রাজধানীর উত্তরখান এলাকায় কিশোর গ্যাং এর হাতে মো. সোহাগ (২০) হত্যায় জড়িত মূল দুই আসামিকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। গ্রেফতাররা হলো, রাসেল ওরফে কাটার রাসেল ও হৃদয়। গত সোমবার রাতে দক্ষিণখান থানাধীন মোল্লারটেক এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করে র্যাব-১ এর একটি দল। এ সময় তাদের কাছ থেকে ২টি বিদেশি পিস্তল, ২টি ম্যাগাজিন ও ৮ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত আসামিরা হত্যাকা-ে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে।
র্যাব সদর দফতরের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইং এর সহকারী পরিচালক এএসপি সুজয় সরকার জানান, গত ২৭ আগস্ট রাত ৮টার দিকে রাজধানীর উত্তরখান থানাধীন রাজাবাড়ি খ্রিস্টানপাড়া রোডের ডাক্তার বাড়ি মোড়ে কিশোর গ্যাং ‘দি বস’ এর হৃদয়, রাসেলসহ বেশ কয়েকজন সদস্য আড্ডা দিচ্ছিল। আনুমানিক সাড়ে ৮টার দিকে একই রাস্তা দিয়ে যাওয়া একটি রিকশার চাকা হতে কাঁদা ছিটকে হৃদয়ের গায়ে লাগলে সে ক্ষিপ্ত হয়ে রিকশাচালককে মারধর করতে থাকে। একজন অসহায় রিকশাচালকে সমবয়সী একজন ছেলেকে এভাবে মারতে দেখে ভিকটিম মো. সোহাগ এগিয়ে আসে।
সোহাগের এমনি রিকশাচালকে মারধর থেকে নিভৃত করা মেনে নিতে না পেরে হৃদয় ও রাসেল ক্ষিপ্ত হয়ে ফোন করে তাদের গ্যাং এর অন্যান্য সদস্য নাদিম, সানি, মেহেদী, সাদ, সাব্বিরসহ বেশ কয়েকজনকে ডেকে নিয়ে আসে এবং সবাই মিলে ভিকটিম সোহাগের উপর চড়াও হয়। এ সময় নাদিমের নিকট থাকা ধারালো ছোড়া নিয়ে রাসেল ওরফে কাটার রাসেল ভিকটিমের পেটে উপর্যুপরি আঘাত করে সবাই পালিয়ে যায়। ভিকটিম সোহাগ (২০) মাটিতে লুটিয়ে পরলে এ রিকশাচালক, আরোহী এবং আশেপাশের লোকজন ভিকটিমকে নিকটস্থ হাসপাতালে নিয়ে গেলে আনুমানিক রাত ১০টার দিকে তার মৃত্যু হয়। এঘটনায় নিহতের বড় ভাই বাদী হয়ে উত্তরখান থানায় একটি হত্যা মামলা করে।
নিহতের পরিবারের কাছ থেকে জানা যায় যে, ভিকটিম মো. সোহাগ (২০) উত্তরা পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ হতে ২০২০ সালের একজন এইচএসসি পরীক্ষার্থী ছিল। পাশাপাশি টঙ্গী বাজারে তার ভগ্নিপতির দোকান দেখাশুনা করত। সে পাঁচ ভাই বোনের মধ্যে সবার ছোট, সর্বদা হাসিখুশি ও মিশুক স্বভাবের। ঘটনার দিন আনুমানিক রাত সাড়ে ৮টার দিকে গরুর খাদ্য ক্রয়ের উদ্দেশ্যে সে বাসা হতে বের হয়। পরবর্তীতে লোক মারফত তার আহত হওয়ার ঘটনা জানতে পারলে হাসপাতাল নেয়ার পর তার মৃত্যু হয়। পরিবারের কনিষ্টতম পুত্র সন্তানকে হারিয়ে ভিকটিমের পরিবারে শোকের ছায়া নেমে আসে। নম্র, ভদ্র, সদালামী একজন ছেলের এমন করুন মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে আসে পুরো এলাকায়।
বুধবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২০ , ০৪ মহররম ১৪৪২, ০৫ আশ্বিন ১৪২৭
নিজস্ব বার্তা পরিবেশক |
রাজধানীর উত্তরখান এলাকায় কিশোর গ্যাং এর হাতে মো. সোহাগ (২০) হত্যায় জড়িত মূল দুই আসামিকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। গ্রেফতাররা হলো, রাসেল ওরফে কাটার রাসেল ও হৃদয়। গত সোমবার রাতে দক্ষিণখান থানাধীন মোল্লারটেক এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করে র্যাব-১ এর একটি দল। এ সময় তাদের কাছ থেকে ২টি বিদেশি পিস্তল, ২টি ম্যাগাজিন ও ৮ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত আসামিরা হত্যাকা-ে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে।
র্যাব সদর দফতরের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইং এর সহকারী পরিচালক এএসপি সুজয় সরকার জানান, গত ২৭ আগস্ট রাত ৮টার দিকে রাজধানীর উত্তরখান থানাধীন রাজাবাড়ি খ্রিস্টানপাড়া রোডের ডাক্তার বাড়ি মোড়ে কিশোর গ্যাং ‘দি বস’ এর হৃদয়, রাসেলসহ বেশ কয়েকজন সদস্য আড্ডা দিচ্ছিল। আনুমানিক সাড়ে ৮টার দিকে একই রাস্তা দিয়ে যাওয়া একটি রিকশার চাকা হতে কাঁদা ছিটকে হৃদয়ের গায়ে লাগলে সে ক্ষিপ্ত হয়ে রিকশাচালককে মারধর করতে থাকে। একজন অসহায় রিকশাচালকে সমবয়সী একজন ছেলেকে এভাবে মারতে দেখে ভিকটিম মো. সোহাগ এগিয়ে আসে।
সোহাগের এমনি রিকশাচালকে মারধর থেকে নিভৃত করা মেনে নিতে না পেরে হৃদয় ও রাসেল ক্ষিপ্ত হয়ে ফোন করে তাদের গ্যাং এর অন্যান্য সদস্য নাদিম, সানি, মেহেদী, সাদ, সাব্বিরসহ বেশ কয়েকজনকে ডেকে নিয়ে আসে এবং সবাই মিলে ভিকটিম সোহাগের উপর চড়াও হয়। এ সময় নাদিমের নিকট থাকা ধারালো ছোড়া নিয়ে রাসেল ওরফে কাটার রাসেল ভিকটিমের পেটে উপর্যুপরি আঘাত করে সবাই পালিয়ে যায়। ভিকটিম সোহাগ (২০) মাটিতে লুটিয়ে পরলে এ রিকশাচালক, আরোহী এবং আশেপাশের লোকজন ভিকটিমকে নিকটস্থ হাসপাতালে নিয়ে গেলে আনুমানিক রাত ১০টার দিকে তার মৃত্যু হয়। এঘটনায় নিহতের বড় ভাই বাদী হয়ে উত্তরখান থানায় একটি হত্যা মামলা করে।
নিহতের পরিবারের কাছ থেকে জানা যায় যে, ভিকটিম মো. সোহাগ (২০) উত্তরা পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ হতে ২০২০ সালের একজন এইচএসসি পরীক্ষার্থী ছিল। পাশাপাশি টঙ্গী বাজারে তার ভগ্নিপতির দোকান দেখাশুনা করত। সে পাঁচ ভাই বোনের মধ্যে সবার ছোট, সর্বদা হাসিখুশি ও মিশুক স্বভাবের। ঘটনার দিন আনুমানিক রাত সাড়ে ৮টার দিকে গরুর খাদ্য ক্রয়ের উদ্দেশ্যে সে বাসা হতে বের হয়। পরবর্তীতে লোক মারফত তার আহত হওয়ার ঘটনা জানতে পারলে হাসপাতাল নেয়ার পর তার মৃত্যু হয়। পরিবারের কনিষ্টতম পুত্র সন্তানকে হারিয়ে ভিকটিমের পরিবারে শোকের ছায়া নেমে আসে। নম্র, ভদ্র, সদালামী একজন ছেলের এমন করুন মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে আসে পুরো এলাকায়।