সাভারে ৬ দিনের ব্যবধানে পৃথক ঘটনায় কিশোর-কিশোরীসহ চারজন খুন হয়েছে। পৃথক ৪ খুনের ঘটনায় সংশ্লিষ্ট থানায় পৃথকভাবে মামলা দায়ের করেছে নিহতের পরিবারের স্বজনেরা। এদের মধ্যে উপজেলার সাভার মডেল থানায় দুইটি ও আশুলিয়া থানায় পৃথক দুইটি মামলা দায়ের হয়েছে। এ চারটি পৃথক মামলায় তদন্তাধীণ রয়েছে। তবে এখনও দুইটি মামলায় পুলিশের ধরা-ছোঁয়ার বাহিরে রয়েছে অপরাধীরা। সরেজমিনে ও নিহতের পরিবারের মাধ্যমে জানা যায়, গত ১৬ সেপ্টেম্বর বুধবার গভীর রাতে আশুলিয়ার পশালবাড়ির খোকন মিয়ার মালিকানাধীন ভাড়া বাসার একটি কক্ষ থেকে পচা দুর্গন্ধ বের হচ্ছিল। তীব্র গন্ধে স্থানীয়রা আশুলিয়া থানা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করে। তার আনুমানিক বয়স ৩২ বছর। তবে বাড়ির মালিক খোকন মিয়া থেকে ওই কক্ষ ভাড়া নেন সবুজ নামে এক ব্যক্তি। পুলিশের ধারণা, ওই নারীকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হতে পারে। তার গলায় ওড়না পেচানো ছিল। তবে ঘটনার পর থেকেই সবুজ নামে ওই যুবক পলাতক রয়েছে। এ ঘটনায় কাউকে আটক করতে পারেনি আশুলিয়া থানা পুলিশ। পরের দিন বৃহস্পতিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সকালে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের উল্লাইল এলাকায় সড়কের পাশে রেবেকা বেগম নামে এক নারীর মরদেহ দেখতে পায় পথচারীরা। পরে থানায় খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে। নিহতের মরদেহের গলায় ও মুখে আঘাতের চিহ্ন ছিল। এরপরে রোববার (২০ সেপ্টেম্বর) নিহতের স্বামী মহিদুলকে গাজীপুর থেকে আটক করে সাভার মডেল থানা পুলিশ এদিকে প্রেমের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় ভাইয়ের কাছ থেকে ছিনিয়ে নিয়ে দশক শ্রেণীর স্কুল শিক্ষার্থী নীলা রায়কে হত্যা করেছে মিজান নামের এক যুবক। রোববার (২০ সেপ্টেম্বর) রাত ৯টার দিকে সাভার পৌর এলাকার পালপাড়া মহল্লায় ছুরিকাঘাতে ওই কিশোরীকে হত্যা করে ঘাতক ওই যুবক।
নিহত নীলা মালিকগঞ্জ জেলার বালিটেক এলাকায় নারায়ন রায়ের মেয়ে। সে সাভার পৌর এলাকার কাজী মোকমা পাড়া মহল্লায় বসবাস করে স্থানীয় অ্যাসেড স্কুলের দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থী ছিলেন। অন্যদিকে অভিযুক্ত বখাটে পৌর এলাকার ব্যাংক কলোনী মহল্লার আবদুর রহমানের ছেলে মিজানুর রহমান। এ ঘটনায় নিহতের পিতা নারায়ন রায় সাভার মডেল থানায় মিজানুরসহ অজ্ঞাত ২/৩ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করে। এদিকে এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে বুধবার সকালে সেলিম পালোয়ান (২৫) নামে এক যুবককে আটক করে সাভার মডেল থানা পুলিশ। তবে ঘটনার মূলহোতা কিশোর গ্যাং এর সদস্য মিজানুর রহমান মিজান পলাতক রয়েছে। অন্যদিকে মঙ্গলবার (২২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে আশুলিয়া থানার মোজ্জামেল এলাকার একটি ডোবার পাশ থেকে পঞ্চম শ্রেণী পড়ুয়া সবুজ মিয়া নামের এক ছাত্রের মরদেহ উদ্ধার করে আশুলিয়া থানা পুলিশ। পুলিশ জানায়, মুক্তিপণের না পেয়ে দুই কিশোরকে বেধর পিটিয়ে আহত করে দুর্বৃত্তরা। এদের মধ্যে সবুজ নামে ওই কিশোরের মৃত্যু হয়। পরে মরদেহ ডোবার পাড়ে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। এ বিষয়ে সাভার মডেল থানার পরিদর্শক (ওসি তদন্ত) সাইফুল ইসলাম জানান, রেবেকা হত্যা ঘটনায় মূলহোতা মহিদুলকে আটক করা হয়েছে এবং নীলা হত্যা ঘটনায় এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ। হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের আটকের জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান পুলিশের ওই কর্মকর্তা।
বৃহস্পতিবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২০ , ০৫ মহররম ১৪৪২, ০৬ আশ্বিন ১৪২৭
প্রতিনিধি, সাভার (ঢাকা)
সাভারে ৬ দিনের ব্যবধানে পৃথক ঘটনায় কিশোর-কিশোরীসহ চারজন খুন হয়েছে। পৃথক ৪ খুনের ঘটনায় সংশ্লিষ্ট থানায় পৃথকভাবে মামলা দায়ের করেছে নিহতের পরিবারের স্বজনেরা। এদের মধ্যে উপজেলার সাভার মডেল থানায় দুইটি ও আশুলিয়া থানায় পৃথক দুইটি মামলা দায়ের হয়েছে। এ চারটি পৃথক মামলায় তদন্তাধীণ রয়েছে। তবে এখনও দুইটি মামলায় পুলিশের ধরা-ছোঁয়ার বাহিরে রয়েছে অপরাধীরা। সরেজমিনে ও নিহতের পরিবারের মাধ্যমে জানা যায়, গত ১৬ সেপ্টেম্বর বুধবার গভীর রাতে আশুলিয়ার পশালবাড়ির খোকন মিয়ার মালিকানাধীন ভাড়া বাসার একটি কক্ষ থেকে পচা দুর্গন্ধ বের হচ্ছিল। তীব্র গন্ধে স্থানীয়রা আশুলিয়া থানা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করে। তার আনুমানিক বয়স ৩২ বছর। তবে বাড়ির মালিক খোকন মিয়া থেকে ওই কক্ষ ভাড়া নেন সবুজ নামে এক ব্যক্তি। পুলিশের ধারণা, ওই নারীকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হতে পারে। তার গলায় ওড়না পেচানো ছিল। তবে ঘটনার পর থেকেই সবুজ নামে ওই যুবক পলাতক রয়েছে। এ ঘটনায় কাউকে আটক করতে পারেনি আশুলিয়া থানা পুলিশ। পরের দিন বৃহস্পতিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সকালে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের উল্লাইল এলাকায় সড়কের পাশে রেবেকা বেগম নামে এক নারীর মরদেহ দেখতে পায় পথচারীরা। পরে থানায় খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে। নিহতের মরদেহের গলায় ও মুখে আঘাতের চিহ্ন ছিল। এরপরে রোববার (২০ সেপ্টেম্বর) নিহতের স্বামী মহিদুলকে গাজীপুর থেকে আটক করে সাভার মডেল থানা পুলিশ এদিকে প্রেমের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় ভাইয়ের কাছ থেকে ছিনিয়ে নিয়ে দশক শ্রেণীর স্কুল শিক্ষার্থী নীলা রায়কে হত্যা করেছে মিজান নামের এক যুবক। রোববার (২০ সেপ্টেম্বর) রাত ৯টার দিকে সাভার পৌর এলাকার পালপাড়া মহল্লায় ছুরিকাঘাতে ওই কিশোরীকে হত্যা করে ঘাতক ওই যুবক।
নিহত নীলা মালিকগঞ্জ জেলার বালিটেক এলাকায় নারায়ন রায়ের মেয়ে। সে সাভার পৌর এলাকার কাজী মোকমা পাড়া মহল্লায় বসবাস করে স্থানীয় অ্যাসেড স্কুলের দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থী ছিলেন। অন্যদিকে অভিযুক্ত বখাটে পৌর এলাকার ব্যাংক কলোনী মহল্লার আবদুর রহমানের ছেলে মিজানুর রহমান। এ ঘটনায় নিহতের পিতা নারায়ন রায় সাভার মডেল থানায় মিজানুরসহ অজ্ঞাত ২/৩ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করে। এদিকে এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে বুধবার সকালে সেলিম পালোয়ান (২৫) নামে এক যুবককে আটক করে সাভার মডেল থানা পুলিশ। তবে ঘটনার মূলহোতা কিশোর গ্যাং এর সদস্য মিজানুর রহমান মিজান পলাতক রয়েছে। অন্যদিকে মঙ্গলবার (২২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে আশুলিয়া থানার মোজ্জামেল এলাকার একটি ডোবার পাশ থেকে পঞ্চম শ্রেণী পড়ুয়া সবুজ মিয়া নামের এক ছাত্রের মরদেহ উদ্ধার করে আশুলিয়া থানা পুলিশ। পুলিশ জানায়, মুক্তিপণের না পেয়ে দুই কিশোরকে বেধর পিটিয়ে আহত করে দুর্বৃত্তরা। এদের মধ্যে সবুজ নামে ওই কিশোরের মৃত্যু হয়। পরে মরদেহ ডোবার পাড়ে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। এ বিষয়ে সাভার মডেল থানার পরিদর্শক (ওসি তদন্ত) সাইফুল ইসলাম জানান, রেবেকা হত্যা ঘটনায় মূলহোতা মহিদুলকে আটক করা হয়েছে এবং নীলা হত্যা ঘটনায় এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ। হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের আটকের জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান পুলিশের ওই কর্মকর্তা।