আগের দিনের মতো গতকালও পতনে শেষ হয়েছে শেয়ারবাজারের লেনদেন। এদিন উভয় শেয়ারবাজারের সবগুলো সূচক কমেছে। একইসঙ্গে কমেছে টাকার পরিমাণে লেনদেন। এছাড়া অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দর কমেছে। গতকাল ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

গতকালের মাধ্যমে টানা ৪ দিন দেশের শেয়ারবাজারে পতন হয়েছে। এই পতনে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) মূল্যসূচক ডিএসইএক্স ৫ হাজার পয়েন্টের নিচে নেমে এসেছে। এদিন ডিএসইএক্স কমেছে ৪২ পয়েন্ট। এর আগের ৩ কার্যদিবসের মধ্যে ১৭ সেপ্টেম্বর ১২.১৬ পয়েন্ট, ২০ সেপ্টেম্বর ১৫.৭৮ পয়েন্ট ও ২১ সেপ্টেম্বর ১৫.২৭ পয়েন্ট কমে। গতকাল ডিএসইর অপর সূচকগুলোর মধ্যে শরিয়াহ সূচক ১১.৩৮ পয়েন্ট, ডিএসই-৩০ সূচক ১২.৬২ পয়েন্ট এবং নতুন চালু হওয়া চায়না বা সিডিএসইটি সূচক ৬.৫৫ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ১১২৬.৭৪, ১৭১৪.৩৫ ও ১০০৭.০৫ পয়েন্টে। ডিএসইতে এদিন টাকার পরিমাণে লেনদেন হয়েছে ৭২৯ কোটি ৯২ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট। যা আগের দিন থেকে ২৪৮ কোটি ৩৩ লাখ টাকা বা ২৫ শতাংশ কম। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ৯৭৭ কোটি ৫৯ লাখ টাকার। ডিএসইতে গতকাল ৩৫৬টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৭৫টির বা ২১.০৭ শতাংশ শেয়ার ও ইউনিটের দর বেড়েছে। দর কমেছে ২৫২টির বা ৭০.৭৯ শতাংশের এবং ২৯টি বা ৮.১৫ শতাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দর অপরিবর্তীত রয়েছে।

অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই এদিন ১৫০.১৯ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১৪১৬৯.৫৯ পয়েন্টে। এছাড়া সিএসইতে হাত বদল হওয়া ২৮১টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে শেয়ার দর বেড়েছে ৫৩টির, কমেছে ২০০টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২৮টির দর। গতকাল সিএসইতে ১৭ কোটি ১৬ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে।