রাজধানীর কড়াইল বস্তির একটি বাথরুম থেকে মিম আক্তার (৪) নামের এক শিশুর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল বেলা ১১টার দিকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। শিশুটির গলায় ও মুখে আঘাতের চিহ্ন থাকায় পুলিশ ও স্বজনদের ধারণা, মিমকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হতে পারে। তবে, কে বা কারা কি কারণে এ ঘটনা ঘটিয়েছে সে বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি। তবে, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য শিশুটির ভাই আলআমিনকে (১৪) আটক করেছে র্যাব। তাকে জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনার রহস্য প্রায় স্পষ্ট বলে জানিয়েছে র্যাব-১ এর একটি সূত্র। জানা গেছে, নরসিংদী জেলার রায়পুরার সিংড়াপুর গ্রামের লিটন মিয়ার মেয়ে মিম। বর্তমানে পরিবারের সঙ্গে কড়াইলের জামাই বাজার বস্তিতে থাকতো শিশুটি। তার বাবা লিটন মিয়া আমড়া বিক্রেতা। মা রুখসানা আক্তার বাসা বাড়িতে কাজ করেন। গতকাল সকালে বড় ভাই আল-আমিনের সঙ্গে বাসায় ছিল মিম।
মৃত শিশুটির বাবা রায়হান জানান, ৪ বছর ধরে বস্তির একটি রুম ভাড়া নিয়ে থাকেন তারা। গতকাল সকাল ৭টার দিকে তার স্ত্রী বাসা বাড়ির কাজে বের হন। এরপর ছেলে আলআমিন মাদ্রাসা থেকে বাসায় ফিরলে তিনিও বাড়ির পাশে একজনের সঙ্গে দেখা করতে যান। এ সময় তার ছেলেও সঙ্গে যায়। কিন্তু ১০/১৫ মিনিট পর তিনি রুমে এসে দেখেন বিছানায় মেয়ে নাই। এরপর শুরু হয় তাকে খোঁজাখুজি। এলাকায় মাইকিংও করা হয়। কিন্তু খোঁজ মিলছিল না। পরে সকাল সোয়া ৯টার দিকে বস্তির গোসলখানায় মিমের লাশ পড়ে থাকতে দেখা যায়। এ সময় মিমের গলায় হাতের ছাপ, মুখে দাগ দেখা যায়। কিভাবে মিমের মৃত্যু হলো সে বিষয়ে কিছু জানাতে পারেননি তিনি।
শিশুটির মা জানান, আমাদের কারও সঙ্গে কোন ঝামেলা নেই। তবে সোমবার বাসা থেকে তার ৫শ’ টাকা হারায়। এই নিয়ে তিনি বস্তির আশপাশের ভাড়াটিয়াদের বলে, আমার টাকা কে নিয়েছে জানি না তবে টাকা তারাতারি না দিয়ে দিলে সবাইকে চাউল পড়া খাওয়ানো হবে। শিশুটির মৃতদেহের ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক ঢাকা মেডিকেল কলেজের (ঢামেক) ফরেনসিক বিভাগের প্রধান ডা. সোহেল মাহমুদ জানান, আপাতদৃষ্টিতে তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে বলে মনে হচ্ছে। তার ভিসেরা, নেকট্যিসুসহ কিছু নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। এগুলোর রিপোর্ট আসলে আমরা চুড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেব। তবে শিশুটির যৌন নির্যাতনের আলামত পাইনি।
বনানী থানার ওসি নুরে আজম মিয়া বলেন, ঘটনাটি এখনও স্পষ্ট নয়। বাহ্যিকভাবে শিশুটির গলায় একটি আঘাতের চিহ্ন রয়েছে বলে মনে হচ্ছে। এজন্য প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, শিশুটিকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হতে পারে। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পেলে হত্যার কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে। এ ঘটনায় একটি মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলেও জানান তিনি।
বৃহস্পতিবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২০ , ০৫ মহররম ১৪৪২, ০৬ আশ্বিন ১৪২৭
নিজস্ব বার্তা পরিবেশক |
রাজধানীর কড়াইল বস্তির একটি বাথরুম থেকে মিম আক্তার (৪) নামের এক শিশুর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল বেলা ১১টার দিকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। শিশুটির গলায় ও মুখে আঘাতের চিহ্ন থাকায় পুলিশ ও স্বজনদের ধারণা, মিমকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হতে পারে। তবে, কে বা কারা কি কারণে এ ঘটনা ঘটিয়েছে সে বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি। তবে, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য শিশুটির ভাই আলআমিনকে (১৪) আটক করেছে র্যাব। তাকে জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনার রহস্য প্রায় স্পষ্ট বলে জানিয়েছে র্যাব-১ এর একটি সূত্র। জানা গেছে, নরসিংদী জেলার রায়পুরার সিংড়াপুর গ্রামের লিটন মিয়ার মেয়ে মিম। বর্তমানে পরিবারের সঙ্গে কড়াইলের জামাই বাজার বস্তিতে থাকতো শিশুটি। তার বাবা লিটন মিয়া আমড়া বিক্রেতা। মা রুখসানা আক্তার বাসা বাড়িতে কাজ করেন। গতকাল সকালে বড় ভাই আল-আমিনের সঙ্গে বাসায় ছিল মিম।
মৃত শিশুটির বাবা রায়হান জানান, ৪ বছর ধরে বস্তির একটি রুম ভাড়া নিয়ে থাকেন তারা। গতকাল সকাল ৭টার দিকে তার স্ত্রী বাসা বাড়ির কাজে বের হন। এরপর ছেলে আলআমিন মাদ্রাসা থেকে বাসায় ফিরলে তিনিও বাড়ির পাশে একজনের সঙ্গে দেখা করতে যান। এ সময় তার ছেলেও সঙ্গে যায়। কিন্তু ১০/১৫ মিনিট পর তিনি রুমে এসে দেখেন বিছানায় মেয়ে নাই। এরপর শুরু হয় তাকে খোঁজাখুজি। এলাকায় মাইকিংও করা হয়। কিন্তু খোঁজ মিলছিল না। পরে সকাল সোয়া ৯টার দিকে বস্তির গোসলখানায় মিমের লাশ পড়ে থাকতে দেখা যায়। এ সময় মিমের গলায় হাতের ছাপ, মুখে দাগ দেখা যায়। কিভাবে মিমের মৃত্যু হলো সে বিষয়ে কিছু জানাতে পারেননি তিনি।
শিশুটির মা জানান, আমাদের কারও সঙ্গে কোন ঝামেলা নেই। তবে সোমবার বাসা থেকে তার ৫শ’ টাকা হারায়। এই নিয়ে তিনি বস্তির আশপাশের ভাড়াটিয়াদের বলে, আমার টাকা কে নিয়েছে জানি না তবে টাকা তারাতারি না দিয়ে দিলে সবাইকে চাউল পড়া খাওয়ানো হবে। শিশুটির মৃতদেহের ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক ঢাকা মেডিকেল কলেজের (ঢামেক) ফরেনসিক বিভাগের প্রধান ডা. সোহেল মাহমুদ জানান, আপাতদৃষ্টিতে তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে বলে মনে হচ্ছে। তার ভিসেরা, নেকট্যিসুসহ কিছু নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। এগুলোর রিপোর্ট আসলে আমরা চুড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেব। তবে শিশুটির যৌন নির্যাতনের আলামত পাইনি।
বনানী থানার ওসি নুরে আজম মিয়া বলেন, ঘটনাটি এখনও স্পষ্ট নয়। বাহ্যিকভাবে শিশুটির গলায় একটি আঘাতের চিহ্ন রয়েছে বলে মনে হচ্ছে। এজন্য প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, শিশুটিকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হতে পারে। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পেলে হত্যার কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে। এ ঘটনায় একটি মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলেও জানান তিনি।