সেবার নামে চলছে গ্রাহক হয়রানি-ঘুষবাণিজ্য

বিভাগীয় নগরী রংপুরসহ পুরো জেলার ট্রান্সপোর্ট নিয়ন্ত্রণকারী প্রতিষ্ঠান বিআরটিএর (বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি) রংপুর কার্যালয়ে গ্রাহক সেবা সপ্তাহের নামে চলছে গ্রাহক হয়রানি প্রকাশ্যই ঘুষ বাণিজ্য দালালদের মাধ্যমে টাকা হাতিয়ে নেয়া কর্মকর্তা কর্মচারীদের দুর্নীতি গ্রাহকদের সঙ্গে অশোভন আচরণ দিনের পর দিন ঘোরানোসহ চলছে চরম নৈরাজ্য। সরজমিন ঘুরে দুই পর্বের ধারাবাহিক প্রতিবেদনের আজ প্রথম পর্ব।

রংপুর বিভাগীয় নগরী তার উপর সিটি করপোরেশনসহ পুরো জেলায় হাজার হাজার বাস মিনিবাস মাইক্রোবাস, লক্ষাধিক মোটরসাইকেলসহ সব ধরনের যানবাহন রয়েছে। এসব নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব বিআরটিএ রংপুর কার্যালয়ের। এখানে কর্মকর্তা কর্মচারীরা প্রকাশ্যই যানবাহন হিসেবে প্রতিটির ফিটনেস সার্টিফিকেট, ড্রাইভিং লাইসেন্স, মোটরসাইকেলসহ গাড়ির রেজিস্ট্রেশন করাতে ঘুষের রেট বেধে দিয়েছেন। প্রতিটি স্তরে স্তরে দিতে হয় টাকা। ঘুষ না দিলে দিনের পর দিন অফিসে আসলেও কোন কাজ হয় না। চলতি মাসের ২০ সেপ্টেম্বর থেকে ২৪ তারিখ পর্যন্ত বিআরটিএ সেবা সপ্তাহ শুরু করেছে। বিশাল ব্যানার টাঙ্গিয়ে লোক দেখানো গ্রাহক সেবা দেবার নামে চালাচ্ছে রমরমা বানিজ্য। সরজমিন বিআরটিএ কার্যালয়ে গিয়ে দেখা গেল শত শত মোটরসাইকেল আর অফিসের ভেতরে শত শত মানুষ। তারা কেউ এসেছেন মোটরসাইকেলের রেজিস্ট্রেশন করাতে কেউ লার্নার লাইসেন্স কেউবা ড্রাইভিং লাইসেন্স করাতে। সকাল ৭টা থেকে লাইন ধরে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করছেন ঘণ্টার পর ঘণ্টা গ্রাহক সেবার জন্য বসানো ব্যানারের কাছে টেবিলে থাকা কর্মকর্তারা কিছুক্ষন বসে থেকে বাইরে যাচ্ছেন ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাপাত্তা তাদের খোঁজ মেলে না। সকাল থেকে লাইন ধরে দাঁড়িয়ে থাকা পীরগজ্ঞ থেকে আসা আসাদুল বললেন, ভোর ৬টা থেকে লাইন ধরে অপেক্ষা করছি কিন্তু কাজ হচ্ছে না। বিআরটিএ কতৃপক্ষ বলেছেন, মোটরসাইকেলের লার্নার লাইসেন্স এবং রেজিস্ট্রেশন কাগজপত্র পাবার সঙ্গে সঙ্গে হাতে হাতে প্রদান করা হচ্ছে। কিন্তু বাস্তবে এর কোন নমুনা পাওয়া গেল না। সোমবার বেলা সাড়ে ১১টা থেকে দেড় ঘণ্টা বেলা ১টা পর্যন্ত একজনকেও লার্নার লাইসেন্স বা রেজিস্ট্রেশনের কাগজ দেয়া দেখা গেল না।

লাইনে দাঁড়ানো বদরগজ্ঞের সাহেব মিয়া, তারাগজ্ঞের রহমান, পীরগাছার আবদুল্লা আল মামুনসহ অনেকেই একই অভিযোগ করলেন সকাল থেকে লাইন থেকে দাঁড়িয়ে আছি এই হচ্ছে তাদের সেবা সপ্তাহের নমুনা। সবার অভিযোগ বিআরটিএ অফিসের নিয়োজিত নিজস্ব দালালদের ৩ থেকে ৫শ’ টাকা হাতে ধরিয়ে দিলেই কাজ হয় না হলে হবে না।

লার্নার লাইসেন্স নেবার জন্য অপেক্ষামান মোহসীন নামে এক যুবক অভিযোগ করলেন এটা করতে সাড়ে ৩শ’ থেকে ৪শ’ টাকা লাগে। কিন্তু এক মাস ঘোরার পর এগারশ টাকা দিয়ে লার্নার লাইসেন্স নিতে হয়েছে। রংপুর নগরীর এক যুবক নাম প্রকাশ করতে অনীহা প্রকাশ করে বললেন লার্নার লাইসেন্স করতে লেগেছে দেড় মাস। এখন পরীক্ষা দিয়ে ড্রাইভিং লাইসেন্স করার জন্য দু’মাস ধরে ঘুরছি একার বলা হয় ৮ নম্বর রুমে যান সেখানে গিয়ে চেয়ারে কাউকে পাওয়া গেল না একজন বললো ১০ নম্বর রুমে যান সেখানে গিয়েও দেখা চেয়ারে কেউ নেই। তিনি বলেন, আমাকে কবে পরীক্ষা দিতে হবে সেই তারিখ তারা নির্ধারণ করে দেবেন আমি কার কাছে গেলে সেটা পাব বুঝতেই পারছি না। শেষে এক দালালকে দুশ’ টাকা দেবার পর তিনি দু’দিন পর এসে তারিখ নিয়ে যেতে বললেন। এভাবেই লার্নার লাইসেন্স দেবার জন্য যেমন দিনের দিন ঘুরতে হয় তারপর ড্রাইভিং লাইসেন্স পাবার জন্য পরীক্ষার তারিখ জানতে আর যদি তারিখ পাওয়া যায় তা হলে অন্তত ৪/৫ মাস লাগবে লাইসেন্স পেতে এমনি অভিযোগ করলেন ভুক্তভোগিরা। (ভুক্তভোগিদের সবার অভিযোগ ভিডিও করা আছে) অন্যদিকে মোটরসাইকেলের রেজিস্ট্রেশন করতে হলে যে দোকান থেকে মোটরসাইকেল কেনা হয় তাদের অতিরিক্ত দু’হাজার টাকা দিলে তাড়াতাড়ি রেজিস্ট্রেশন হয়ে যায়। কিন্তু টাকা না দিলে এহ জনমেও হবে না বলে জানালেন নগরীর সাজিদ। তিনি বলেন এদিকে মোটরসাইকেল কিনে রেজিস্ট্রেশন ছাড়া চালাতে গেলে সার্জেন্টদের রোষানলে পড়তে হয় তাহলে আমরা কি করবো বলে পাল্টা প্রশ্ন ছুড়ে দেন তিনি। মিঠাপুকুরের শঠিবাড়ি থেকে আসা মমদেল জানালেন শোরুমে অতিরিক্ত দু’হাজার টাকা না দেয়ায় তার মোটরসাইকেল রেজিস্ট্রেশন হয়নি। বিআরটিএ অফিসে আসার পর তারা বলেন শোরুমের মাধ্যমে আসেন। পরে বাধ্য হয়ে আড়াই হাজার টাকা দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করিয়েছি বলে জানালেন তিনি। অন্যদিকে ট্রাক মাইক্রোবাস ও প্রাইভেট কার ফিটনেস সার্টিফিকেট নিতে অফিসে গাড়ি আনলে এক হাজার না আনলে ২ হাজার টাকা ঘুষ দিতে হয় ইন্সপেক্টরকে। এভাবেই আিরটিএ রংপুর কার্যালয় রমরমা ঘুষ বাণিজ্য করলেও দেখার কেউ নেই।

সার্বিক বিষয়ে জানতে বিআরটিএ রংপুর অফিসের প্রধান উপ পরিচালক ফারুখ আলমের সাথে তার চেম্বারে গেলে তিনি ভীষন ব্যস্ততা দেখিয়ে বলেন গ্রাহক সেবা দেবার জন্য আমরা সেবা সপ্তাহ পালন করছি। কাগজ পেলে সঙ্গে সঙ্গেই লার্নার লাইসেন্স ও রেজিস্ট্রেশন কাগজ দেয়া হচ্ছে বলে দাবি করেন। তিনি বলেন, এখানে কোন অনিয়ম হচ্ছে না বা হয় না সব নাকি ভালোভাবেই চলছে বলে জানালেন তিনি।

আরও খবর
ইলিশ উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনায় ২৪৬ কোটি টাকার প্রকল্প অনুমোদন
সীমান্তে ৭৩টি বিওপি নির্মাণ করবে বিজিবি
সীমান্তে ৭৩টি বিওপি নির্মাণ করবে বিজিবি
জার্মানির সঙ্গে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধিতে কাজ করতে হবে : স্পিকার
মধ্যপাড়া পাথর খনিতে পাথর উত্তোলন শুরু
খুনের দুই আসামি রাসেল ও হৃদয় গ্রেফতার
প্রকল্পের পণ্য-দ্রব্য ক্রয়ে যেন অস্বাভাবিক বাজারমূল্য দেখানো না হয়
বিটিসিএলের সব সেবা অনলাইনে পাওয়া যাচ্ছে এমডি
হিলি স্থলবন্দর দিয়ে পিয়াজ আমদানি বন্ধ
ডিআইজি প্রিজন বজলুর রশীদের সম্পত্তি ক্রোকের নির্দেশ
ছাত্রলীগ নেতাসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র জমা
এনআইপি মামলায় সাবরিনার জামিন নাকচ
শিমুলিয়া ফেরি বন্ধের প্রভাব পাটুরিয়া ঘাটে

বুধবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২০ , ০৪ মহররম ১৪৪২, ০৫ আশ্বিন ১৪২৭

রংপুর বিআরটিএ (১)

সেবার নামে চলছে গ্রাহক হয়রানি-ঘুষবাণিজ্য

লিয়াকত আলী বাদল, রংপুর

বিভাগীয় নগরী রংপুরসহ পুরো জেলার ট্রান্সপোর্ট নিয়ন্ত্রণকারী প্রতিষ্ঠান বিআরটিএর (বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি) রংপুর কার্যালয়ে গ্রাহক সেবা সপ্তাহের নামে চলছে গ্রাহক হয়রানি প্রকাশ্যই ঘুষ বাণিজ্য দালালদের মাধ্যমে টাকা হাতিয়ে নেয়া কর্মকর্তা কর্মচারীদের দুর্নীতি গ্রাহকদের সঙ্গে অশোভন আচরণ দিনের পর দিন ঘোরানোসহ চলছে চরম নৈরাজ্য। সরজমিন ঘুরে দুই পর্বের ধারাবাহিক প্রতিবেদনের আজ প্রথম পর্ব।

রংপুর বিভাগীয় নগরী তার উপর সিটি করপোরেশনসহ পুরো জেলায় হাজার হাজার বাস মিনিবাস মাইক্রোবাস, লক্ষাধিক মোটরসাইকেলসহ সব ধরনের যানবাহন রয়েছে। এসব নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব বিআরটিএ রংপুর কার্যালয়ের। এখানে কর্মকর্তা কর্মচারীরা প্রকাশ্যই যানবাহন হিসেবে প্রতিটির ফিটনেস সার্টিফিকেট, ড্রাইভিং লাইসেন্স, মোটরসাইকেলসহ গাড়ির রেজিস্ট্রেশন করাতে ঘুষের রেট বেধে দিয়েছেন। প্রতিটি স্তরে স্তরে দিতে হয় টাকা। ঘুষ না দিলে দিনের পর দিন অফিসে আসলেও কোন কাজ হয় না। চলতি মাসের ২০ সেপ্টেম্বর থেকে ২৪ তারিখ পর্যন্ত বিআরটিএ সেবা সপ্তাহ শুরু করেছে। বিশাল ব্যানার টাঙ্গিয়ে লোক দেখানো গ্রাহক সেবা দেবার নামে চালাচ্ছে রমরমা বানিজ্য। সরজমিন বিআরটিএ কার্যালয়ে গিয়ে দেখা গেল শত শত মোটরসাইকেল আর অফিসের ভেতরে শত শত মানুষ। তারা কেউ এসেছেন মোটরসাইকেলের রেজিস্ট্রেশন করাতে কেউ লার্নার লাইসেন্স কেউবা ড্রাইভিং লাইসেন্স করাতে। সকাল ৭টা থেকে লাইন ধরে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করছেন ঘণ্টার পর ঘণ্টা গ্রাহক সেবার জন্য বসানো ব্যানারের কাছে টেবিলে থাকা কর্মকর্তারা কিছুক্ষন বসে থেকে বাইরে যাচ্ছেন ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাপাত্তা তাদের খোঁজ মেলে না। সকাল থেকে লাইন ধরে দাঁড়িয়ে থাকা পীরগজ্ঞ থেকে আসা আসাদুল বললেন, ভোর ৬টা থেকে লাইন ধরে অপেক্ষা করছি কিন্তু কাজ হচ্ছে না। বিআরটিএ কতৃপক্ষ বলেছেন, মোটরসাইকেলের লার্নার লাইসেন্স এবং রেজিস্ট্রেশন কাগজপত্র পাবার সঙ্গে সঙ্গে হাতে হাতে প্রদান করা হচ্ছে। কিন্তু বাস্তবে এর কোন নমুনা পাওয়া গেল না। সোমবার বেলা সাড়ে ১১টা থেকে দেড় ঘণ্টা বেলা ১টা পর্যন্ত একজনকেও লার্নার লাইসেন্স বা রেজিস্ট্রেশনের কাগজ দেয়া দেখা গেল না।

লাইনে দাঁড়ানো বদরগজ্ঞের সাহেব মিয়া, তারাগজ্ঞের রহমান, পীরগাছার আবদুল্লা আল মামুনসহ অনেকেই একই অভিযোগ করলেন সকাল থেকে লাইন থেকে দাঁড়িয়ে আছি এই হচ্ছে তাদের সেবা সপ্তাহের নমুনা। সবার অভিযোগ বিআরটিএ অফিসের নিয়োজিত নিজস্ব দালালদের ৩ থেকে ৫শ’ টাকা হাতে ধরিয়ে দিলেই কাজ হয় না হলে হবে না।

লার্নার লাইসেন্স নেবার জন্য অপেক্ষামান মোহসীন নামে এক যুবক অভিযোগ করলেন এটা করতে সাড়ে ৩শ’ থেকে ৪শ’ টাকা লাগে। কিন্তু এক মাস ঘোরার পর এগারশ টাকা দিয়ে লার্নার লাইসেন্স নিতে হয়েছে। রংপুর নগরীর এক যুবক নাম প্রকাশ করতে অনীহা প্রকাশ করে বললেন লার্নার লাইসেন্স করতে লেগেছে দেড় মাস। এখন পরীক্ষা দিয়ে ড্রাইভিং লাইসেন্স করার জন্য দু’মাস ধরে ঘুরছি একার বলা হয় ৮ নম্বর রুমে যান সেখানে গিয়ে চেয়ারে কাউকে পাওয়া গেল না একজন বললো ১০ নম্বর রুমে যান সেখানে গিয়েও দেখা চেয়ারে কেউ নেই। তিনি বলেন, আমাকে কবে পরীক্ষা দিতে হবে সেই তারিখ তারা নির্ধারণ করে দেবেন আমি কার কাছে গেলে সেটা পাব বুঝতেই পারছি না। শেষে এক দালালকে দুশ’ টাকা দেবার পর তিনি দু’দিন পর এসে তারিখ নিয়ে যেতে বললেন। এভাবেই লার্নার লাইসেন্স দেবার জন্য যেমন দিনের দিন ঘুরতে হয় তারপর ড্রাইভিং লাইসেন্স পাবার জন্য পরীক্ষার তারিখ জানতে আর যদি তারিখ পাওয়া যায় তা হলে অন্তত ৪/৫ মাস লাগবে লাইসেন্স পেতে এমনি অভিযোগ করলেন ভুক্তভোগিরা। (ভুক্তভোগিদের সবার অভিযোগ ভিডিও করা আছে) অন্যদিকে মোটরসাইকেলের রেজিস্ট্রেশন করতে হলে যে দোকান থেকে মোটরসাইকেল কেনা হয় তাদের অতিরিক্ত দু’হাজার টাকা দিলে তাড়াতাড়ি রেজিস্ট্রেশন হয়ে যায়। কিন্তু টাকা না দিলে এহ জনমেও হবে না বলে জানালেন নগরীর সাজিদ। তিনি বলেন এদিকে মোটরসাইকেল কিনে রেজিস্ট্রেশন ছাড়া চালাতে গেলে সার্জেন্টদের রোষানলে পড়তে হয় তাহলে আমরা কি করবো বলে পাল্টা প্রশ্ন ছুড়ে দেন তিনি। মিঠাপুকুরের শঠিবাড়ি থেকে আসা মমদেল জানালেন শোরুমে অতিরিক্ত দু’হাজার টাকা না দেয়ায় তার মোটরসাইকেল রেজিস্ট্রেশন হয়নি। বিআরটিএ অফিসে আসার পর তারা বলেন শোরুমের মাধ্যমে আসেন। পরে বাধ্য হয়ে আড়াই হাজার টাকা দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করিয়েছি বলে জানালেন তিনি। অন্যদিকে ট্রাক মাইক্রোবাস ও প্রাইভেট কার ফিটনেস সার্টিফিকেট নিতে অফিসে গাড়ি আনলে এক হাজার না আনলে ২ হাজার টাকা ঘুষ দিতে হয় ইন্সপেক্টরকে। এভাবেই আিরটিএ রংপুর কার্যালয় রমরমা ঘুষ বাণিজ্য করলেও দেখার কেউ নেই।

সার্বিক বিষয়ে জানতে বিআরটিএ রংপুর অফিসের প্রধান উপ পরিচালক ফারুখ আলমের সাথে তার চেম্বারে গেলে তিনি ভীষন ব্যস্ততা দেখিয়ে বলেন গ্রাহক সেবা দেবার জন্য আমরা সেবা সপ্তাহ পালন করছি। কাগজ পেলে সঙ্গে সঙ্গেই লার্নার লাইসেন্স ও রেজিস্ট্রেশন কাগজ দেয়া হচ্ছে বলে দাবি করেন। তিনি বলেন, এখানে কোন অনিয়ম হচ্ছে না বা হয় না সব নাকি ভালোভাবেই চলছে বলে জানালেন তিনি।