বাংলাদেশের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক বাড়াতে আগ্রহী রুয়ান্ডা। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী ভিনসেন্ট বিরুটা বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেনের সঙ্গে টেলিফোনে আলাপকালে এ আগ্রহ প্রকাশ করেন। গতকাল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এতথ্য জানায়।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, ওই ফোনালাপে দ্বৈতকর পরিহারে বাংলাদেশের প্রস্তাবের বিষয়ে শীঘ্রই রুয়ান্ডার মতামত জানানো হবে বলে জানিয়েছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী। এ সময় দুদেশের মধ্যে বাণিজ্য বাড়ানোর বিষয়ে উভয় দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আগ্রহ প্রকাশ করেন। এক্ষেত্রে বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে বলে ড. মোমেন উল্লেখ করেন। তিনি রুয়ান্ডাকে বাংলাদেশের ওষুধ, পিপিইসহ করোনা ভাইরাসের চিকিৎসা সামগ্রী, তৈরি পোশাক ও বাইসাইকেল আমদানির আহ্বান জানান। দুদেশের ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদের পারস্পরিক সফর বিনিময়ের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন তারা। এছাড়া, দুদেশের মধ্যে পররাষ্ট্র বিষয়ক পরামর্শক সভা (এফওসি) আয়োজনের বিষয়েও আলোচনা হয়। বাংলাদেশের সাম্প্রতিক উন্নয়ন ও সম্ভাবনার বিষয়টি তুলে ধরেন ড. মোমেন। তিনি জানান, বাংলাদেশের সরকার অত্যন্ত ব্যবসাবান্ধব। রুয়ান্ডাকে বাংলাদেশের অথনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি। এতে উভয় দেশ লাভবান হবে বলে উল্লেখ করেন। অন্যদিকে, বাস্তুচ্যুত ১১ লাখ রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে মায়ানমারে প্রত্যাবাসনের বিষয়ে রুয়ান্ডার সহযোগিতা অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন ভিনসেন্ট বিরুটা।
সম্প্রতি কেনিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনারকে রুয়ান্ডায় বাংলাদেশের অনাবাসিক হাইকমিশনার হিসেবে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২০ , ০৫ মহররম ১৪৪২, ০৬ আশ্বিন ১৪২৭
কূটনৈতিক বার্তা পরিবেশক
বাংলাদেশের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক বাড়াতে আগ্রহী রুয়ান্ডা। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী ভিনসেন্ট বিরুটা বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেনের সঙ্গে টেলিফোনে আলাপকালে এ আগ্রহ প্রকাশ করেন। গতকাল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এতথ্য জানায়।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, ওই ফোনালাপে দ্বৈতকর পরিহারে বাংলাদেশের প্রস্তাবের বিষয়ে শীঘ্রই রুয়ান্ডার মতামত জানানো হবে বলে জানিয়েছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী। এ সময় দুদেশের মধ্যে বাণিজ্য বাড়ানোর বিষয়ে উভয় দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আগ্রহ প্রকাশ করেন। এক্ষেত্রে বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে বলে ড. মোমেন উল্লেখ করেন। তিনি রুয়ান্ডাকে বাংলাদেশের ওষুধ, পিপিইসহ করোনা ভাইরাসের চিকিৎসা সামগ্রী, তৈরি পোশাক ও বাইসাইকেল আমদানির আহ্বান জানান। দুদেশের ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদের পারস্পরিক সফর বিনিময়ের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন তারা। এছাড়া, দুদেশের মধ্যে পররাষ্ট্র বিষয়ক পরামর্শক সভা (এফওসি) আয়োজনের বিষয়েও আলোচনা হয়। বাংলাদেশের সাম্প্রতিক উন্নয়ন ও সম্ভাবনার বিষয়টি তুলে ধরেন ড. মোমেন। তিনি জানান, বাংলাদেশের সরকার অত্যন্ত ব্যবসাবান্ধব। রুয়ান্ডাকে বাংলাদেশের অথনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি। এতে উভয় দেশ লাভবান হবে বলে উল্লেখ করেন। অন্যদিকে, বাস্তুচ্যুত ১১ লাখ রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে মায়ানমারে প্রত্যাবাসনের বিষয়ে রুয়ান্ডার সহযোগিতা অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন ভিনসেন্ট বিরুটা।
সম্প্রতি কেনিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনারকে রুয়ান্ডায় বাংলাদেশের অনাবাসিক হাইকমিশনার হিসেবে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।