‘চিকিৎসা ডিগ্রি (দ্য মেডিকেল ডিগ্রি) রহিতকরণ আইন-২০২০’-এর খসড়া নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। এ ছাড়া মন্ত্রিসভা ‘শেখ হাসিনা মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা, আইন- ২০২০’ এর খসড়ায় চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে।
গতকাল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে ভার্চুয়াল মন্ত্রিসভা বৈঠকে এ অনুমোদন দেয়া হয়। প্রধানমন্ত্রী তার গণভবন কার্যালয় থেকে এবং মন্ত্রিসভার সদস্যরা সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে বৈঠকে যুক্ত হন।
মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে সচিবালয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম এ সব তথ্য জানিয়ে আরও বলেন, ‘মেডিকেল কলেজের ডিগ্রি ও মান সবকিছু নির্ধারিত হতো ‘দ্য মেডিকেল ডিগ্রি অ্যাক্ট-১৯১৬’ দিয়ে। পরবর্তী সময়ে ২০১০ সালে বিএমডিসি বা ‘বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিল আইন-২০১০’ করা হলো। ১৯১৬ সালের আইনের যত প্রভিশন ও মোডিফিকেশন প্রয়োজন ছিল সবই ২০১০-এর আইনে নিয়ে আসা হয়েছে। ফলে ‘দ্য মেডিকেল ডিগ্রিস অ্যাক্ট-১৯১৬’ এর কোন কার্যকারিতা নেই। সেজন্য এটা তারা (চিকিৎসা শিক্ষা বিভাগ) বাতিল করার প্রস্তাব নিয়ে এসেছেন।’
আর শেখ হাসিনা মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় আইনের বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘খুলনায় হচ্ছে শেখ হাসিনা মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়। এর আগেও (গত ১৩ জুলাই) এটি নীতিগত অনুমোদনের জন্য এসেছিল, তখন বিস্তারিত আলাপ-আলোচনা করে এটা অনুমোদন দেয়া হয়। লেজিসলেটিভ বিভাগের মতামত পাওয়ার পর স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগ থেকে এটা চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয়েছে।’ খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘এর আগে রাজশাহী, চট্টগ্রাম ও সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য যে আইন প্রণয়ন করা হয়েছিল, এর সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে একই রকম আইন করা হয়েছে। খসড়া আইনে মোট ৫৫টি ধারা রয়েছে। এতে বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন, এখতিয়ার এবং ক্ষমতার বিষয়ে বর্ণনা করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য, উপ-উপাচার্য, কোষাধ্যক্ষ, রেজিস্ট্রার, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ও কর্মচারীদের নিয়োগ প্রক্রিয়া, ক্ষমতা ও দায়িত্ব বর্ণনা করা হয়েছে এই আইনে।’
রাষ্ট্রপতি এর চ্যান্সেলর থাকবেন জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘সমাবর্তন বা অন্য কোন অনুষ্ঠান যেখানে রাষ্ট্রপতি থাকার কথা, সেখানে যদি তিনি থাকতে না পারেন, তবে তিনি যাকে নির্বাচন করে দেবেন, তিনি তার পক্ষে সেখানে চিফ হিসেবে থাকবেন।’ দেশে বর্তমানে পাঁচটি মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে।
মঙ্গলবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২০ , ০২ মহররম ১৪৪২, ০৪ আশ্বিন ১৪২৭
নিজস্ব বার্তা পরিবেশক |
‘চিকিৎসা ডিগ্রি (দ্য মেডিকেল ডিগ্রি) রহিতকরণ আইন-২০২০’-এর খসড়া নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। এ ছাড়া মন্ত্রিসভা ‘শেখ হাসিনা মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা, আইন- ২০২০’ এর খসড়ায় চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে।
গতকাল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে ভার্চুয়াল মন্ত্রিসভা বৈঠকে এ অনুমোদন দেয়া হয়। প্রধানমন্ত্রী তার গণভবন কার্যালয় থেকে এবং মন্ত্রিসভার সদস্যরা সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে বৈঠকে যুক্ত হন।
মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে সচিবালয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম এ সব তথ্য জানিয়ে আরও বলেন, ‘মেডিকেল কলেজের ডিগ্রি ও মান সবকিছু নির্ধারিত হতো ‘দ্য মেডিকেল ডিগ্রি অ্যাক্ট-১৯১৬’ দিয়ে। পরবর্তী সময়ে ২০১০ সালে বিএমডিসি বা ‘বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিল আইন-২০১০’ করা হলো। ১৯১৬ সালের আইনের যত প্রভিশন ও মোডিফিকেশন প্রয়োজন ছিল সবই ২০১০-এর আইনে নিয়ে আসা হয়েছে। ফলে ‘দ্য মেডিকেল ডিগ্রিস অ্যাক্ট-১৯১৬’ এর কোন কার্যকারিতা নেই। সেজন্য এটা তারা (চিকিৎসা শিক্ষা বিভাগ) বাতিল করার প্রস্তাব নিয়ে এসেছেন।’
আর শেখ হাসিনা মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় আইনের বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘খুলনায় হচ্ছে শেখ হাসিনা মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়। এর আগেও (গত ১৩ জুলাই) এটি নীতিগত অনুমোদনের জন্য এসেছিল, তখন বিস্তারিত আলাপ-আলোচনা করে এটা অনুমোদন দেয়া হয়। লেজিসলেটিভ বিভাগের মতামত পাওয়ার পর স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগ থেকে এটা চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয়েছে।’ খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘এর আগে রাজশাহী, চট্টগ্রাম ও সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য যে আইন প্রণয়ন করা হয়েছিল, এর সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে একই রকম আইন করা হয়েছে। খসড়া আইনে মোট ৫৫টি ধারা রয়েছে। এতে বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন, এখতিয়ার এবং ক্ষমতার বিষয়ে বর্ণনা করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য, উপ-উপাচার্য, কোষাধ্যক্ষ, রেজিস্ট্রার, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ও কর্মচারীদের নিয়োগ প্রক্রিয়া, ক্ষমতা ও দায়িত্ব বর্ণনা করা হয়েছে এই আইনে।’
রাষ্ট্রপতি এর চ্যান্সেলর থাকবেন জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘সমাবর্তন বা অন্য কোন অনুষ্ঠান যেখানে রাষ্ট্রপতি থাকার কথা, সেখানে যদি তিনি থাকতে না পারেন, তবে তিনি যাকে নির্বাচন করে দেবেন, তিনি তার পক্ষে সেখানে চিফ হিসেবে থাকবেন।’ দেশে বর্তমানে পাঁচটি মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে।