পরিকল্পিত উপায়ে রাস্তা নির্মাণে মাস্টারপ্ল্যান হবে : অর্থমন্ত্রী

অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল জানিয়েছেন, যত্রতত্র রাস্তা নির্মাণ বন্ধে পরিকল্পিত উপায়ে দেশব্যাপী রাস্তা নির্মাণে মাস্টারপ্ল্যান করা হবে। এছাড়া বর্তমানে দেশে কী পরিমাণ রাস্তা আছে, আর আগামী ১০, ২০ বা ৫০ বছরে কত রাস্তা করতে হবে এ মাস্টারপ্ল্যানে সেগুলো থাকবে বলেও জানান মন্ত্রী। গতকাল অনলাইনে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।

প্রকল্পের অস্বাভাবিক ব্যয় বিষয়ে এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘প্রকল্পে অস্বাভাবিক ব্যয় হয় এটা আপনি কোথায় পেয়েছেন? গতকাল একনেক সভায় প্রধানমন্ত্রী অন্য একটা বিষয়ে অবজার্ভেশন রেখেছেন সেটা হচ্ছে, আপনারা রাস্তাঘাট তৈরিতে বেশি আগ্রহী। কিন্তু রাস্তাগুলোর কোয়ালিটি মেনটেইন করতে হবে। তিনি মেনটেইনের দিকে নজর দিতে বলেছেন। নতুন রাস্তা করে আপনারা দেশের ফসলি জমি নষ্ট করে দিচ্ছেন। হয়তো তিন কিলোমিটার সেভ করতে গিয়ে পুরো রাস্তা ফসলি জমি দিয়ে যাচ্ছে। তাই প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যটাকে আরও জোরদার বা অর্থবহ করার জন্য সারাদেশে একটি মাস্টারপ্ল্যান তৈরি করা হবে। বর্তমানে দেশে কী পরিমাণ রাস্তা আছে, আর আগামী ১০, ২০ বা ৫০ বছরে কত রাস্তা করতে হবে এ মাস্টারপ্ল্যানে সেগুলো থাকবে। মাস্টারপ্ল্যান করার জন্য আজকে কমিটির বৈঠক থেকে ঘোষণা দেয়া হয়েছে।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব নাসিমা বেগম বলেন, ‘মাস্টারপ্ল্যান করার জন্য একটি কমিটি করতে বলা হয়েছে। আমরা দেখি কীভাবে কী করা যায়। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ পুরো সরকারের অ্যাক্টিভিটিজগুলো সমন্বয় করে। তাই এটার দায়িত্ব আমাদের ওপর পড়েছে।’

এদিকে দেশে খেলাপি ঋণ কমাতে বাংলাদেশ ব্যাংক অকার্যকর হয়ে গেছে বলে মন্তব্য করেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। তবে এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে অর্থমন্ত্রী মুস্তফা কামাল কোন কথা বলেননি।

উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় অতিরিক্ত রাস্তা নির্মাণ না করার নির্দেশ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জমি সুরক্ষা করতে হবে। বেশি রাস্তা নির্মাণ করলে পানি চলাচলও বাধাগ্রস্ত হয়। বাড়ির পাশ দিয়ে রাস্তা নিতে প্রয়োজনের অতিরিক্ত রাস্তা নির্মাণ করা যাবে না। এই ধরনের মানসিকতার বাইরে আসতে হবে।

বৃহস্পতিবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২০ , ০৫ মহররম ১৪৪২, ০৬ আশ্বিন ১৪২৭

পরিকল্পিত উপায়ে রাস্তা নির্মাণে মাস্টারপ্ল্যান হবে : অর্থমন্ত্রী

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক |

image

অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল জানিয়েছেন, যত্রতত্র রাস্তা নির্মাণ বন্ধে পরিকল্পিত উপায়ে দেশব্যাপী রাস্তা নির্মাণে মাস্টারপ্ল্যান করা হবে। এছাড়া বর্তমানে দেশে কী পরিমাণ রাস্তা আছে, আর আগামী ১০, ২০ বা ৫০ বছরে কত রাস্তা করতে হবে এ মাস্টারপ্ল্যানে সেগুলো থাকবে বলেও জানান মন্ত্রী। গতকাল অনলাইনে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।

প্রকল্পের অস্বাভাবিক ব্যয় বিষয়ে এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘প্রকল্পে অস্বাভাবিক ব্যয় হয় এটা আপনি কোথায় পেয়েছেন? গতকাল একনেক সভায় প্রধানমন্ত্রী অন্য একটা বিষয়ে অবজার্ভেশন রেখেছেন সেটা হচ্ছে, আপনারা রাস্তাঘাট তৈরিতে বেশি আগ্রহী। কিন্তু রাস্তাগুলোর কোয়ালিটি মেনটেইন করতে হবে। তিনি মেনটেইনের দিকে নজর দিতে বলেছেন। নতুন রাস্তা করে আপনারা দেশের ফসলি জমি নষ্ট করে দিচ্ছেন। হয়তো তিন কিলোমিটার সেভ করতে গিয়ে পুরো রাস্তা ফসলি জমি দিয়ে যাচ্ছে। তাই প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যটাকে আরও জোরদার বা অর্থবহ করার জন্য সারাদেশে একটি মাস্টারপ্ল্যান তৈরি করা হবে। বর্তমানে দেশে কী পরিমাণ রাস্তা আছে, আর আগামী ১০, ২০ বা ৫০ বছরে কত রাস্তা করতে হবে এ মাস্টারপ্ল্যানে সেগুলো থাকবে। মাস্টারপ্ল্যান করার জন্য আজকে কমিটির বৈঠক থেকে ঘোষণা দেয়া হয়েছে।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব নাসিমা বেগম বলেন, ‘মাস্টারপ্ল্যান করার জন্য একটি কমিটি করতে বলা হয়েছে। আমরা দেখি কীভাবে কী করা যায়। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ পুরো সরকারের অ্যাক্টিভিটিজগুলো সমন্বয় করে। তাই এটার দায়িত্ব আমাদের ওপর পড়েছে।’

এদিকে দেশে খেলাপি ঋণ কমাতে বাংলাদেশ ব্যাংক অকার্যকর হয়ে গেছে বলে মন্তব্য করেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। তবে এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে অর্থমন্ত্রী মুস্তফা কামাল কোন কথা বলেননি।

উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় অতিরিক্ত রাস্তা নির্মাণ না করার নির্দেশ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জমি সুরক্ষা করতে হবে। বেশি রাস্তা নির্মাণ করলে পানি চলাচলও বাধাগ্রস্ত হয়। বাড়ির পাশ দিয়ে রাস্তা নিতে প্রয়োজনের অতিরিক্ত রাস্তা নির্মাণ করা যাবে না। এই ধরনের মানসিকতার বাইরে আসতে হবে।