মেট্রোরেলের ৫০ ভাগ কাজ শেষ

শ্রমিকদের চিকিৎসায় চালু ফিল্ড হাসপাতাল

ঢাকা মহানগরী ও পার্শ্ববর্তী এলাকার যানজট নিরসন এবং গণপরিবহনের সক্ষমতা বাড়াতে ২০৩০ সালের মধ্যে ছয়টি মেট্রোরেল রুট নির্মাণের পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে তরুণ প্রজন্মের স্বপ্নের মেট্রোরেলের নির্মাণ কাজ এগিয়ে চলেছে। ইতোমধ্যে প্রকল্পের প্রায় পঞ্চাশ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে। এরই মাঝে উড়ালপথে তিন কিলোমিটার রেললাইন স্থাপনের কাজ শেষ হয়েছে। চলছে বৈদ্যুতিক সংযোগ স্থাপন।

গতকাল তার সরকারি বাসভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে মেট্রোরেল প্রকল্পের জন্য নির্মিত ফিল্ড হাসপাতাল উদ্বোধনকালে এসব কথা বলেন। এ সময় ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মে উপস্থিত ছিলেন সড়ক ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব মো. নজরুল ইসলাম, ডিএমটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এমএএন ছিদ্দিক ও প্রকল্প পরিচালকসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

সড়কমন্ত্রী বলেন, করোনা মানুষের জীবনের মতো মেট্রোরেলেরও সবকিছু ওলটপালট করে দিয়েছে। নতুন নতুন সংকট শুরু হয় এ প্রকল্পে, সমাধানের জন্যও খোঁজা হয় পথ। এই মহামারীতে মেট্রোরেলের সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় হাসপাতাল নির্মাণসহ নানা উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এই প্রকল্পে জাপান ও থাইল্যান্ডের প্রকৌশলী পরামর্শকরাই কাজ করছেন বেশি। সংশ্লিষ্টদের করোনা শনাক্ত হলে কিংবা উপসর্গ থাকলে প্রকল্প এলাকায় কোয়ারেন্টিনে রাখা হচ্ছে। পাশাপাশি করোনাকালে সংশ্লিষ্ট কর্মীদের প্রকল্প এলাকায় আবাসনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ২০৩০ সালের মধ্যে সরকার ছয়টি মেট্রোরেল রুট নির্মাণের পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। এর আওতায় ১২৮ কিলোমিটার রুট নির্মাণ করা হবে। যার ৬৭ কিলোমিটার হবে উড়াল পথে এবং ৬১ কিলোমিটার হবে পাতাল পথে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘করোনা দীর্ঘায়িত হতে পারে এমন বিবেচনায় মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ কর্মীদের জন্য দুটি ফিল্ড হাসপাতাল নির্মাণ করেছে। এর একটি উত্তরার পঞ্চবটী কন্সট্রাকশন ইয়ার্ডে ১৪ শয্যাবিশিষ্ট এবং অপরটি গাবতলীর কন্সট্রাকশন ইয়ার্ডে ১০ শয্যার। এ দুটি হাসপাতালে আইসিইউ সুবিধাসহ সব সুবিধাই রাখা হয়েছে। দেশে কোন উন্নয়ন প্রকল্পের জন্য হাসপাতাল নির্মাণের নজির এই প্রথম। এটি মেট্রোরেল প্রকল্পে কর্মীদের জন্য ফিল্ড হাসপাতাল।’ এ প্রকল্পের জনশক্তিকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘করোনায় আক্রান্ত হলে নিজেদের জন্য চিকিৎসা ব্যবস্থা গড়ে তোলার অংশ হিসেবে নির্মাণ করা হয়েছে এ দুটি ফিল্ড হাসপাতাল। এতে প্রকল্পে যারা কাজ করছেন এতে তাদের মনোবল বৃদ্ধি পাবে এবং কাজের গতিও বাড়বে।’

অনুষ্ঠানে উত্তরা ও গাবতলী ইয়ার্ডে নির্মিত হাসপাতাল দুটির সংশ্লিষ্ট ডাক্তার ও তত্ত্বাবধায়করা বলেন, করোনাকালে চলমান কাজে কিছুটা ধীরগতি থাকলেও এখন আর সেই সমস্যা হবে না। তারা বলেন, এই হাসপাতালে আধুনিক মানসম্মত চিকিৎসা সেবা দিতে সব ধরনের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।

আরও খবর
যানবাহন ফিটনেস টেস্টিং সেন্টার বাড়ানোর নির্দেশ হাইকোর্টের
প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে করোনাকালেও প্রবৃদ্ধি এশিয়ার দেশগুলোর ওপরে বাংলাদেশ : তথ্যমন্ত্রী
ভারতের সঙ্গে বন্ধুত্ব আরও সুদৃঢ় হচ্ছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
দ্বিপক্ষীয়-বাণিজ্যিক সম্পর্ক বাড়াতে আগ্রহী রুয়ান্ডা
প্রকাশ্যে অস্ত্রের মহড়া : ছাত্রলীগ নেতা বহিষ্কার
মোহাম্মদপুরের কাউন্সিলর সেন্টুর বিরুদ্ধে মামলা
বস্তির গোসলখানায় শিশুর লাশ
সরকারি জমি দখল করে অবৈধ স্থাপনা
সাভারে ৬ দিনে কিশোর-কিশোরীসহ ৪ খুন
শহরের সঙ্গে ৪ দিন ধরে যোগাযোগ বন্ধ
নারায়ণগঞ্জে মুক্তিযোদ্ধাদের বাড়িতে ডিসির বৃক্ষরোপণ
উপ-পরিচালকের তত্ত্বাবধানে ক্লাব কম্পিউটার নামে বিকল্প কার্যালয়
স্বাস্থ্য পরীক্ষায় নতুন মূল্য তালিকা দাখিলের নির্দেশ হাইকোর্টের
১৪ প্রতিষ্ঠানকে ১৫ লাখ টাকা জরিমানা
সংসদ ভবন উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের প্রেজেন্টেশন দেখলেন প্রধানমন্ত্রী

বৃহস্পতিবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২০ , ০৫ মহররম ১৪৪২, ০৬ আশ্বিন ১৪২৭

মেট্রোরেলের ৫০ ভাগ কাজ শেষ

শ্রমিকদের চিকিৎসায় চালু ফিল্ড হাসপাতাল

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক |

ঢাকা মহানগরী ও পার্শ্ববর্তী এলাকার যানজট নিরসন এবং গণপরিবহনের সক্ষমতা বাড়াতে ২০৩০ সালের মধ্যে ছয়টি মেট্রোরেল রুট নির্মাণের পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে তরুণ প্রজন্মের স্বপ্নের মেট্রোরেলের নির্মাণ কাজ এগিয়ে চলেছে। ইতোমধ্যে প্রকল্পের প্রায় পঞ্চাশ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে। এরই মাঝে উড়ালপথে তিন কিলোমিটার রেললাইন স্থাপনের কাজ শেষ হয়েছে। চলছে বৈদ্যুতিক সংযোগ স্থাপন।

গতকাল তার সরকারি বাসভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে মেট্রোরেল প্রকল্পের জন্য নির্মিত ফিল্ড হাসপাতাল উদ্বোধনকালে এসব কথা বলেন। এ সময় ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মে উপস্থিত ছিলেন সড়ক ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব মো. নজরুল ইসলাম, ডিএমটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এমএএন ছিদ্দিক ও প্রকল্প পরিচালকসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

সড়কমন্ত্রী বলেন, করোনা মানুষের জীবনের মতো মেট্রোরেলেরও সবকিছু ওলটপালট করে দিয়েছে। নতুন নতুন সংকট শুরু হয় এ প্রকল্পে, সমাধানের জন্যও খোঁজা হয় পথ। এই মহামারীতে মেট্রোরেলের সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় হাসপাতাল নির্মাণসহ নানা উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এই প্রকল্পে জাপান ও থাইল্যান্ডের প্রকৌশলী পরামর্শকরাই কাজ করছেন বেশি। সংশ্লিষ্টদের করোনা শনাক্ত হলে কিংবা উপসর্গ থাকলে প্রকল্প এলাকায় কোয়ারেন্টিনে রাখা হচ্ছে। পাশাপাশি করোনাকালে সংশ্লিষ্ট কর্মীদের প্রকল্প এলাকায় আবাসনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ২০৩০ সালের মধ্যে সরকার ছয়টি মেট্রোরেল রুট নির্মাণের পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। এর আওতায় ১২৮ কিলোমিটার রুট নির্মাণ করা হবে। যার ৬৭ কিলোমিটার হবে উড়াল পথে এবং ৬১ কিলোমিটার হবে পাতাল পথে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘করোনা দীর্ঘায়িত হতে পারে এমন বিবেচনায় মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ কর্মীদের জন্য দুটি ফিল্ড হাসপাতাল নির্মাণ করেছে। এর একটি উত্তরার পঞ্চবটী কন্সট্রাকশন ইয়ার্ডে ১৪ শয্যাবিশিষ্ট এবং অপরটি গাবতলীর কন্সট্রাকশন ইয়ার্ডে ১০ শয্যার। এ দুটি হাসপাতালে আইসিইউ সুবিধাসহ সব সুবিধাই রাখা হয়েছে। দেশে কোন উন্নয়ন প্রকল্পের জন্য হাসপাতাল নির্মাণের নজির এই প্রথম। এটি মেট্রোরেল প্রকল্পে কর্মীদের জন্য ফিল্ড হাসপাতাল।’ এ প্রকল্পের জনশক্তিকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘করোনায় আক্রান্ত হলে নিজেদের জন্য চিকিৎসা ব্যবস্থা গড়ে তোলার অংশ হিসেবে নির্মাণ করা হয়েছে এ দুটি ফিল্ড হাসপাতাল। এতে প্রকল্পে যারা কাজ করছেন এতে তাদের মনোবল বৃদ্ধি পাবে এবং কাজের গতিও বাড়বে।’

অনুষ্ঠানে উত্তরা ও গাবতলী ইয়ার্ডে নির্মিত হাসপাতাল দুটির সংশ্লিষ্ট ডাক্তার ও তত্ত্বাবধায়করা বলেন, করোনাকালে চলমান কাজে কিছুটা ধীরগতি থাকলেও এখন আর সেই সমস্যা হবে না। তারা বলেন, এই হাসপাতালে আধুনিক মানসম্মত চিকিৎসা সেবা দিতে সব ধরনের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।