হাতিয়ায় ৮ ইউপি জোয়ারে প্লাবিত

বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপের প্রভাবে গত মঙ্গলবার অস্বাভাবিক জোয়ারে প্লাবিত হয়েছে নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার আট ইউনিয়ন। বঙ্গোপসাগর ও মেঘনা উত্তাল হয়ে রুদ্রমূর্তি ধারণ করায় এ দ্বীপ উপজেলার সঙ্গে সকল নৌ চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। এর আগে আগস্ট মাসে প্রথম সপ্তাহে ও তৃতীয় সপ্তাহে পর পর এ আট ইউনিয়ন দুবার প্লাবিত হয়েছিল। হাতিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার রেজাউল করিম জানান, বেড়িবাঁধ না থাকায় অস্বাভাবিক জোয়ার হলেই এ দ্বীপের বিভিন্ন এলাকাদিয়ে পানি ডুকে পড়ে। এর ফলে মানুষদের ঘরবাড়ি, রাস্তাঘাট,ফসলি জমি ও মাছ ভর্তি পুকুর ও ঘের প্লাবিত হয়ে মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সাগরে লঘুচাপের প্রভাবে রবিবার, সোমবারও মঙ্গলবার অতিবৃষ্টির কারণে সাগর ও মেঘনা নদী উত্তাল হয়ে সোমবার রাতে ও মঙ্গলবার সকালে অতিরিক্ত জোয়ারে পানি ডুকে হাতিয়ার সুখচর, নলচিরা, চর ঈশ্বর, তমরুদ্দি, সোনাদিয়া, হরনি, চানন্দি, ও নিঝুমদ্বীপ ইউনিয়ন। এসব ইউনিয়নের অধিকাংশ এলাকা প্লাবিত হয়ে আবার ৫০ হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। বাংলাদেশ ক্ষেতমজুর ইউনিয়ন নেতা ও সুখ চরের বাসিন্দা আনোয়ার হোসেন জানায়, চর আমান উল্লার নদী পাড়ের অধিকাংশ বাড়ি ঘর, রাস্তাঘাট পানিতে তলিয়ে গেছে। মঙ্গলবার দুপুর থেক রাত পর্যন্ত জোয়ারের পানিতে মানুষের দুর্ভোগ আরও বেড়ে গেছে। নোয়াখালী পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী জানায় হাতিয়ার চতুর্দিকে বেড়িবাঁধ নির্মাণ না করা পর্যন্ত হাতিয়াবাসীর এ দুর্ভোগ লাগব হবে না। তিনি বলেন, হাতিয়ায় বেড়িবাঁধ নির্মাণ করার জন্য একটি মহাপরিকল্পনা হাতে নেয়া হয়েছে যদি কিছু হয়।

বৃহস্পতিবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২০ , ০৫ মহররম ১৪৪২, ০৬ আশ্বিন ১৪২৭

হাতিয়ায় ৮ ইউপি জোয়ারে প্লাবিত

প্রতিনিধি, নোয়াখালী

বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপের প্রভাবে গত মঙ্গলবার অস্বাভাবিক জোয়ারে প্লাবিত হয়েছে নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার আট ইউনিয়ন। বঙ্গোপসাগর ও মেঘনা উত্তাল হয়ে রুদ্রমূর্তি ধারণ করায় এ দ্বীপ উপজেলার সঙ্গে সকল নৌ চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। এর আগে আগস্ট মাসে প্রথম সপ্তাহে ও তৃতীয় সপ্তাহে পর পর এ আট ইউনিয়ন দুবার প্লাবিত হয়েছিল। হাতিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার রেজাউল করিম জানান, বেড়িবাঁধ না থাকায় অস্বাভাবিক জোয়ার হলেই এ দ্বীপের বিভিন্ন এলাকাদিয়ে পানি ডুকে পড়ে। এর ফলে মানুষদের ঘরবাড়ি, রাস্তাঘাট,ফসলি জমি ও মাছ ভর্তি পুকুর ও ঘের প্লাবিত হয়ে মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সাগরে লঘুচাপের প্রভাবে রবিবার, সোমবারও মঙ্গলবার অতিবৃষ্টির কারণে সাগর ও মেঘনা নদী উত্তাল হয়ে সোমবার রাতে ও মঙ্গলবার সকালে অতিরিক্ত জোয়ারে পানি ডুকে হাতিয়ার সুখচর, নলচিরা, চর ঈশ্বর, তমরুদ্দি, সোনাদিয়া, হরনি, চানন্দি, ও নিঝুমদ্বীপ ইউনিয়ন। এসব ইউনিয়নের অধিকাংশ এলাকা প্লাবিত হয়ে আবার ৫০ হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। বাংলাদেশ ক্ষেতমজুর ইউনিয়ন নেতা ও সুখ চরের বাসিন্দা আনোয়ার হোসেন জানায়, চর আমান উল্লার নদী পাড়ের অধিকাংশ বাড়ি ঘর, রাস্তাঘাট পানিতে তলিয়ে গেছে। মঙ্গলবার দুপুর থেক রাত পর্যন্ত জোয়ারের পানিতে মানুষের দুর্ভোগ আরও বেড়ে গেছে। নোয়াখালী পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী জানায় হাতিয়ার চতুর্দিকে বেড়িবাঁধ নির্মাণ না করা পর্যন্ত হাতিয়াবাসীর এ দুর্ভোগ লাগব হবে না। তিনি বলেন, হাতিয়ায় বেড়িবাঁধ নির্মাণ করার জন্য একটি মহাপরিকল্পনা হাতে নেয়া হয়েছে যদি কিছু হয়।