নৌকা ডুবানো সেই বিদ্রোহী প্রার্থী এবার আ’লীগের মাঝি!

নৌকার বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় আ’লীগের ভোট ভাগাভাগিতে সেবারে নিজে ডুবে এবং নৌকাকে ডুবিয়ে দিয়ে এবার মাঝি হলেন সেই বিদ্রোহী প্রার্থী নুর মোহাম্মদ মাস্টার। গত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় সামান্য ভোটের ব্যবধানে নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী হয়েছিল নৌকা প্রতীক।

উপজেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা যায়, উপজেলার কড়ইবাড়ীয়া ইউনিয়নে ২০১৭ সালের এপ্রিলের ইউপি নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছিল নুর মোহ্ম্মাদ মাস্টার। আর সেই কারণে মাত্র ৩৯৬ ভোটে হেরে নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী হয়েছিলেন নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মো. জসিম উদ্দিন মোল্লা। তখনকার নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থী নুর মোহাম্মদ মাস্টার মাত্র ১০২৯ ভোট পেয়ে ৩য় তম হয়েছিলেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক আ’লীগ নেতাকর্মীরা জানান, গত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নৌকার বিদ্রোহী প্রার্থী থাকায় উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের মধ্যে শুধু এ ইউনিয়নেই নৌকার প্রার্থী হেরে যান। তখন এ ইউনিয়নে নৌকা হেরে যাওয়ায় বঙ্গবন্ধুর সৈনিকরা কষ্ট পেয়েছেন। এখন তারা এ প্রার্থীকে কতটা গ্রহণ করতে পারবে এটা ভাবার বিষয়।

গতবারের নৌকা মার্কার প্রার্থী জসিম উদ্দিন মোল্লা বলেন, ২০১৭ সালের ইউপি নির্বাচনে নৌকা মার্কার বিদ্রোহী প্রার্থী থাকার কারণে সামান্য ভোটে হেরে নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী হয়েছি। বিদ্রোহী প্রার্থী না থাকলে নৌকা মার্কা বিপুল ভোটে বিজয়ী হতো।

উপজেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ছোটবগী ইউপি চেয়ারম্যান মুহা. তৌফিক উজ্জামান তনু বলেন, উপজেলা ও জেলা আওয়ামী লীগের তরফ থেকে প্রার্থীদের প্যানেল তালিকায় ৩ জনের নাম পাঠানো হয়েছে। কেন্দ্রীয় মনোনয়ন সভায় প্রধানমন্ত্রী নুর মোহাম্মদ মাস্টারকে মনোনয়ন দিয়েছেন। সকল দ্বিধাদ্বন্দ্ব ভুলে গিয়ে প্রধানমন্ত্রীর এ মনোনীত প্রার্থীকে বিজয়ী করার লক্ষ্যে উপজেলা আ’লীগের নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানাই।

বৃহস্পতিবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২০ , ০৫ মহররম ১৪৪২, ০৬ আশ্বিন ১৪২৭

তালতলীতে কড়াইবাড়ীয়া নির্বাচন

নৌকা ডুবানো সেই বিদ্রোহী প্রার্থী এবার আ’লীগের মাঝি!

প্রতিনিধি, তালতলী (বরগুনা)

নৌকার বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় আ’লীগের ভোট ভাগাভাগিতে সেবারে নিজে ডুবে এবং নৌকাকে ডুবিয়ে দিয়ে এবার মাঝি হলেন সেই বিদ্রোহী প্রার্থী নুর মোহাম্মদ মাস্টার। গত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় সামান্য ভোটের ব্যবধানে নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী হয়েছিল নৌকা প্রতীক।

উপজেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা যায়, উপজেলার কড়ইবাড়ীয়া ইউনিয়নে ২০১৭ সালের এপ্রিলের ইউপি নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছিল নুর মোহ্ম্মাদ মাস্টার। আর সেই কারণে মাত্র ৩৯৬ ভোটে হেরে নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী হয়েছিলেন নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মো. জসিম উদ্দিন মোল্লা। তখনকার নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থী নুর মোহাম্মদ মাস্টার মাত্র ১০২৯ ভোট পেয়ে ৩য় তম হয়েছিলেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক আ’লীগ নেতাকর্মীরা জানান, গত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নৌকার বিদ্রোহী প্রার্থী থাকায় উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের মধ্যে শুধু এ ইউনিয়নেই নৌকার প্রার্থী হেরে যান। তখন এ ইউনিয়নে নৌকা হেরে যাওয়ায় বঙ্গবন্ধুর সৈনিকরা কষ্ট পেয়েছেন। এখন তারা এ প্রার্থীকে কতটা গ্রহণ করতে পারবে এটা ভাবার বিষয়।

গতবারের নৌকা মার্কার প্রার্থী জসিম উদ্দিন মোল্লা বলেন, ২০১৭ সালের ইউপি নির্বাচনে নৌকা মার্কার বিদ্রোহী প্রার্থী থাকার কারণে সামান্য ভোটে হেরে নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী হয়েছি। বিদ্রোহী প্রার্থী না থাকলে নৌকা মার্কা বিপুল ভোটে বিজয়ী হতো।

উপজেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ছোটবগী ইউপি চেয়ারম্যান মুহা. তৌফিক উজ্জামান তনু বলেন, উপজেলা ও জেলা আওয়ামী লীগের তরফ থেকে প্রার্থীদের প্যানেল তালিকায় ৩ জনের নাম পাঠানো হয়েছে। কেন্দ্রীয় মনোনয়ন সভায় প্রধানমন্ত্রী নুর মোহাম্মদ মাস্টারকে মনোনয়ন দিয়েছেন। সকল দ্বিধাদ্বন্দ্ব ভুলে গিয়ে প্রধানমন্ত্রীর এ মনোনীত প্রার্থীকে বিজয়ী করার লক্ষ্যে উপজেলা আ’লীগের নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানাই।