সারাদেশে একটি সাইবার ট্রাইব্যুনাল

আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তির প্রসারের সঙ্গে সঙ্গে দেশে এ সংশ্লিষ্ট অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে। তা হলোÑ সাইবার অপরাধ। যা ভয়ঙ্করভাবে সমাজকে প্রভাবিত করছে। প্রযুক্তির ব্যবহার করতে গিয়ে অনেকেই প্রযুক্তির খারাপ দিকগুলোর সঙ্গে জড়িয়ে ফেলেছে। বাংলাদেশে প্রযুক্তির মাধ্যমে সংঘটিত অপরাধগুলো বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে অপরাধ ঘটার আগেই অনেক অপরপাধ প্রতিরোধ করা সম্ভব হচ্ছে। আবার অনেক অপরাধের ধরন বিশ্লেষণ করে এর বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে। দেশের সাইবার ক্রাইমগুলো যতটা না টেকনিক্যাল তার চেয়ে বেশি সামাজিক ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্রিক। দেশের সাইবার অপরাধের মধ্যে একটি হলো ছদ্মবেশ ধারণ করে হয়রানি করা। স্যোশাল মিডিয়াগুলোতে অন্যের পরিচয় ধারণ করে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন কারণে বিভিন্ন ব্যক্তিকে হয়রানি করে থাকে। আবার অনেকের সরলতার সুযোগ নিয়ে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সংগ্রহ করে তারা এইসব অপরাধের আশ্রয় নিচ্ছে। দেশে সংঘটিত বিভিন্ন অপরাধের মধ্যে এটি অন্যতম। যেমন ব্ল্যাক মেইলিং, অনলাইনে আর্থিক প্রতারণা, ব্যক্তিগত তথ্য ও ছবি সংগ্রহ করে প্রতারণা, ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের নামে মিথ্যা তথ্য প্রচার। ফেসবুকে বন্ধুত্ব করে প্রতারণাসহ নানা প্রতারণা প্রতিনিয়ত হচ্ছে। এসব অপরাধ দমনে পুলিশের সাইবার সিকিউরিটি অ্যান্ড ক্রাইম ডিভিশন চালু করা হয়েছে। সাইবার আইনে মামলাও দায়ের করা হচ্ছে। সাইবার অপরাধীদের আইনের আওতায় এনে বিচার করার জন্য গঠিত হয়েছে ঢাকায় সাইবার ট্রাইব্যুনাল। থানায় দায়েরকৃত মামলাগুলো সাইবার ট্রাইব্যুনালে পাঠানো হয়। শুধু রাজধানীই নয়, সারাদেশের সাইবার অপরাধের সব মামলার বিচার এখন ঢাকার ট্রাইব্যুনালে হচ্ছে। সারাদেশে এখন মামলার সংখ্যা দুই হাজারেরও বেশি বলে আদালত সূত্রে জানা গেছে।

সাইবার ট্রাইব্যুনালের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী (পিপি) মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম শামীম বলেন, ২০১৩ সালে সাইবার ট্রাইব্যুনালের কার্যক্রম প্রথম শুরু হয়। এরপর থেকে গতকাল পর্যন্ত মোট ১২৫টি মামলার রায় ঘোষণা করা হয়েছে। এখনও ২ হাজার

মামলা বিচারাধীন আছে। আগে এজলাসের সমস্যা ছিল। এখন তা নেই। দেশে একটি মাত্র ট্রাইব্যুনাল। দেশের অন্যান্য জেলা ও থানায় দায়ের করা মামলা এ ট্রাইব্যুনালে আসছে। সাক্ষীরা আসছে সমস্যা আপাতত হচ্ছে না। বিভাগ পর্যায়ে আরও ৭টি ট্রাইব্যুনাল হবে। তখন আর ঢাকায় আসতে হবে না। তার মতে, এ মামলার আইন সম্পর্কে অনেকেই কিছু জানে না। আরও তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করে মামলা করা ভালো বলে এ আইনজীবী মনে করেন।

অপরাধবিষয়ক আইনজীবী সৈয়দ আহমেদ গাজী বলেন, সাইবার ট্রাইব্যুনাল বিভাগভিত্তিক হওয়া ভালো। এজলাস সমস্যার সমাধান হয়ে গেছে। একটি আদালত হওয়ায় সাক্ষী আনা কষ্টকর। ঢাকায় সাক্ষীর আসার আগ্রহ কম। এ ট্রাইব্যুনালে যে সব মামলার রায় ঘোষণা হয়েছে তাতে অনেকেরই সাজা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীকে কটাক্ষ করাসহ বহু মামলার অভিযুক্ত আসামিদের শাস্তি হয়েছে। বিচার প্রার্থীরা ন্যায় বিচার পাচ্ছেন। একটি আদালত হওয়ায় বিচার প্রার্থীর ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। মামলা বেশি হওয়ায় মামলার পরবর্তী তারিখ দেরিতে (বিলম্বে) দেয়া হচ্ছে।

২০১৯ সালে ৫ মে একজন গৃহবধূ জহিরুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তিকে অভিযুক্ত করে বরিশাল কোতোয়ালি থানার একটি মামলা দায়ের করেন। জহিরুলের বাড়ি নেত্রকোনার কেন্দুয়া। গৃহবধূ তার বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলেন, ২০১৬ সালে তিনি ফেসবুক আইডি খুলে ব্যবহার করেন। তখন অভিযুক্ত আসামির সঙ্গে ফেসবুকের মাধ্যমে তার সঙ্গে পরিচয় হয়। ফেসবুকে অভিযুক্তের আইডি ছিল রানা মজুমদার। সেই সুবাধে ভালো সম্পর্ক গড়ে উঠে। আসামি তাকে বিয়ে করার প্রস্তুাব দেয়। তিনি আসামির প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন। তখন আসামি হুমকি দিয়ে বলে যদি তাকে (অভিযুক্ত আসামি) বিয়ে না করে তার বন্ধু-বান্ধবের মাধ্যমে ফেসবুক দিয়ে বাদীর মানইজ্জত শেষ করে দেব। আমি শুধু তোকেই বিয়ে করব। কিন্তু আসামির হুমকিতে কোন রূপ কর্ণপাত করেনি বাদী। ২০১৮ সালে সাইফুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তি তাকে ইসলামী শরিয়ত মোতাবেক বিয়ে করে। এরপরই অভিযুক্ত বাদীর ক্ষতি করার জন্য নানাভাবে ফেসবুক আইডি খুলে প্রতারণাপূর্বক ছদ্মবেশ ধারণ করে ফেসবুক ও ছদ্মবেশ ধারণ ধরে মোবাইল ফোনে অশ্লীল কথা বার্তা লিখে মেয়ের স্বামীর কাছে এবং স্বামীর সহকর্মীদের কাছে পাঠায়। মিথ্যা তথ্য ইন্টারনেটে ছাড়িয়ে দেয়। এ নিয়ে দায়ের করা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলাটি এখন বিচারাধীন। আসামি এখনও পলাতক। মামলার বাদী এ প্রতিবেদককে মুঠোফোনে বলেন, অভিযুক্ত এখনও মোবাইলে ম্যাসেজ পাঠিয়ে তাকে নানাভাবে হুমকি দিচ্ছে।

অপরদিকে ২০১৫ সালে বান্দরবান সরদর থানার তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনে দায়ের করা থুইচাচিং মারমার মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, অভিযুক্ত বিবাদী ছবি তুলে ফেসবুকে কুরুচিপূর্ণ ও মানহানিকর স্ট্যাটাস দিয়ে সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন তার পরিবারে ভাবমূর্তি ক্ষুণœ করেছে। মামলাটি এখন সাইবার ট্রাইব্যুনাল আদালতে যুক্তি তর্ক পর্যায়ে আছে। আগামী ৫ অক্টোবর মামলার পরবর্তী তারিখ।

২০১৯ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) খুলশি থানায় পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম বিভাগ চট্টগ্রাম শাখার একজন কর্মকর্তা লিখিত অভিযোগ করে বলেন, শাহিন কম্পিউটার নামের দোকানে সরকারি ও বেসরকারি মিলিয়ে ২০টি ব্যাংকের রাবার স্ট্যাম্প, জমির খতিয়ানের ফটোকপি, খালি প্যাড, কাস্টমার আইডি, অনাপিত্তপত্রসহ কাজপত্র তৈরি করে টাকার বিনিময়ে তৈরি করছে। অভিযুক্তরা পরস্পর যোগসাজশে আইনগত কর্তৃত্ব ছাড়া অন্য ব্যক্তির পরিচিতি তথ্য সংগ্রহ, দখল, বিক্রয় ও সরবরাহ এবং ব্যবহার করে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে অপরাধ করছে। ঘটনায় অভিযুক্ত শাহ নেওয়াজ, জসিম উদ্দিন ও আর পলাতক আসামি হোসনাইন শাহীনের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২০ , ০৫ মহররম ১৪৪২, ০৬ আশ্বিন ১৪২৭

বাড়ছে সাইবার অপরাধ 

সারাদেশে একটি সাইবার ট্রাইব্যুনাল

বাকী বিল্লাহ ও মাহবুবুল হক

আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তির প্রসারের সঙ্গে সঙ্গে দেশে এ সংশ্লিষ্ট অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে। তা হলোÑ সাইবার অপরাধ। যা ভয়ঙ্করভাবে সমাজকে প্রভাবিত করছে। প্রযুক্তির ব্যবহার করতে গিয়ে অনেকেই প্রযুক্তির খারাপ দিকগুলোর সঙ্গে জড়িয়ে ফেলেছে। বাংলাদেশে প্রযুক্তির মাধ্যমে সংঘটিত অপরাধগুলো বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে অপরাধ ঘটার আগেই অনেক অপরপাধ প্রতিরোধ করা সম্ভব হচ্ছে। আবার অনেক অপরাধের ধরন বিশ্লেষণ করে এর বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে। দেশের সাইবার ক্রাইমগুলো যতটা না টেকনিক্যাল তার চেয়ে বেশি সামাজিক ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্রিক। দেশের সাইবার অপরাধের মধ্যে একটি হলো ছদ্মবেশ ধারণ করে হয়রানি করা। স্যোশাল মিডিয়াগুলোতে অন্যের পরিচয় ধারণ করে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন কারণে বিভিন্ন ব্যক্তিকে হয়রানি করে থাকে। আবার অনেকের সরলতার সুযোগ নিয়ে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সংগ্রহ করে তারা এইসব অপরাধের আশ্রয় নিচ্ছে। দেশে সংঘটিত বিভিন্ন অপরাধের মধ্যে এটি অন্যতম। যেমন ব্ল্যাক মেইলিং, অনলাইনে আর্থিক প্রতারণা, ব্যক্তিগত তথ্য ও ছবি সংগ্রহ করে প্রতারণা, ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের নামে মিথ্যা তথ্য প্রচার। ফেসবুকে বন্ধুত্ব করে প্রতারণাসহ নানা প্রতারণা প্রতিনিয়ত হচ্ছে। এসব অপরাধ দমনে পুলিশের সাইবার সিকিউরিটি অ্যান্ড ক্রাইম ডিভিশন চালু করা হয়েছে। সাইবার আইনে মামলাও দায়ের করা হচ্ছে। সাইবার অপরাধীদের আইনের আওতায় এনে বিচার করার জন্য গঠিত হয়েছে ঢাকায় সাইবার ট্রাইব্যুনাল। থানায় দায়েরকৃত মামলাগুলো সাইবার ট্রাইব্যুনালে পাঠানো হয়। শুধু রাজধানীই নয়, সারাদেশের সাইবার অপরাধের সব মামলার বিচার এখন ঢাকার ট্রাইব্যুনালে হচ্ছে। সারাদেশে এখন মামলার সংখ্যা দুই হাজারেরও বেশি বলে আদালত সূত্রে জানা গেছে।

সাইবার ট্রাইব্যুনালের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী (পিপি) মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম শামীম বলেন, ২০১৩ সালে সাইবার ট্রাইব্যুনালের কার্যক্রম প্রথম শুরু হয়। এরপর থেকে গতকাল পর্যন্ত মোট ১২৫টি মামলার রায় ঘোষণা করা হয়েছে। এখনও ২ হাজার

মামলা বিচারাধীন আছে। আগে এজলাসের সমস্যা ছিল। এখন তা নেই। দেশে একটি মাত্র ট্রাইব্যুনাল। দেশের অন্যান্য জেলা ও থানায় দায়ের করা মামলা এ ট্রাইব্যুনালে আসছে। সাক্ষীরা আসছে সমস্যা আপাতত হচ্ছে না। বিভাগ পর্যায়ে আরও ৭টি ট্রাইব্যুনাল হবে। তখন আর ঢাকায় আসতে হবে না। তার মতে, এ মামলার আইন সম্পর্কে অনেকেই কিছু জানে না। আরও তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করে মামলা করা ভালো বলে এ আইনজীবী মনে করেন।

অপরাধবিষয়ক আইনজীবী সৈয়দ আহমেদ গাজী বলেন, সাইবার ট্রাইব্যুনাল বিভাগভিত্তিক হওয়া ভালো। এজলাস সমস্যার সমাধান হয়ে গেছে। একটি আদালত হওয়ায় সাক্ষী আনা কষ্টকর। ঢাকায় সাক্ষীর আসার আগ্রহ কম। এ ট্রাইব্যুনালে যে সব মামলার রায় ঘোষণা হয়েছে তাতে অনেকেরই সাজা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীকে কটাক্ষ করাসহ বহু মামলার অভিযুক্ত আসামিদের শাস্তি হয়েছে। বিচার প্রার্থীরা ন্যায় বিচার পাচ্ছেন। একটি আদালত হওয়ায় বিচার প্রার্থীর ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। মামলা বেশি হওয়ায় মামলার পরবর্তী তারিখ দেরিতে (বিলম্বে) দেয়া হচ্ছে।

২০১৯ সালে ৫ মে একজন গৃহবধূ জহিরুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তিকে অভিযুক্ত করে বরিশাল কোতোয়ালি থানার একটি মামলা দায়ের করেন। জহিরুলের বাড়ি নেত্রকোনার কেন্দুয়া। গৃহবধূ তার বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলেন, ২০১৬ সালে তিনি ফেসবুক আইডি খুলে ব্যবহার করেন। তখন অভিযুক্ত আসামির সঙ্গে ফেসবুকের মাধ্যমে তার সঙ্গে পরিচয় হয়। ফেসবুকে অভিযুক্তের আইডি ছিল রানা মজুমদার। সেই সুবাধে ভালো সম্পর্ক গড়ে উঠে। আসামি তাকে বিয়ে করার প্রস্তুাব দেয়। তিনি আসামির প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন। তখন আসামি হুমকি দিয়ে বলে যদি তাকে (অভিযুক্ত আসামি) বিয়ে না করে তার বন্ধু-বান্ধবের মাধ্যমে ফেসবুক দিয়ে বাদীর মানইজ্জত শেষ করে দেব। আমি শুধু তোকেই বিয়ে করব। কিন্তু আসামির হুমকিতে কোন রূপ কর্ণপাত করেনি বাদী। ২০১৮ সালে সাইফুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তি তাকে ইসলামী শরিয়ত মোতাবেক বিয়ে করে। এরপরই অভিযুক্ত বাদীর ক্ষতি করার জন্য নানাভাবে ফেসবুক আইডি খুলে প্রতারণাপূর্বক ছদ্মবেশ ধারণ করে ফেসবুক ও ছদ্মবেশ ধারণ ধরে মোবাইল ফোনে অশ্লীল কথা বার্তা লিখে মেয়ের স্বামীর কাছে এবং স্বামীর সহকর্মীদের কাছে পাঠায়। মিথ্যা তথ্য ইন্টারনেটে ছাড়িয়ে দেয়। এ নিয়ে দায়ের করা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলাটি এখন বিচারাধীন। আসামি এখনও পলাতক। মামলার বাদী এ প্রতিবেদককে মুঠোফোনে বলেন, অভিযুক্ত এখনও মোবাইলে ম্যাসেজ পাঠিয়ে তাকে নানাভাবে হুমকি দিচ্ছে।

অপরদিকে ২০১৫ সালে বান্দরবান সরদর থানার তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনে দায়ের করা থুইচাচিং মারমার মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, অভিযুক্ত বিবাদী ছবি তুলে ফেসবুকে কুরুচিপূর্ণ ও মানহানিকর স্ট্যাটাস দিয়ে সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন তার পরিবারে ভাবমূর্তি ক্ষুণœ করেছে। মামলাটি এখন সাইবার ট্রাইব্যুনাল আদালতে যুক্তি তর্ক পর্যায়ে আছে। আগামী ৫ অক্টোবর মামলার পরবর্তী তারিখ।

২০১৯ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) খুলশি থানায় পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম বিভাগ চট্টগ্রাম শাখার একজন কর্মকর্তা লিখিত অভিযোগ করে বলেন, শাহিন কম্পিউটার নামের দোকানে সরকারি ও বেসরকারি মিলিয়ে ২০টি ব্যাংকের রাবার স্ট্যাম্প, জমির খতিয়ানের ফটোকপি, খালি প্যাড, কাস্টমার আইডি, অনাপিত্তপত্রসহ কাজপত্র তৈরি করে টাকার বিনিময়ে তৈরি করছে। অভিযুক্তরা পরস্পর যোগসাজশে আইনগত কর্তৃত্ব ছাড়া অন্য ব্যক্তির পরিচিতি তথ্য সংগ্রহ, দখল, বিক্রয় ও সরবরাহ এবং ব্যবহার করে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে অপরাধ করছে। ঘটনায় অভিযুক্ত শাহ নেওয়াজ, জসিম উদ্দিন ও আর পলাতক আসামি হোসনাইন শাহীনের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা হয়েছে।