পর্যন্ত কোন পিয়াজ বাংলাদেশে প্রবেশ করেনি। হিলি, ভোমরা ও বেনাপোল স্থলবন্দর সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

ভোমরা সিএন্ডএফ এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান নাসিম বলেন, গত সোমবার যেসব পিয়াজের কাগজপত্র ছাড় করা ছিল সেই পিয়াজ গত শনিবার ছাড় দেয় ভারতীয় কর্তৃপক্ষ। এরমধ্যে গত শনিবার ৩১টি ট্রাক, রোববার ৫টি ট্রাক ও সোমবার সন্ধ্যায় ৪টি ট্রাকসহ মোট ৪০ ট্রাকে মোট এক হাজার টন মেট্রিকটন পিয়াজ ভোমরা স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। বাকি পিয়াজ রপ্তানির জন্য প্রস্তুতি থাকলেও পিয়াজ আসেনি।

এদিকে পাঁচদিন আটকে থাকার পর ভারত থেকে ভোমরা স্থলবন্দর দিয়ে প্রবেশ করা ট্রাকের পিয়াজের একটি বড় অংশ পচে নষ্ট হয়ে গেছে। ফলে আমদানিকারকেরা আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছেন। ভোমরা স্থলবন্দরের রাজস্ব কর্মকর্তা মহসিন হোসেন জানান, গতকাল ৪টি ট্রাক পিয়াজবাহী ট্রাক ভোমরা স্থলবন্দরে ভারতের ঘোজাডাঙ্গা থেকে প্রবেশ করেছে। তবে অন্যান্য পণ্যবাহী ট্রাক ভারত থেকে ভোমরা বন্দরে প্রবেশ করছে। ভারতের ঘোজাডাঙ্গা কাস্টমস অফিস থেকে এখনও পর্যন্ত তাদের লিখিতভাবে কোন কিছু জানানো হয়নি বলেও তিনি জানান।

এদিকে ?ভারত সীমান্তে পিয়াজ বোঝাই ট্রাকগুলো গত ১ সপ্তাহ ধরে বাংলাদেশের অভিমুখে দাঁড়িয়ে থাকলেও রপ্তানির কোন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি। ফলে গত রোববার ও সোমবার দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে পিয়াজ আমদানি বন্ধ রয়েছে। এতে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হিলি স্থলবন্দর দিয়ে আসা বিভিন্ন পণ্যবাহী ভারতীয় ট্রাকের চালক বলেন, সীমান্তের ওপারে ভারতের বালুপাড়া পার্কিংয়ে পিয়াজ বোঝাই শতাধিক ট্রাক দাঁড়িয়ে থাকতে দেখেছি। গত ১ সপ্তাহ ধরে লোড অবস্থায় দাঁড়িয়ে থাকার কারণে প্রতি ট্রাকে ৩-৪ টন করে পিয়াজ পচে গেছে। সেসব পিয়াজ সেখানকার ছোট যমুনা নদীতে ফেলে দিচ্ছেন ব্যবসায়ীরা।

হিলি স্থলবন্দর আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রুপের সভাপতি হারুন উর রশিদ জানান, ভারতীয় কর্তৃপক্ষ গত ১৪ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশে পিয়াজ রপ্তানি বন্ধ দেয়। এরপর ১৮ সেপ্টেম্বর এক সিদ্ধান্তে তারা জানায় শুধু মাত্র ১৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এলসি করা পিয়াজ হিলি স্থলবন্দর দিয়ে রপ্তানি করা হবে। এই পরিপ্রেক্ষিতে গত শনিবার এই বন্দর দিয়ে ২৪৬ মেট্রিকটন পিয়াজ আমদানি করা হয় যার মধ্যে অধিকাংশই পচে নষ্ট হয়েছে। তবে ১৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এলসি করা ১০ হাজার মেট্রিকটন পিয়াজ রপ্তানির অনুমতি না দেয়ায় এসব পিয়াজের চালান সীমান্তে আটকে আছে।