রাজধানীর মিরপুর ও মোহাম্মদপুর থেকে চাকরি দেয়ার নামে প্রতারণার অভিযোগে তিন প্রতিষ্ঠানের ১৪ প্রতারক গ্রেফতার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন বাটেলিয়ন র্যাব-৪। এসব প্রতিষ্ঠানে চাকরিপ্রার্থী ৪৪ জনকে খুঁজে পেয়েছে র্যাব। র্যাবের ভাষ্য, ৩টি প্রতিষ্ঠান থেকে আটক হওয়া ব্যক্তিরা চাকরি দেয়ার নাম করে বিপুল পরিমাণ অর্থ হাতিয়ে নিয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠান মামুন হোসেন বিল্লাল নামে এক ব্যক্তি নিয়ন্ত্রণ করত।
র্যাব-৪ জানায়, সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেয়ে র্যাব-৪ এর একটি অভিযানিক দল জানতে পারে ‘দিকরা সিকিউরিটি অ্যান্ড লজিস্টিক সার্ভিসেস লিমিটেড’ নামক একটি কোম্পানি চাকরি প্রার্থী মানুষের কাছ থেকে বিভিন প্রতিষ্ঠানে চাকরি দেয়ার নাম করে প্রতারণার ফাঁদে ফেলে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-৪ এর একটি বিশেষ আভিযানিক দল গত রোববার বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত অভিযান পরিচালনা করে। এ সময় ‘দিকরা সিকিউরিটি অ্যান্ড লজিস্টিক সার্ভিসেস লিমিটেড ছাড়াও কাজিপাড়ার সেনপাড়ায় আনোয়ারা লজিস্টিক অ্যান্ড সিকিউরিটি সার্ভিসেস লিমিটেড এবং মোহাম্মদপুরের আদাবরে আনোয়ার লজিস্টিক অ্যান্ড সিকিউরিটি সার্ভিসেস লিমিটেড তিনটি শাখা হতে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ভুয়া চাকরিদাতা প্রতারক চক্রের ১৪ সক্রিয় সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতরা হলো- মামুন হোসেন বিল্লাল (৩৬), মো. উজ্জল মিয়া (২৫), মো. শরিফুল ইসলাম (২২), মো. সোহাগ খাঁন (২২) মো. আমানুল ইসলাম (২২), মো. জাকির হোসেন (২৪), মো. রায়হান (২০), ফোরকান উদ্দীন (৩০), মনিরুল ইসলাম (২৪), মো. রাহাত হাওলাদার (২৪), মো. আহাদ (২৫), মো. আবু রায়হান (২২), মো. সাহিবুর রহমান (২২) এবং মো. আলিফ হোসেন (২০)। গ্রেফতারকৃতদের কাছ থেকে ২৪টি ভর্তি ফরম বই, ১০টি ভিডিটিং কার্ডের বক্স, ৭০ পাতার চাকরির নিয়োগ ফরম, ৭টি ভুয়া নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি, নগদ মোট-৯৭ হাজার টাকা, ৫টি রেজিস্টার, ১টি নোট বুক, ১টি খাতা, ৫২ সেট চাকরি প্রার্থীর জীবন বৃত্তান্ত, ৮টি সিল, ২টি পরিচয়পত্র, ৫টি ভুয়া পোস্টিং ফরম জব্দ করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অফিস ভাড়া করে বিভিন্ন নামে প্রতিষ্ঠান খুলে দেশের বিভিন্ন জায়গায় মধ্যশিক্ষিত বেকার ও নিরীহ যুবকদের চাকরি দেয়ার নাম করে ভুয়া নিয়োগপত্র দিয়ে দীর্ঘদিন থেকে প্রতারক চক্রটি নিরীহ ভুক্তভোগীদের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছে। এসব প্রতারক চক্রের মূল হোতা বরিশাল জেলার মামুন হোসেন বিল্লাল। তার তত্ত্বাবধানে ওই ৩টি ভুয়া প্রতিষ্ঠান পরিচালিত হতো। মামুনসহ আরও ৪ থেকে ৫ জন এই প্রতারণার কাজে জড়িত। মামনুসহ ওই ৪ থেকে ৫ জন পলাতক রয়েছে। তাদের গ্রেফতারের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
মঙ্গলবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২০ , ০২ মহররম ১৪৪২, ০৪ আশ্বিন ১৪২৭
নিজস্ব বার্তা পরিবেশক |
রাজধানীর মিরপুর ও মোহাম্মদপুর থেকে চাকরি দেয়ার নামে প্রতারণার অভিযোগে তিন প্রতিষ্ঠানের ১৪ প্রতারক গ্রেফতার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন বাটেলিয়ন র্যাব-৪। এসব প্রতিষ্ঠানে চাকরিপ্রার্থী ৪৪ জনকে খুঁজে পেয়েছে র্যাব। র্যাবের ভাষ্য, ৩টি প্রতিষ্ঠান থেকে আটক হওয়া ব্যক্তিরা চাকরি দেয়ার নাম করে বিপুল পরিমাণ অর্থ হাতিয়ে নিয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠান মামুন হোসেন বিল্লাল নামে এক ব্যক্তি নিয়ন্ত্রণ করত।
র্যাব-৪ জানায়, সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেয়ে র্যাব-৪ এর একটি অভিযানিক দল জানতে পারে ‘দিকরা সিকিউরিটি অ্যান্ড লজিস্টিক সার্ভিসেস লিমিটেড’ নামক একটি কোম্পানি চাকরি প্রার্থী মানুষের কাছ থেকে বিভিন প্রতিষ্ঠানে চাকরি দেয়ার নাম করে প্রতারণার ফাঁদে ফেলে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-৪ এর একটি বিশেষ আভিযানিক দল গত রোববার বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত অভিযান পরিচালনা করে। এ সময় ‘দিকরা সিকিউরিটি অ্যান্ড লজিস্টিক সার্ভিসেস লিমিটেড ছাড়াও কাজিপাড়ার সেনপাড়ায় আনোয়ারা লজিস্টিক অ্যান্ড সিকিউরিটি সার্ভিসেস লিমিটেড এবং মোহাম্মদপুরের আদাবরে আনোয়ার লজিস্টিক অ্যান্ড সিকিউরিটি সার্ভিসেস লিমিটেড তিনটি শাখা হতে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ভুয়া চাকরিদাতা প্রতারক চক্রের ১৪ সক্রিয় সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতরা হলো- মামুন হোসেন বিল্লাল (৩৬), মো. উজ্জল মিয়া (২৫), মো. শরিফুল ইসলাম (২২), মো. সোহাগ খাঁন (২২) মো. আমানুল ইসলাম (২২), মো. জাকির হোসেন (২৪), মো. রায়হান (২০), ফোরকান উদ্দীন (৩০), মনিরুল ইসলাম (২৪), মো. রাহাত হাওলাদার (২৪), মো. আহাদ (২৫), মো. আবু রায়হান (২২), মো. সাহিবুর রহমান (২২) এবং মো. আলিফ হোসেন (২০)। গ্রেফতারকৃতদের কাছ থেকে ২৪টি ভর্তি ফরম বই, ১০টি ভিডিটিং কার্ডের বক্স, ৭০ পাতার চাকরির নিয়োগ ফরম, ৭টি ভুয়া নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি, নগদ মোট-৯৭ হাজার টাকা, ৫টি রেজিস্টার, ১টি নোট বুক, ১টি খাতা, ৫২ সেট চাকরি প্রার্থীর জীবন বৃত্তান্ত, ৮টি সিল, ২টি পরিচয়পত্র, ৫টি ভুয়া পোস্টিং ফরম জব্দ করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অফিস ভাড়া করে বিভিন্ন নামে প্রতিষ্ঠান খুলে দেশের বিভিন্ন জায়গায় মধ্যশিক্ষিত বেকার ও নিরীহ যুবকদের চাকরি দেয়ার নাম করে ভুয়া নিয়োগপত্র দিয়ে দীর্ঘদিন থেকে প্রতারক চক্রটি নিরীহ ভুক্তভোগীদের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছে। এসব প্রতারক চক্রের মূল হোতা বরিশাল জেলার মামুন হোসেন বিল্লাল। তার তত্ত্বাবধানে ওই ৩টি ভুয়া প্রতিষ্ঠান পরিচালিত হতো। মামুনসহ আরও ৪ থেকে ৫ জন এই প্রতারণার কাজে জড়িত। মামনুসহ ওই ৪ থেকে ৫ জন পলাতক রয়েছে। তাদের গ্রেফতারের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।