প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে করোনাকালেও প্রবৃদ্ধি এশিয়ার দেশগুলোর ওপরে বাংলাদেশ : তথ্যমন্ত্রী

তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বের কারণেই করোনা মহামারীর মধ্যেও দেশের অর্থনীতির চাকা সচল থাকায় আমাদের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এশিয়ার প্রায় সব দেশের ওপরে। গতকাল সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সমসাময়িক বিষয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন। তথ্যমন্ত্রী করোনাকালে সাংবাদিকদের সাহসী ভূমিকার প্রশংসা করেন। এ সময় মৃত্যুবরণকারী সাংবাদিকদের আত্মার শান্তি ও আক্রান্তদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করেন তিনি।

তথ্যমন্ত্রী এ সময় সম্প্রতি এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক-এডিবি প্রকাশিত ২০২০ সালে এশিয়ার দেশগুলোর জিডিপির প্রবৃদ্ধির উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, ‘এডিবি’র প্রক্ষেপণ অনুযায়ী ২০২০ সালে বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৫.২ শতাংশ, যেখানে ভারতের প্রবৃদ্ধি ঋণাত্মক ০.৯, পাকিস্তানের ঋণাত্মক ০.৪, শ্রীলঙ্কার ঋণাত্মক ৫.৫, চীনের ১.৮, থাইল্যান্ডের ঋণাত্মক ৮, ফিলিপাইনের ঋণাত্মক ৭.৩, সিঙ্গাপুরের ঋণাত্মক ৬.২।’

ড. হাছান বলেন, ‘করোনায় যখন পৃথিবী স্তব্ধ হয়ে গেলো, বাংলাদেশেও সবকিছু ছুটি ঘোষণা করা হলো। তখন অনেকেই দেশ নিয়ে নানা আশঙ্কা-শঙ্কা করেছিলেন। কিন্তু দেশি-বিদেশি বিশেষজ্ঞদের সব শঙ্কা-আশঙ্কা মিথ্যা প্রমাণ হলো। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঠিক নেতৃত্ব, সময়োচিত পদক্ষেপ, মানুষের জন্য আর্থিক সহায়তা, খাদ্য সহায়তা, অর্থনীতিকে বাঁচানোর জন্য অর্থনৈতিক প্রণোদনা ঘোষণা এবং বাস্তবায়নের কারণে দেশে সাড়ে ছয় মাসে অনাহারে একজন মানুষেরও মৃত্যু হয়নি। খাদ্যের জন্য কখনও কোথাও হাহাকার হয়নি। শেখ হাসিনা মানুষকে এই দুর্যোগ মোকাবিলার ক্ষেত্রে সম্পৃক্ত করেছেন। আওয়ামী লীগের সব নেতাকর্মীকে সম্পৃক্ত করেছেন। তার আহ্বানে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা এই দুর্যোগ মোকাবিলায় ঝাঁপিয়ে পড়েছেন।’

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘গত সাড়ে ছয় মাস বঙ্গবন্ধুকন্যা একদিনের জন্যও বসে থাকেননি, প্রতিদিন কাজ করছেন। শুধু মন্ত্রিসভার বৈঠক বা একনেক সভা করছেন তা নয়, তিনি বিভিন্ন জেলা ও বিভাগের সঙ্গে অনলাইনে বৈঠক করছেন, অন্য কাজও করছেন। অথচ এই সময় অনেক দেশে এসব কাজকর্ম বন্ধ ছিল। প্রধানমন্ত্রীর তৎপরতার কারণেই এ দেশে অর্থনীতির চাকা সচল থেকেছে। এশিয়ার প্রায় সব দেশকে পেছনে ফেলেছে। এই করোনাকালেও এডিবির প্রাক্কলন অনুযায়ী আমাদের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ৫.২ শতাংশ। আমাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিল সাড়ে ৮ শতাংশ, করোনা না থাকলে সেটি করা সম্ভবপর হতো।’

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘করোনা মোকাবিলায়ও বাংলাদেশ অনেক দেশের তুলনায় ভালো অবস্থানে। বাংলাদেশে করোনা আক্রান্তদের মধ্যে মৃত্যুর হার ১.৪, ভারতে ১.৬, পাকিস্তানে ২.০৯, যুক্তরাজ্যে ১০.৩৬, বেলজিয়ামে ৯.৪৬, ফ্রান্সে ৬.৭১, জার্মানিতে ৩.৪২ ও যুক্তরাষ্ট্রে ৩ শতাংশের মতো। বাংলাদেশে আক্রান্তদের মধ্যে মৃত্যুর হার আরও কম হতো, যদি আরও ব্যাপকভাবে মানুষ পরীক্ষা করতো। অর্থাৎ করোনা মোকাবিলা করার ক্ষেত্রেও আমরা অনেক দেশের তুলনায় ভালো অবস্থানে আছি।’

আরও খবর
যানবাহন ফিটনেস টেস্টিং সেন্টার বাড়ানোর নির্দেশ হাইকোর্টের
মেট্রোরেলের ৫০ ভাগ কাজ শেষ
ভারতের সঙ্গে বন্ধুত্ব আরও সুদৃঢ় হচ্ছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
দ্বিপক্ষীয়-বাণিজ্যিক সম্পর্ক বাড়াতে আগ্রহী রুয়ান্ডা
প্রকাশ্যে অস্ত্রের মহড়া : ছাত্রলীগ নেতা বহিষ্কার
মোহাম্মদপুরের কাউন্সিলর সেন্টুর বিরুদ্ধে মামলা
বস্তির গোসলখানায় শিশুর লাশ
সরকারি জমি দখল করে অবৈধ স্থাপনা
সাভারে ৬ দিনে কিশোর-কিশোরীসহ ৪ খুন
শহরের সঙ্গে ৪ দিন ধরে যোগাযোগ বন্ধ
নারায়ণগঞ্জে মুক্তিযোদ্ধাদের বাড়িতে ডিসির বৃক্ষরোপণ
উপ-পরিচালকের তত্ত্বাবধানে ক্লাব কম্পিউটার নামে বিকল্প কার্যালয়
স্বাস্থ্য পরীক্ষায় নতুন মূল্য তালিকা দাখিলের নির্দেশ হাইকোর্টের
১৪ প্রতিষ্ঠানকে ১৫ লাখ টাকা জরিমানা
সংসদ ভবন উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের প্রেজেন্টেশন দেখলেন প্রধানমন্ত্রী

বৃহস্পতিবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২০ , ০৫ মহররম ১৪৪২, ০৬ আশ্বিন ১৪২৭

প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে করোনাকালেও প্রবৃদ্ধি এশিয়ার দেশগুলোর ওপরে বাংলাদেশ : তথ্যমন্ত্রী

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক |

তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বের কারণেই করোনা মহামারীর মধ্যেও দেশের অর্থনীতির চাকা সচল থাকায় আমাদের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এশিয়ার প্রায় সব দেশের ওপরে। গতকাল সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সমসাময়িক বিষয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন। তথ্যমন্ত্রী করোনাকালে সাংবাদিকদের সাহসী ভূমিকার প্রশংসা করেন। এ সময় মৃত্যুবরণকারী সাংবাদিকদের আত্মার শান্তি ও আক্রান্তদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করেন তিনি।

তথ্যমন্ত্রী এ সময় সম্প্রতি এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক-এডিবি প্রকাশিত ২০২০ সালে এশিয়ার দেশগুলোর জিডিপির প্রবৃদ্ধির উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, ‘এডিবি’র প্রক্ষেপণ অনুযায়ী ২০২০ সালে বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৫.২ শতাংশ, যেখানে ভারতের প্রবৃদ্ধি ঋণাত্মক ০.৯, পাকিস্তানের ঋণাত্মক ০.৪, শ্রীলঙ্কার ঋণাত্মক ৫.৫, চীনের ১.৮, থাইল্যান্ডের ঋণাত্মক ৮, ফিলিপাইনের ঋণাত্মক ৭.৩, সিঙ্গাপুরের ঋণাত্মক ৬.২।’

ড. হাছান বলেন, ‘করোনায় যখন পৃথিবী স্তব্ধ হয়ে গেলো, বাংলাদেশেও সবকিছু ছুটি ঘোষণা করা হলো। তখন অনেকেই দেশ নিয়ে নানা আশঙ্কা-শঙ্কা করেছিলেন। কিন্তু দেশি-বিদেশি বিশেষজ্ঞদের সব শঙ্কা-আশঙ্কা মিথ্যা প্রমাণ হলো। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঠিক নেতৃত্ব, সময়োচিত পদক্ষেপ, মানুষের জন্য আর্থিক সহায়তা, খাদ্য সহায়তা, অর্থনীতিকে বাঁচানোর জন্য অর্থনৈতিক প্রণোদনা ঘোষণা এবং বাস্তবায়নের কারণে দেশে সাড়ে ছয় মাসে অনাহারে একজন মানুষেরও মৃত্যু হয়নি। খাদ্যের জন্য কখনও কোথাও হাহাকার হয়নি। শেখ হাসিনা মানুষকে এই দুর্যোগ মোকাবিলার ক্ষেত্রে সম্পৃক্ত করেছেন। আওয়ামী লীগের সব নেতাকর্মীকে সম্পৃক্ত করেছেন। তার আহ্বানে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা এই দুর্যোগ মোকাবিলায় ঝাঁপিয়ে পড়েছেন।’

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘গত সাড়ে ছয় মাস বঙ্গবন্ধুকন্যা একদিনের জন্যও বসে থাকেননি, প্রতিদিন কাজ করছেন। শুধু মন্ত্রিসভার বৈঠক বা একনেক সভা করছেন তা নয়, তিনি বিভিন্ন জেলা ও বিভাগের সঙ্গে অনলাইনে বৈঠক করছেন, অন্য কাজও করছেন। অথচ এই সময় অনেক দেশে এসব কাজকর্ম বন্ধ ছিল। প্রধানমন্ত্রীর তৎপরতার কারণেই এ দেশে অর্থনীতির চাকা সচল থেকেছে। এশিয়ার প্রায় সব দেশকে পেছনে ফেলেছে। এই করোনাকালেও এডিবির প্রাক্কলন অনুযায়ী আমাদের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ৫.২ শতাংশ। আমাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিল সাড়ে ৮ শতাংশ, করোনা না থাকলে সেটি করা সম্ভবপর হতো।’

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘করোনা মোকাবিলায়ও বাংলাদেশ অনেক দেশের তুলনায় ভালো অবস্থানে। বাংলাদেশে করোনা আক্রান্তদের মধ্যে মৃত্যুর হার ১.৪, ভারতে ১.৬, পাকিস্তানে ২.০৯, যুক্তরাজ্যে ১০.৩৬, বেলজিয়ামে ৯.৪৬, ফ্রান্সে ৬.৭১, জার্মানিতে ৩.৪২ ও যুক্তরাষ্ট্রে ৩ শতাংশের মতো। বাংলাদেশে আক্রান্তদের মধ্যে মৃত্যুর হার আরও কম হতো, যদি আরও ব্যাপকভাবে মানুষ পরীক্ষা করতো। অর্থাৎ করোনা মোকাবিলা করার ক্ষেত্রেও আমরা অনেক দেশের তুলনায় ভালো অবস্থানে আছি।’