টাঙ্গাইলে ধলেশ্বরী নদীর ওপর চারাবাড়ি ঘাট সেতুর কাছে দ্বিতীয়বারের মতো টাঙ্গাইল-তোরাপগঞ্জ সড়কে অর্ধেকের বেশি রাস্তা ধসে পড়েছে। এতে করে বিগত ৪ দিন ধরে পশ্চিমাঞ্চলের সঙ্গে শহরের সড়ক যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। ফলে দুর্ভোগে পড়েছেন এ সড়ক দিয়ে চলাচলকারীরা। এই সড়ক দিয়ে প্রতিদিন সদর উপজেলার চরাঞ্চলের কাতুলী, হুগড়া, মাহমুদনগর ও নাগরপুর উপজেলার ভাড়রা ইউনিয়নের লক্ষাধিক মানুষ চলাচল করে। স্থানীয়দের অভিযোগ, অবৈধ ড্রেজিংয়ের মাটি ট্রাক নেয়ার সময় অধিক লোডের কারণে একই জায়গা বার বার ধসে পড়ছে। তাই অবৈধ ড্রেজার বন্ধের দাবি জানিয়েছে এলাকাবাসী। এদিকে রাস্তা সচল করার জন্য এলজিইডি’র পক্ষ থেকে জিও ব্যাগ ফেলা হচ্ছে। স্থানীয়রা জানায়, বর্ষার শুরু থেকে ব্রিজের ৫শ’ গজ দক্ষিণে কয়েকটি অবৈধ ড্রেজারের মাধ্যমে নদী থেকে ড্রেজিং করে মাটি তোলা হচ্ছে। সেই মাটি ভারি ট্রাক দিয়ে ব্রিজের পশ্চিম পাশে লিংক রাস্তা দিয়ে আনা নেয়ার সময় ভাঙনের স্থানে প্রচুর চাপ পড়ে। যার ফলে গত ৪ দিন আগে ওই রাস্তাটি ধসে গিয়ে টাঙ্গাইল-তোরাপগঞ্জ সড়কের যোগাযোগ ব্যাহত হয়েছে। অবৈধ ড্রেজিংয়ের বিষয়টি স্থানীয় প্রশাসনকে জানানো হলেও প্রয়োজনীয় কোন প্রদক্ষেপ নেয়নি। সিএনজি অটোরিকশা চালক আবদুল মজিদ বলেন, চারদিন ধরে রাস্তাটি ধ্বসে গিয়ে যোগাযোগ ব্যবস্থা ব্যাহত হচ্ছে। এছাড়াও ব্রিজের নিচের অবস্থা ভয়াবহ খারাপ। যেকোন সময় ব্রিজটি ভেঙে যেতে পারে। এখন ব্রিজটি দ্রুত সংস্কার করা দরকার। তা না হলে যেকোন সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। অটো রিকশা চালক ফরিদ মিয়া বলেন, রাস্তা ধ্বসে যাওয়ায় ব্রিজের উপর দিয়ে যাতায়াত করতে না পারায় দুই পাশে গাড়ি পার্কিং করে রাখা হয়েছে। যাত্রীরা যানবাহন থেকে এক পাশে নেমে আরেক পাশের যানবাহনে চলাচল করে গন্তব্যে পৌঁছাচ্ছে। এতে করে সময় অপচয় হচ্ছে। ভ্যান চালক নাজিম খান বলেন, রাস্তা বন্ধ থাকায় কয়েক দিন ধরে শহরে যেতে পারছি না। ফলে আয় রোজগারও বন্ধ হয়েছে। খুব কষ্ট করে চলতে হচ্ছে।
এ বিষয়ে কাতুলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইকবাল আলী বলেন, মাটির ট্রাক মোড় গুড়ানোর সময় অধিক চাপে বার বার রাস্তাটি ধসে পড়েছে। ফলে পশ্চিম টাঙ্গাইলের মানুষ খুব কষ্টে শহরের সঙ্গে যাতায়াত করছে। অবৈধ ড্রেজিং এর বিষয়ে প্রশাসনকে অতিহিত করা হলেও অবৈধ ড্রেজার বন্ধ হয়নি।
এ ব্যাপারে টাঙ্গাইল সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাজাহান আনছারী বলেন, ইতোমধ্যে ঘটনাস্থল পরিদর্শক করে এক হাজার জিও ব্যাগ পাশ করা হয়েছে। জিও ব্যাগ ফেলা শেষ হলে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হবে।
এ প্রসঙ্গে টাঙ্গাইল এলজিইডি’র নির্বাহী প্রকৌশলী গোলাম আজম বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। স্থায়ী সমাধানের জন্য ঢাকায় প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে বলে তিনি জানান।
বৃহস্পতিবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২০ , ০৫ মহররম ১৪৪২, ০৬ আশ্বিন ১৪২৭
জেলা বার্তা পরিবেশক, টাঙ্গাইল
টাঙ্গাইলে ধলেশ্বরী নদীর ওপর চারাবাড়ি ঘাট সেতুর কাছে দ্বিতীয়বারের মতো টাঙ্গাইল-তোরাপগঞ্জ সড়কে অর্ধেকের বেশি রাস্তা ধসে পড়েছে। এতে করে বিগত ৪ দিন ধরে পশ্চিমাঞ্চলের সঙ্গে শহরের সড়ক যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। ফলে দুর্ভোগে পড়েছেন এ সড়ক দিয়ে চলাচলকারীরা। এই সড়ক দিয়ে প্রতিদিন সদর উপজেলার চরাঞ্চলের কাতুলী, হুগড়া, মাহমুদনগর ও নাগরপুর উপজেলার ভাড়রা ইউনিয়নের লক্ষাধিক মানুষ চলাচল করে। স্থানীয়দের অভিযোগ, অবৈধ ড্রেজিংয়ের মাটি ট্রাক নেয়ার সময় অধিক লোডের কারণে একই জায়গা বার বার ধসে পড়ছে। তাই অবৈধ ড্রেজার বন্ধের দাবি জানিয়েছে এলাকাবাসী। এদিকে রাস্তা সচল করার জন্য এলজিইডি’র পক্ষ থেকে জিও ব্যাগ ফেলা হচ্ছে। স্থানীয়রা জানায়, বর্ষার শুরু থেকে ব্রিজের ৫শ’ গজ দক্ষিণে কয়েকটি অবৈধ ড্রেজারের মাধ্যমে নদী থেকে ড্রেজিং করে মাটি তোলা হচ্ছে। সেই মাটি ভারি ট্রাক দিয়ে ব্রিজের পশ্চিম পাশে লিংক রাস্তা দিয়ে আনা নেয়ার সময় ভাঙনের স্থানে প্রচুর চাপ পড়ে। যার ফলে গত ৪ দিন আগে ওই রাস্তাটি ধসে গিয়ে টাঙ্গাইল-তোরাপগঞ্জ সড়কের যোগাযোগ ব্যাহত হয়েছে। অবৈধ ড্রেজিংয়ের বিষয়টি স্থানীয় প্রশাসনকে জানানো হলেও প্রয়োজনীয় কোন প্রদক্ষেপ নেয়নি। সিএনজি অটোরিকশা চালক আবদুল মজিদ বলেন, চারদিন ধরে রাস্তাটি ধ্বসে গিয়ে যোগাযোগ ব্যবস্থা ব্যাহত হচ্ছে। এছাড়াও ব্রিজের নিচের অবস্থা ভয়াবহ খারাপ। যেকোন সময় ব্রিজটি ভেঙে যেতে পারে। এখন ব্রিজটি দ্রুত সংস্কার করা দরকার। তা না হলে যেকোন সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। অটো রিকশা চালক ফরিদ মিয়া বলেন, রাস্তা ধ্বসে যাওয়ায় ব্রিজের উপর দিয়ে যাতায়াত করতে না পারায় দুই পাশে গাড়ি পার্কিং করে রাখা হয়েছে। যাত্রীরা যানবাহন থেকে এক পাশে নেমে আরেক পাশের যানবাহনে চলাচল করে গন্তব্যে পৌঁছাচ্ছে। এতে করে সময় অপচয় হচ্ছে। ভ্যান চালক নাজিম খান বলেন, রাস্তা বন্ধ থাকায় কয়েক দিন ধরে শহরে যেতে পারছি না। ফলে আয় রোজগারও বন্ধ হয়েছে। খুব কষ্ট করে চলতে হচ্ছে।
এ বিষয়ে কাতুলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইকবাল আলী বলেন, মাটির ট্রাক মোড় গুড়ানোর সময় অধিক চাপে বার বার রাস্তাটি ধসে পড়েছে। ফলে পশ্চিম টাঙ্গাইলের মানুষ খুব কষ্টে শহরের সঙ্গে যাতায়াত করছে। অবৈধ ড্রেজিং এর বিষয়ে প্রশাসনকে অতিহিত করা হলেও অবৈধ ড্রেজার বন্ধ হয়নি।
এ ব্যাপারে টাঙ্গাইল সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাজাহান আনছারী বলেন, ইতোমধ্যে ঘটনাস্থল পরিদর্শক করে এক হাজার জিও ব্যাগ পাশ করা হয়েছে। জিও ব্যাগ ফেলা শেষ হলে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হবে।
এ প্রসঙ্গে টাঙ্গাইল এলজিইডি’র নির্বাহী প্রকৌশলী গোলাম আজম বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। স্থায়ী সমাধানের জন্য ঢাকায় প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে বলে তিনি জানান।